ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ইয়েমেন হামলার নেপথ্যে কী আছে

রায়হান আহমেদ তপাদার
ইয়েমেন হামলার নেপথ্যে কী আছে

চলতি মাসের ১১ জানুয়ারি ২০২৪, ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিভিন্ন সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন বিমানবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, ইরান-সমর্থিত হুতিদের ১৬টি অবস্থানের ৬০টির বেশি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। এসব লক্ষ্যবস্তুর মধ্যে রয়েছে তাদের নেতৃত্ব ও নিয়ন্ত্রণকেন্দ্র, যুদ্ধাস্ত্রের ডিপো, উৎক্ষেপণ ব্যবস্থা, অস্ত্র উৎপাদন কারখানা ও বিমান প্রতিরক্ষা রাডার সিস্টেম। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে যৌথভাবে চালানো এ হামলার অর্থ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা লোহিত সাগরে চলা জাহাজে হুতিদের হামলা সহ্য করবে না। মার্কিন এ অভিযানে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন ও নেদারল্যান্ডসের সমর্থন রয়েছে। ইসরায়েল-সংশ্লিষ্ট জাহাজ লক্ষ্য করে হুতিদের চালানো হামলার প্রতিক্রিয়ায় এটাই পশ্চিমাদের প্রথম বড় সামরিক পদক্ষেপ। হুতিদের হামলা বৈশ্বিক শিপিং ব্যবস্থার জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠেছে। এর জেরে এরই মধ্যে মায়ের্স্কের মতো বৃহৎ কোম্পানি লোহিত সাগরে তাদের জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছে। তবে ডেমোক্রেটিক ও রিপাবলিকান-উভয় দলের বেশ কয়েক আইনপ্রণেতা মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের এ পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তাদের অভিযোগ, বাইডেন মার্কিন সংবিধানের এক অনুচ্ছেদ লঙ্ঘন করেছেন। মার্কিন সংবিধানের এক অনুচ্ছেদে কী বলা আছে যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধানের এক অনুচ্ছেদ অনুযায়ী যেকোনো যুদ্ধের জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন নিতে হবে। তবে ইয়েমেনে চালানো হামলার ক্ষেত্রে বাইডেন কংগ্রেসকে জানিয়েছেন, তবে তিনি কোনো অনুমোদন চাননি। অনুচ্ছেদটি মার্কিন প্রেসিডেন্টের যুদ্ধে জড়ানোর ক্ষমতার পরিমাপ ও নিয়ন্ত্রণের উপায় হিসেবে দীর্ঘদিন ধরে বিবেচিত হয়ে আসছে। অনুচ্ছেদ ১-এর ধারা ৮ কংগ্রেসকে যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা দিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, যুদ্ধ ঘোষণা করার ক্ষমতা থাকবে কংগ্রেসের। অনুচ্ছেদটির সুনির্দিষ্ট একটি অংশে সামরিক পদক্ষেপের জন্য সুস্পষ্টভাবে কংগ্রেসের অনুমোদনের প্রয়োজনের কথা বলা হয়েছে। সেটি এর ১০-এর তৃতীয় ধারা। ডেমোক্রেটিক পার্টির আইনপ্রণেতা প্রমিলা জয়াপাল এ হামলাকে সংবিধানের লঙ্ঘন উল্লেখ করেছেন। তারা মতে, এটা অগ্রহণযোগ্য। একই কথার প্রতিধ্বনি করেছেন আরেক ডেমোক্র্যাট আইনপ্রণেতা কোরি বুশ। তিনি লিখেছেন, জনগণ চায় না যে, আমাদের আরো করের টাকা অন্তহীন যুদ্ধের পেছনে ব্যয় হোক এবং বেসামরিক মানুষের প্রাণহানি হোক। বোমাবাজি বন্ধ করুন ও আমাদের জন্য ভালো কিছু করুন। সংবিধানের ১ অনুচ্ছেদ লঙ্ঘনের প্রশ্নে অন্য প্রগতিশীল আইন- প্রণেতারাও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইয়েমেনে চালানো সামরিক অভিযানের নিন্দা করেছেন। তাদের মধ্যে রয়েছেন রশিদা তালিব, মার্ক পোক্যান ও রো খান্না। যাহোক, শুধু ডেমোক্র্যাটরাই বাইডেনের সাম্প্রতিক এ হামলার ব্যাপারে আপত্তি জানিয়েছেন। রিপাবলিকান টেক্সাসের কংগ্রেসম্যান চিপ রয় লিখেছেন, গুরুত্বপূর্ণ শিপিং চ্যানেল রক্ষায় ও আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ইয়েমেনে চালানো হামলার ক্ষেত্রে আমার দ্বিমত নেই। কিন্তু কংগ্রেসের অনুমোদন না থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। তার সোজাসুজি জিজ্ঞাসা, কোনো কর্তৃপক্ষের অধীন এটি করা হয়েছিল? তবে মিচ ম্যাককনেল, জনি আর্নস্ট, রজার উইকার, রিক স্কট, লিন্ডসে গ্রাহামসহ আরো কিছু রিপাবলিকান নেতা বাইডেনের সিদ্ধান্তের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছেন। তারা মনে করেন, এ হামলা প্রাপ্য ছিল। হামলার পক্ষে যারা, তারা কী বলছেন, ইয়েমেনে চালানো এ হামলার পক্ষে যৌথভাবে বিবৃতি দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা, ডেনমার্ক, জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র। দেশগুলোর দেওয়া ওই বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বতন্ত্র ও সম্মিলিতভাবে থাকা আত্মরক্ষার অধিকারের ভিত্তিতে এ হামলা চালানো হয়েছে। এই পদক্ষেপ জাতিসংঘ সনদের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। হামলার ন্যায্যতা তুলে ধরতে বাইডেন প্রশাসন ও এর সহযোগীরা যুদ্ধের ক্ষমতা আইনের আরেকটি ধারা সম্ভবত উদ্ধৃত করতে যাচ্ছে। ১৯৭৩ সালের নভেম্বরে মার্কিন কংগ্রেসে ‘দ্য ওয়ার পাওয়ারস রেজল্যুশন’ পাস হয়। এটিই ‘যুদ্ধের ক্ষমতা আইন’ নামে পরিচিত। এ আইন অনুসারে সামরিক পদক্ষেপের ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট তা কংগ্রেসকে জানাবেন এবং কংগ্রেস যদি আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধ ঘোষণা না করে বা সামরিক পদক্ষেপের অনুমোদন না দেয়, তাহলে ওই সামরিক পদক্ষেপ শুরুর ৬০ দিনের মধ্যে তার সমাপ্তি টানতে হবে। বাইডেন এক প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, তিনি যদি ২০২৪ সালে নির্বাচিত হন, তবে তিনি বড় কোনো যুদ্ধ শুরুর জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চাইবেন। তবে তিনি বিশ্বাস করেন, কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই বিদেশে সীমিত মার্কিন সামরিক অভিযান পরিচালনা করার ক্ষমতা তিনি রাখেন, যখন তা যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে বাইডেনের এ প্রতিক্রিয়ার ওপর নিউইয়র্ক টাইমস প্রেসিডেন্ট প্রার্থীদের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছিল। বাইডেনের এই অবস্থান ছিল ২০০৭ সালের সম্পূর্ণ বিপরীতে। ওই সময় মার্কিন দৈনিক বোস্টন গ্লোবের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, সংবিধানে পরিষ্কার বলা আছে : কোনো হামলা বা আসন্ন হামলার হুমকির প্রতিক্রিয়া ছাড়া শুধু কংগ্রেস যুদ্ধ ও বলপ্রয়োগের অনুমোদন দিতে পারে। মার্কিন প্রেসিডেন্টরা কি সব সময় হামলার জন্য কংগ্রেসের অনুমোদন চেয়েছেন? উত্তর হলো না। এমনটা অনেকবারই ঘটেছে, মার্কিন প্রেসিডেন্টরা কংগ্রেসের অনুমোদন না নিয়েই সামরিক হামলা চালিয়েছেন। গত ডিসেম্বরে ইরাকের তিনটি স্থানে হামলা চালায় মার্কিন সামরিক বাহিনী। এ হামলার লক্ষ্য ছিল ইরান-সমর্থিত প্রধান সশস্ত্র গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহ ও এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নামহীন গোষ্ঠী। বাইডেন এ হামলার আগে কংগ্রেসের অনুমোদন চাননি। এর আগে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সিরিয়ায় বিমান হামলার নির্দেশ দিয়ে ছিলেন বাইডেন, যা নিয়ে ওই সময় আইনপ্রণেতারা সমালোচনা করেছিলেন। ২০২০ সালের জানুয়ারিতে কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়াই ইরানের সামরিক কমান্ডার কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার আদেশ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ আদেশের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ডেমোক্র্যাটরা। ২০১১ সালের মার্চে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই লিবিয়ায় বিমান হামলার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ওবামা এ ক্ষেত্রে যুক্তি দেখিয়েছিলেন, লিবিয়ায় ওই লড়াই কোনো শত্রুতা থেকে নয়, যাতে কংগ্রেসের অনুমোদন নেওয়ার প্রয়োজন আছে। আরেক সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনও একই পথে হেঁটেছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন ১৯৯৯ সালে তিনি কংগ্রেসের আনুষ্ঠানিক অনুমোদন ছাড়াই কসোভোয় সার্বিয়ার বিরুদ্ধে ন্যাটোর বোমা হামলাকে জোরদার করেছিলেন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেছেন, অস্ট্রেলিয়া, বাহরাইন, কানাডা ও নেদারল্যান্ডসের সহযোগিতায় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হুতি বিদ্রোহীদের ব্যবহৃত এলাকাগুলোতে হামলা চালিয়েছে। হুতি কর্মকর্তা আবদুল কাদের আল-মোরতাদা এক্স অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক পোস্টে লিখেছেন, মার্কিন-জায়নবাদী-ব্রিটিশ আগ্রাসনকারীরা ইয়েমেনের রাজধানী সানা, হোদেইদাহ গভর্নরেট, সাদা ও ধামারে হামলা চালিয়েছে। হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বাইডেন বলেন, লোহিত সাগরে আন্তর্জাতিক সমুদ্রসীমায় চলাচলকারী জাহাজের ওপর হুতিদের হামলার জবাবে এসব হামলা চালানো হয়েছে। বাইডেনের দাবি, হুতিদের হামলার কারণে মার্কিন কর্মকর্তা, বেসামরিক নাবিক ও আমাদের সহযোগীদের জীবন বিপন্ন হয়ে পড়েছে। গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ২৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। যুদ্ধবিরতির আন্তর্জাতিক চাপ উপেক্ষা করে সামরিক অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল এই হামলায় সমর্থন দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা দেশগুলো। গাজায় হামলার প্রতিবাদে আরব সাগর ও লোহিত সাগরে নানাভাবে জাহাজ চলাচলে বাধা দিচ্ছেন হুতি বিদ্রোহীরা। বিশেষ করে ইসরায়েল ও তার মিত্রদের জাহাজ চলাচলের ওপর তীক্ষè নজর রাখছে হুতি বাহিনী। কয়েকবার হামলাও চালিয়েছে। এতে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ব্যাহত হচ্ছে। নৌপথে এশিয়া ও ইউরোপের বাণিজ্যের উল্লেখযোগ্য অংশ লোহিত সাগর দিয়ে হয়ে থাকে। হুতি বিদ্রোহীদের মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের হামলা চালানোর বিষয়টি স্বীকার করেন। এদিকে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের এক বিবৃতির বরাতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান-সমর্থিত হুতিদের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, হুতিদের মানুষবিহীন আকাশযান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার ও বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু। ইয়েমেনে হুতিদের ওপর হামলার পর বিশ্বের বিভিন্ন দেশ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। এ হামলা আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতায় ইন্ধন জোগাবে বলে আশঙ্কা করেছে। রাশিয়া এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে। ইরান বলেছে, আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করে ইয়েমেনে হামলা চালানো হয়েছে। এ হামলা মধ্যপ্রাচ্যে আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতাকে ইন্ধন দেবে। সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বাড়বে। এছাড়া বাণিজ্য ও জাহাজ চলাচলের স্বাধীনতাও হুমকিতে পড়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট আরো বলেছেন, মানুষের সুরক্ষা ও বাণিজ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিত করতে আরো কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দিতে তিনি দ্বিধা করবেন না। এদিকে কয়েক মার্কিন কর্মকর্তা সাংবাদিকদের বলেছেন, ইয়েমেনে হুতিদের সামরিক শক্তির জায়গাগুলো লক্ষ্য করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য হামলা চালিয়েছে। এ ক্ষেত্রে পার্শ্ববর্তী স্থানগুলোতে ক্ষয়ক্ষতি এড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। ওই কর্মকর্তাদের অভিযোগ, বর্তমানে হুতিদের কর্মকাণ্ড যুক্তরাষ্ট্র ও গোটা বিশ্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের এক বিবৃতির বরাতে এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, বিদেশি জাহাজ লক্ষ্য করে ইরান-সমর্থিত হুতিদের রাডার, ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলার সক্ষমতাকে খর্ব করতেই এ হামলা চালানো হয়েছে। বিবৃতিতে অস্টিন বলেন, হুতিদের মানুষবিহীন আকাশযান, ব্যালিস্টিক ও ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, উপকূলীয় রাডার ও বিমান নজরদারি সক্ষমতার সঙ্গে যুক্ত স্থানগুলো এ হামলার লক্ষ্যবস্তু। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র যৌথ এক বিবৃতিতে বলেছে, লোহিত সাগরে উত্তেজনা নিরসন ও স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধার করাই আমাদের লক্ষ্য। তবে আমরা এটাও স্পষ্ট করতে চাই যে আমরা জীবন রক্ষা করতে সবকিছু করব। ক্রমাগত হুমকির মুখে বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যপথে অবাধে বাণিজ্য বজায় রাখতে সবকিছু করব। এক সপ্তাহ আগে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ আরো ১০ দেশ দক্ষিণ লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে আবারো হামলা চালালে পরিণতি ভোগ করার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত