ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্লাস্টিক বর্জ্য এবং বিপন্ন পরিবেশ

প্রদীপ সাহা
প্লাস্টিক বর্জ্য এবং বিপন্ন পরিবেশ

সময়ের পরিবর্তন এবং প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের জীবনযাত্রা আধুনিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে বর্জ্য পদার্থের পরিমাণ। সময়টা এখন প্লাস্টিক পণ্যের এবং বর্তমানে পরিবেশ দূষণের অন্যতম কারণ হলো প্লাস্টিক। প্লাস্টিকের পণ্য ব্যবহারের পর যত্রতত্র ফেলে রাখা হচ্ছে। ফলে নানাভাবে এর বিশাল একটা অংশ চলে যাচ্ছে সমুদ্রে, যা খুব সহজেই বিপন্ন করছে সেখানকার জীববৈচিত্র্যকে। দিন যত যাচ্ছে, ততই সমুদ্রের পানি দূষিত থেকে আরো দূষিত হচ্ছে ভয়ানকভাবে। প্লাস্টিক এখন মহাসাগরের গভীর তলদেশে ছড়িয়ে গেছে, ঢুকে পড়েছে তিমির মতো নানা প্রাণীর পেটে এবং মানুষের খাবারে। গবেষকদের এক হিসাবে দেখা গেছে, সমুদ্রের প্রতি ১ বর্গকিলোমিটার এলাকায় ১০০ গ্রাম করে এ ধরনের প্লাস্টিক বর্জ্য ভাসছে। সে অনুযায়ী হিসাব করে দেখা গেছে, গোটা বিশ্বের সমুদ্র এলাকাতে প্লাস্টিক বর্জ্যের পরিমাণ এখন মোট ৪০ হাজার টনের বেশি। আর এসব বর্জ্যের জন্য খুব সহজেই বিপন্ন হয়ে উঠছে পরিবেশ এবং সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য। প্রকৃতির কোলে প্রাকৃতিক উপাদানের ক্ষয় ঘটে- এটাই নিয়ম। ব্যাকটিরিয়া সেই ক্ষয় ঘটায় এবং উপাদানগুলো ভেঙে কার্বন, পানি, অক্সিজেনের মতো মৌলিক পদার্থে পরিণত হয়। কিন্তু যতই ছোট হোক না কেন, প্লাস্টিক প্লাস্টিকই থেকে যায়। প্লাস্টিকের বর্জ্য সহজে পচে মাটিতে মিশে যায় না। প্লাস্টিক ব্যাকটেরিয়ার থাবা থেকেও বেঁচে যায় বলে আমাদের কাছে অভিশাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এক হিসাবে বলা হয়েছে, একটি মাত্র প্লাস্টিক ব্যাগ মাটিতে মিশে যেতে সময় লাগে প্রায় ১ হাজার বছর।

কী সাংঘাতিক ব্যাপার! আর এ কারণেই প্লাস্টিক বর্জ্য আজ সারা বিশ্বে পরিবেশের জন্য এত বড় হুমকি হয়ে উঠেছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো মাইক্রো প্লাস্টিক। সমুদ্রের ঢেউয়ের ধাক্কায় এবং সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মির কারণে প্লাস্টিকের কণাগুলো ভেঙ্গে ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতর হয়ে পড়ে। একসময় সেগুলো আর খালি চোখে দেখা যায় না। সমুদ্রের পানিতে ভেসে চলা এসব বর্জ্যের ভেঙে যাওয়া ক্ষুদ্র কণা সেখানকার মাছ ও জীবজন্তুর জন্য বিষের মতো কাজ করে। এগুলো পানিতে অনেক দিন থাকলেও সহজে পচে না এবং বিনাশ হয় না। বিজ্ঞানীরা অনেক দিন ধরেই ভাবছিলেন, যদি কোনো এক ধরনের ছত্রাক প্লাস্টিককে বিনাশ করতে পারত কিংবা সহজেই খেয়ে ফেলতে পারত, তাহলে প্লাস্টিক বর্জ্য প্রকৃতিতে মিশে যাওয়ার কাজটা সহজ হতো। বিজ্ঞানীরা প্লাস্টিক বিনাশের জন্য এক ধরনের কীট খুঁজে পেয়েছেন। এ কীট প্লাস্টিক খেয়ে সহজে হজম করতে পারে। তারা দেখেছেন, মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে এটি এক টুকরো স্টাইরোফোম (তাপ ও পানি নিরোধক ব্লু বোর্ড, যা দেয়াল কিংবা ছাদে বোর্ড হিসেবে ব্যবহৃত হয়) হজম করে ফেলতে সক্ষম। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এ কীটের ক্ষমতা কাজে লাগালে কয়েক শতাব্দীর পরিবর্তে মাত্র কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যা দূর করা সম্ভব হবে। এর ফলে অসংখ্য প্রাণীর অস্তিত্ব যেমন রক্ষা করা যাবে, তেমনি প্রকৃতিও সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি বিষাক্ত প্লাস্টিক পোড়ানোর প্রবণতাও কমিয়ে আনা যাবে। প্লাস্টিক বর্জ্য কীভাবে সহজে রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহার করা যায়, সেটিও ছিল বিজ্ঞানীদের কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জ। কোনোকিছু ঠিকমতো পুনর্ব্যবহার করতে হলে সেটির মৌলিক উপাদান বিচ্ছিন্ন করতে হয়, যাতে সেই উপাদান দিয়ে আবার নতুন কিছু তৈরি করা যায়। কিন্তু প্লাস্টিকের সংযোগ খুব বেশি হলেও একবার বা দুইবার রিসাইক্লিং করা যায়, তারপর তা পুরোপুরি ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। সে কারণে এ ধরনের কীট সব সমস্যার সমাধান সূত্র হয়ে উঠতে পারে। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, এখন জীবাশ্মভিত্তিক জ্বালানি ছাড়া শুধুমাত্র বায়ো রিসাইক্লিংয়ের মাধ্যমে প্লাস্টিক বিচ্ছিন্ন করে তা বারবার ব্যবহার করা সম্ভব হবে। যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ’র স্ট্রাকচারাল বায়োলজি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক জন ম্যাকগিহ্যান ‘মিলওয়ার্ম’ নামের কীট কিনে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছেন, সেগুলোকে স্টাইরোপোর (নরম হালকা প্লাস্টিক উপাদান, যা বিশেষ করে পাত্র তৈরিতে ব্যবহৃত হয়) খাওয়ালে কীভাবে ছোট বিটল পোকায় রূপান্তরিত হয়। তিনি বলেন, কীটগুলো নিজেরা ক্ষয় ঘটায় না, সেগুলোর মধ্যে ব্যাকটিরিয়া ‘এনজাইম’ উৎপাদন করে ক্ষয়ের কাজটি করে। প্রকৃতি এবং আবর্জনার স্তূপসহ সবরকম নোংরা জায়গায় ব্যাকটিরিয়ার খোঁজ করে দেখা গেছে, সেই ব্যাকটিরিয়া প্লাস্টিক খেয়ে হজম করে নিচ্ছে। আর তাই এমন কীটের এনজাইম বড় আকারে উৎপাদন করার সম্ভাবনাও এখন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্লাস্টিক বর্জ্যের সমস্যা সমাধানে বিজ্ঞানীরা থেমে নেই। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের বায়ো-ম্যানুফ্যাকচারিং ফার্ম ‘বায়োহম’র প্রধান বায়োটেক প্রকৌশলী সামান্থা জেংকিনস এমন একটি ছত্রাক আবিষ্কার করে সফল হয়েছেন, যা প্লাস্টিক খেয়ে ফেলতে পারে। পিইটি (পলিইথাইলিন টেরেফথালেট) নামে এক ধরনের প্লাস্টিক আছে, যা দিয়ে নানারকম পানীয়ের বোতল তৈরি করা হয়। এ ধরনের প্লাস্টিক সহজে নষ্ট হয় না এবং রিসাইক্লিংও করা যায় না। তিনি তার আবিষ্কৃত ছত্রাকটি পিইটি এবং পলিইউরিথেনের ওপর পরীক্ষা করে দেখেছেন, তা এ ধরনের প্লাস্টিক সহজেই খেয়ে ফেলছে। শুধু তাই নয়! এ ছত্রাক জন্ম দিচ্ছে আরো ছত্রাকের, যা থেকে নানারকম জৈবপদার্থ তৈরি করা সম্ভব। আর এ জৈব পদার্থ খাবার তৈরি, এমনকি অ্যান্টিবায়োটিক তৈরির কাজেও লাগতে পারে। প্লাস্টিক খেয়ে ফেলতে পারে বা বিনাশ করতে পারে এমন ছত্রাক আর ব্যাকটেরিয়া নিয়ে কাজ করে আরো কিছু বিজ্ঞানী সফল হয়েছেন। স্কটল্যান্ডের এডিনবরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা সম্প্রতি টেরেপথ্যালিক এসিডকে ভেঙে ‘ভ্যানিলিন’ তৈরির কাজে ‘ই-কোলাই’ নামে এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করেছেন। ভ্যানিলিন খাবারের সুগন্ধি হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং টেরেপথ্যালিক এসিড হচ্ছে পিইটি থেকে পাওয়া একটি অণু। পরীক্ষাটি এখনো প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। জার্মানির লাইপজিগে অবস্থিত ‘হেলমহোল্টজ সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ’র একটি দল প্লাস্টিক নিয়ে গবেষণায় উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি দেখিয়েছে। ফ্রান্সের ‘কারবিয়োস’ কো¤পানি ক¤েপাস্টের মধ্যে পাওয়া এনজাইম ব্যবহার করে প্লাস্টিকের বোতল রিসাইক্লিং করেছে। এ এনজাইম সহজেই পিইটি (পলিইথাইলিন টেরেফথালেট) ভাঙতে পারে।

কোম্পানিটি বিশ্বে প্রথমবারের মতো ফুড গ্রেড পিইটি প্লাস্টিক বোতল তৈরি করতে সক্ষম হয়েছে। প্রযুক্তির কল্যাণে বিজ্ঞানীদের প্রচেষ্টা অবশ্যই সার্থক হবে। প্লাস্টিক খাওয়া বা বিনাশ করা এসব কীটের বদৌলতে আর প্লাস্টিক বর্জ্যের জন্য বিপন্ন হয়ে উঠবে না পরিবেশ, বিপন্ন হবে না জীববৈচিত্র্য। অন্যদিকে, প্লাস্টিক রিসাইক্লিং বা পুনর্ব্যবহারের মাধ্যমে সহজেই বিভিন্ন ধরনের জিনিস তৈরি করাও সম্ভব হবে। হয়তো সেদিনটি খুব বেশি দূরে নয়, যেদিন আমরা দেখব যত্রতত্র পড়ে থাকবে না প্লাস্টিক- বাড়বে না বর্জ্যের পরিমাণ, দূষিত হবে না পরিবেশ। প্লাস্টিক বর্জ্যে আজ সমগ্র বিশ্বে যে সমস্যাটা প্রকট হয়ে দাঁড়িয়েছে, তা শিগগিরই সমাধান হবে এ আশাটুকু আমরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির যুগে করতেই পারি।

বিশ্বজুড়ে জলবায়ু পরিবর্তনের নানা হুমকি আর উদ্বেগের সঙ্গে নদীভাঙনকে বাংলাদেশের জন্য এখন ‘লাল সংকেত’ মনে করছেন বিশ্ব সংস্থাগুলো। প্রতিবছর ৫ থেকে ৬ হাজার হেক্টর জমি বিলীন হচ্ছে নদীভাঙনে। এ হিসাবে গেল ২০ বছরে নিশ্চিহ্ন হয়েছে দেশের অন্তত ১ লাখ হেক্টর ভূমি। আর্থিক হিসেব ধরলে যার ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২ লাখ কোটি টাকা। নদীভাঙন ঠেকাতেও গেল দুই দশকে ব্যয় হয়েছে প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা। বিশ্বব্যাংকের হিসাব পরিসংখ্যানেই সম্প্রতি তুলে ধরা হয়েছে এসব তথ্য। যুক্তরাষ্ট্রের মহাকাশবিষয়ক সংস্থা নাসা এক গবেষণায় জানায়, ১৯৬৭ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত সময়ে শুধু পদ্মার ভাঙনেই ৬৬ হাজার হেক্টর বা ৬৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বিলীন হয়েছে।

যার মোট এলাকার আয়তন হবে তিনটি ঢাকা শহরের সমান। নাসা তাদের প্রতিবেদনে পদ্মাকে পৃথিবীর সবচেয়ে ভাঙনপ্রবণ নদী হিসেবে চিহ্নিত করেছে। জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তনবিষয়ক অভ্যন্তরীণ সর্বোচ্চ প্যানেল-আইপিসিসি বলছে- নদীভাঙনই এখন বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ঝুঁকির দুর্যোগ।

বিভিন্ন সংস্থার গবেষণা তথ্যমতে, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশের প্রায় ৪০ লাখ মানুষ নদী ভাঙনের শিকার হয়েছেন। ২০৩০ সাল নাগাদ এ সংখ্যা গিয়ে দাঁড়াব প্রায় ১ কোটিতে। এখন বছরে গড়ে প্রায় ২ লাখ মানুষ নদীভাঙনে সর্বশান্ত হচ্ছেন। এসব মানুষ জীবন-জীবিকা আর কর্মসংস্থানের জন্য গ্রাম ছেড়ে আসছেন শহরে। ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব রেডক্রস অ্যান্ড রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি- আইএফআরসিএস-এর দক্ষিণ এশিয়া প্রধান বব ম্যাকরো ৮ বছর আগেই নদীভাঙনকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। তার মতে, নদীভাঙন এ দেশের আর্থ-সামাজিক ব্যবস্থাকে যে কোনো দুর্যোগের চেয়ে বেশি মাত্রায় ধ্বংস করছে। কিন্তু এতো বড় সমস্যাটি নিয়ে তেমন কোনো মহাপরিকল্পনাই জাতীয় কিংবা আন্তর্জাতিকভাবে করা হচ্ছে না। সাম্প্রতিক সময়ে লক্ষ্যনীয় হলো- বড় বড় নদীগুলোর ভাঙনের তীব্রতা গেল কয়েক বছর ধরে বাড়ছে। ফলে বহু পাড়া-মহল্লা, ইউনিয়ন এমনকি উপজেলার মানচিত্রও পাল্টে যাচ্ছে। এমনকি সীমান্তের অনেক নদীর অস্বাভাবিক ভাঙন দেশের সীমান্ত রেখা বদলে দিচ্ছে। এমন আশংকা উল্লেখ করেছে সেন্টার ফর এনভায়রনমেন্টাল অ্যান্ড জিওগ্রাফিক ইনফরমেশন সার্ভিস-সিইজিআইএস। সীমান্ত এলাকায় নদীভাঙন কেনো এতো বিধংসী হচ্ছে- তাও খুঁজে বের করেছেন গবেষকরা। তারা বলছেন- বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যে ৫৪টি আন্তর্জাতিক নদী প্রবাহিত হচ্ছে- তার প্রধান ব্রহ্মপুত্র, পদ্মা, যমুনা ও মেঘনা। এ চারটি নদীই সবচেয়ে বেশি ভাঙনের শিকার। নদীরপাড় গঠনের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যের কারণে সবচেয়ে বেশি ভাঙনপ্রবণ হলো যমুনা নদী। এরপর পদ্মা। অতিরিক্ত পলি পড়ে নদীর তলদেশ ভরাট, বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য নদীর গতিপথ পরিবর্তন এবং শাখা-উপশাখা দখল ও ভরাটও ডেকে আনছে নদী ভাঙনের এই মহাসর্বনাশ। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মানুষের লোভও এজন্য দায়ী বলে মনে করছেন গবেষকের অনেকে। প্রধান নদীগুলো ছাড়াও তিস্তা, ধরলা, আত্রাই, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, কুশিয়ারা, খোয়াই, সুরমা, মনু, জুরী, সাঙ্গু, ধলাই, গোমতী, মাতামুহুরি, মধুমতি, সন্ধ্যা, বিশখালী এসব নদীও ভাঙনপ্রবণ। এসব নদীর অন্তত দেড়শ’ স্পটে এখনো বড় ধরনের ভাঙন বিদ্যমান। আশঙ্কার বিষয় হচ্ছে, এমনিতেই বাংলাদেশে প্রতিবছরই আবাদী জমি কমছে। বাড়ছে মানুষ। নদীভাঙা উদ্বাস্তু মানুষের চাপ পড়ছে বড় শহরগুলোতে। পরিস্থিতি যেদিকে যাচ্ছে, তাতে ভবিষ্যৎ কি? যদিও চাইলেও পরিকল্পনা, মহাপরিকল্পনা করেও প্রকৃতির এতো বড় বিপর্যয় মানুষের পক্ষে ঠেকানো সম্ভব নয়। তারপরও এখন সর্বোচ্চ সতর্কতা নিতে হবে নদীভাঙন কমিয়ে আনতে। এজন্য শুধু জাতীয় নয়, নিতে হবে আন্তর্জাতিক সহায়তা, পরামর্শ ও পরিকল্পনা।

লেখক : নির্বাহী সভাপতি, সাউথ এশিয়ান ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত