ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

কূটনৈতিক মিশনের পরিধি সম্প্রসারণ

বৃদ্ধি পাবে পারস্পারিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ
কূটনৈতিক মিশনের পরিধি সম্প্রসারণ

বিদেশে বাংলাদেশের আরো ১০টি কূটনৈতিক মিশন খোলা হচ্ছে। এসব মিশন চালু হলে বাংলাদেশের কূটনৈতিক কার্যক্রমে আরো গতি আসবে। এছাড়া গত ৫ বছরে বিদেশে বাংলাদেশের চারটি মিশন খোলা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বিদেশে বাংলাদেশের বর্তমানে ৮১টি মিশন চালু রয়েছে। এর পাশাপাশি নতুন করে আরো ১০টি দূতাবাস ও কনস্যুলেট অফিস স্থাপনের কার্যক্রম চলছে। নতুন যে ১০টি মিশন খোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, তার মধ্যে রয়েছে ইসলামী সহযোগিতা সংস্থা-ওআইসির জেদ্দায় (সৌদি আরব) স্থায়ী মিশন। এ মিশনের যাবতীয় অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রায় শেষ হয়েছে। এছাড়া কাবুল (আফগানিস্তান), ফ্রিটাউন (সিয়েরালিওন), ওয়েলিংটন (নিউজিল্যান্ড), বুয়েন্স আয়ার্স (আর্জেন্টিনা), সাও পাওলো (ব্রাজিল), জোহর বাহরু (মালয়েশিয়া), ডাবলিন (আয়ারল্যান্ড), ফ্রাংকফুর্ট (জার্মানি), গুয়াংজোতে (চীন) মিশন স্থাপনের প্রক্রিয়া চলছে। এর বাইরেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ দেশ ও শহরে বাংলাদেশের মিশন স্থাপনের উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। বিদেশে বাংলাদেশ মিশনে সাতটি চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণেরও উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এসব হলো- ব্রুনাই চ্যান্সারি কমপ্লেক্স, থিম্পু চ্যান্সারি কমপ্লেক্স, রিয়াদ বাসভবন, জেদ্দা চ্যান্সারি কমপ্লেক্স, বার্লিন চ্যান্সারি কমপ্লেক্স, ইসলামাবাদ চ্যান্সারি কমপ্লেক্স এবং ক্যানবেরা চ্যান্সারি কমপ্লেক্স।

দেশের বাইরে গত কয়েক বছরে চারটি মিশনের ভবন নির্মাণ ও ক্রয় করেছে সরকার। এর মধ্যে ২০১৯ সালে লস অ্যাঞ্জেলেস মিশনের বাসভবন এবং ২০২০ সালে লিসবন, দ্য হেগ ও ওয়াশিংটন ডিসির মিশনের ভবন নির্মাণ বা ক্রয় প্রক্রিয়া হয়। এছাড়া ২০২০ সালে আঙ্কারায় চ্যান্সারি কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হয়েছে। বিদেশে অবস্থিত ৮১টি মিশনের মাধ্যমে বাংলাদেশ বিশ্বের প্রায় সব দেশের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক বজায় রাখছে। শুরুর দিকে এসব দূতাবাস ভাড়া করা ভবনে কার্যক্রম চালাত। তবে ২০১৬- থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত তিন ধাপে ৩২টি মিশনের জন্য জমি থাকাসাপেক্ষে নিজস্ব ভবন নির্মাণ অথবা জমিসহ তৈরি ভবন ক্রয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নিদের্শনা দিয়েছিলেন। এদিকে গত চার বছরে বিদেশে বাংলাদেশের আরো চারটি মিশন উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মধ্যে ২০২০ সালে রোমানিয়ার বুখারেস্ট পুনরায় মিশন উদ্বোধন করা হয়। পরের বছর ২০২১ সালে ভারতের চেন্নাইয়ে, সুদানের খার্তুমে ও যুক্তরাষ্ট্রের মিয়ামিতে নতুন মিশন চালু করা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানিয়েছেন, কূটনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোতে পর্যায়ক্রমে দূতাবাস খুলতে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। বিদেশে মিশন বাড়াতে পারলে কূটনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য-বিনিয়োগ যেমন বাড়বে, আবার জনশক্তি পাঠানোও সহজ হবে। দূতাবাস বা কূটনৈতিক মিশন একটা দেশের পরিচিতি এবং সেই পরিচয় সূত্রে বিশ্বের মানুষ ওই দেশটি সম্পর্কে জানতে পারে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত