ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিঠিপত্র

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোম্পানির গ্রামার বই নিষিদ্ধ করা হোক

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কোম্পানির গ্রামার বই নিষিদ্ধ করা হোক

দীর্ঘ ৩৫ বছর শিক্ষকতার জীবনে বাংলাদেশে যেসব গাইড, নোট, গ্রামার (ইংরেজি, বাংলা) বই এবং টেস্ট পেপারস বের হয়ে থাকে, তার খুব কম বই-ই আছে যেটা আমি পড়িনি। এই বইগুলোর মান একই। কিন্তু দুর্ভাগ্যের বিষয় প্রাইমারি স্কুল, মাদ্রাসা এবং হাই স্কুলগুলোতে ডোনেশনের মাধ্যমে এক একটা কোম্পানির বই পাঠ্য করে এবং তাদের দেওয়া সিলেবাসের উপরে শ্রেণি কক্ষে পাঠদান এবং পরীক্ষায় ওই সিলেবাস থেকে ওই বই দেখে হুবহু প্রশ্ন তৈরি করা হয়। ফলে চড়া মূল্য দিয়ে শিক্ষর্থীকে ওই বই কিনতে বাধ্য করা হয়। ছোট ছোট বাচ্চাদের ঘাড়ে তুলে দেয়া হয় মোটা মোটা বই, যা বিশ্বের আর কোনো দেশে দেখা যায় না। এতে করে বাচ্চাদের শারীরিক বর্ধনে বিরাট প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া তাদের ঘাড় ও মেরুদণ্ড অতিরিক্ত চাপে পড়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। শিক্ষার্থীদের দেখলে মনে হয়, এরা যেন মোটা মোটা বই টানা কুলি। আমি এসব বইয়ের বিরোধিতা কখনো করিনি। কিন্তু কোনো বই কিনতে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করার ঘোর বিরোধী। সরকারি আইন আছে নোট বই, গাইড বই শ্রেণিকক্ষে আনা নিষেধ। আইন থাকলেও তার কার্যকারিত খুব একটা চোখে পড়ে না। তাই এই আইন কঠোরভাবে প্রয়োগ করতে হবে। যেসব প্রতিষ্ঠান এসব বই কিনতে শিক্ষার্থীকে বাধ্য করবে বা উৎসাহ জোগাবে, সেই সব প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক এবং সহকারী প্রধান শিক্ষকের এমপিও বাতিল করা যেতে পারে। বিষয়টির প্রতি কর্তৃপক্ষের সদয় দৃষ্টি কামনা করছি।

মো. আতিকুর রহমান খান

নারায়ণগঞ্জ

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত