লেজার লাইট ব্যবহারে সতর্কতা জরুরি

সায়মুন রহমান

প্রকাশ : ০৩ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

রাত নামলে রাজধানীর মোড়গুলোতে শুরু হয় লেজার লাইটের ব্যবহার। সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে যা ব্যবহার করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন ট্রাফিক পুলিশ। কিন্তু এসব লাইট অত্যন্ত ক্ষতিকর। যার রশ্মি চোখে পড়লে রেটিনার ক্ষতিসহ অন্ধত্বের ঝুঁকি তৈরি করে। আর এ ধরনের লাইটের ব্যবহার দুর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়িয়ে দেয়। ক্ষতির কারণ বিবেচনায় দেশে লেজার লাইটের ব্যবহার একেবারেই নিষিদ্ধ। ফলে স্বাভাবিক কারণেই প্রশ্ন উঠছে, তাহলে এত আলোচনা-সমালোচনার পরও ক্ষতিকর ও নিষিদ্ধ এই লাইটের ব্যবহার চলছে কীভাবে; কিংবা এটা বন্ধে কি কোনো ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ জরুরি। বলা সংগত, কয়েক বছর ধরে ট্রাফিক পুলিশ এই লেজার লাইট ব্যবহার করছে। এই লাইট চোখে পড়লে তৎক্ষণাৎ চোখ ঝাপসা হয়ে যায়, যা স্বাভাবিক হতে বেশ সময় লাগে। অনেক সময় চোখ জ্বালাপোড়া করে। লেজার লাইটের কারণে অনেকে তাদের দৃষ্টিশক্তি পর্যন্ত হারিয়েছেন। উপরন্তু, লেজার রশ্মি সরাসরি মানুষের চোখে পড়লে এতে চোখের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। চিকিৎসাবিদের মতে, লেজার লাইটের আলো চোখের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এটি চোখের রেটিনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ ম্যাকুলাতে রক্তক্ষরণের সৃষ্টি করে। ফলে রোগী ওই চোখে আর দেখতে পান না। পরে অপারেশন ও দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়। সাম্প্রতিক সময়ে এর ব্যবহার অতিমাত্রায় বেড়ে গেছে। দেশে রেজার লাইটের ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও খোদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাই দিনের পর দিন ব্যবহার করছেন এই নিষিদ্ধ ঘোষিত বস্তুটি! যে লেজার লাইটকে দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়, সেটিকেই পুলিশ যানবাহন নিয়ন্ত্রণে উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করছে। উদ্ভাবনের পর থেকেই ক্ষতিকর এ লেজার লাইটের ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী সমালোচনার সূত্রপাত হয়। কেননা, এ লেজার লাইটের কারণে প্রতিনিয়ত বিশ্বে ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অন্যদিকে তীক্ষ্ণ আলোসম্পন্ন লেজার লাইটের কারণে বিঘ্ন ঘটছে বিমান চলাচলেও। এ নিয়ে পাইলটদেরও অভিযোগের শেষ নেই। শুরু থেকেই লেজার রশ্মির শিকার হচ্ছেন বিমানের পাইলটরা। দীর্ঘদিন ধরে ককপিট ফ্লাইট লকের মন্তব্যে এ রকম অনেক অভিযোগ জমা পড়েছে। বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষকে