শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন
মোহাম্মদ হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার (তথ্য), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
প্রকাশ : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ
১৪ ডিসেম্বর শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস। এদিন জাতি মহান মুক্তিযুদ্ধে ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ডের শিকার, তার শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে ১৪ ডিসেম্বর গুরুত্বপূর্ণ ও ঘটনাবহুল একটি দিন। বাংলাদেশের বিজয় আসন্ন জেনে এদিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও আলবদর বাহিনী যৌথভাবে দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের তাদের বাসা থেকে একে একে তুলে নিয়ে পৈশাচিক নির্যাতনের পর নির্মমভাবে হত্যা করে। ১৯৭১ সালের ১০ ডিসেম্বর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়কালের মধ্যে পাকিস্তান সেনাবাহিনী বাংলাদেশের প্রায় সব প্রথম শ্রেণির বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করে। মহান মুক্তিযুদ্ধে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি জাতিকে মেধাশূন্য করার ঘৃণ্য চক্রান্ত করে। তারা তাদের এ দেশীয় দোসরদের নিয়ে শিক্ষক, বিজ্ঞানী, শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক, সাংবাদিক, শিল্পী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, আইনজীবী, ক্রীড়াবিদ, সরকারি কর্মকর্তাসহ বহু মানুষকে হত্যা করে। বিশেষ করে ১৪ ডিসেম্বর তারা ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ চালায়। মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের পর রাজধানীর রায়েরবাজার ইটখোলা ও মিরপুরের বধ্যভূমিসহ ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন স্থানে বুদ্ধিজীবীদের চোখ-হাত বাঁধা ক্ষতবিক্ষত মৃতদেহ পাওয়া যায়। এদিন দুপুর ১২টার দিকে সর্বপ্রথম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক এলাকার বাসা থেকে আলবদর বাহিনীর ‘চিফ এক্সিকিউটর’ আশরাফুজ্জামান খান এবং ‘অপারেশন ইনচার্জ’ চৌধুরী মুঈনুদ্দীনের উপস্থিতিতে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক মোফাজ্জল হায়দার চৌধুরীকে। এরপর দুপুর ১টার দিকে সেন্ট্রাল রোডের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক নাট্যকার মুনীর চৌধুরীকে। খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগল নিউজ চ্যানেলের। একই দিন সন্ধ্যায় কায়েতটুলির বাসা থেকে ধরে নিয়ে যাওয়া হয় সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক শহীদুল্লাহ কায়সারকে। এভাবে একে একে বহু বুদ্ধিজীবীকে নিজ নিজ বাসা থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় অজ্ঞাত স্থানে। ১৪ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনীর প্রধান লেফটেন্যান্ট জেনারেল মানেকশ পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্যে এক বার্তায় বলেন, ‘আমার সৈন্যরা এখন ঢাকাকে ঘিরে ধরেছে এবং ঢাকার ক্যান্টনমেন্টও এখন কামানের গোলার আওতায়।
সুতরাং আপনারা আত্মসমর্পণ করুন। আত্মসমর্পণ না করলে নিশ্চিত মৃত্যু। যারা আত্মসমর্পণ করবে তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হবে এবং তাদের প্রতি ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার করা হবে।’ গভর্নর হাউসে গভর্নর ডা. এমএ মালিকের সঙ্গে পূর্ব-পাকিস্তানের মন্ত্রিসভার সদস্যরা ১৪ ডিসেম্বর বৈঠকে বসেন। এ সময় বৈঠকের খবর শুনে ভারতীয় মিত্র বাহিনী সকাল সোয়া ১১টার দিকে গভর্নর হাউসে বিমান হামলা চালায়। ফলে গভর্নর হাউস বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাণ বাঁচাতে গভর্নর এমএ মালিক দৌড়ে গিয়ে এয়ার রেইড শেল্টারে আশ্রয় নেন। এ সময় তিনি পদত্যাগ পত্র লিখে হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে পালিয়ে যান।
১৪ ডিসেম্বর বিকেলে পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানের কাছ থেকে লেফটেন্যান্ট জেনারেল আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজী যুদ্ধবিরতির জন্য প্রস্তাব অনুমোদন করেন। এরপর ঢাকার মার্কিন দূতাবাসে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের কাছে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব পাঠায়। ১৪ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা বদিউজ্জামান ও দুই ভাই যথাক্রমে শাহজাহান ও করিমুজ্জামানকে ঢাকার গোপীবাগের বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায় আলবদর বাহিনী। এটা ছিল ১৪ ডিসেম্বর ঢাকার উদ্বুত পরিস্থিতি। বাংলাপিডিয়া হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী বুদ্ধিজীবীদের সংখ্যা : শিক্ষাবিদ ৯৯১, সাংবাদিক ১৩, চিকিৎসক ৪৯, আইনজীবী ৪২ ও অন্যান্য (সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব, শিল্পী এবং প্রকৌশলী) ১৬ জন। ১৪ ডিসেম্বর ভারতের দিল্লিতে লোকসভার অধিবেশনে ভারতের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জগজীবন রাম বলেন, ‘পাকিস্তান আগেভাগে আক্রমণ করে যে ফায়দা লুটবে বলে আমরা আশা করেছিলাম তা হয়নি। ওদের সব মতলব ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। ভারতীয় বাহিনী বাংলাদেশে বিজয়ের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিজয় এখন হাতের মুঠোয়। কাশ্মীরেও ভারতীয় বাহিনী বহু পাকিস্তানিদের ঘাঁটি দখল করেছে। পাকিস্তানি বাহিনী দুই রণাঙ্গনেই চরমভাবে মার খাচ্ছে।’ ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিশ্চিত করে, পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর পূর্বাঞ্চলীয় কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আমীর আবদুল্লাহ নিয়াজী যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব মানতে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খানকে অনুরোধ করেছেন। মূলত এর আগে প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও জেনারেল নিয়াজী অপেক্ষায় ছিলেন কয়েকদিনের মধ্যেই মার্কিন সপ্তম নৌবিহার বঙ্গোপসাগরে এসে উপস্থিত হবে। আন্তর্জাতিক মহলে ১৪ ডিসেম্বর দিনটিতে মস্কোতে আফগানিস্তানের বাদশা মুহাম্মদ জহির শাহের সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় সোভিয়েত প্রেসিডেন্ট এনভি পদগোর্নি বলেন, ‘এশীয় উপমহাদেশে সাম্প্রতিক পরিস্থিতির অবনতি ঘটায় জনসাধারণ অতিমাত্রায় আতঙ্কিত। পাকিস্তানি কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নির্মমভাবে পূর্ব পাকিস্তানের জনসমষ্টির মৌলিক অধিকারগুলোর ও সুস্পষ্টভাবে ব্যক্ত ইচ্ছার দমন দেশের সেই অংশে পরিস্থিতির চরম অবনতি ঘটিয়েছে। প্রায় ১ কোটি শরণার্থীকে ভারতে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে। এশিয়ার দুটি প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সংঘর্ষ দানা বেঁধে উঠেছে। এ অঞ্চলে রক্তপাত বন্ধ করার পক্ষে, বাইরের শক্তিগুলোর কোনোরূপ হস্থক্ষেপ ছাড়াই জনসাধারণের আইনসম্মত অধিকারগুলো বিবেচনার মধ্যে রেখে শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক মীমাংসার পক্ষে সোভিয়েত ইউনিয়ন অবিচলভাবে দাঁড়িয়ে আছে। সেই এলাকায় স্থায়ী ও ন্যায়সঙ্গত শান্তি প্রতিষ্ঠার উপযোগী অবস্থা সৃষ্টির জন্য সোভিয়েত ইউনিয়ন চাপ দিয়ে যাচ্ছে। আমাদের দৃঢ় বিশ্বাস, যেসব কারণে ভারতীয় উপমহাদেশে পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে সেগুলো দূর করার বৈপ্লবিক উপায় হিসেবে পূর্ব পাকিস্তানে রাজনৈতিক মীমাংসার প্রশ্ন থেকে যুদ্ধবিরতির প্রশ্নটিকে বিচ্ছিন্ন করা চলে না।’ ১৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ফের ভেটো দেয় সোভিয়েত ইউনিয়ন। এর আগে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি উপমহাদেশে যুদ্ধ পরিস্থিতির অবসান জানিয়ে যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব উত্থাপন করলে সোভিয়েত ইউনিয়ন তৃতীয়বারের মতো ভেটো দেয়। এদিন মার্কিন প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দেয় ১১টি দেশ। অন্যদিকে পোল্যান্ড ও সোভিয়েত ইউনিয়ন বিপক্ষে ভোট দেয় আর ভোটদানে বিরত থাকে ব্রিটেন ও ফ্রান্স। ১৪ ডিসেম্বর একাধারে হানাদার মুক্ত হয়- কেশবপুর, মোড়েলগঞ্জ, শাহজাদপুর, শেরপুর, শিবগঞ্জ, উল্লাপাড়া, তাড়াইল, আক্কেলপুর, পাঁচবিবি, নবীনগর, সাভার, কালিয়াকৈর, গজারিয়া, মির্জাপুর, কাউখালি, চিলমারী, দোহাজারী, নাজিরহাট ও সান্তাহার রেল জংশন। ১৪ ডিসেম্বর ‘কে’ ফোর্সের নবম ও দশম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এবং বিভিন্ন কোম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা নারায়ণগঞ্জের মুড়াপাড়া জমিদার বাড়ির কাছাকাছি পৌঁছে যায়। এরপর তারা বালু নদীর পাড়ে অবস্থান নেন।
১৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে মুক্তিবাহিনী কুমিরায় হানাদার বাহিনীর অবস্থানের ওপর বড় ধরনের আক্রমণ চালিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরের দিকে এগিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন গফফারের নেতৃত্বে চতুর্থ বেঙ্গলের একটি দল চট্টগ্রাম-রাঙামাটি রোড ধরে কুমিরা পাহাড় অতিক্রম করে হাটহাজারির দিকে এগিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর লেফটেন্যান্ট শওকতের নেতৃত্বে গণবাহিনীর একটি কোম্পানি নাজিরহাট মুক্ত করে একটি সেতু মেরামত শুরু করে। ১৪ ডিসেম্বর ক্যাপ্টেন জাফর ইমামের নেতৃত্বে দশম ইস্ট বেঙ্গলের মুক্তিযোদ্ধারা দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পৌঁছায়।
১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর একটি ব্রিগেড বার্মায় পালানোর সময়ে মুক্তিবাহিনীর হাতে ধরা পড়ে। ১৪ ডিসেম্বর সিলেটে চিকনাগুল চা বাগানে যুদ্ধ চলমান থাকে। মুক্তিবাহিনীর আক্রমণে হানাদার বাহিনী খাদিমনগরের দিকে পালিয়ে যায়। পরে বহু রাজাকার এ সময় মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে। এ যুদ্ধে তিনজন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ এবং চারজন আহত হন। ১৪ ডিসেম্বর হানাদার মুক্ত হয় বান্দরবান। এর আগে বান্দরবানের কালাঘাটা, ডলুপাড়া, ক্যানাই জ্যু পাড়াসহ কয়েকটি স্থানে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে ব্যাপক যুদ্ধ হয় মুক্তিবাহিনীর। এক পর্যায়ে টিকতে না পেরে হানাদার বাহিনী বান্দরবান ছেড়ে পালিয়ে যায়। ১৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ হানাদার মুক্ত হয়। এর আগে ১৩ ডিসেম্বর রাতে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার আমির হোসেন ভুলুর নেতৃত্বে শৈলাবাড়িতে হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। পরে এক পর্যায়ে টিকতে না পেরে ঈশ্বরদীর দিকে ট্রেনে করে পালিয়ে যায় হানাদার বাহিনী। পরে ১৪ ডিসেম্বর সকালে সিরাজগঞ্জ শহরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করা হয়। তথ্যসূত্রে- বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধ : দলিলপত্র সপ্তম, একাদশ, দ্বাদশ ও ত্রয়োদশ খণ্ড, দৈনিক পাকিস্তান, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১, দৈনিক যুগান্তর, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১, দৈনিক অমৃতবাজার পত্রিকা, ১৫ ডিসেম্বর ১৯৭১। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের রেখে যাওয়া আদর্শ ও পথকে অনুসরণ করে একটি অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক সুখী-সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়তে পারলেই তাদের আত্মত্যাগ সার্থক হবে। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ত্যাগ ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর ভূমিকা রাখতে হবে। পরিশেষে, দলমত নির্বিশেষে বিজয়ের এ মাসে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে একাত্তরের ঘাতক, মানবতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী এবং গণতন্ত্রবিরোধী অপশক্তির যেকোনো চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রা ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালনে অধিকতর ভূমিকা রাখতে হবে। আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার ২০০৯ সাল থেকে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে বুদ্ধিজীবী হত্যাকারী মানবতাবিরোধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় এনেছে। এর মধ্য দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মাশান্তি পেয়েছে; দেশ ও জাতি কলঙ্কমুক্ত হচ্ছে। এই কুখ্যাত মানবতাবিরোধীদের যারা লালনপালন ও রক্ষার চেষ্টা করছে, হয়তো তারাও একদিন বিচারের আওতায় আসবে, এটাই প্রত্যাশা।