ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস

রাজধানীজুড়ে বাড়ানো হোক দোকানের সংখ্যা
৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস

দ্রব্যমূল্য নিয়ে যখন মানুষের নাভিশ্বাস, তখন রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সাত দিনের জন্য শুরু হয়েছে ৫৯৫ টাকায় গরুর মাংস বিক্রি। স্বাভাবিক সময়ে যেখানে গরুর মাংস প্রায় ৮০০ টাকা বিক্রি হয় সেখানে গরুর মাংসের কেজি ৫৯৫ টাকা। ২০০ টাকার মতো কম। এটা কি করে সম্ভব। মাংস বিক্রেতারা কীভাবে এতো কমে ক্রেতাদের ব্যাগে এই টাকায় মাংস দিচ্ছে তা সাধারণ জ্ঞানে আসে না। তবে তারপরও বলা হচ্ছে মাংস বিক্রেতারা এই দামে মাংস বিক্রি করার পরও লাভ করে থাকেন। তবে প্রশ্ন হচ্ছে সারা বছর ধরে মাংস বিক্রেতারা কীভাবে লাভবান হচ্ছে। মাংস বিক্রেতাদের এই ধরনের মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানান উচিত। সেই সঙ্গে এই ধরনের দোকানের সংখ্যা আরো বাড়ানো গেলে সাধারণ মানুষ স্বস্তি পেত। মাত্র ৫৯৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে গরুর মাংস। আর তা কিনতে সকাল থেকে বাজারের ব্যাগ হাতে মানুষের দীর্ঘ লাইন। কেউ ১ কেজি, কেউ ১০ কেজি, কেউ আবার এরও বেশি পরিমাণ গরুর মাংস কিনছেন। ভেজাল বা আগের জমানো মাংস মেশানোর সুযোগ নেই। কারণ দোকানের সামনেই জবাই হচ্ছে গরু। সেখানেই যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে দোকানে তোলা হচ্ছে। আর মুহূর্তের মধ্যেই আস্ত গরুর মাংস শেষ হয়ে যাচ্ছে। রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এই টাকায় গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। পুরুষ-নারী পৃথক লাইনে দাঁড়িয়ে মাংস সংগ্রহ করছেন। গরু আনা, জবাই, চামড়া ছাড়ানো, মাংস কাটা ও বিক্রয় কার্যক্রমসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই আলাদা আলাদা শ্রমিক কাজ করে থাকেন। এসব দোকানের স্বত্বাধিকারীরা নিজে উপস্থিত থেকে যাবতীয় কর্মকাণ্ড তদারকি করেন। ক্রেতার চাপ সামলাতে হিমশিম অবস্থা কর্মচারীদের। একটি গরু জবাইয়ের পর শেষ না হতেই আবারো আনা হচ্ছে পাশেই খুঁটিতে বেঁধে রাখা গরু। পর্যায়ক্রমে প্রয়োজন অনুসারে একের পর এক গরু জবাই করে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। এক একটি দোকানের কর্মচারীরা বলছেন প্রতিদিন প্রায় ৩০-৩৫টির মতো গরু জবাই হচ্ছে। ডিসকাউন্ট দেওয়ার পর মানুষের উপস্থিতি অনেক বেশি। মাংসের সর্বনিম্ন বা সর্বোচ্চ কোনো লিমিট নেই। ১ কেজি নেওয়ার জন্য কেউ এলেও তাকে ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ১০০-১৫০ টাকার মাংস অনেকে নিয়ে থাকেন। এই কার্যক্রমের ফলে গরিব মানুষও মাংস খেতে পারছেন। সপ্তাহব্যাপী এই অফারের গতকাল ছিল চতুর্থ দিন। স্বাভাবিক সময় ৮০০ টাকা কেজি দরে এ মাংস বিক্রি করা হয় বলেও জানান কর্মচারীরা। সাধারণ মানুষের জন্য তাদের এই উদ্যোগ। ব্যবসা কম করে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে এই কার্যক্রম গ্রহণ করেছি বলে জানান তারা। যতক্ষণ সামর্থ্য হবে ততক্ষণ আমরা এই কার্যক্রম চালিয়ে যাব। অপরদিকে স্বল্প দামে মাংস কিনতে পেরে খুশির কথা জানালেন ক্রেতারাও। মানুষ অনেক সময় অপেক্ষা করে মাংস সংগহ করছেন। ক্রেতাদের চোখের সামনেই গরু জবাই হচ্ছে সেই মাংসই সরাসরি কেটে দিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই নিশ্চিন্তে বাড়ি নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা যদি এমন উদ্যোগ অব্যাহত রাখেন তবে তারাই লাভবান হবেন। তাছাড়া এখানে মাংস সবাই নিতে পারছে। কোনো নির্ধারিত পরিমাপ নেই। বাসি বা পচা নয় একদম অরিজিনাল মাংস পাওয়া যাচ্ছে এসব দোকানে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির ক্রেতাদের জন্য এটি একটি চমৎকার সুযোগ। এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য এলাকায় এরকম উদ্যোগ নিতে পারলে মানুষজন উপকৃত হবে বলেও মন্তব্য করছেন ক্রেতারা।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত