ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বিশ্বজনীন মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার

রায়হান আহমেদ তপাদার
বিশ্বজনীন মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার

আজ থেকে শতবর্ষ আগে ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী লর্ড আর্থার বালফোর ১৯১৭ সালের ২ নভেম্বর এই ছোট্ট পত্রটি লিখেছিলেন জায়নবাদী নেতা ব্যারন রথচাইল্ডকে। এটি কালক্রমে বালফোর ঘোষণাপত্র নামে পরিচিতি পায়। এর মধ্য দিয়ে তিনি জায়নবাদ নামক উগ্র ইহুদিবাদ বা ইহুদি জাতীয়তাবাদকে স্বীকৃতি দেন, যা এক মহা বিপর্যয়ের দ্বার খুলে দেয়। বালফোর অবশ্য জেনে-বুঝেই কাজটি করেছিলেন। আর বছরটি ছিল ১৮৯৭ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করা বিশ্ব জায়নবাদী সংস্থার (ওয়ার্ল্ড জায়নিস্ট অর্গানাইজেশন) ২০তম বছর। ১৮৭৭-১৮৭৮ সালে অটোমান-রাশিয়ার যুদ্ধের সময় ‘টেম্পলারস’ নামের জার্মান ধর্মীয় ঔপনিবেশিকদের রক্ষায় ফিলিস্তিন উপকূলে জার্মান যুদ্ধজাহাজগুলো ভিড়েছিল। এই টেম্পলারদের বসতিকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য জার্মান কনসাল অটোমানদের ওপর ক্রমাগত চাপ দিয়েছিল। ওই সময় টেম্পলাররা ফিলিস্তিনকে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট খ্রিষ্টান রাষ্ট্র বানানোর আশা করেছিল। তারা আশা করেছিল যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর দখল করা ফিলিস্তিনকে জার্মানি তাদের উপহার হিসেবে দেবে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা না হওয়ায় তারা আশাহত হয়। এর তিন দশক পর ১৯০৮ সালে কনস্ট্যান্টিনোপলে তরুণ তুর্কিদের জাগরণের সময় ফিলিস্তিনি কৃষক সম্প্রদায় জার্মান উপনিবেশে হামলা চালায়। আবারো জার্মানি হাইফা এলাকায় যুদ্ধজাহাজ পাঠায় জার্মান উপনিবেশকে সহায়তা করার জন্য। এরপর সেখানে আরো কয়েক দফা হামলা চালায় ফিলিস্তিনিরা। ১৯৭৩ সালে মিসর ও সিরিয়ার সঙ্গে ইসরাইলের সংঘটিত যুদ্ধের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে কয়েক সপ্তাহ আগে ইসরাইল সেই যুদ্ধসংক্রান্ত বেশ কিছু গোপন নথি প্রকাশ করেছে। ইসরাইলের দখল করা গোলান উপত্যকা ও সিনাই উপদ্বীপ স্বাধীন করার জন্য সে সময় মিসর ও সিরিয়া যুদ্ধে নেমেছিল। সেই যুদ্ধসংক্রান্ত নথিতে ইসরাইলকে সে সময় পশ্চিমা দেশগুলোর সরাসরি সহায়তা দেওয়ার তথ্য উঠে এসেছে। সে সময় ইসরাইলকে সবচেয়ে বেশি সামরিক সহায়তা দিয়েছিল আমেরিকা। সম্প্রতি জেরুজালেম পোস্টকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তৎকালীন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেনরি কিসিঞ্জার বলেছেন, ‘আমরা শুরু থেকেই আরবদের জয় ঠেকাতে বদ্ধপরিকর ছিলাম’। কিসিঞ্জারের মতোই বর্তমান মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বর্তমানে চলমান যুদ্ধের প্রথম দিনেই বলেছেন, ‘ইসরাইলের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা যা কিছু দরকার, তার সবই করব।’ পশ্চিমা বিশ্ব বেমালুম এটা ভুলে যায় যে ইহুদি গণহত্যার দায় ইউরোপের, অথচ ক্ষতিপূরণের জন্য মূল্য গুনতে হচ্ছে আরবদের, বিশেষত ফিলিস্তিনিদের। ১৯৪৭ সালের ২৯ নভেম্বর সদ্য গঠিত জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে ইহুদি ও আরবদের মধ্যে দুই ভাগ করার প্রস্তাব অনুমোদনের মধ্য দিয়ে কফিনের শেষ পেরেকটি বুঝি পুঁতে দেওয়া হয়। এদিকে জায়নবাদীরা নিজ ভূখণ্ড থেকে ফিলিস্তিনিদের তাড়িয়ে দেওয়ার ছক কেটে ফেলে। প্ল্যান দালেত বা প্ল্যান ডি নামে এই পরিকল্পনার নেতৃত্বে ছিলেন ইসরাইলের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেন গুরিয়ান। পোল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী বেন গুরিয়ান ১৯০৬ সালে অটোমান ফিলিস্তিনে অভিবাসী হয়ে আসেন এবং কট্টর জায়নবাদী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন। প্ল্যান ডি ছিল হত্যা-ধর্ষণ-লুটতরাজ-সন্ত্রাসের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি আরবদের নিজ ভূমি থেকে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়ার মহাপরিকল্পনা। উদার, গণতান্ত্রিক পশ্চিমা বিশ্বের একেবারে গোড়ার বিশ্বাস হলো মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও মানবাধিকার নিয়ে কথা বলার অধিকার। কিন্তু হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের যারা ফিলিস্তিনপন্থি দৃষ্টিভঙ্গী লালন করেন, তাদের চাকরির ক্ষেত্রে কালো তালিকায় রাখা হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে। ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করেছেন। ফ্রান্সে বসবাসকারী ভিনদেশিদের মধ্যে কেউ যদি ‘সেমেটিক-বিরোধী কর্মকাণ্ড’ করে, তাকে দেশ থেকে বের করে দেওয়ার আদেশ দিয়েছেন তিনি। একই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে জার্মানিতে। পশ্চিমা বিশ্বের অন্যখানেও একই অবস্থা। ব্রিটেনের উন্মাদ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুয়েলা ব্রেভারম্যান প্রকাশ্যেই বর্ণবাদী কথাবার্তা বলে সমালোচিত হন। তিনি ব্রিটেনের জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তাকে বলেছেন, কেউ যদি ফিলিস্তিনি পতাকা ওড়ায় অথবা আরবপন্থি স্লোগান দেয়, তাহলে সেটা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে। হামাস ইসরাইলি শিশুদের, বন্দিদের ও বেসামরিক লোকদের হত্যা করেছে। এটা ন্যক্কারজনক ও ভুল পদক্ষেপ। এ হামলা ফিলিস্তিন ইস্যুকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এ ঘটনার সূত্র ধরে পুরো ফিলিস্তিনি জাতির ওপর বিভীষিকা চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। পশ্চিমা রাজনীতিবিদ ও গণমাধ্যমে উৎকটভাবে ইসরাইলপন্থি ভাষা ব্যবহার করে চলেছে কিন্তু গাজায় যে গণহত্যা চলছে, তার জন্য সমান মাত্রার নৈতিক অবস্থান দেখা যাচ্ছে না। পশ্চিমা বিশ্বে ইসরাইলের প্রতি সমর্থন মহৎ ও পবিত্র বিষয় হিসেবে বিবেচনা করা হয়। অন্যদিকে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমর্থন সন্দেহজনক, বিপজ্জনক ও সম্ভাব্য অপরাধ বলে মনে করা হয়। দুই পক্ষের একটি রক্তাক্ত নৃশংসতার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে। একেকজন ইসরাইলি হত্যার ঘটনার পর অনিবার্যভাবেই আগের চেয়ে ধ্বংসাত্মক সামরিক অভিযানের মাধ্যমে নির্বিচার পুরো জনগোষ্ঠীর ওপর প্রতিশোধ নেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপে জনতুষ্টিবাদি অতিডানপন্থি রাজনীতিবিদ এবং গণমাধ্যম বিদ্বেষপ্রসূতভাবে ও অনৈতিকভাবে তাদের উদারনীতিবাদণ্ডবিরোধী সাংস্কৃতিক যুদ্ধে ফিলিস্তিন ইস্যুকে ব্যবহার করে। দুই পক্ষের মধ্যে তারা উত্তেজনা ছড়ায়। ইহুদি ও মুসলমান-দুই সম্প্রদায়ের ওপর হামলা চালাতে তারা ঘৃণ্যভাবে প্ররোচনা দেয়। ফিলিস্তিন ও ইসরাইল ইস্যুতে বিভাজন বেড়েই চলেছে। নিউইয়র্ক, প্যারিস ও লন্ডনের মতো শহরগুলোতে ফিলিস্তিনপন্থি ও ইসাইলপন্থিদের বড় বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি হয়েছে। এই ডামাডোলের মধ্যেই মধ্যপন্থি ইহুদিরা সবচেয়ে স্পষ্ট ভাষায় গাজায় বোমা হামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়েছেন। তাদের সমালোচনা হলো, চোখ ধাঁধানো নিরাপত্তাব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও নেতানিয়াহু ও তার অতিডানপন্থি মন্ত্রিসভা হামলা ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। এ পর্যায়ে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা চরম পর্যায়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য তারা নেতানিয়াহু সরকারকে দোষারোপ করেছেন। প্রকৃত সেমেটিকবাদ-বিরোধিতাকে অবশ্যই আমাদের নিন্দা জানাতে হবে। আরব ও ইহুদি উভয়েই সেমেটিক জাতিগোষ্ঠী এবং তারা ঘনিষ্ঠ জ্ঞাতি। তাদের ভাষাও ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত। কিন্তু অন্যায়ভাবে ফিলিস্তিনিদের প্রতি সমব্যথীদের সেমেটিকবিরোধী বলে চালিয়ে দেওয়া হয়। আর সেটা কখন করা হচ্ছে? বিশ্বজনীন মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের প্রশ্নে ফিলিস্তিনিদের দুর্দশাকে সমর্থন দেওয়া যখন অনিবার্য, সে সময়েই এটা করা হচ্ছে। বিশ্বজুড়ে যারা (তাদের মধ্যে মধ্যপন্থি ইহুদিরা রয়েছেন, যারা মনে করেন ফিলিস্তিন ও ইসরাইল দুটি সার্বভৌম রাষ্ট্রের সহাবস্থানই সমাধান) ফিলিস্তিনের মতো মানবিক সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের কথা বলেন, তাদের অবশ্যই সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। ৭ অক্টোবর কী ঘটেছে, তার সত্যিকারের সাক্ষ্য-প্রমাণ ছাড়াই গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুজব, অপতথ্য ও ভুয়া ভিডিওতে সয়লাব হয়ে যায়। পদ্ধতিগতভাবে ফিলিস্তিনিদের এমনভাবে পশু ও উপমানব বলে চিত্রিত করা হয়েছে, যেন তাদের নির্মূল করা বৈধ। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম মিথ্যা দাবির বার্তা ছড়িয়ে পড়ে যে ইসরাইলি আরব মিথ্যাবাদীরা গাজা সীমান্তে দেওয়া ইসরাইলের কাঁটাতারের বেড়া খুলে ফেলতে সহযোগিতা করেছে। এর মধ্য দিয়ে আরববিরোধী সহিংসতার ভবিষ্যৎ মঞ্চ প্রস্তুত করা হচ্ছে।

সাম্প্রতিককালে পশ্চিম তীরের ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বসতি স্থাপনকারীদের প্রাণঘাতী প্রতিশোধ নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। একটি ভাইরাল হয়ে যাওয়া প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, হামাস শিশুদের মাথা বিচ্ছিন্ন করে হত্যা করেছে। এই প্রতিবেদনটি গণমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে এবং প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও এই নৃশংসতা নিয়ে কথা বলেন। ইসরাইলের সরকার ও হোয়াইট হাউজ থেকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি বলার আগপর্যন্ত সেটার প্রচার চলতেই থাকে। সিএনএন এই অনাবশ্যক ভুলের জন্য ক্ষমা চায়। ইতিহাসের সব অধিকার আদায়ের আন্দোলনের ক্ষেত্রেই দেখা যায়, মধ্যপন্থিদের সঙ্গে গোঁড়া সশস্ত্র গোষ্ঠী পাশাপাশি অবস্থান করে। বর্ণবাদবিরোধী আন্দোলন, যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক আন্দোলন, আইরিশ প্রজাতন্ত্র আন্দোলন- সব ক্ষেত্রেই সেটা দেখা গেছে। এমনকি জায়োনিস্ট আন্দোলনের ক্ষেত্রেও সেটা সত্যি। আজকের ইসরাইলি অনেক নেতার উত্থান হয়েছে এ ধরনের সশস্ত্র তৎপরতার মধ্য দিয়ে। ১৯৪৮ সালে যেভাবে জার্মানি, ফ্রান্স, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্বজুড়ে ফিলিস্তিন বিরোধী মিছিল সমাবেশ ও প্রচার শুরু হয়েছিল, এবারো ইসরাইলি দখলদার বসতি স্থাপনকারীদের সমর্থনে তা শুরু হয়েছে। জার্মানরা ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ববাদী ইহুদি নেতাদের উদ্দেশে স্লোগান দিচ্ছেন, বার্লিন তোমাদের সঙ্গে আছে। ফ্রান্স ও যুক্তরাজ্যেও সেই স্লোগানের প্রতিধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে যে একজোট হয়েছে, সেটি মোটেও কাকতালীয় বিষয় নয়। নামিবিয়া, তাঙ্গানিকা, রোডেশিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, আলজেরিয়া, তিউনিসিয়া, কেনিয়াসহ যত জায়গায় শ্বেতাঙ্গরা উপনিবেশ গড়েছিল, সবখানে তারা একজোট হয়েছিল। এর কারণ হলো তারা প্রচণ্ড রকম বর্ণবাদী। ইসরাইল যেহেতু একটি বর্ণবাদী রাষ্ট্র, সেহেতু তারা তাদের পাশে থাকবেই। ইসরাইলের শ্রেষ্ঠত্ববাদী ও বর্ণবাদী দৃষ্টিভঙ্গী সর্বশেষ প্রকাশ পেয়েছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইওয়ভ গ্যালান্টের কথায়। তিনি এক ভাষণে ফিলিস্তিনিদের মানবরূপী শয়তন বলে উল্লেখ করেছেন। যেহেতু এশিয়ায় বর্ণবাদী ও শ্রেষ্ঠত্ববাদীদের সর্বশেষ উপনিবেশ রাষ্ট্র ইসরাইল, সেহেতু সেই উপনিবেশকে পশ্চিমা শ্রেষ্ঠত্ববাদীরা টিকিয়ে রাখতে চাইবেই। বিশ্ব মোড়ল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যক্ষ মদদে ও পশ্চিমা বিশ্বের সমর্থন নিয়ে বৈশ্বিক নিয়মনীতি অবজ্ঞা করে লাখ লাখ ফিলিস্তিনিকে উদ্বাস্তু বানিয়ে এবং নিজ ভূমে তাদের অবরুদ্ধ করে ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সংজ্ঞা পূরণ না করেও (সুনির্দিষ্ট ভূ-সীমা) ইসরাইল প্রচণ্ড প্রতাপের সঙ্গে টিকে আছে। প্রযুক্তি ও বিজ্ঞানে চরম উৎকর্ষ ইসরাইলের বিকশিত হওয়ার প্রক্রিয়া জোরদার করেছে। সামরিক শক্তিতে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ এই দেশটি পারমাণবিক অস্ত্রসহ বিশাল অত্যাধুনিক অস্ত্রভাণ্ডার গড়ে তুলেছে। তবে এত কিছুর পরও জায়নবাদী রাষ্ট্র ইসরাইল শান্তিতে নেই। নিঃশর্তে নিজ ভূমে ফিলিস্তিনিদের ফিরতে না দিলে, দখলদারির অবসান ঘটিয়ে ফিলিস্তিনিদের জমি-পানি-সম্পদ ফিরিয়ে না দিলে এবং জাতিগত নিশ্চি?হ্নকরণের জন্য ক্ষমা না চাইলে আর যা-ই হোক, শান্তি আসবে না।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত