বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমেই দীর্ঘ হচ্ছে

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশ : ১৭ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য বাড়ছে। বিশ্বের কিছু সংখ্যক মানুষের হাতে বেশির ভাগ সম্পদ কুক্ষিগত করে রেখেছে। ফলে শোষণ বাড়ছে। বিশ্বের শীর্ষ ধনী ২ হাজার ১৫৩ জন লোক দরিদ্রতম ৪৬০ কোটি লোকের মোট অর্থের চেয়েও বেশি অর্থ ২০১৯ সালে নিয়ন্ত্রণ করেছে বলে জানিয়েছে অক্সফাম। অথচ মজুরিহীন ও কম মজুরি পাওয়া নারী ও মেয়েদের শ্রম প্রতি বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রযুক্তি শিল্পগুলোর চেয়ে তিনগুণ বেশি মূল্য সংযোজন করছে বলে আন্তর্জাতিক ত্রাণ সংস্থাটি জানিয়েছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে রাজনৈতিক ও ব্যবসায়িক নেতাদের বার্ষিক বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরাম সম্মেলনের আগে এক প্রতিবেদনে অক্সফাম এমনটি জানিয়েছে। আজ যে সাধারণ মানুষ, চাষি-মজুর খুব কঠিন দুঃসহ জীবনযাপন করছে। একুশ শতকেও এই ভয়াবহ চিত্র চোখে পড়ে। প্রকৌশল ও প্রযুক্তির অস্বাভাবিক উন্নতি হয়েছে। পাইলট ছাড়াই বিমান বোমা ফাটাচ্ছে। হাজার হাজার শিশু মারা যাচ্ছে। নরনারী ঘর ছেড়ে পালাচ্ছে। কয়েকটি দেশে প্রাচুর্য উপচে পড়ছে। অথচ কয়েকশ’ কোটি মানুষ না খেয়ে মরছে, উপোস করছে। জাতিসংঘের সাহায্যের ওপর নির্ভর করছে। এইতো কয়েক সপ্তাহ আগেও ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি সবখানে শিরোনামগুলোয় প্রথমে স্থান পেত, কিন্তু ইসরাইল ও হামাসের মধ্যকার সাম্প্রতিক সহিংসতা সবকিছুকে ছাপিয়ে এখন একমাত্র নজরবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আরো পরিষ্কার করে বলা যায়, আপৎকালীন সাড়াদানের ক্ষেত্রে সর্বশেষ সাম্প্রতিক সংকটের দিকে নজর দেয়াই মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি। তবে সমাধানের জন্য মৌলিক কারণগুলো অনুধাবন করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ যেন যেকোনো সংকট মোকাবিলায় আমাদের অপেক্ষাকৃত কম জটিলতার সম্মুখীন হতে হয়।

জনতুষ্টিবাদকে ব্যবহার করে সমর্থকদের মধ্যে মেরুকরণ ও বিশ্বজুড়ে গভীরতর সামাজিক বিভাজন-এ সবের ফলে বিশ্বব্যাপী রাজনৈতিক পরিস্থিতি ক্রমে অস্থিতিশীল হয়ে উঠছে। এ পরিবর্তনের কারণ অনুসন্ধানে নিঃসন্দেহে কিছু সময়ের প্রয়োজন। প্রযুক্তির অগ্রগতি, ডিজিটালাইজেশন, অনিয়ন্ত্রিত বিশ্বায়ন, অসমতার ক্রমবর্ধিষ্ণুতা, বাংলাদেশসহ বিশ্ব রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন ঘটিয়েছে যা একই সঙ্গে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবেশকে অস্থির করে তুলেছে। অর্থনৈতিক বৈষম্য বেড়েছে কিনা এ নিয়ে কয়েক দশক ধরে বিতর্ক চলছে। কমবেশি সবারই জানা, ১৮২০ থেকে ১৯১০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক বৈষম্য ক্রমাগত বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তখন থেকেই এ সূচক ওঠানামা করছে। যেকোনো গবেষণার প্রাক্কলন গবেষকদের ব্যবহৃত নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং মেট্রিক্সের ওপর নির্ভর করে। গবেষণার তথ্য ও উপাত্ত থেকে এটা স্পষ্টত প্রতীয়মান যে অর্থনৈতিক বৈষম্য অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধির ৩৮ শতাংশের মধ্যে সর্বোচ্চ ধনীরা লাভবান হয়েছে ১ শতাংশ, যেখানে তুলনামূলকভাবে দরিদ্রদের অর্জন ৫০ শতাংশে মাত্র ২ শতাংশ। এছাড়া মোট অসমতা যাই হোক, সম্পদের পুঞ্জীভূতকরণ যে ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে তা অনস্বীকার্য। ১৯৯৫ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে বৈশ্বিক সম্পদ বৃদ্ধির হার বার্ষিক ৩ দশমিক ২ শতাংশ হারে বেড়েছে। ভবিষ্যৎ প্রজন্ম যদি আজকের বিশ্বের দিকে ফিরে তাকায় তবে আমাদের সামাজিক অসমতা ও অবিচার সহ্যের সর্বোচ্চ সীমা দেখে সম্ভবত তারা হতবাক হবে। ঠিক যেমন আমরা আমাদের পূর্বসূরিদের স্বীকৃত দাসপ্রথা ও সামন্তপ্রথার মতো সামাজিক আইনগুলো দেখে রীতিমতো আতঙ্কিত হয়েছি। মানুষের অন্তর্গত অনৈতিকতার সীমা ছাড়িয়ে, অর্থনৈতিক বৈষম্য বর্তমান সময়ে রাজনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যমে সর্বোচ্চ প্রভাবিত এবং অনেকাংশে এ পুরো বিষয়টি উপেক্ষিত। ডিজিটাল যোগাযোগ এবং বিশ্বায়িত বাণিজ্য ব্যবস্থার এ সময়ে সম্পদের অতিমাত্রায় পুঞ্জীভূতকরণ মোটাদাগে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে দিচ্ছে। অর্থ ও অর্থ সরবরাহের বিশ্বায়নের ফলে ধনী এবং শক্তিশালী দেশগুলো এখন তাদের ভৌগোলিক সীমানা ছাড়িয়ে অন্যান্য দেশের নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নে প্রভাব রাখতে সক্ষম। যেমন: বুরকিনা ফাসোর নাগরিকরা মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোট দিতে পারেন না। বিপরীতে, তাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার প্রশ্নে মার্কিন প্রেসিডেন্টদের নেয়া সিদ্ধান্ত তাদের জীবনকে যতটা প্রভাবিত করে, তুলনামূলকভাবে তাদের নিজের দেশের নেতাদের গৃহীত সিদ্ধান্তও ততটা প্রভাবিত করতে পারে না। আরো সহজ করে বলা যায়, এমন একটি ব্যবস্থা কল্পনা করা যাক, যেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে শুধু ডিসট্রিক্ট অব কলাম্বিয়া প্রদেশের নাগরিকরাই শুধু ভোট প্রদান করতে পারবে। এ ধরনের ব্যবস্থাকে গণতন্ত্র বলা যেতে পারে কি? এ থেকে এটা প্রতীয়মান হয় যে বিশ্বায়নের ফলে বিশ্বের গণতন্ত্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তবে উন্নয়নশীল দেশগুলো মার্কিন আধিপত্য মোকাবিলা করতে পারে না। কেননা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অন্য দেশ বা দেশের নাগরিকদের অংশ নেয়ার অনুমতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দেয় না। তাছাড়া সম্পদের প্রাচুর্য অধিকাংশ ক্ষেত্রেই রাজনৈতিক ক্ষমতার অন্য রূপ হিসেবে প্রকাশ পায়। গুটিকয়েক মানুষের হাতে সম্পদ পুঞ্জীভূত হওয়া গণতন্ত্রের জন্য মারাত্মক। ব্যাপক প্রযুক্তির যুগে এটা বিশেষভাবেই স্পষ্ট যে সমালোচনামূলক মিডিয়া ক্ষেত্রগুলোর স্বত্ব দখল করে বা অনুসন্ধানের ফলাফলগুলো পরিচালনা করে কোটিপতিরা এখন সহজেই জনমনে বেশ অনেকটা প্রভাব বিস্তার করতে পারে। আশা করা যায়, যে উৎপাদনশীল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়নের ফলে প্রযুক্তি খাতে এ ধরনের প্রতিযোগিতার ক্ষেত্র সমতাপূর্ণ হবে যা ভবিষ্যৎ বৈষম্য কমিয়ে আনবে। ত্রুটিপূর্ণ হস্তক্ষেপ নীতির ফলে সম্ভাব্য ক্ষতিগুলো একজন অর্থনীতিবিদের পক্ষে সহজেই চিহ্নিত করা সম্ভব।

অসমতা হ্রাস করার উদ্দেশ্যে অর্থনীতির ইতিহাস কল্যাণজনক ও অর্থপূর্ণ উদাহরণে পরিপূর্ণ হলেও এর নীতি ও পরিকল্পনাগুলো যে খারাপভাবে প্রণোদিত নয় তা বলা যায় না। বরং এসব ত্রুটিপূর্ণ হস্তক্ষেপ নীতি অসাবধানতাবশত ডানপন্থিদের বিপক্ষে ধারণাকে আরো উসকে দেয় যে সরকারি হস্তক্ষেপ সব সময়ই ক্ষতিকর, ফলস্বরূপ আরো সর্বনাশ ডেকে আনে। এরপরও সুচিন্তিত নীতি ও পরিকল্পনার সঙ্গে যদি নৈতিকতা ও সদিচ্ছা যোগ করা যায়, তবে এসব নীতিমালা থেকে সর্বোচ্চ ফল পাওয়া যেতে পারে। বিগ ফার্মা ও বিগ টেকের মতো বৃহৎ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে বৃহদাকার লভ্যাংশ অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। স্বত্ব বা পেটেন্ট দেয়া না হলে তা যেমন উদ্ভাবনের উদ্দীপনা কমিয়ে দেয়, ঠিক তেমনি অতিরিক্ত মুনাফা অর্জনের কাম্যতা উৎপাদনকে কমিয়ে দিতে পারে। উন্নত প্রযুক্তির সহায়তায় বাস্তবিকভাবেই এমন কলাকৌশল বা রূপরেখা তৈরি করা সম্ভব, যা দিয়ে উৎপাদনের কার্যকারিতা না কমিয়ে অতিরিক্ত মুনাফার পরিমাণ নির্ধারণ সীমিত করা যাবে। অবশ্য এটাও স্বীকার করে নিতে হবে যে বৈষম্যেরও উপযোগিতা রয়েছে যার ফলে বৈষম্য থাকবেই। তবে ধনিক শ্রেণীসহ সবার কাছে এটাই কাম্য যে একটি নির্দিষ্ট প্রান্তিকের সীমা ছাড়িয়ে এ বৈষম্য যেন পরম ধ্রুবক না হয়ে আপেক্ষিক হয়। আমরা ধনিক শ্রেণির প্রণোদনা না কমিয়ে তাদের ওপর এমনভাবে কর আরোপ করতে পারি যেন তারা তাদের আপেক্ষিক অবস্থান বজায় রাখতে পারে। অর্থাৎ ইলোন মাস্ক ও জেফ বেজোসের মতো ধনীরা যেন বুঝতে পারেন যে কর আরোপ বা কর প্রদান করার বিষয়টি বিশ্বের ধনীদের তালিকায় তাদের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আনবে না। ফলস্বরূপ, তারা একই সঙ্গে যেমন তাদের উপার্জন বাড়াতে অনুপ্রাণিত হবে, অন্যদিকে আর সবাই তাদের সম্যক প্রচেষ্টার সর্বোচ্চ সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

সর্বোপরি বলা যায়, বৃহৎ আকারে কাম্য সমতা অর্জনে প্রণোদনা হ্রাস পায়, নব্য উদারবাদীদের এ ধারণা ভুল প্রমাণ করা সম্পূর্ণরূপে সম্ভব। বৈষম্য কমিয়ে আনা গেলে এবং গুটিকয়েক অতিরিক্ত ধনীর একতরফা প্রভাব রোধ করা গেলে একটি কল্যাণকর সমাজ প্রতিষ্ঠা করা অসম্ভব কিছু নয়। ২০২২ সালে, বিশ্বব্যাংক ঘোষণা করেছিল যে আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্যের অবসানের লক্ষ্য পূরণ করতে ব্যর্থ হব, এবং ‘চরম দারিদ্র্য হ্রাসে বিশ্বব্যাপী অগ্রগতি থমকে গেছে’ এর মধ্যে এটি সম্ভবত সবচেয়ে বড় বৈষম্য বৃদ্ধি এবং এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দারিদ্র্য মোকাবিলায় সবচেয়ে বড় ধাক্কা।

বিভিন্ন সংস্থার তথ্য মতে, ২০২৩ সালে বিশ্ব অর্থনীতির এক-তৃতীয়াংশ মন্দার মধ্যে পড়বে এই আবাস দিয়েছিল। আগেকার সংকটগুলো থেকে শিক্ষা নেওয়া এবং অসমতা এবং বর্জনের সঙ্গে তাদের মিথষ্ক্রিয়া ভবিষ্যতের জন্য আরো ভালোভাবে প্রস্তুত হওয়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। যদিও মানুষের দ্বারা সৃষ্ট এবং প্রকৃতির দ্বারা উৎপন্ন বিপর্যয়গুলো বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অনেকের জন্য ক্রমবর্ধমানভাবে একটি দৈনন্দিন বাস্তবতায় পরিণত হয়েছে। বৈশ্বিক, আঞ্চলিক এবং জাতীয় পর্যায়ে নীতিগুলো এই নতুন বাস্তবতার সঙ্গে এখনও খাপ খায়নি। এই পরিপ্রেক্ষিতে এটা প্রায় নিশ্চিত যে ২০৩০ সালের মধ্যে চরম দারিদ্র্য বিমোচনের লক্ষ্য অর্জিত হবে না। কমপক্ষে ১.৭ বিলিয়ন শ্রমিক এমন অনেক দেশে বাস করে যেখানে মুদ্রাস্ফীতি মজুরিকে ছাড়িয়ে যাচ্ছে। লাখ লাখ মানুষ খাদ্যের জন্য, তাদের বিল পরিশোধ করার জন্য বা তাদের ঘর গরম করার জন্য লড়াই করছে এবং আরো কয়েক মিলিয়ন মানুষ ক্ষুধার সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ুর উষ্ণতা অর্থনীতিকে পঙ্গু করে দিচ্ছে এবং খরা, ঘূর্ণিঝড় ও বন্যার কারণে মানুষ তাদের বাড়িঘর ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে।

এ ছাড়া বিশ্বের বহু-মিলিয়নিয়ার এবং বিলিয়নিয়ারদের ওপর ৫ শতাংশ বার্ষিক সম্পদ কর থেকে বছরে ১.৭ ট্রিলিয়ন ডলার আসতে পারে। এটা দিয়ে নিম্ন এবং নিম্নমধ্যম আয়ের দেশে ২ বিলিয়ন মানুষকে দারিদ্র্য থেকে বের করে আনা, বিদ্যমান মানবিক আবেদনের ঘাটতিগুলোকে সম্পূর্ণরূপে অর্থায়ন করা, ক্ষুধা দূর করার জন্য ১০ বছরের পরিকল্পনা প্রদান করা, জলবায়ুর প্রভাব দ্বারা বিধ্বস্ত দরিদ্র দেশগুলোকে সমর্থন করা এবং বসবাসকারী প্রত্যেকের জন্য সর্বজনীন স্বাস্থ্যসেবা এবং সামাজিক সুরক্ষা প্রদানের জন্য যথেষ্ট। সমাজের মানুষের মধ্যে সমৃদ্ধির চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে হবে। ইতিবাচক উদ্যোগ, আয়োজন, সম্ভাবনা ও সাফল্যের দৃষ্টান্ত ব্যাপকভাবে প্রচার করতে হবে। এতে মানুষের মনে আশার সঞ্চার হবে। দেশের জনসংখ্যা সমস্যা নয়, বরং দক্ষ জনশক্তিই বিপুল সম্ভাবনার ক্ষেত্র। ১৭ কোটি মানুষের মেধা আর ৩২ কোটি দক্ষ কর্মীর হাতের পরশে যেকোনো ইতিবাচক পরিবর্তন সম্ভব। এ জন্য রাষ্ট্রকে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিতে হবে, কমাতে হবে অর্থনৈতিক বৈষম্য। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যগুলো পূরণে আমাদের তাই সমাজ, সংস্কৃতি, রাজনীতি ও অর্থনীতিকে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও সমন্বয় করার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে। এসব করা সম্ভব হলে অর্থনৈতিক বৈষম্য হয়তো বা কিছুটা কমে আসবে।