ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাজারদর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

কারসাজি করে দাম বাড়ালে জেলে পাঠানোর হুমকি
বাজারদর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি

কারসাজি করে পণ্যের দাম বৃদ্ধিকারীদের খুঁজে বের করা হবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাজার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার পাশাপাশি অভিযুক্তদের শাস্তির আওতায়ে এনে জেলে পাঠানোর হুমকিও দিয়েছেন। গত সোমবার রাতে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের জরুরি সভার স্বাগত বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এমন বার্তা দিলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, অস্বাভাবিকভাবে ও দুরভিসন্ধি মজুতকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেশে আর কখনো অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে না। বাজার নিয়ে কেউ যেন কোনো খেলা খেলতে না পারে দেশবাসীকে সে ব্যাপারে সজাগ থাকতে হবে। ফসল ভালো এবং চাল উৎপাদন বাড়ার পরও ভরা মৌসুমে হঠাৎ দাম বেড়ে যাওয়াটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দাম বাড়ানোর পেছনে যারা আছে, তাদের বের করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তেনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অযথা ধুম্রজাল সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। করোনাভাইরাসের অতিমারি এবং এর পর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধ; অতপর নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে তারা বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে। শুধু বাংলাদেশ না উন্নত দেশগুলোও ধাক্কা সামলাতে পারছে না। বাংলাদেশ ১৭ কোটি মানুষের দেশ। যেসব জিনিস বাইরে থেকে আনতে হয় সেগুলোর উচ্চমূল্য এবং পরিবহন ব্যয় বেড়েছে। যে কারণে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। মানুষের খাবার নিয়ে খেলা করার তো কোনো অর্থ হয় না। আর এই ভরা মৌসুমে চালের দাম বেড়ে যাওয়ার কথাও না। বরং এ সময় তো জিনিসের দাম আরও কমে। নির্বাচন-পরবর্তী চালের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আরো বলেছেন, দুরভিসন্ধিমূলকভাবে চালসহ নিত্যপণ্য মজুত করলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিয়ে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হবে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘এবারও আমাদের ফসল ভালো হয়েছে, চাল উৎপাদন বেড়েছে। এর পরও হঠাৎ দাম বাড়াটা, এ রকম ভরা মৌসুমে এটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এটার পেছনে কারা আছে একান্তভাবে বের করা দরকার। শুধু দরকার না, এদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নিতে হবে এবং এটা আমরা ভবিষ্যতে করব। তরিতরকারি ও ফলমূল সরবরাহের কোনো অভাব নেই জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি, তার ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে। দেশের উন্নয়ন বজায় থাকার কথা জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, যারা বাধা দিতে চেষ্টা করবে, তারা যাতে উপযুক্ত জবাব পায়, সেই ব্যবস্থাটা করতে হবে। সেটা রাজনৈতিকভাবে কিংবা অন্য যেকোনোভাবে সেটা করতে হবে। কারণ, দেশের মানুষ স্বস্তি পেয়েছে গত ১৫ বছরে। আওয়ামী লীগ আবার সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পাওয়ার পর দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখার ওপর সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে। দেশের পণ্যের মূল্য যদি মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকে তাহলে মানুষের সংসার পরিচালনায় তেমন কোনো সংকট হওয়ার কথা নয়।

আগামী রমজান মাসে মানুষ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে যাতে কোনো প্রকার সমালোচনা করতে না পারে, সেটি নিশ্চিত করতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত