ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বঙ্গবন্ধু টানেল : স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা

রেজাউল করিম খোকন
বঙ্গবন্ধু টানেল : স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শিতা

চট্টগ্রামে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল বাংলাদেশের যোগাযোগের ক্ষেত্রে আরেকটি নতুন সংযোজন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের সাফল্যের মুকুটে যোগ হয়েছে আরেকটি পালক। একসময় যে স্বপ্ন মনে হতো অসম্ভব, কর্ণফুলী নদীর তলদেশে সেই বঙ্গবন্ধু টানেলই আজ বাস্তব। কর্ণফুলী নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের জন্য ২০১৪ সালের ১০ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বেইজিংয়ে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল

সেই শুরু, তারপর প্রায় নয় বছরের পরিক্রমায় সম্পন্ন হয়েছে টানেলের নির্মাণকাজ। টানেলটি উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কর্ণফুলী নদীর এই দুই পারের কর্মযজ্ঞ বিবেচনায় নিয়ে নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়, যা চট্টগ্রাম শহর ও আনোয়ারা উপজেলাকে যুক্ত করেছে। ২০১৭ সালে প্রকল্পের কাজ শুরু হলেও ২০১৯ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় টানেল প্রকল্প এলাকার কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে সুইচ টিপে আনুষ্ঠানিকভাবে খনন কাজের উদ্বোধন করেন। প্রথম টিউব খননে ১৭ মাস সময় লাগলেও দ্বিতীয় টিউবটি খননের কাজ মাত্র ১০ মাসে শেষ করা হয়। তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যরে এই টানেলে প্রতিটি সুড়ঙ্গের দৈর্ঘ্য দুই দশমিক ৪৫ কিলোমিটার। টানেলের পূর্ব ও পশ্চিম ও প্রান্তে থাকছে পাঁচ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার সংযোগ সড়ক। এছাড়া ৭২৭ মিটার দৈর্ঘ্যরে একটি ওভারব্রিজ রয়েছে আনোয়ারা প্রান্তে। পতেঙ্গা নেভাল অ্যাকাডেমির পাশ দিয়ে নদীর তলদেশে ১৮ থেকে ৩১ মিটার গভীরতায় নেমে যাওয়া এই পাতাল পথ কর্ণফুলীর ওপারে আনোয়ারায় সিইউএফএল ও কাফকোর মাঝামাঝি এলাকা দিয়ে আবার ভূপৃষ্ঠে উঠেছে। ৩৫ ফুট প্রশস্ত ও ১৬ ফুট উচ্চতার টানেলে টিউব দুটির একটির সঙ্গে অপরটির দূরত্ব ১২ মিটারের মত। প্রতিটি টিউবে দুটি করে মোট চারটি লেইন আছে। টানেলের উত্তরে নগরীর দিক থেকে আউটার রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, কাঠগড় সড়ক, বিমানবন্দর সড়ক এবং পতেঙ্গা বিচ সড়ক দিয়ে টানেলে প্রবেশ করা যাচ্ছে। নদীর দক্ষিণে আনোয়ারায় রয়েছে কোরিয়ান ইপিজেড, চায়না ইপিজেড, সিইউএফএল ও পারকি সমুদ্র সৈকত। কর্ণফুলী পেরিয়ে আনোয়ারা দিয়েই বাঁশখালী, কক্সবাজার, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎকেন্দ্র ও মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাচ্ছে। টানেলের ভেতর গাড়ির গতিসীমা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ কিলোমিটার। টানেলে কোনো থ্রি হুইলার বা মোটর সাইকেল চলাচল করতে পারবে না।

টানেলের ভেতর হাঁটাও যাবে না। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ককে যুক্ত করেছে এই সুড়ঙ্গপথ। দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামের সঙ্গে দক্ষিণ চট্টগ্রামের যোগাযোগ আরো সহজ হয়েছে। কর্ণফুলী নদীর দুই পাড়ে চীনের সাংহাইয়ের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ গড়ে তুলতেই এই প্রকল্প। এশিয়ান হাইওয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন এবং ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজারের মধ্যে একটি নতুন সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা গড়ে তোলার লক্ষ্য। চট্টগ্রাম বন্দরের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে এবং প্রস্তাবিত গভীর সমুদ্র বন্দর নির্মাণের কাজ ত্বরান্বিত করতেও এই টানেল ভূমিকা রাখছে। নদীর তলদেশে নির্মিত দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম টানেল এটি। দুই টিউব সংবলিত মূল টানেলের দৈর্ঘ্য তিন দশমিক ৩২ কিলোমিটার। কর্ণফুলী নদী চট্টগ্রাম শহরকে দুইভাগে বিভক্ত করেছে। এক ভাগে রয়েছে নগর ও বন্দর এবং অন্য ভাগে রয়েছে ভারী শিল্প এলাকা। কর্ণফুলী নদীর ওপর ইতোমধ্যে তিনটি সেতু নির্মিত হয়েছে। তবে তা যানবাহনের চাপ সামলাতে যথেষ্ট নয়। এর বাইরে কক্সবাজার পৃথিবীর দীর্ঘতম সমুদ্রসৈকত, একে ঘিরে পর্যটন বাড়ছে। এর মধ্যে মহেশখালীতে গভীর সমুদ্রবন্দর ও অর্থনৈতিক অঞ্চল হচ্ছে। মাতারবাড়ীতে চলছে গভীর সমুদ্রবন্দর ও কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ। সব মিলিয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার একটি হাব হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনা আছে। চট্টগ্রামে বে-টার্মিনাল হচ্ছে।

দেশের সর্বদক্ষিণের জেলা কক্সবাজার। বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সমুদ্র সৈকতসহ পর্যটন নগরী কক্সবাজারে সড়ক, নৌ, বিমানপথে যোগাযোগের ব্যবস্থা থাকলেও এতদিন রেলপথে কোনো যোগাযোগের ব্যবস্থা ছিল না। তবে বর্তমান সরকার পর্যটন নগরীকে রেলওয়ে যোগাযোগের আওতায় নিয়ে এসেছে। এ লক্ষ্যে ২০১০ সালে প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। চালু হয়েছে ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচল। আর এর মাধ্যমেই খুলেছে রেলের দক্ষিণের দুয়ার। এতে কক্সবাজারের ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন মাত্রা যেমন যোগ হয়েছে, আবার ট্রেনে বসেই যাত্রীরা শুনতে পারছে সমুদ্রের উত্তাল গর্জন। চট্টগ্রামের দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার এবং রামু থেকে মিয়ানমার সীমান্তের ঘুমধুম পর্যন্ত সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় সরকার। ২০১০ সালে এই কাজ শুরু হয়ে প্রথম পর্যায়ে দোহাজারী থেকে রামু হয়ে কক্সবাজার পর্যন্ত ১০০ দশমিক ৮৩১ কিলোমিটার সিঙ্গেল লাইন ডুয়েলগেজ ট্র্যাক নির্মাণ করা হয়েছে। এই পথে রেলস্টেশন রয়েছে নয়টি। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় নির্মিত হয়েছে আইকনিক রেলস্টেশন। কক্সবাজার সদরের ঝিলংজায় ২০ একর জায়গায় নির্মিত ঝিনুকের আদলে দৃষ্টিনন্দন আইকনিক রেলস্টেশনে ছয়তলা ভবনের নিচ তলায় যাত্রীদের টিকিট কাটার ব্যবস্থা রয়েছে, অন্য তলায় রয়েছে যাত্রীদের জন্য নানা সুবিধা। এছাড়া ক্যান্টিন, হোটেল, মার্কেটসহ পাঁচ হাজার মানুষের ধারণক্ষমতার কনভেনশন সেন্টার রয়েছে কক্সবাজার আইকনিক রেলস্টেশনে। সেখানে কক্সবাজারসহ যে কোনো এলাকার মানুষ কনফারেন্স বা যে কোনো অনুষ্ঠান করতে পারবেন। পর্যটকরা যেন স্বাচ্ছন্দ্যে কেনাকাটা করতে পারেন সেজন্য মার্কেট স্থাপন করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা কক্সবাজারসহ বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ভ্রমণে এসে ঘোরাঘুরি শেষে দিনে দিনেই ফিরতে চাইলে নিজেদের জিনিসপত্র যেন রাখতে পারে সেই ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

ঢাকা-কক্সবাজার রেল চলাচলের ফলে ট্রান্স এশিয়ান রেলওয়ে করিডোরের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন হবে। পর্যটন শহর কক্সবাজারকে রেলওয়ে নেটওয়ার্কের আওতায় আনা হয়েছে। পর্যটক ও স্থানীয় জনগণের জন্য নিরাপদ, আরামদায়ক, সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব যোগাযোগ ব্যবস্থার প্রবর্তন এবং সহজে ও কম খরচে মাছ, লবণ, রাবারের কাঁচামাল এবং বনজ ও কৃষিজ দ্রব্যাদি পরিবহন করা যাচ্ছে। এর মধ্য দিয়ে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে পর্যটক ও ব্যবসায়ীদের জন্য তৈরি হয়েছে নতুন মাত্রা। ঢাকার সঙ্গে ট্রেনের যোগাযোগ ও দৃষ্টিনন্দন রেলস্টেশন নিয়ে উচ্ছ্বসিত তারা।

সড়ক পথের দীর্ঘ যাত্রার ভোগান্তি ছাড়াই পর্যটকরা এখন সহজেই ছুঁয়ে দেখতে পারছেন সমুদ্রের নীলজল। সড়কপথে ঢাকা থেকে কক্সবাজার আসতে যেখানে সময় লাগতো প্রায় সাড়ে ১১ ঘণ্টা, ট্রেনে আসতে সেখানে লাগছে মাত্র সাড়ে ছয় থেকে সাত ঘণ্টা। কমে এসেছে পরিবহন ব্যয়ও। ঢাকা থেকে এসি বাসে যেখানে দুই থেকে তিন হাজার টাকা খরচ হতো, সেখানে ট্রেনের এসি চেয়ারে বসে কক্সবাজার আসতে লাগছে মাত্র এক হাজার থেকে এক হাজার ২০০ টাকা। নন-এসি চেয়ার কোচে ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা খরচ হতে পারে। প্রাথমিকভাবে দুই জোড়া ট্রেন চলছে এই রুটে। পরে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। ঢাকা থেকে যেসব ট্রেন এখন চট্টগ্রাম পর্যন্ত আসে, সেইসব ট্রেনের শেষ গন্তব্য হয়েছে কক্সবাজার। এছাড়া সম্পূর্ণ নতুন একটি ট্রেন চালু হয়েছে এই রুটে। ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়েছে কক্সবাজার এক্সপ্রেস। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণ প্রকল্প নিয়ে উচ্ছ্বসিত স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী ও পর্যটকরা। কক্সবাজার থেকে ঢাকা যেতে বাস কিংবা চট্টগ্রামে গিয়ে ট্রেনে উঠতে হতো এতদিন। এতে সড়ক পথে যানজট বা ভ্রমণ করতে সমস্যা যেমন হতো, আবার সময়ও লাগত বেশি। ব্যবসায়ীদেরও সড়ক বা নৌপথে পণ্য পরিবহন করতে হতো। এতে অনেক সময় নানা সমস্যায় পড়তে হতো ব্যবসায়ীদের। রেল চলাচল শুরু হওয়ায় ঢাকা থেকে সরাসরি পণ্য পরিবহন করতে পারছেন কক্সবাজারের ব্যবসায়ীরা। বাড়ির কাছেই এসেছে চট্টগ্রাম বা ঢাকা যাওয়ার ট্রেন। ফলে সকালে বা রাতে যেকোনো সময় টিকিট কেটেই কোনো ধরনের ঝামেলা ছাড়া চট্টগ্রাম বা ঢাকায় চলে যেতে পারছেন। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় পর্যটকরা সহজেই কক্সবাজারে আসতে পারছেন। এতে পর্যটক আরো বেড়েছে পর্যটন নগরী কক্সবাজারে। এ ছাড়া অন্যান্য ব্যবসায়িক কাজে ও পণ্য পরিবহনে আগের তুলনায় অনেকটাই সহজ হয়েছে রেলপথ চালু হওয়ায়। সড়ক পথে ভ্রমণ কিংবা সড়কে যানজটের ফলে ভোগান্তি এড়িয়ে অনেকেই রেলপথে সহজেই পর্যটন নগরী কক্সবাজারে আসতে পারছেন। সমুদ্রের নীলজল দেখে মানসিক প্রশান্তি নিয়ে দুর্ভোগ এড়িয়ে মানুষ ফিরতে পারছেন নিজ গন্তব্যে। ঢাকা-কক্সবাজার রেলপথ নির্মাণের ফলে বদলে গেছে কক্সবাজারের দৃশ্যপট। এই অঞ্চলসহ দেশের পর্যটনেও যোগ হয়েছে নতুন দিগন্ত। এখন অর্থনীতির চাকাও ঘুরবে আরো দ্রুত। কক্সবাজারকে সিঙ্গাপুর বা উন্নত বিশ্বের পর্যটন নগরীর আদলে তৈরি করতে নানা পরিকল্পনা নিয়েছে বর্তমান সরকার। বিভিন্ন প্রকল্পে পুরো কক্সবাজারজুড়ে প্রায় তিন লাখ কোটি টাকার কাজ চলছে। ট্রেন চলাচল শুরু হওয়ায় ব্যবসা-বাণিজ্য বৃদ্ধিসহ পর্যটনে যোগ হয়েছে নতুন সম্ভাবনা। কক্সবাজার-ঢাকা রুটে রেলপথ চালু হওয়ায় এটি যোগাযোগ ব্যবস্থায় আমূল পরিবর্তন আনতে সক্ষম হয়েছে। এর মাধ্যমে সহজেই স্থানীয়রা কক্সবাজার থেকে সরাসরি ঢাকায় যেতে পারছেন। কক্সবাজারে রেলপথ চালু হওয়ায় অচিরেই এর মাধ্যমে এশিয়ান কানেক্টিভিটিতে যুক্ত হতে পারবে বাংলাদেশ। কক্সবাজারের ভূ-রাজনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনা করেই বর্তমান সরকার এখানে নানা উন্নয়ন পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে। এতে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনন্য দূরদর্শিতা প্রকাশ পায়।

অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে চলা বাংলাদেশের সফল রূপকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার যোগাযোগ খাতে অনেক সুখবর দিয়েছে। তার বিচক্ষণ নেতৃত্বে সারা দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন সূচিত হয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। যোগাযোগ ব্যবস্থায় একের পর এক নতুন নতুন প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নের মাধ্যমে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে গতিময় জীবনের পথে সামিল করেছেন। ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’র রূপকার জননেত্রী শেখ হাসিনা কম সময়ে যাতায়াতের সুযোগ সৃষ্টি করে বাংলার মানুষকে গতিময় জীবনের পথে সামিল করেছেন। এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাফল্যের একটি উজ্জ্বল নিদর্শন বলা যায়। টানা তিন মেয়াদের দেশ পরিচালনায় বঙ্গবন্ধুকন্যা, উন্নয়নের কারিগর, দেশরত্ন শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন এক অনন্য উচ্চতায়। এ কারণে দেশের সাধারণ মানুষ অনেক আনন্দিত।

উন্নয়নের ধারা এখানেই থেমে নেই। দেশজুড়ে চলছে এরকম আরো অনেক যুগান্তকারী উন্নয়ন কর্মকাণ্ড। এভাবেই আমরা ক্রমেই এগিয়ে চলেছি স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নের পথ ধরে সুবর্ণ এক গন্তব্যের দিকে। তার গৃহীত নানা পদক্ষেপে অমিত সম্ভাবনার নতুন বাংলাদেশকে তিনি বিশ্বাসযোগ্য করে তুলেছেন। আগামী দিনের বাংলাদেশ, অমিত সম্ভাবনার একটি দেশ-আজ এটি সবার কাছে স্পষ্ট। বাংলাদেশের অর্থনীতি দিনে দিনে ক্রমেই শক্তিশালি এবং বড় হচ্ছে। অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। সব বাধাবিঘ্ন, ষড়যন্ত্র, প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করছে বঙ্গবন্ধুকন্যা, প্রধানমন্ত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বে। বাংলাদেশের এই এগিয়ে চলা কোনোভাবেই থামানো যাবে না। আমাদের প্রত্যাশা, তার নেতৃত্বে আগামী দিনের সরকার শক্তভাবেই বাংলাদেশের হাল ধরবে, ইনশাআল্লাহ।

অবসরপ্রাপ্ত ব্যাংকার ও কলাম লেখক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত