বয়স বড়জোর ২৩-২৪। এই বয়সে যার লেখাপড়া শেষদিকে থাকার কথা বা চাকরি খোঁজার কথা, তিনি কীভাবে এমন স্বাবলম্বী জীবনযাপন করছেন? এ তরুণ হচ্ছেন ফ্রিল্যান্সার। এখন তার মতো অনেক তরুণ দেশে বসে ডলারে আয় করেন। অনেকের মাসিক আয় হাজার ডলার বা তার বেশি। ফ্রিল্যান্সারের বাংলা করা যায় মুক্ত পেশাজীবী। ৯টা-৫টা চাকরির ঘেরাটোপে আবদ্ধ নন তারা। বাসা কিংবা যেকোনো স্থানে বসেই কাজ করতে পারেন। লাগবে নিজের দক্ষতা, বিদ্যুৎ আর গতিশীল ইন্টারনেট-সংযোগ। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের প্রতিষ্ঠান স্থানীয় কর্মী নিলে খরচ বেশি হয়। অনেক সময় চাহিদা মতো এত কর্মী পাওয়া যায় না। তারা তখন বাইরে থেকে (আউটসোর্সিং) নির্দিষ্ট কাজটি করিয়ে নেন। এতে ওই প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির যেমন অর্থ সাশ্রয় হয়, তেমনি যেকোনো স্থান থেকে কাজটি করে ওই ব্যক্তিও আয় করেন। বেশির ভাগ কাজ মেলে নির্দিষ্ট কিছু ওয়েবসাইটে। তথ্যপ্রযুক্তির ভাষায় এগুলো ‘অনলাইন মার্কেটপ্লেস’ (অনলাইন কাজের বাজার)। দেশে তথ্যপ্রযুক্তির প্রসার ও সরকারি-বেসরকারি নানা উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিংয়ের প্রতি তরুণদের আগ্রহ বাড়ছে। ২০০৫-০৬ সাল থেকে মূলত দেশে ফ্রিল্যান্সিংয়ের কাজ আসা শুরু হয়। তরুণরাই এ কাজে অগ্রণী। দেশে এখন সাড়ে ৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন। তাদের সব মিলিয়ে বার্ষিক আয় প্রায় ১০০ কোটি ডলার বা ১০ হাজার ৬০০ কোটি টাকা (ডলার ১০৬ টাকা ধরে)। ২০১৪ সাল থেকে লার্নিং অ্যান্ড আর্নিং প্রকল্পের মাধ্যমে এ পর্যন্ত ৫৩ হাজার তরুণকে তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাড়ে ৬ লাখের হিসাবটা আপওয়ার্ক মার্কেটপ্লেস ধরে। বাংলাদেশ থেকে ১৫৩টি মার্কেটপ্লেসে কাজ করা হয়। সেগুলো হিসাব করলে এই সংখ্যা প্রায় ১০ লাখ। এর ৫৫ শতাংশেরই বয়স ২০ থেকে ৩৫ বছর। তবে ফ্রিল্যান্সিংয়ে নারীদের অংশগ্রহণ এখনো কম। ফ্রিল্যান্সিংয়ে সংখ্যার দিক থেকে শীর্ষে ভারত। এরপরই বাংলাদেশের অবস্থান। তবে আয়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান সপ্তম। শীর্ষে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০২০ সাল থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ হাজার ফ্রিল্যান্সারকে স্মার্ট কার্ড দেওয়া হয়েছে। এসব কার্ডধারী ব্যাংকঋণ সুবিধা পাবেন। ব্যাংকের মাধ্যমে বাইরে থেকে আয়ের অর্থ আনলে চার শতাংশ প্রণোদনাও দেওয়া হচ্ছে।
সবার আগে ফ্রিল্যান্সিং বিষয়টি বুঝতে হবে। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির একটি বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ভালো হয় প্রথমে কোথাও চাকরি করা কিংবা সফল কোনো ফ্রিল্যান্সারের সঙ্গে থেকে কাজ করা।
করোনা মহামারির কারণে চাকরির বাজার ছোট হলেও ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্ষেত্র বেড়েছে। এখন ডিজিটাল বিপণন, এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন), গ্রাফিক ডিজাইন ও লোগো তৈরি, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট কাজের চাহিদা বেশি। এ ছাড়া কনটেন্ট রাইটিং (মূলত পণ্য বা সেবার বর্ণনা বা প্রচারণামূলক লেখা), মডার্ন ফটোগ্রাফি, মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা ও হিসাবরক্ষণ বিষয়ের চাহিদা রয়েছে। ফ্রিল্যান্সিংয়ে দুভাবে আয় হয়। একটি অ্যাকটিভ আর্নিং। এটি হচ্ছে সরাসরি গ্রাহকের সঙ্গে কাজ করে আয় করা। আরেকটি প্যাসিভ বা পরোক্ষ আয়। এটি হচ্ছে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কাজ করে আয় করা। মার্কেটপ্লেসে কাজ পেতে পারিশ্রমিক ও সময় জানাতে হয় (বিড করা)। কাজদাতা পারিশ্রমিক ও পোর্টফোলিও দেখে যোগ্য ব্যক্তিদের কাজ দেন। এখন অবস্থার উন্নতি হলেও ২ থেকে ৩ বছর আগেও ফ্রিল্যান্সিং সম্পর্কে দেশের মানুষের তেমন ধারণা ছিল না। এখন অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। তবে ফ্রিল্যান্সারদের কাজের সামাজিক স্বীকৃতি বাড়লেও পথ এখনো অনেক দূর। ফ্রিল্যান্সিংয়ে পরিবর্তন আনতে হবে। এখন ফ্রিল্যান্সারের সংখ্যা বেশি, কিন্তু ১০ শতাংশ ভালো আয় করেন। আসলে তথ্যপ্রযুক্তির নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সার হতে হলে নির্দিষ্ট বিষয়ে দক্ষতার পাশাপাশি যোগাযোগেও দক্ষ হতে হবে। ফ্রিল্যান্সারদের উদ্যোগ, ব্যক্তিগত আয় বাড়লেও ভালো মানের প্রশিক্ষণের সুবিধা নেই।
দেশের আইসিটি শিল্প খাত থেকে কোনো দিকনির্দেশনা ফ্রিল্যান্সাররা পান না। কোনো বিষয়ের চাহিদা ভবিষ্যতে বাড়বে কিংবা কিসে দক্ষ হতে হবে- সেই পথ নির্দেশনা নেই। ফ্রিল্যান্সারদের জন্য আইসিটি শিল্প খাত থেকে বিশেষজ্ঞ মতামত ও দিকনির্দেশনা প্রয়োজন। ফ্রিল্যান্সারদের কাজকর্মে একটা বিষয় চোখে পড়ে। একা একা শুরু করে যখন সফল হন, তিনি আশপাশের তরুণদের সম্পৃক্ত করেন এই কাজে। তাদের আয়ের পথ তৈরি করে দেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষন নেতৃত্বে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট ইকোনমি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট এবং স্মার্ট সোসাইটি এই চারটি ভিত্তি সফলভাবে বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। এর মাধ্যমে নাগরিকরা প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ হবে এবং সমগ্র অর্থনীতি পরিচালিত হবে। আমরা জানি, সরকার এবং সমাজকে স্মার্ট করে গড়ে তুলতে এর মধ্যেই বিশাল কর্মযজ্ঞ সম্পাদিত হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৪১ সালের মধ্যে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’-এ রূপান্তরে কাজ শুরু হয়ে গেছে। এটি অনস্বীকার্য যে, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এর মধ্যেই বেশ এগিয়েছে। মাত্র ১৩ বছরে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৬৫ লাখ থেকে ১৩ কোটির ওপরে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে মোবাইল ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১৮ কোটিতে পৌঁছেছে। জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দিতে ৮ হাজার ৮০০টি ডিজিটাল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে। এসব সেন্টার থেকে প্রতি মাসে গড়ে ৭০ লাখের অধিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত নাগরিকরা ৮০ কোটির অধিক সেবা গ্রহণ করেছেন। ফলে নাগরিকদের ৭৮ দশমিক ১৪ শতাংশ কর্মঘণ্টা, ১৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ ব্যয় এবং ১৭ দশমিক চার শতাংশ যাতায়াত সাশ্রয় করা সম্ভব হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। নানা সুবিধা দেওয়ার কারণে দেশে প্রায় দুই দশমিক ৫০০ স্টার্টআপ সক্রিয়ভাবে কাজ করেছে। যারা প্রায় ১৫ লাখ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে।
অক্সফোর্ড ইন্টারনেট ইনস্টিটিউট (ওআইআই) অনুসারে বাংলাদেশ এর মধ্যেই অনলাইন শ্রমের দ্বিতীয় বৃহত্তম সরবরাহকারী হয়ে উঠেছে। দেশে ছয় লাখের বেশি আইটি সেবা রপ্তানিকারক বা ফ্রিল্যান্সার রয়েছে এবং দলভিত্তিক ফ্রিল্যান্সিং কোম্পানির সংখ্যা প্রায় ১ হাজার ৬০০টির কাছাকাছি। একই সঙ্গে তারা বছরে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলার আয় করছে।
তরুণদের দক্ষতা উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান নিশ্চিত করতে সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে হাই-টেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক এবং আইটি প্রশিক্ষণ ও ইনকিউবেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। আইসিটি-সক্ষম কর্মসংস্থানের সুযোগের জন্য দেশের তরুণদের সঠিকভাবে প্রশিক্ষিত করতে পারলে বিশ্বব্যাপী আউটসোর্সিং বাজারে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ হাব হয়ে উঠবে, এতে কোনো সন্দেহ নেই। দেশে ফ্রিল্যান্সাররা ৫০ কোটি ডলার রেমিট্যান্স যোগ করছে অর্থনীতিতে। এই আয়ের অবদান সরাসরি দেশের অর্থনীতিতে পড়ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশে গঠনে অনেক কাজ করছে সরকার। এর ধারাবাহিকতায় ফ্রিল্যান্সারা বেশি আয় করছে। ফ্রিল্যান্সারদের উপার্জিত অর্থে আমাদের রেমিট্যান্স দিন দিন সমৃদ্ধ হচ্ছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনে সরকার নানা ধরনের প্রকল্প গ্রহণ করেছে। বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের ছেলেমেয়েরা স্বাধীনভাবে কাজ করছে। এটা এক বড় অর্জন। বর্তমান সরকার এই ব্যবস্থা করে দিয়েছে। আমাদের দেশের ছেলেমেয়েরা অনেক মেধাবী, স্মার্ট। তারা সহজেই ফ্রিল্যান্সিং কাজটি করতে পারছে। সরকারের দায়িত্ব তরুণদের কাজের সুযোগ করে দেওয়া। ফ্রিল্যান্সারদের দক্ষতা বাড়াতে সর্বাত্মক প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট এখন ইউনিয়ন পর্যন্ত পৌঁছে গেছে। এখন গ্রামে বসেই তরুণদের জন্য কর্মসংস্থান তৈরি হচ্ছে। আইডি কার্ডের মাধ্যমে ফ্রিল্যান্সাররা ব্যাংকিং ঋণসহ অন্যান্য সুবিধাদি পাচ্ছেন। ঘরে বসে মহিলারাও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করছেন।
সময়টা এখন তথ্যপ্রযুক্তির। বিশ্ব চলে এসেছে হাতের মুঠোয়। এখন ঘরে বসে যেমনি সারা বিশ্বের খোঁজখবর রাখা যায়, ঠিক তেমনি ঘরটাও হতে পারে কর্মস্থল। সেটি সম্ভব ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে। বর্তমানে ফ্রিল্যান্সিং করে ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক পর্যায়ে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের সুযোগ তৈরি হয়েছে। তারপরেও রয়ে গেছে কিছু সমস্যা। এগুলোর সমাধান করা গেলে ফ্রিল্যান্সিং সেক্টর হতে পারে দেশের সবচেয়ে বড় রেমিট্যান্স আয়ের খাত। সৃষ্টি হতে পারে লাখ লাখ নতুন কর্মসংস্থান, যা দেশের বেকারত্বে সমস্যা সমাধানে বিরাট ভূমিকা রাখতে পারে। এজন্য ব্যক্তি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সরকারি উদ্যোগে আরো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন, এমনটিই মনে করছেন এই সেক্টরের ফ্রিল্যান্সার ও বিশিষ্টজনরা। বাংলাদেশের এই আন্তর্জাতিক অনলাইন প্ল্যাটফর্মে কর্মরত এই রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের অনেক সমস্যা রয়েছে। এ সব সমস্যা সমাধানে সরকার সবসময় কাজ করে যাচ্ছে। সরকার ঘরে ঘরে চাকরি দিতে পারবে না। তবে ঘরে ঘরে ফ্রিল্যান্সার তৈরি করতে পারবে। আমাদের মধ্যে একটা ভুল ধারণা তৈরি হয়েছে যে, ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে তেমন কিছু জানার দরকার নেই। দুই দিনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে কম্পিউটারে ইন্টারনেট নিয়ে বসলেই ফ্রিল্যান্সিং করা যাবে, ঝর ঝর করে টাকা আসতে শুরু করবে। এটা আমাদের একটি বড় সমস্যা। বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে, এমনকি যেখানে ইন্টারনেট আছে, সেরকম উপজেলা পর্যায়েও অনেকে ব্যক্তি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সিং করছে। কিন্তু সেটি পুরোপুরি কাঠামোগতভাবে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে সরকারি ও বেসরকারি উদ্যোগে ফ্রিল্যান্সারদের আরো প্রশিক্ষণ ও যথার্থ তত্ত্বাবধায়ন করা দরকার। যাতে করে ফ্রিল্যান্সাররা মার্কেট প্লেসসহ বিভিন্ন জায়গায় ভালোভাবে কাজ করতে পারে। সবাই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে একটা স্বপ্ন নিয়ে আসেন। তাদের স্বপ্নটা তখনই সত্যি হবে, যখন তারা সঠিক ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা উৎস থেকে সঠিক শিক্ষা গ্রহণ করবে। ভুল জায়গায় গেলে, তাদের স্বপ্নটা দুঃস্বপ্নে পরিণত হবে। আমরা শুধু ফ্রিল্যান্সারদের সফলতাই দেখি, কিন্তু এর পেছনে ব্যয়কৃত অক্লান্ত পরিশ্রম, সময় ও মেধা দেখি না। আরেকটি বিষয় হচ্ছে যে, সবাই হাতে গোনা কয়েকটি বিষয়ের প্রতি না ঝুঁকে, পছন্দানুযায়ী বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কাজ করতে পারলে ব্যক্তি এবং দেশ উভয় লাভবান হবে।
বাংলাদেশের অনেক ফ্রিল্যান্সারের আয়ের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে অ্যাডসেন্স। অনেকেই আছেন যারা না জেনে অথবা আয় বাড়ানোর জন্য নিয়ম না মেনে ওয়েবসাইট বা ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে থাকেন এবং স্প্যাম করে অল্প সময়ে অধিক আয়ের চিন্তা করেন। এতে সাময়িক লাভবান হলেও আজীবনের জন্য অ্যাকাউন্টটি ব্যান্ড হতে পারে। এ ধরনের একশ্রেণির লোভী ও অজ্ঞ লোকের কারণে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ থেকে আগের মতো সহজে অ্যাডসেন্সের অ্যাকাউন্ট করতে দিচ্ছে না। এই কার্যক্রম অব্যাহত রাখলে দেশ থেকে অ্যাকাউন্ট করা বন্ধ করে দিতে পারে। সুতরাং নিয়ম মেনে কাজ করুন। নিজের এবং দেশের ক্ষতি করা থেকে বিরত থাকুন।