ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মতামত

শীতার্তদের পাশে থাকা নৈতিক দায়িত্ব হয়ে উঠুক

মো. আনোয়ার হোসেন
শীতার্তদের পাশে থাকা নৈতিক দায়িত্ব হয়ে উঠুক

সারা দেশে পৌষের হাড় কাঁপানো শীত নেমেছে। পঞ্চগড়ের তাপমাত্রা নেমেছে ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকাসহ সারা দেশে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধি পেয়েছে। যদিও আগেভাগেই প্রকৃতিতে শীত তার আসার কথা জানান দেয়। শীতের মাস পৌষেই হিমেল হাওয়ায় প্রকৃতিতে নামে নীরবতা। এ মুহূর্তে বিরূপ আবহাওয়ার প্রভাবও নেই সমুদ্রে। যে কারণে শীতের তার ছোঁয়া চারিদিক। পাখিরা গাছের ডালে জবুথবু হয়ে থাকে। জমে যায় ঘাসের ওপর শিশির বিন্দু। এক সময় শীতকালে পিঠা তৈরির ধুম পড়ে যেত গ্রামের প্রতিটি ঘরে। খেজুর রসের সঙ্গে ভাপা পিঠা খাওয়ার সেই সোনালি দিনগুলো এখন আর খুব একটা চোখে পড়ে না। উচ্চবিত্ত আর মধ্যবিত্তদের কাছে শীতের দিন উৎসবের সময় হলেও নিম্নবিত্ত এবং সমাজে পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এই শীত নিয়ে আসে এক ভয়াবহ দুর্ভোগ। শীতে উত্তরাঞ্চল, দেশের বিভিন্ন রেলস্টেশন ও গ্রামাঞ্চলে সাত-সকালে দেখা মিলবে অসংখ্য দুঃখী মানুষের। গৃহহীন মানুষ, পথশিশুদের কষ্টের কোনো শেষ থাকে না শীতকালে। সড়কের পাশে, বাস ও ট্রেন স্টেশনে, বাজার-ঘাটে রাতের বেলা অনেক অসহায় মানুষকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। তারা খোলা আকাশের নিচে গায়ে ছালা আর শরীরে ছেঁড়া কাপড় জড়িয়ে কোনোমতে শুয়ে আছে। ক্ষণে ক্ষণে ঠান্ডায় কুঁকড়ে উঠছে। পাশে কুকুর, বেড়ালের আনাগোনা। ওরা তো অসহায়, ওদের কাছে নেই কোনো দৃষ্টি আকর্ষণ করার মতো উপাদান! আমরা যখন লেপ-কম্বল গায়ে জড়িয়ে দীর্ঘ রাত সুখ নিদ্রায় বিভোর তখন তাদের রাত কাটে নির্ঘুম অবস্থায় শীতের প্রকোপে জবুথবু হয়ে। যার পেটে ভাত নেই তার গায়ে গরম কাপড় জুটবে কীভাবে! আমরা কি পারি না তাদের সাহায্যে একটু এগিয়ে আসতে? শীত এলে শীতার্তদের পাশে দাঁড়ানোর কথা শোনা যায়। সমাজের সামর্থ্যবান জনদরদি মানুষ ব্যক্তিগতভাবে এবং সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও অন্যান্য সংগঠন, প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে কম্বল, শীতবস্ত্র, খাবার ইত্যাদি গ্রামে গ্রামে দরিদ্র মানুষের মধ্যে বিতরণ করেন।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত