অভিমত

হামাসের নিকট হতে বন্দিদের মুক্তি এক অকল্পনীয় দৃষ্টান্ত

আব্দুর রহমান আল হাসান

প্রকাশ : ২৯ নভেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

গাজা উপত্যকায় মিশর আর কাতারের মধ্যস্থতায় চার দিনের যুদ্ধবিরতিতে বন্দি বিনিময় করা হয় অনেক। বর্তমানে আরো ২ দিন বাড়ানো হয়েছে যুদ্ধবিরতি। এই চুক্তিতে ছিল, হামাস ৫০ জন ইসরাইলি বন্দিকে ছেড়ে দেবে। বিনিময়ে ইসরাইল ১৫০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করে দেবে। পরবর্তীতে হামাস চুক্তির বাহিরেও বেশ কিছু বিদেশি নাগরিককেও মুক্তি দিয়ে দেয়। পাশাপাশি এই যুদ্ধ বিরতিতে গাজায় ত্রাণের ট্রাকগুলো প্রবেশ করে। প্রায় ৪৮ দিন চলমান এই তুফানুল আকসা যুদ্ধে ১৫ হাজার ফিলিস্তিনি শহীদ হন। আহত রয়েছেন প্রায় ৩৬ হাজার ফিলিস্তিনি।

বিপরীতে ইসরাইলের রিপোর্ট অনুযায়ী তাদের মারা গেছেন ৩৭৪ জনের বেশি। সর্বোচ্চ হতে পারে ১ হাজার ৫০০। এই যুদ্ধে হামাসের বড় বড় চারজন কমান্ডার শহীদ হন। এছাড়া ইসরাইলি বোমা হামলার ফলে গাজার অবস্থা এতটাই ভয়াবহ যে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের থেকেও ভয়ংকর দৃশ্য আছে গাজায়। তারপরও হামাস তাদের ইহুদি বন্দিদের সম্মান করেছে। তাদেরকে আদর-যত্ন করে রেখেছে। নিজের জীবনের বিনিময়ে হলেও তাদের রক্ষা করেছে। কিন্তু বিপরীতে ইসরাইল ফিলিস্তিনি বন্দিদের সাথে কেমন আচরণ করেছে, তা তো সরেজমিন সবাই দেখেছে। কারা আল্লাহর প্রকৃত বান্দা, তা স্পষ্ট হয়ে গেছে। গতকাল মুক্তিপ্রাপ্ত একজন ইহুদি মা তার মেয়ের ব্যাপারে লিখেছেন- আমার মেয়ে বন্দি থাকা অবস্থায় নিজেকে গাজার রানি মনে করতেন।

সে হামাসের প্রতি কৃতজ্ঞ। ইসলাম বন্দিদের সাথে কখনোই নির্মম আচরণ করতে শেখায় না। পশ্চিমাদের দাসেরা, নির্লজ্জ জায়োনিস্টরা কোনো প্রমাণ ছাড়াই ফিলিস্তিনের ভূমির ওপর দখলদারিত্ব কায়েম করে আছে। তারা এই ভূমিতে নিজেদের বলে দাবি করে আসছে। এক ইহুদি সাংবাদিক একবার ইসরাইলের প্রথম প্রেসিডেন্ট ড. ওয়াইজম্যানকে বলেছিল- ফিলিস্তিন কীভাবে ইহুদিদের ভূমি হয়? উত্তরে ওয়াইজম্যান বলেছিল, কারণ, পূর্বে এই ভূমি ইহুদিদের ছিল। ইহুদিরা এখানে ৪০০ বছর রাজত্ব করেছে। তখন উক্ত ইহুদি সাংবাদিক বললেন, তাহলে তো স্পেনও মুসলমানদের। কারণ, সেখানে তারা ৬০০ বছর রাজত্ব করেছে। ড. ওয়াইজম্যান তখন অস্বীকার করে বললো, মুসলমানরা দখলদার ছিল। উক্ত ইহুদি সাংবাদিক বললেন, তাহলে বর্তমানে আপনারা যেটা করছেন, সেটা কি দখলদারিত্ব নয়? ড. ওয়াইজম্যান পরবর্তীতে আর কোনো জবাব দিতে পারেন নি। দেওয়ার কথাও নয়।