আত্মশক্তি ও মূল্যবোধের ওপর জোর দিতে হবে

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশ : ২২ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

সভ্যতার প্রয়োজনে, মানব কল্যাণে, সম্মান এবং সুস্থভাবে সমাজে বেঁচে থাকতে অর্থাৎ আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন বা অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে মানব জাতি যে অভিজ্ঞতা, দক্ষতা, যোগ্যতা তার কর্ম জীবনে প্রতিফলন ঘটিয়ে অধিকতর সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম, তাই শিক্ষা। শিক্ষা এমন একটি কাঠামো, যেখানে ব্যক্তির অন্তর্নিহীত গুণ ও শক্তির সৃজনশীল বিকাশের মাধ্যমে তার শারিরীক, মানসিক, নৈতিক এবং সামাজিক উন্নতি সাধন সম্ভব। শিক্ষার প্রতিটি স্তরই মানবের চিত্তে, দেশ ও দশের কল্যাণ, ব্যক্তিগত এবং জাতীয় মূল্যবোধ সৃষ্টির সহায়ক। এই শিক্ষার উদ্দেশ্য ও লক্ষ্য, দেশের সামাজিক কল্যাণ ও অর্থনৈতিক উন্নতির জন্য বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিদ্যার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণকে কুশলী জনশক্তিতে পরিণত করা। চাহিদা, মেধা ও প্রবণতা অনুযায়ী জীবিকা অর্জনের উপযোগী জনশক্তি তৈরি করা, প্রাত্যহিক জীবনে উদ্ভুত ও তাৎক্ষণিক সমস্যাগুলোর সমাধানে দক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টি করা, ব্যবহারিক জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগের আত্মপ্রত্যয়ী হওয়া। আর এর জন্য প্রয়োজন আত্মশক্তি অর্জন। বাংলাদেশের জন্ম হয়েছে ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধের বিভীষিকার মধ্য দিয়ে। অনেক মূল্যে এসেছে স্বাধীনতা। পাকিস্তান ও তার উগ্রবাদী সহযোগীরা দেশটিকে ধ্বংসলীলার মাধ্যমে প্রায় নিঃশেষ করার উপক্রম করেছিল। এটি এড়ানো যেত যদি জুলফিকার আলী ভুট্টোর মতো দুর্জন ব্যক্তিরা বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠন করতে দিতেন। কিন্তু পাকিস্তান দেশে গণতন্ত্রকে নিজ গতিতে চলায় বাধা দিয়েছে। কারণ বাংলার জনগণ এবং তাদের সংস্কৃতির প্রতি তারা ঘৃণা পোষণ করত। পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী বাঙালিদের হিন্দুপ্রবণ মনে করত। ১৯৭০-এর সাধারণ নির্বাচনের অব্যবহিত পর পাকিস্তান বাঙালিদের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে চায়নি। সে সংকটের সমাপ্তি ঘটে এক কোটি মানুষের উদ্বাস্তু হওয়া, ৩০ লাখ প্রাণহানি এবং কয়েক লাখ নারীর সম্ভ্রমহানির মাধ্যমে।

ফলে জাতিসংঘ এবং অন্যান্য বৈশ্বিক সংস্থাকে বিলম্বিত পর্যায়ের গর্ভপতন ক্লিনিকও স্থাপন করতে হয়। পরবর্তীকালেও উগ্রপন্থী ও পেশিশক্তিধারীরা সংখ্যালঘুদের জীবন নরকে পরিণত করছে। বাংলাদেশ এর ইতি টানার চেষ্টা করছে। তবে পুলিশের শক্ত নজরদারি ছাড়া বিষয়টি অসম্ভব হয়ে উঠছে। যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ভীতি আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থার ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ সম্পূর্ণরূপে বিধ্বস্ত হয়। যুদ্ধের পর যারা দেশটি ঘুরে দেখেছেন, তাদের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তারা জানিয়েছেন যে, দেশটি পরিণত হয়েছিল এক দৃশ্যমান ধ্বংসস্তূপে। মূল্যবান সব কিছুই ধ্বংস করা হয়েছিল। সব কিছুই আর্টিলারি আর মেশিনগানের আঘাতে জর্জরিত হয় কিংবা ধুলায় মিশিয়ে দেওয়া হয়। নতুন জাতি হিসেবে বাংলাদেশকে পুনর্নির্মাণ ও সমাজ পুনর্বাসনের বড় চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। রক্তবন্যা ও বিপৎসংকুল পরিস্থিতির শেষে বাংলাদেশ পৃথিবীর দ্বিতীয় দরিদ্র দেশ হিসেবে তার যাত্রা শুরু করে।

বাংলাদেশ আজ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে এগিয়ে চলছে, কিন্তু সেটি সহজ নয়। গণহত্যা, রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড এবং দুর্ভিক্ষ প্রভৃতি দেশটির অগ্রগতিকে বারবার ব্যাহত করার চেষ্টা করেছে। বৈদেশিক হস্তক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। কিন্তু বাংলাদেশ এসব কিছুই মোকাবিলা করে চলেছে এবং ক্রমেই এসব ক্ষেত্রে স্থিতিস্থাপকতা অর্জন করেছে। এজন্য প্রয়োজন হয়েছে সাহস ও শক্তিশালী নেতৃত্ব। বাংলাদেশের নেতৃত্বের ভিশন ছিল এবং তা অটল ছিল। বিশ্বপরিমণ্ডলে বাংলাদেশের অনেক বন্ধু ও সহযোগী রয়েছে। সম্প্রতি অপতথ্য-অপপ্রচার এবং উদ্দেশ্যমূলক বিভ্রান্তি ছড়ানোর কর্মকাণ্ড জাতিটির গায়ে কালিমা লেপনের হুমকি দিয়েছে, যদিও সে জাতি মানব উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির সব ক’টি সূচক পূরণ করেছে। কয়েক দশক পর বাংলাদেশ পরিচিত হয়েছে উন্নয়নের ছোট ইঞ্জিন হিসেবে তার সব প্রতিকূলতা অতিক্রম করার দৃঢ সংকল্পের মাধ্যমে। সেই নাম বহাল থেকেছে।

তারপর আজ তাকে এশিয়ার উদীয়মান অর্থনৈতিক সক্ষমতার কেন্দ্ররূপে মনে করা হয়। বঙ্গবন্ধুর মন্ত্র ‘সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়’, দেশের পররাষ্ট্রনীতির দিকনির্দেশনা হিসেবে অনুসৃত হয়ে চলেছে। অর্থনীতিতেও সাফল্য ধরে রাখতে পেরেছে। বাংলাদেশের অব্যাহত বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্থনীতিবিদ ও বিশ্বনেতাদের আশ্চর্যান্বিত ও উদ্দীপিত করেছে। এই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং জাতিসংঘের উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের ওপর গুরুত্ব বাংলাদেশের সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন এনেছে। এই প্রশংসা সত্যি আমাদের প্রাপ্য। বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠা হয় বিশ্বে এক আলোকবর্তিকা হিসেবে। তার মূল্যবোধ ও সংবিধান এমন একটি জাতির চিত্র তুলে ধরে, যা জনগণের সর্বোচ্চ কল্যাণ কামনাকারী। দুর্ভাগ্যজনকভাবে বাংলাদেশ বর্তমানে বিশ্বের এক মিলিয়নেরও বেশি রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুর ভার বহন করে চলেছে। ২০১৭ সালে পাশের দেশ মিয়ানমার থেকে রোহিঙ্গারা নির্যাতনের শিকার হয়ে দেশত্যাগ করে। তাদের আশ্রয়দানের জন্য বাংলাদেশ উদারচিত্তে সাহায্যের হাত প্রসারিত করে। কিন্তু আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় তাদের সমর্থনে যথেষ্ট করছে না। এই ভয়ানক পরিস্থিতি মানবাধিকার রক্ষাকারীদের দ্বারাও অপব্যবহারের শিকার হয়েছে। কোনোভাবে মিয়ানমারের দায়িত্বহীন রাজনীতিকদের অপরাধের দায়ভার বাংলাদেশের ওপর চাপিয়েছে। এখানে স্পষ্টতই কিছু একটা ঘাপলা আছে। বিকৃতি-বিভ্রান্তি মোকাবিলায় বাংলাদেশের প্রয়োজন তার অসামান্য অর্জনগাথা তুলে ধরা। মানবাধিকার ও গণতন্ত্র নিয়ে সমালোচনাকারী দেশগুলোর উদ্বেগ বাংলাদেশকে গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া প্রয়োজন। তবে তা নিয়ে তাদের চ্যালেঞ্জও করা প্রয়োজন সাহসিকতার সঙ্গে। এটি আশ্চর্যের কিছু নয় যে নিজস্ব বক্তব্য তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশকে প্রায়ই বেগ পেতে হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অতি উৎসুক নাক গলানোমূলক আচরণের উদাহরণের একটি ছিল যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক পরিচালিত বৈশ্বিক সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের সময়।

২০১৫ সালে ঢাকায় পাকিস্তানি কূটনীতিক আলকায়েদার সহযোগীদের লজিস্টিকস ও অর্থ প্রদানকালে ধরা পড়েন এই উগ্রবাদী গোষ্ঠী বাংলাদেশে ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিবাদী সম্প্রদায়ের সদস্যদের ওপর হামলা করেছিল। পাকিস্তানের কার্যকলাপের নিন্দা করার পরিবর্তে যুক্তরাষ্ট্র হামলার শিকারদের যথেষ্ট সুরক্ষা প্রদান না করার দোষে বাংলাদেশকে দায়ী করে। এতে বাংলাদেশের অনেকেই অন্যত্র সহযোগী খোঁজে। সেই আস্থাও যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপের পুনঃপ্রতিষ্ঠা করার প্রয়োজন আছে। কিন্তু সেজন্য সময় লাগবে এবং বাংলাদেশে আস্থার মাত্রা বাড়াতে হবে। এসব বিষয় বাংলাদেশ যথাযথভাবে মোকাবিলা করতে সক্ষম হয়নি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে একটা তিক্ততা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক লড়াই পরিচালিত হয় প্রায়ই যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য থেকে। এটাকে আমরা ভিয়েনা কূটনৈতিক কনভেনশনের লঙ্ঘন বলে দাবি করতে পারি, কিন্তু বাস্তবতা হলো জগৎ এখন বিশ্বায়িত। আমরা সবাই একজন আরেকজনের বিষয়ে নাক গলাচ্ছি। আমার বিশ্বাস, পশ্চিমা সরকার কর্তৃক প্রদর্শিত দক্ষিণ এশিয়ায় এই বিপজ্জনক ও অশ্রদ্ধার প্রবণতা বাংলাদেশে অকার্যকর ও হিংস্র রাজনীতি যুক্ত করেছে। আমরা আরো দেখেছি, বিদেশি লবিং কীভাবে বাংলাদেশের সাফল্য ও কৃতিত্বকে আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপটে বিকৃত করার অপচেষ্টা করে। তবে এ কথা ঠিক, বাংলাদেশে মানবাধিকার ও পুলিশ নিয়ে সমস্যা আছে। কিন্তু লবিস্টরা ছড়াচ্ছে যে বাংলাদেশ উত্তর কোরিয়া হয়ে যাছে। এটি একেবারেই এক অলীক তুলনা। বিদেশি আইনজীবী ও লবিস্টদের উদ্দেশ্যমূলক বিকৃতি ও বিভ্রান্তিকে চ্যালেঞ্জ করার দরকার আছে। কেননা এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের ভীত এবং নিরুৎসাহ করছে। আর উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপের রাজনীতিকদের টেনে আনছে মিথ্যা এবং বিভ্রান্ত কাহিনি বা আখ্যানের ঘেরাটোপে। স্বাধীনতার বায়ান্ন বছরে বাংলাদেশের অনেক কিছু নিয়েই বিজয়োৎসব করার আছে। দেশটি আজ এক শক্ত অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। দুই হাজার একচল্লিশ সাল নাগাদ দারিদ্র্যমুক্ত অগ্রগামী অর্থনীতির প্রচেষ্টায় এগোনোর পথে চ্যালেঞ্জ অনেক কঠিন, তবে দুর্লঙ্ঘ নয়। বাংলাদেশের ইতিহাস আগেই সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যা প্রমাণ করেছে কীভাবে শক্তিশালী নেতৃত্ব, সুষ্ঠু নীতি নির্ধারণ এবং দৃঢ সংকল্প দেশকে এগিয়ে নিতে পারে। সমতা ও ন্যায়বিচারের নীতি, যা কি না স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্তর্নিহিত মন্ত্র ও মূল্যবোধ হতে হবে পরিচায়ক নীতিমালা, যা দিয়ে দেশ সামনের দিকে এগোবে এবং এমন একটি জাতিতে পরিণত হবে, যা দক্ষিণ এশিয়ার নতুন রূপায়ণে সহায়তা করবে এবং সেখানে ও বাইরে প্রভাবশালী অবস্থানে থাকবে। সবাই বাংলাদেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। তবে আমরা চাই রাজনীতি হোক চিন্তার দ্বন্দ্ব, রাজপথে রক্তাক্ত সংঘর্ষ নয়। সে জায়গায় পৌঁছাতে জাতীয়, আঞ্চলিক, আন্তর্জাতিক আলোচনার দরকার। আমাদের আস্থা আছে বাংলাদেশ সেটি অর্জনে সক্ষম হবে। সে অর্জনের পথে আসা সব বাধা অতিক্রম করে আজকে এখানে এসেছে। দেশের রাজনীতির অবকাঠামো বিনির্মাণ করা এক বিশাল কাজ। যুক্তরাষ্ট্র আজও ট্রার্ম্প রেজিমের ধাক্কায় খাবি খাচ্ছে। উদার পন্থীরা গগনবিদারী চিৎকার করছে গণতন্ত্র শেষ হলো বলে। আমাদের সবারই সামনে চ্যালেঞ্জ আছে। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। বাংলাদেশ যে ব্যাপক ও কঠিন কাজ করেছে সে জন্য তাকে তার স্বীকৃতি দেওয়া উচিত এবং সেটি তার প্রাপ্য। বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের যে মূল্যবোধের অংশীদার তার উদযাপন করা। অতএব, আত্মশক্তি ও মূল্যবোধের ওপর জোর দিতে হবে। শিশু গণতন্ত্রের পদ্ধতিগত জটিলতার ওপর নয়। কেউ বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করতে চাইলে এটি নিশ্চিত করুন যে তার ইতিহাস বাংলাদেশের মানুষ পড়েছে।

ইতিহাসে দেখা যায়, স্বার্থের সংঘাত, নৈতিক সমস্যা ও আইনের শাসনের সমস্যা কেবল মনোজগতের দিকে কিংবা কেবল পরিবেশের দিকে তাকিয়ে সমাধান করতে চাইলে করা যায় না; সমাধান করতে হলে একসঙ্গে মনোজগৎ ও পরিবেশ দুই দিকেই তাকাতে হয় এবং মনোজগতের পরিবর্তনকে স্থায়িত্ব দেয়ার জন্য পরিবেশগত ভিত্তি বদলাতে হয়। নীতি ও আইনের পেছনে একই সঙ্গে ক্রিয়াশীল থাকে একদিকে মানুষের আবেগ ও স্বার্থবুদ্ধি, উল্টোদিকে মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনা। মানুষমাত্রই আবেগ ও স্বার্থবুদ্ধি এবং মূল্যবোধ ও নৈতিক চেতনার অধিকারী। এসব মানুষের চেতনার অন্তর্গত। কায়েমি-স্বার্থবাদীদের রাজনীতির বাইরে জনগণের রাজনীতি ও রাজনৈতিক দল গড়ে তুলতে হলে মানুষের নৈতিক সত্তাকে গভীর ভাবে বুঝতে হবে। কায়েমি স্বার্থবাদীদের দৃষ্টিভঙ্গী পরিত্যাজ্য। নৈতিক চেতনারও একদিকে আছে মানুষের অন্তর্গত জৈব ভিত্তি-অন্তর্জগত, অন্যদিকে আছে বহির্জগত বা পারিপার্শ্বিক ভিত্তি, পরিস্থিতি, পরিবেষ্টন, পরিবেশ এক কথায় বহির্জগত। নীতি, আইন প্রণয়নে সাম্রাজ্যবাদী ও কায়েমি-স্বার্থবাদীদের চিন্তা ও ধারা থেকে সর্বজনীন কল্যাণের চিন্তা ও কর্মধারাকে স্বতন্ত্র ধারায় বিকশিত করতে হয়। এই স্বাতন্ত্র্যের অভাব ঘটলে সর্বজনীন কল্যাণ ব্যাহত হয়।

লেখক: গবেষক ও কলাম লেখক