ঢাকা ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

আ.লীগের নির্বাচনি ইশতেহার

হোক কল্যাণমুখী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন
আ.লীগের নির্বাচনি ইশতেহার

দেশে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের প্রাক্কালে রাজনৈতিকদলগুলো নির্বাচনি ইশতেহার ঘোষণা করে থাকে। ক্ষমতায় গেলে তাদের মেয়াদকালে দেশ ও জনগণের কল্যাণে তারা কি কি পদক্ষেপ নেবে, তার একটা বিস্তারিত ফিরিস্ত তুলে ধরা হয় এ ইশতেহারে। ফলে জনগণ বুঝতে পারে কোনো দলকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে দেশের মানুষ কীভাবে উপকৃত হবে। দলীয় ইশতেহার এক ধরনের অঙ্গীকারনামা। জনগণের সেবা করার জন্য এটি একটি দিকনির্দেশনাও বটে। আওয়ামী লীগ দেশের সবচেয়ে প্রাচীন একটি ঐতিহ্যবাহী দল। বাংলাদেশের সব স্বাধিকার আন্দোলনে দলটি নেতৃত্ব দিয়েছে। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় রয়েছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে জয়ী হয়ে আগামী মেয়াদে দায়িত্ব পালন করার অভিপ্রায়ে দলীয় ইশতেহার প্রকাশ করেছে ক্ষমতাসীন দলটি। আগামী দিনে দেশ কীভাবে পরিচালিত হবে, সেই দিক-নির্দেশনা প্রণয়নের জন্য তা প্রকাশ করে মতামত দেয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। এই দেশের মালিক জনগণ। আর জনগণের মতামত নিয়েই দল ও রাষ্ট্র পরিচালিত হবে, সেটাই গণতান্ত্রিক দেশের মানুষ আশা করে।

নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়নে নাগরিকদের মতামত চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ দেশের প্রতিটি জাতীয় নির্বাচনের আগে একটা নির্বাচনি ইশতেহার প্রণয়ন করে এবং ক্ষমতায় যাওয়ার পর সেই ইশতেহার অনুসারে দেশ পরিচালনা করে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর আগে তার প্রতিটি নির্বাচনি ইশতেহারে জাতিকে দেয়া প্রতিটি অঙ্গীকার শতভাগ প্রতিপালন করেছে। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগের প্রতিটি ইশতেহারেই সরকারের নির্দিষ্ট মেয়াদের বাইরে দীর্ঘমেয়াদি নানা উন্নয়নের পথনকশা ছিল। প্রতিটি ইশতেহারই অত্যন্ত সুচারুভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে গঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন উপকমিটির কার্যক্রম এরই মধ্যে শুরু হয়েছে। এই উপকমিটির আহ্বায়ক বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি। গণমানুষের দল আওয়ামী লীগের ইশতেহার শুধু একটি দলীয় ইশতেহার নয়। এটি প্রকৃত অর্থে গোটা জাতির ইশতেহার। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশের মানুষ আওয়ামী লীগের কাছ থেকে কী প্রত্যাশা করে সেটি গুরুত্বপূর্ণ। আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন খাত সম্পর্কে ইশতেহারে কী কী বিষয় অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারে এবং আবারো সরকার গঠন করলে আওয়ামী লীগ কী কী নতুন উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারে এ বিষয়ে আগামী ২০ অক্টোবর ২০২৩ তারিখের মধ্যে মতামত প্রেরণের জন্য দেশের বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ এবং কমিউনিটি লিডারগণকে অনুরোধ জানান হয়েছে। আওয়ামী লীগ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে দেশের মুক্তি সংগ্রাম ও স্বাধীনতাযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী একমাত্র রাজনৈতিক দল। বাংলাদেশের সব অর্জন আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই এসেছে। শুধু স্বাধীনতা অর্জন কিংবা রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠা নয়, রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব চিরস্থায়ী ও টেকসইকরণ এবং এর অর্থনীতির মজবুত ভিত্তিমূল জাতির পিতা তৈরি করে গেছেন। জাতির অর্থনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক নিরাপত্তা ও মুক্তি অর্জনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পথনকশা ও নির্দেশনা তিনি দিয়ে গেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা এই পথনকশা ও নির্দেশনা বাস্তবায়নে তার চার মেয়াদে দেশে যুগান্তকারী উন্নয়ন সাধন করেছেন। পিতার পর কন্যার হাত দিয়েই জাতির ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিচিত। ঢাকার ধানমন্ডিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এই মতামত পাঠানোর অনুরোধ জানান হয়েছে। মানুষ আশা করে, অতীতের মতো আওয়ামী লীগ আগামীতে এমন একটি ইশতেহার প্রণয়ন করবেন, যেখানে মানুষের কল্যাণ নিহিত থাকবে এবং সেটি হবে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত