ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ বাস্তবায়ন চায় উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা

শফিকুল ইসলাম খোকন
১২ নভেম্বর ‘উপকূল দিবস’ বাস্তবায়ন চায় উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দারা

আজকের বর্তমান, আগামীতে ইতিহাস; ইতিহাস যুগযুগ ধরে তথা অনন্তকাল ধরে মানুষ লালন করে থাকেন। কখনো কখনো কিছু স্মরণীয় দিন মানুষ মনে প্রাণে আগলে রাখে। আবার কখনো কখনো ইতিহাস দিবস হিসেবে পালন করে স্মরণে রাখে। কিছু কিছু দিবস সরকারিভাবে এবং বেসরকারি তথা বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার উদ্যোগে দিবসগুলো পালন হয়ে থাকে। আমরা জানি, মানুষ ইতিহাস থেকেই শিক্ষা নেয়, অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে। আর দিবস থেকে মানুষ অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং প্রতি বছর দিবসের মাধ্যমে আগের ইতিহাসকে স্মরণ করে। আমার এও জানি অনেক সময় না চাইতে পেয়ে যায়, আবার চাইলেও পাওয়া যায় না। তেমনি একটি চাওয়া হলো ‘উপকূল দিবস’। একটি দিবসের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করেও আজও স্মীকৃতি পাওয়া যায়নি। ১২ নভেম্বরের ইতিহাস আজও উপকূলবাসী ভুলতে পারেনি। প্রতিনিয়তই উপকূলবাসী আতঙ্কে থাকে, প্রতি দুর্যোগই উপকূলবাসীর স্মরণীয় দিন, তবে ১২ নভেম্বর উপকূলবাসীর সবচেয়ে স্মরণীয় দিন। উপকূলের প্রায় ৫ কোটি মানুষ প্রতিনিয়ত বহুমুখী দুর্যোগের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু স্বাভাবিক সময়েও তাদের জীবন যে কতটা অস্বাভাবিক, সে বিষয়ে খুব একটা খোঁজ রাখা হয় না। উপকূলের প্রান্তিকের তথ্য যেমন কেন্দ্রে পৌঁছায় না, ঠিক তেমনি কেন্দ্রের মাঠে পৌঁছাচ্ছে না বহুমুখী কারণে। উপকূলের ভয়াবহতা উপকূলবাসীরাই শুধু বুঝবে। ১২ নভেম্বরের ঘটনা উপকূলবাসী আজও ভুলেনি। এটাই উপকূলবাসীর কাছে সবচেয়ে বেশি স্মরণীয় দিন। কারণ, ’৭০ সালের এই দিনে উপকূলের ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতবিক্ষত হয়েছিল গোটা উপকূল। প্রাকৃতিক দুর্যোগও এ অঞ্চলের উপর দিয়ে বেশি বয়ে যায়। প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড় সিডর, আইলাসহ নানা দুর্যোগের আঘাতে বিধ্বস্ত হয়েছে বেড়িবাঁধ। তার পরে নার্গিস, রেশমা, গিরি, রোয়ানুতো রয়েছেই। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর দক্ষিণাঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়ায় এ যাবৎকালে সবচেয়ে বেশি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় সিডর এই জনপদের বিশাল বেড়িবাঁধের প্রায় আড়াই হাজার কিলোমিটার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর মধ্যে ব্যাপক ক্ষতি হয় ৩৬৬ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের। অল্প ক্ষতি হয় ২ হাজার ১৪ কিলোমিটার। ২০০৯ সালে উপকূলে আবারও আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় আইলা। বড় ধরনের দুটি ঘূর্ণিঝড়ের এসব এলাকার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ দ্রুত মেরামত না হওয়ায় বিস্তীর্ণ এলাকা এখন প্লাবিত হয়ে আরো ভেতরে লবণাক্ত পানি প্রবেশ করছে। ১৯৭০ সালের ভোলা ঘূর্ণিঝড় ছিল একটি শক্তিশালী ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড় যা ১৯৭০ সালের ১৩ নভেম্বর তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ-এর) দক্ষিণাঞ্চলে আঘাত হানে। এ পর্যন্ত ইউকিপিডিয়ার রেকর্ডকৃত ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় এবং এটি সর্বকালের সবচেয়ে ভঙ্করতম প্রাকৃতিক দুর্যোগের একটি। প্রায় ৫ লাখ মানুষ প্রাণ হারায়। যার অধিকাংশই গাঙ্গেয় বদ্বীপের সমুদ্র সমতলের ভূমিতে জলোচ্ছ্বাসে ডুবে মারা যান। এটি ১৯৭০-এর উত্তর ভারতীয় ঘূর্ণিঝড় মৌসুমের ষষ্ঠ ঘূর্ণিঝড় এবং মৌসুমের সবচেয়ে শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ছিল। এটি সিম্পসন স্কেলে ‘ক্যাটাগরি-৩’ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় ছিল। ঘূর্ণিঝড়টি বঙ্গোপসাগরে ৮ নভেম্বর সৃষ্ট হয়ে ক্রমেই শক্তিশালী হতে হতে এটি উত্তর দিকে অগ্রসর হতে থাকে। ১১ নভেম্বর এটির গতিবেগ সর্বোচ্চ ঘণ্টায় ১৮৫ কিমি. (১১৫ মাইল) এ পৌঁছায় এবং সে রাতেই তা উপকূলে আঘাত করে। জলোচ্ছ্বাসের কারণে পূর্ব পাকিস্তানের দক্ষিণ উপকূলীয় অঞ্চল ও দ্বীপগুলো প্লাবিত হয়। এতে ওইসব এলাকার বাড়ি-ঘর, গ্রাম ও শস্য স্রোতে তলিয়ে যায়। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ছিল তজুমদ্দিন উপজেলা, সেখানে ১৬৭০০০ জন অধিবাসীর মধ্যে ৭৭০০০ জনই (৪৬ ভাগ) প্রাণ হারায়। বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম বিধ্বংসী ঘূর্ণিঝড় ১৯৮৮ সালে সংঘঠিত হয়। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে দেশে যে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়, তা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম সর্বনাশা বন্যা হিসেবে পরিচিত। ২১ নভেম্বর মালাক্কা প্রণালীতে এই ক্রান্তীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তি হয়েছিল। শুরুতে এটি পশ্চিমগামী ছিল, এরপর গভীর নিম্নচাপ থেকে ক্রমান্বয়ে আন্দামান সাগরে এসে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়। নভেম্বর ২৬ তারিখে, এটি তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেয় এবং উত্তরদিকে ঘুরে যায়। ধীরে ধীরে, এর গতি তীব্রতর হয়ে ২৯ নভেম্বর বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের স্থলভূমিতে আঘাত করে। এ গতি বাংলাদেশের অভ্যন্তরে শক্তিশালী অবস্থা ধরে রাখে এবং এটি ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যবর্তী অঞ্চলে মাঝারি ঘূর্ণিঝড় হিসাবে সক্রিয় ছিল। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে সর্বমোট ৬ হাজার ২৪০ জনের মৃত্যু ঘটে, এরইমধ্যে বাংলাদেশের ৫ হাজার ৭০৮ জন এবং পশ্চিমবঙ্গের ৫৩৮ জন। অধিকাংশ মৃত্যু ঘটে প্রচণ্ড ঝড়ের কারণে, বাড়ি ভেঙে পড়ে এবং আক্রান্ত অঞ্চলের বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে তড়িতাহত হয়। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ে নিহতের সংখ্যা বিচারে স্মরণকালের ভয়াবহতম ঘূর্ণিঝড়গুলোর মধ্যে একটি। এটি ১৯৯১ সালের ২৯ এপ্রিল বাংলাদেশে দক্ষিণপূর্ব চট্টগ্রাম বিভাগের উপকূলীয় অঞ্চলে প্রায় ২৫০ কিমি. ঘণ্টা বেগে আঘাত করে। এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে ৬মিটার (২০ ফুট) উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস উপকূলীয় এলাকা প্লাবিত করে এবং এর ফলে প্রায় ১ লাখ ৩৮ হাজার মানুষ নিহত হয় এবং প্রায় ১ কোটি মানুষ তাদের সর্বস্ব হারায়। ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর সিডর বাংলাদেশের পাথরঘাটায় বলেশ্বর নদীর কাছে উপকূল অতিক্রম করে। সে সময় বিশ্ব ঐতিহ্য ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন না থাকলে পাথরঘাটাসহ উপকূলের কোনো চি?হ্ন থাকত না। প্রায় ৯৬৮,০০০ ঘরবাড়ি ধ্বংস এবং ২১০,০০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছিল, প্রায় ২৪২,০০০ গৃহপালিত পশু এবং হাঁস-মুরগি মারা গেছে। একারণে সাফির-সিম্পসন স্কেল অনুযায়ী একে ক্যাটেগরি-৫ মাত্রার ঘূর্ণিঝড় আখ্যা দেয়া হয়েছিল। ১৮ নভেম্বর সন্ধ্যা পর্যন্ত সরকারিভাবে ২ হাজার ২১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল সরকার। এছাড়া আইলা, নার্গিস, রোয়ানুসহ ছোট ছোট নানা দুর্যোগসহ প্রতিনিয়ত উপকূলের বাসিন্দারা দুর্যোগ মোকাবিলা করছে। বিগত বছরে যতগুলো ঘূর্ণিঝড় হয়েছে বেশিরভাগই নভেম্বর মাসে। এতো কিছুর পরেও উপকূলকে তেমন কোনো গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না। ইতিহাস থেকে মানুষ শিক্ষা নেয়, দিবস থেকে মানুষ অভিজ্ঞতা অর্জন করে এবং দিবসের ইতিকথা স্মরণে রাখে। ঠিক তেমনি মনে রাখার মতো একটি দিন ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বর। উপকূলে যে ভয়াবহতা হয়েছে, তা মনে এ প্রজন্মের মানুষ জানে না। হয়তো এই দিনে দিবস হিসেবে পালন করলে হয়তো এ প্রজন্মের মানুষ মনে রাখত। তাই আমরাও চাই একটি দিবস। যার নাম হবে ‘উপকূল দিবস’। হয়তো প্রশ্ন জাগবে, এত দিবসের ভিড়ে কেন আবার ‘উপকূল দিবসের’ দাবি? আমার প্রশ্নটা ঠিক এর বিপরীত। এত দিবস থাকা সত্ত্বেও ‘উপকূল দিবস’ নেই কেন? উপকূল অঞ্চলে আমার জন্ম, উপকূল নিয়েই ভাবি। খবর লেখার মধ্য দিয়ে আমি প্রতিদিন উপকূলের কথা মনে পড়ে মনে পড়ে উপকলের ভয়াবহতা। কিন্তু একটি দিবস থাকলে অন্তত সবাই মিলে একযোগে উপকূলের কথা বলার সুযোগ পাই! দিন ঠিক করার আগে নিজের কাছে নিজের আরেকটা প্রশ্ন- কেন ‘উপকূল দিবস চাই?

দিবসগুলো দ্বারা বোঝানো হচ্ছে বাংলাদেশের স্বকীয় ও বিশ্বব্যাপী পালিত দিবসগুলোকে। এই সবগুলো দিবসের তালিকা নিম্নে প্রণীত হলো। দিবসগুলোর অধিকাংশই প্রায় নিয়মিত পালিত হয় এবং হয়ে আসছে। কিন্তু কিছু কিছু দিবস, বিভিন্ন রাজনৈতিক ক্ষমতাবলে, প্রতিহিংসাবশত, ওই রাজনৈতিক দলের ক্ষমতা চলাকালীন রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হয় না। আন্তর্জাতিক ও বৈশ্বিক দিবসগুলোর জন্য সরকারি ও আন্তর্জাতিকভাবে অর্থ বরাদ্দ পাওয়ার প্রেক্ষিতে তা পালিত হয়। তবে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশে বহুল প্রচলিত কিছু কিছু দিবস বাংলাদেশে পালিত হয় না সাম্প্রদায়িক কারণবশত। যেমন : ইহুদিদের বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানাদি বাংলাদেশে পালিত হয় না। কেননা, বাংলাদেশে ইহুদি ধর্মাবলম্বীরা বাস করেন না। তাছাড়া সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে অন্যান্য অনেক দেশের বা জাতির স্বকীয় ঐতিহ্যমন্ডিত দিবসও বাংলাদেশে পালিত হয় না। সাম্প্রদায়িক অনুষ্ঠানাদির মধ্যে হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ও মুসলমানদের বিভিন্ন ধর্মীয় দিবস মূল ধারার সংস্কৃতি হিসেবে পালিত হয়। ২০১৭ সাল থেকে ‘উপকূল দিবসের দাবি তুলছেন ‘উপকূল বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন, কোস্টাল জার্নালিস্ট ফোরাম, কোস্টাল ইয়ুথ নেটওয়ার্ক আলোকযাত্রা, পাথরঘাটা ‘উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, নৌসড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি, নির্ঝর এন্টারপ্রাইজ, প্রিন্ট মিডিয়া পার্টনার দৈনিক খোলা কাগজ, অনলাইন মিডিয়া পার্টনার বিডিমিরর একাত্তর ডটকম, ‘উপকূলীয় উপজেলার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘আস্থা’, পাথরঘাটা উপজেলা নাগরিক অধিকার ফোরামসহ ১০০টি সংগঠনের সমন্বয়ে ‘উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটি’। উপকূলে ‘৭০-এর ঘূর্ণিঝড়, ২০১৫ সালের সিডর, সিডর পরবর্তী আইলা, হারিকেন, নার্গিস, রোয়ানু, মোরা, বুলবুল, ফণি, ইয়াসসহ বিভিন্ন দুর্যোগের আঘাতে বহু মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। শুধু ঘূর্ণিঝড় এলেই প্রচার মাধ্যমের ক্যামেরাটা উপকূলের দিকে ছুটে। কিন্তু স্বাভাবিক সময়ে উপকূলে জীবন-যাপন কতটা যে অস্বাভাবিক তা গণমাধ্যমের দৃষ্টিতে আসে না। সরকারের রাজস¦ খাতে ‘উপকূল বাসির এত অবদান থাকা সত্ত্বেও এবং উপকূলীয় এলাকায় দুর্যোগে প্রাণহানিসহ ক্ষয়ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও মিডিয়ায় তেমন গুরুত্ব পাচ্ছে না। এজন্য বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড়ে নিহতদের স্মরণ, দুর্যোগ মোকাবিলায় মানুষকে সচেতন, উপকূলের সমস্যা আর সম্ভাবনাকে প্রকাশের আলোয় আনার জন্য ১২ নভেম্বরকে ‘উপকূল দিবস’ পালন করার প্রয়োজনীয়তা দেখা দিয়েছে। দিবসটি যখন পালন হবে, তখন সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ‘উপকূল ফোকাস হবে এবং ‘উপকূল সুরক্ষা নিশ্চিত হবে। আর দিবসটি শুধুমাত্র, উপকূলে বসাবসরত ৫ কোটি মানুষের উন্নয়নের স্বার্থে। ইতিমধ্যে দিবসের জন্য ‘উপকূল দিবস বাস্তবায়ন কমিটির’ যে আন্দোলন আন্তর্জাতিক, জাতীয় ও স্থানীয় গণমাধ্যমে সাড়া ফেলেছে এবং সামাজিকভাবে যে জনমত তৈরি হয়েছে, তা ইতিহাসে ব্যতিক্রম।

পরিশেষে বলতে চাই, বাংলাদেশ এখন আর ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ নয়, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির মধ্য দিয়েই সেটা স্পষ্ট। বাংলাদেশ এখন এগিয়ে যাচ্ছে। তাই ৭১০ কিলোমিটার দীর্ঘ ‘উপকূলীয় এলাকার জীবন-জীবিকা মানুষরা দেশের উন্নয়নের অগ্রণী ভূমিকা রাখছে। গণতন্ত্র, অথর্নীতি ও দেশের উন্নয়ন অগ্রগতিকে আরো সামনের দিকে এগিয়ে নিতে ‘উপকূলীয় অঞ্চলের খেটে খাওয়া মানুষদের ভূমিকা কম নয়। আর এসব খেটে খাওয়া মানুষদের নিরাপত্তা, সুযোগ-সুবিধা দিলে পরিপূণর্ভাবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। সে কারণে উপকূলের জন্য সরকারের এগিয়ে আসতে হবে, এনজিওসহ গণমাধ্যমেরও এগিয়ে আসা উচিত। আসুন আমরা সবাই উপকূলের জন্য একটি দিন একটি দিবস চাই যার নাম হবে ‘উপকূল দিবস’। পাশাপাশি উপকূলের দুঃখ, দুর্দশা, জীবন জীবিকা নিয়ে গণমাধ্যম এবং সরকারের বিশেষ নজর দেয়া এখন সময় মাত্র।

[লেখক: সাংবাদিক, কলামিষ্ট ও গবেষক]

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত