ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চিঠিপত্র

পশুপাখিদের অবমুক্ত করার আহ্বান

ইমন হাওলাদার
পশুপাখিদের অবমুক্ত করার আহ্বান

পৃথিবীর কোনো প্রাণী চায় না বন্দি জীবন। সবাই চায় প্রক্রিতির হাওয়া গায়ে লাগিয়ে বেড়ে উঠতে। পাখিরা তাদের ডানায় ভর করে ছুটে চলে দেশ থেকে অন্য দেশে অজানার উদ্দেশে। তারা তাদের প্রয়োজন মতো খাবার ভক্ষণ করে। তারা থাকার জন্য চমৎকার বাসা নির্মাণ করে। যা প্রকৃতির সৌন্দর্যকে বৃদ্ধি করে। আমাদের চারপাশ হয়ে ওঠে মনোমুগ্ধকর। সকাল হলেই শোনা যায় তাদের কলকাকলি। ভোরের পাখিগুলো গেয়ে যায় মধুর গান তাদের সুন্দর কণ্ঠে। তারা দৌড়ঝাঁপ করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে। তাদের বাসাগুলো দেখে মনে হয় কি নিপুণ হাতেই না বানানো হয়েছে। পশুগুলো কী সুন্দরভাবে আমাদের চারদিকে ছেয়ে আছে। ওরা যেন আমাদের সুখ-দুঃখ এর অংশীদার।

আমাদের জীবনের প্রতিটি কাজেই তাদের অংশগ্রহণ। শৈশব থেকে শুরু করে, বৃদ্ধ সময় পর্যন্ত যেন ওরাই আমাদের চলার সাথী। পশুপাখিগুলো বন জঙ্গলে কী সুন্দরভাবেই না নিজেদের জীবন পরিচালনা করে। অনেকই কুকুরের বাচ্চা ও বিড়ালের বাচ্চা লালান করে থাকে। পশুপাখির ছোটাছুটি পরিবেশকে সতেজ করে তুলে। এরা পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। কিন্তু আমরা অনেকেই পশুপাখিকে খাঁচায় আবদ্ধ করে পরিবেশের ভারসাম্য হুমকির মুখে ফেলছি। যা কখনো জ্ঞান বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষের দ্বারা কাম্য নয়। অনেকেই দেখা যায় শখের বসে খাঁচায় আবদ্ধ করে পশুপাখি লালন করে। যার ফলে পশুপাখি অনেক নতুন রোগে আক্রান্ত হয়।

তাদের মৌলিক অধিকার খর্ব করা হয়। অনেক পশুপাখি ধুঁকে ধুঁকে মারা যায় একটু মুক্তির আসায়। পশুপাখির দোকানে গেলে দেখা যায়, হায়! কী করুণ দশা তাদের। দেখলে চোখে পানি চলে আসে। মনে হয় সব পশুপাখিগুলো ছেড়ে দিয়ে বলি, এইতো ফিরিয়ে দিয়েছি, তোমাদের মৌলিক অধিকার। একটা উড়ন্ত পাখিকে খাঁচায় আটকে রেখে কীভাবে তার ভালো চাইতে পাড়েন। পাখি তো আকাশের নীলিমায় আর তার বানানো গাছের কোটরে বাসায় ভালো থাকবে। গাছে ফোঁটা ফুল কখনোই আপনি ছিঁড়ে এনে পানিতে ভিজিয়ে রেখে সতেজ রাখতে পাড়েন না। পশুকে বন থেকে ধরে এনে খাঁচায় আটকে রেখে সুস্বাদু খাবার দিলেই সে ভালো থাকবে না। তাই আমাদের উচিত নিজের বিনোদন, ইচ্ছা আর ভালো লাগার জন্য না। পশুপাখির ভালো থাকার স্বার্থে কাজ করা। প্রকৃত পশুপাখি প্রেমিক কখনোই তাদের খাঁচায় আবদ্ধ করতে পাড়ে না। তাদের অবমুক্ত করে দিতে হবে। তবেই পরিবেশ হবে আরো সুন্দর, আরো মনোমুগ্ধকর।

ইতিহাস বিভাগ (২০২০-২১)

শিক্ষার্থী, ঢাকা কলেজ

জেলা : মাদারীপুর

আলোকিত বাংলাদেশ
আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত