তাইওয়ান নির্বাচনে কী বার্তা পেল বিশ্ব

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশ : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

উত্তেজনা আর নানা সমীকরণের মধ্যেই প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়ে গেল তাইওয়ানে। যুক্তরাষ্ট্র আর চীন, দুই দেশের কাছেই কৌশলগতভাবে তাইওয়ান খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চীন তাইওয়ানকে নিজস্ব ভূখণ্ড বলেই দাবি করতে ভালোবাসে। বিপরীতে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের স্বাধীনতাণ্ডসার্বভৌমত্বের পক্ষে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। নির্বাচন ঘিরে বাগযুদ্ধে আমেরিকা এবং চীন। কিন্তু চীনা হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ২০২২ সালের অগস্টে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন আমেরিকার হাউস অব রিপ্রেজেনটেটিভস-এর তৎকালীন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি। তার পর থেকে শুরু হয় নতুন করে উত্তেজনা। আবার তাইওয়ান ঘিরে প্রকাশ্য সংঘাতে আমেরিকা এবং চীন। উপলক্ষ্য, পূর্ব চীন সাগরের দ্বীপরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট এবং পার্লামেন্ট নির্বাচন। তার আগে বিশ্বের দুই বৃহৎ শক্তি পরস্পরের বিরুদ্ধে হস্তক্ষেপ এবং প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা’র অভিযোগ তুলল। চীনের তরফে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল, তাইওয়ানের ভোটে ওয়াশিংটন প্রভাব খাটানোর চেষ্টা করলে তার পরিণাম খারাপ হবে। সেই সঙ্গে কমিউনিস্ট পার্টি শাসিত একদলীয় চীনের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম জানায়, কোনো অবস্থাতেই ‘এক চীন নীতি’ থেকে সরে আসবে না বেজিং। তাইওয়ানের নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির (ডিপিপি) প্রার্থী লাই চিং তে। চীনের হুমকি উপেক্ষা করে তাকে নির্বাচিত করেছে দেশটির জনগণ। স্থানীয় সময় গতকাল বিকাল ৪টায় ভোটগ্রহণ শেষ হয়। এরপর শুরু হয় গণনা। সন্ধ্যার দিকে ঘোষণা করা হয় ফল। তাইওয়ানে এবারের প্রেসিডেন্ট ও পার্লামেন্ট নির্বাচনকে ‘যুদ্ধ ও শান্তির মধ্যে একটিকে বেছে নেয়া’ বলে অভিহিত করেছিল চীন।

তবে বেইজিংয়ের চোখরাঙানি উপেক্ষা করেই ক্ষমতাসীনদের ভোট দিয়েছে দেশটির ভোটাররা। বহুদিন ধরে কর্তৃত্ববাদী শাসন ও সামরিক আইন চলার পর ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে সরাসরি নির্বাচনের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট বেছে নেয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। তার পর থেকে তাইওয়ানে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত আছে। প্রতি চার বছর পর পর অনুষ্ঠিত হয় নির্বাচন। একজন সর্বোচ্চ দুই মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকতে পারেন। এটি তাইওয়ানের অষ্টম প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবারের নির্বাচনের জয়ী হওয়ার মাধ্যমে তাইওয়ানের ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টি তৃতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছে। এবারের নির্বাচনি দৌড়ে ছিলেন তিন রাজনৈতিক দলের তিন প্রার্থী। ক্ষমতাসীন ডেমোক্রেটিক প্রগ্রেসিভ পার্টির লাই চিং তে, বিরোধীদল কুয়োমিনতাংয়ের সদস্য এবং রাজধানী তাইপের মেয়র হো ইয়ু ইহ এবং ২০১৯ সালে গঠিত মধ্যপন্থি বিকল্প দল তাইওয়ান পিপলস পার্টির (টিপিপি) সদস্য ও তাইপের সাবেক মেয়র কো ওয়েন-জে। চীন তাইওয়ানকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ মনে করে এবং তাইওয়ান বিষয়ে চীনের এ দাবি নতুন কিছু নয়। বরং শি জিনপিং এই একত্রীকরণের বিষয়টিকে একটি লক্ষ্যে পরিণত করেছেন। যদিও এই হুমকি বিগত বছরগুলোতে খুব একটা কাজে আসেনি। বরং ক্ষমতাসীন ডেমোক্র্যাটিক প্রগেসিভ পার্টি বা ডিপিপি’কে ভোট না দিতে চীনের বারবারের হুমকি সত্ত্বেও উষ্ণ ও রৌদ্রজ্বল আবহাওয়ায় তাইওয়ানের লাখ লাখ মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়েছেন। তারা চিকিৎসক থেকে রাজনীতিকে পরিণত হওয়া ৬৪ বছর বয়সি সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম লাই চিং-তে কে বেছে নিয়েছেন তাইওয়ানকে নেতৃত্ব দেয়ার জন্য। যদিও বেইজিংয়ের দৃষ্টিতে তিনি একজন ট্রাবলমেকার বা সমস্যা সৃষ্টিকারী এবং বিপজ্জনক বিচ্ছিন্নতাবাদী। এখন তিনিই হবেন তাইওয়ানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট। তবে ডিপিপির জন্য এটা টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসা, যে দলটিকে চীন তাইওয়ানের স্বাধীনতার পক্ষের বলে মনে করে। এখন লাই কীভাবে বেইজিংকে ম্যানেজ করেন কিংবা বেইজিং বিষয়টি কীভাবে নেয়-মূলত এটিই তার শাসন বা প্রেসিডেন্সিকে নির্ধারণ করবে।

লাই অঙ্গীকার করেছেন, তার মেয়াদ হবে পূর্বসূরি সাই ইং-ওয়েনের ৮ বছরের শাসনের ধারাবাহিকতা। এমনকি নির্বাচন বিষয়ে তিনি যে ভাষণ দিয়েছেন তিনি সেখানে বেশ সতর্ক হয়েই কথাবার্তা বলেছেন এবং সংলাপ ও সহযোগিতার ডাক দিয়েছেন। নির্বাচনি প্রচারে পূর্বসূরি সাই ইং-ওয়েনের কথাই তিনি পুনর্ব্যক্ত করেছেন- স্বাধীনতা ঘোষণার প্রয়োজন নেই কারণ তাইওয়ান এখন একটি স্বাধীন-সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্র-এর নাম চীন প্রজাতন্ত্র-তাইওয়ান। যদিও লাই অনেক বেশি সতর্ক প্রেসিডেন্ট সাইয়ের চেয়ে, তাকে বেশি স্পষ্টভাষী বলেই বিবেচনা করা হয়। তিনি ডিপিপির কমিটিতে উঠে এসেছিল নিউ ওয়েভ অংশের সদস্য হিসেবে যারা তাইওয়ানের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণার পক্ষে। লাই ও তার রানিং মেট সিয়াও বি-খিম দুজনই বেইজিংয়ের কাছে খুবই অপছন্দের ও অবিশ্বস্ত। তাদের দুজনের মূল চীনা ভূখণ্ড ও হংকং ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে চীন। মিজ সিয়াও এর বাবা তাইওয়ানিজ কিংবা মা আমেরিকান। তিনি নিজেও সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রে তাইওয়ানের প্রতিনিধি ছিলেন।

এসব কারণে চীন নতুন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সংলাপে যাবে- এটা খুবই অনিশ্চিত। উভয়পক্ষের মধ্যে ২০১৬ সাল থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো যোগাযোগও নেই। তাইওয়ান মূল চীনের অংশ- এটা মানতে মিজ সাই অস্বীকৃতি জানানোর কারণে চীন ক্ষুব্ধ হয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। সম্প্রতি ভোটের রায়ের আরেকটি মানে হলো তাইওয়ানকে ঘিরে উত্তেজনা অব্যাহত থাকা এবং প্রতিদিনই চীনা জাহাজ এবং সামরিক বিমানের অনুপ্রবেশের ঘটনা ঘটতে থাকা। চীন সামরিক শক্তি প্রদর্শন করে তার অসন্তুষ্টির বার্তা দিতে পারে, যেমনটি তারা করেছিল ২০২২ সালে তখনকার যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইপে সফরের সময়। তাইপে তখন চীনের বিরুদ্ধে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ এনেছিল। তাইওয়ানের বিভিন্ন কোম্পানি, পণ্য ও ব্যক্তির ওপর নিষেধাজ্ঞাও দিতে পারে। চীনা সামরিক বাহিনীকে মোকাবিলার জন্য লাইয়ের কৌশল হতে মিস সাই যা করে গেছেন তাকে অনুসরণ করা।

তিনি তাইওয়ানের সামরিক বাহিনীর জন্য আরো ব্যয়, সাবমেরিন তৈরির কর্মসূচি চালু রাখা এবং যুক্তরাষ্ট্র, জাপান ও ইউরোপের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। মিস সাই বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি করেছিলেন। তবে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কিছু বিষয় উদ্বেগের হতে পারে যে লাইয়ের শাসনকাল তার স্বাধীনতাকামী রাজনীতির অভিজ্ঞতার কারণে কোনো উস্কানির তৈরি করে কি না। যদিও তার রানিং মেট মিস সিয়াও বাইডেন প্রশাসনের কাছে আশ্বাসমূলক। হয়তো তিনি যুক্তরাষ্ট্রকে আশ্বস্ত করার ক্ষেত্রে নেতৃত্ব দিবেন যে লাই বেইজিংকে কোন উস্কানি দেবেন না বলে বিশ্বাস করা যায়। লাই যতই সতর্কতার সাথেই খেলুন না কেন, বেইজিং তার জয়ের মধ্যে যে বার্তা পেয়েছে সেটি উপেক্ষা করতে পারে না। নির্বাচনটি বলছে প্রতিযোগিতাটি ছিল খুবই প্রতিদ্বন্দ্বিতার; কিন্তু ডিপিপি জিতেছে বড় ব্যবধানে। তারা চীনকে বলেছে যে আমরা আর তোমার কথা শুনব না। আমাদের ভবিষ্যৎ আমরাই ঠিক করব। সুতরাং আমাদের নির্বাচনের সময় শি জিনপিংকে চুপ থাকা শেখা প্রয়োজন। হউ ইউ-ই এবং প্রধান বিরোধী দল কেএমটি তাদের প্রচারে যে ভয়টি তুলে ধরেছে তাহলো চীন তাইওয়ানে আক্রমণ করতে পারে। কেএমটির জয় হলে সেটি সম্ভবত তাইওয়ানে সামরিক হস্তক্ষেপের বিষয়টিকে সরিয়ে দিতো বরং বেইজিং তখন হউ এর সাথে সংলাপ হতো। শি তাইওয়ানে কেএমটির সবশেষ প্রেসিডেন্ট মা ইং জেও এর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন ২০১৫ সালে। ১৯৪৯ সালে চীনের গৃহযুদ্ধের পর এটাই ছিল চীন ও তাইওয়ানের নেতাদের মধ্যে প্রথম সাক্ষাৎ। যারা কেএমটির বিরোধিতা করে তাদের অভিযোগ হলো দলটি চীনের কাছে আত্মসমর্পণকারীর মতো আচরণ করে এবং প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় আটকে দেয়া ও সামরিক সেবা কমিয়ে দেয়ার মাধ্যমে তাইওয়ানের প্রতিরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না। এই ভয়ও আছে কেএমটি সরকার তাইওয়ানকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলতে পারে। এর ফলে যুক্তরাষ্ট্রের মতো সহযোগী দেশগুলো প্রশ্ন তুলতে পারে যে তাইওয়ান যেখানে নিজেই তার প্রতিরক্ষাকে গুরুত্ব দেয় না, সেখানে তারা কেন এগিয়ে আসবে। তাইওয়ান এখন জিডিপির আড়াই শতাংশ প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় করে। যা দক্ষিণ কোরিয়ার মতো ওই অঞ্চলের অন্য দেশগুলো বা যুক্তরাষ্ট্রের তুলনায় অনেক কম। এসব কারণে ভোটারদের পছন্দ করার সুযোগ ছিল অনেকটাই পরিষ্কার। তার বেইজিংয়ের দিক থেকে আসা সম্ভাব্য বিপদ সম্পর্কে সচেতন এবং তারা চায় সংলাপ। কেএমটি অবশ্য তাইওয়ানের তরুণ ভোটারদের কাছে কোনো আবেদন নিবেদনই করেনি, যারা নিজেদের চীনা না ভেবে তাইওয়ানিজ ভাবতে পছন্দ করে। গত কয়েক মাসে তাইওয়ানের অনেক বড় ক্ষতি হয়েছে। এর নির্বাচনটি ছিল ব্যাপক আলোচনার বিষয় এবং এর গণতন্ত্র অল্প দিনের। তবে ভোটারদের উৎসাহ ছিল স্পষ্ট। যদিও একই সময়ে বাড়ির দাম বেড়ে যাওয়া, বেতন না বাড়ানো ও চাকরি সুযোগ কমে যাওয়ার কারণে ডিপিপির ওপর থেকেও দৃষ্টি সরিয়ে নিয়েছিল অনেক ভোটার। এসব কারণে ডিপিপি জিতলেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। কেএমটিকে সঙ্গে নিয়ে তাইওয়ান পিপলস পার্টির অবস্থান শক্ত হয়েছে আইনসভায় যা লাইয়ের এজেন্ডাকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে। প্রেসিডেন্ট লাইয়ের পথ খুব একটা সহজ ছিল না। এখনো তাকে প্রস্তুত থাকতে হবে হোয়াইট হাউজে যদি ডোনাল্ড ট্রাম্প আবার ফিরে আসে। লাই নির্বাচনে জয় পাওয়ার পর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে, তাইওয়ান হয়তো স্বাধীনতা পাওয়ার চেষ্টা চালাতে পারে। এ প্রেক্ষাপটে এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাইডেন বলেন, আমরা তাইওয়ানের স্বাধীনতাকে সমর্থন জানাই না। নিজেদের পাশেই অবস্থিত স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চল তাইওয়ানকে নিজ অংশ হিসেবে দাবি করে চীন। তবে ১৯৯৬ সাল থেকে তাইওয়ানে চলছে গণতান্ত্রিক ধারা। এর আগে তাইওয়ান সামরিক শাসন এবং কর্তৃত্ববাদী শাসনের দ্বারা জর্জরিত ছিল। তাইওয়ানের সঙ্গে যুক্ত রাষ্ট্রের কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই। তা সত্ত্বেও দেশটিকে সামরিক সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র। চীনের আশঙ্কা মার্কিনিদের সহায়তায় একটা সময় স্বাধীনতা চেয়ে বসবে তাইওয়ান। বাইডেন প্রশাসনের আশঙ্কা নতুন নির্বাচন এবং তাইওয়ানের নতুন প্রশাসন বেইজিংয়ের সঙ্গে চলমান দ্বন্দ্ব আরো বৃদ্ধি করবে। যুক্তরাষ্ট্র আর চীনের সম্পর্ক ১৯৮৯ সালের তিয়ানানমেন স্কোয়ারের হত্যাকাণ্ডের পর এখন সবচেয়ে খারাপ। কোভিড-১৯ নিয়ে ক্ষোভ এবং সন্দেহ, বাণিজ্য যুদ্ধ, হুয়াওয়ে নিয়ে তদন্ত, পরস্পরের কনস্যুলেট বন্ধ করে দেয়া, সাংবাদিক বহিষ্কার-এরকম নানা ঘটনা দুদেশের সম্পর্কে তিক্ততা বাড়িয়েছে। তবে দুতরফেই এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা পরবর্তী মার্কিন প্রেসিডেন্ট যিনিই হোন, তার প্রতি আহ্বান জানাচ্ছেন, এই শত্রুতা পরিহার করার জন্য। চীনের সঙ্গে আবার আলোচনায় লিপ্ত হওয়ার জন্য। তবে বেশিরভাগ বিশেষজ্ঞের মত হচ্ছে, পুরোনো কায়দায় আলোচনায় খুব বেশি ফল পাওয়া যাবে না, সেটা ব্যর্থ হয়েছে। তাদের মতে, নতুন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে এক নতুন ধরনের কৌশলের কথা ভাবতে হবে। সেটা হতে হবে অনেক বেশি অকপট, অনেক বলিষ্ঠ। তাইওয়ান এবং এশিয়ার অন্য মিত্রদের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রকে তার বাধ্যবাধকতা এবং মনোভাব আরো বেশি স্পষ্ট করে বলতে হবে।