শীতার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে

মো. লোকমান হেকিম

প্রকাশ : ২২ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

শীতের তীব্রতা মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্মকে ব্যাহত করে। শীতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় বৃদ্ধ ও শিশুরা। পশু-পাখি, জীবজন্তুর কষ্ট অপরিসীম। অনেকেই আছে শীতে অতিরিক্ত কাবু হয়ে পড়ে। কিছুতেই বিছানা ছেড়ে উঠতে চায় না। আমাদের দেশে শহর-নগরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে শীতের তীব্রতা প্রাকৃতিক কারণেই বেশি। গ্রামাঞ্চলের অনেক মানুষের জন্য তা বয়ে এনেছে বাড়তি কষ্ট ও দুর্ভোগ। বিশেষ করে চরাঞ্চলে। শীতের তীব্রতা বাড়ায় বিপাকে পড়েছে শ্রমজীবী মানুষ। ছিন্নমূল ও নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। সেচনির্ভর বোরো আবাদের ভরা মৌসুমে কৃষকরা অনেক কষ্টে জমিতে কাজ করছে। গ্রামের হাটবাজার ও শহরে লোকসমাগম কমে গেছে। শিশু ও বৃদ্ধরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। শীতজনিত রোগে আক্রান্তদের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে হাসপাতালে। শীতে উচ্চবিত্ত আর মধ্যেবিত্তদের তেমন কোনো সমস্যা নেই। কিন্তু নিম্নবিত্ত এবং পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য এই শীত নিয়ে এসেছে এক ভয়াবহ দুর্ভোগ। তারা প্রয়োজনীয় কাপড় না থাকার কারণে শীতে প্রচণ্ড রকমের কষ্ট করে। বিশেষ করে, গৃহহীন মানুষ, পথশিশুদের কষ্টের কোনো শেষ নেই এই শীতকালে। আমাদের প্রত্যেকের উচিত, নিজ নিজ অবস্থান থেকে তাদের কষ্ট লাঘবের জন্য চেষ্টা করা। তাহলে হয়তো এই শীতার্ত মানুষগুলোর কষ্ট কিছুটা কমে আসবে। আমাদের সমাজে সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের জন্য শীতকাল হলো এক ধরনের অভিশাপ। সুবিধাবঞ্চিত মানুষগুলো গ্রীষ্মকালে বা গরমের দিনে ফুটপাত, রেলস্টেশন ও বস্তিতে থাকতে পারে। কিন্তু শীতকালে তাদের জন্য ফুটপাত কিংবা রেলস্টেশনে থাকা খুবই কষ্টকর বা অসহনীয়। তাছাড়া শীতে তাদের মাঝেমধ্যে না খেয়েও থাকতে হয়। শৈত্যপ্রবাহের রুষ্টতা থেকে রক্ষা পাওয়ার ন্যূনতম ব্যবস্থাপনাও তাদের থাকে না। ফলে অসহায় ও হতদরিদ্রদের কষ্ট শুধু বেড়েই যায়। বৃদ্ধ, শিশু ও ফুটপাতের গরিব মানুষ গরম কাপড়ের অভাবে মারাও যায়। দেশের বিভিন্ন স্থানে শীতের তীব্রতা বেড়েছে। শৈত্যপ্রবাহ আর ঠান্ডা দেশের উত্তরাঞ্চলের নিম্নআয়ের মানুষ অত্যন্ত কষ্টে দিনাতিপাত করছে। সেই সঙ্গে ডায়রিয়া, জ্বর, হাঁচি, কাশি, শ্বাসকষ্টসহ ঠান্ডাজনিত রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হচ্ছে শিশুরা। এক্ষেত্রে শীতার্তদের জন্য আমাদের অনেক কিছুই করণীয় আছে। তাই আসুন, অসহায় ও আর্তমানবতার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করি।