মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর হাতে ব্যাপক নিপীড়নের শিকার হয়ে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেওয়ার ৬ বছর পার হয়ে গেলেও সংকট সমাধানে কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না। রোহিঙ্গাদের নিয়ে আগ্রহ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে বরং ফিকে হয়ে আসছে। পর্যবেক্ষকরা বলছেন, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক রাজনীতি এবং বাণিজ্যিক স্বার্থের কাছে ঘুরপাক খাচ্ছে রোহিঙ্গা সংকট। রোহিঙ্গাদের উচ্ছেদের কয়েক বছরের মধ্যেই মিয়ানমারে আবারো সেনা অভ্যুত্থান হয়েছে। যদিও মিয়ানমারে সেনাবাহিনী সবসময়ই সবকিছু পরিচালনা করেছে। সামরিক সরকার এখন মিয়ানমারে গণতন্ত্রপন্থি এবং বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে- এত কিছুর পরও মিয়ানমার কিংবা দেশটির সরকারের বিরুদ্ধে প্রভাবশালী রাষ্ট্রগুলো কেন কড়া পদক্ষেপ নিতে পারছে না? এর বড় কারণ হচ্ছে, মিয়ানমারের প্রাকৃতিক সম্পদ এবং দেশটির কৌশলগত গুরুত্ব। মিয়ানমার নিয়ে আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমগুলো বেশ উদ্দীপ্ত এ মুহূর্তে। এই উদ্দীপনার জোয়ারে অনেকগুলো বাস্তব প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে, দেশটির গৃহযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনী হেরে যাচ্ছে কি না? এবং দেশটি চীনের প্রভাব থেকে মুক্তি পেয়ে পশ্চিমের প্রভাববলয়ে ঢুকে পড়ছে কি না? তবে বাংলাদেশের জন্য জরুরি হলো- মিয়ানমার বিভক্ত হয়ে পড়তে পারে কি না এবং ওদিক থেকে আসা আরো আশ্রয়প্রার্থীকে জায়গা দিতে হবে কি না? তা এখন শুধুই অপেক্ষার প্রহর। ওদিকে গত ৩ বছর চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের জান্তাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রায় শর্তহীনভাবে মদদ দিয়ে গেছে। তবে চীন দেশটির প্রান্তিক সশস্ত্র গেরিলা দলগুলোকেও সহায়তা দিয়েছে। তবে চলতি গৃহযুদ্ধের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো বামার-জনতার একাংশও তাতমাদোর বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরেছে। সুতরাং, সশস্ত্র বাহিনী এই প্রথম তাদের ঐতিহাসিক নিরাপদ এলাকায় মুশকিলে পড়েছে। প্রান্তিক অঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন ক্ষুদ্র জাতির গেরিলা দল বামার অঞ্চলের এই অভ্যন্তরীণ সংকট থেকে পুরো ফায়দা তুলে যার যার প্রভাবের পরিসর বাড়িয়ে নিচ্ছে এখন। বর্তমানে বাংলাদশসহ বহির্বিশ্বে মিয়ানমার সেনাবাহিনী কোণঠাসা হওয়ার যেসব সংবাদ মিলছে, তা মূলত আঞ্চলিক গেরিলা দলগুলোর দ্বারা ঘটছে। মিয়ানমারে এদের বলা হয় এথনিক আর্মড অর্গানাইজেশন বা এথনিক রেজিস্ট্যান্স ফোর্স। তাতমাদো-বিরোধী সশস্ত্র বামারদের সামরিক সমঝোতা থাকায়, প্রথমোক্তরা যত সফলতা পাচ্ছে, শেষোক্তরা তত বলীয়ান হচ্ছে। যদিও ভৌগোলিক হিসেবে দেশটির ৬০ থেকে ৭০ ভাগ এলাকায় সংঘাত ছড়িয়েছে; কিন্তু কেন্দ্রীয় অঞ্চলে তাতমাদোর নিয়ন্ত্রণ এখনো বেশ নিরঙ্কুশ। দেশটির প্রধান জনগোষ্ঠী বামাররা বেশি থাকে এই মধ্যাঞ্চলে। সেনাবাহিনীও যেহেতু প্রধানত বামারদের, সে কারণে এই অঞ্চলে শিগগিরই তারা প্রভাব হারাবে বলে মনে হয় না। প্রভাবশালী বৌদ্ধ ভিক্ষুরাও এখনো তাদের সঙ্গে আছেন। পিপলস ডিফেন্স ফোর্স নামে পরিচিত বামার তরুণদের গেরিলা দলগুলোকে ইএও প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র জুগিয়ে যাচ্ছে। বিনিময়ে পিডিএফ অঙ্গীকার করেছে তাতমাদোকে হারাতে পারলে মিয়ানমারের প্রান্তিক জাতিগুলোর এলাকায় পূর্ণ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হবে এবং দেশটিকে একটা বিকেন্দ্রীকৃত ফেডারেশন আকারে গড়ে তোলা হবে। আপাতত সেটি একটি স্বপ্ন। তবে সেই স্বপ্নকে মিয়ানমারে একদম অধরা কিছু মনে করা হয় না এখন আর। এই স্বপ্ন সফল হলে কেবল মিয়ানমারই পাল্টাবে না, আশপাশের জাতিরাষ্ট্র গুলোতেও তার ছাপ পড়বে। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যমে, বিশেষ করে বাংলাদেশে, মিয়ামারের চলতি ঘটনাবলিতে চীনের অবস্থান নিয়ে কিছু বিভ্রান্তি আছে বলে মনে হয়। নেপিডোর এখনকার শাসকদের সামরিক ও কূটনৈতিক সহায়তা যে বহুকাল ধরে চীন থেকে এসেছে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। অন্তত গত ৩ বছর চীন ও রাশিয়া মিয়ানমারের জান্তাকে আন্তর্জাতিক পরিসরে প্রায় শর্তহীনভাবে মদদ দিয়ে গেছে। তবে চীন দেশটির প্রান্তিক সশস্ত্র গেরিলা দলগুলোকেও সহায়তা দেয়। এই সহায়তার ভেতর বুদ্ধি-পরামর্শের বাইরে বাড়তি কিছুও থাকে। যেহেতু মিয়ানমার জুড়ে চীনের বহু ধরনের বিনিয়োগ আছে, সে কারণে বেইজিং বহুদিন হলো এই কৌশলে কাজ করে। তবে দেশজুড়ে সামরিক শাসনবিরোধী সশস্ত্রতা যত বাড়ছে, চীন ইএওর সঙ্গে সম্পর্ক তত আরও নিবিড় করছে। এটা হলো আপাতত মিয়ানমারে চীনের একটি নতুন প্রবণতা। এই কৌশল গ্রহণ করে চীন তাতমাদো-বিরোধীদের এটা বোঝাতে চায়, পশ্চিমের দিকে সাহায্যের হাত বাড়ানোর দরকার নেই তাদের। বেইজিংয়ের এ রকম সবুজ সংকেত পাওয়ামাত্র ইএওর তিন-চারটি গ্রুপ তাতমাদোর বিরুদ্ধে বিপুল বিক্রমে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। আন্তর্জাতিক প্রচারমাধ্যম যাদের ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স বলছে। বামার পিডিএফগুলো কিছু এলাকায় তাদের সহায়তা করেছে। ইএও’র সঙ্গে চীনের এ রকম কৌশল তাতমাদোর র্যাঙ্ক অ্যান্ড ফাইল’র মনোবলে বেশ বড় রকমের চিড় ধরিয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। শত শত জওয়ান তাদের অবস্থান ছেড়ে বিভিন্ন দিকে সরে পড়েছেন। ফলে গত তিন মাসে প্রায় ৫০টি সীমান্তচৌকি ইএওগুলো দখল করেছে। অনেকগুলো গুরুত্বপূর্ণ শহরও তাতমাদোর হাতছাড়া। যার মধ্যে পালেতোয়ার কথা বাংলাদেশে খুব আলোচিত হচ্ছে। সামরিক দিক থেকে আরাকানের জন্য অতি গুরুত্বপূর্ণ এই শহর বাংলাদেশের বান্দরবান সীমান্ত থেকে মাত্র ১০ থেকে ১৫ মাইল দূরত্বের মধ্যে। শান-চীন সীমান্তে যদিও চীনের মধ্যস্থতায় ইএওগুলোর সঙ্গে জান্তার নড়বড়ে একটি যুদ্ধবিরতি চলছে। কিন্তু আরাকানে তার কোনো ছাপ দেখা যাচ্ছে না। অথচ এই প্রদেশের মূল গেরিলা আরাকান আর্মিরও অন্যতম সাহায্যকারী গণচীন। আরাকানে নিজেদের বিনিয়োগ সুরক্ষার জন্য রাখাইন গেরিলাদের সহায়তা না দিয়ে চীনের উপায়ও নেই। আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলোর মধ্যে মিয়ানমারে চীনের ভূমিকাই সবচেয়ে বুদ্ধিদীপ্ত। যুক্তরাষ্ট্রের বার্মা অ্যাক্ট নামের আইনি উদ্যোগ ছাড়া মাঠপর্যায়ে গেরিলাশক্তিকে উল্লেখযোগ্য কোনো সম্পদসহায়তা দিয়েছে বলে জানা যায় না; বরং বিরোধী দলের ছায়া সরকার এবং যুদ্ধরত গেরিলাদের মধ্যে পশ্চিম থেকে সাহায্য পাওয়ার ব্যাপারে গভীর হতাশার কথাই শোনা যায়। ইউক্রেন ও মধ্যপ্রাচ্যে ওয়াশিংটনের সামরিক-সংশ্লিষ্টতা বর্তমানে যে মাত্রায় রয়েছে, তাতে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় তাদের সামরিক সহায়তা বাড়ার আপাতত সম্ভাবনা কম বলেই মিয়ানমারের অনেকের অনুমান। অন্যদিকে অতীতের মতো এখনো পরিস্থিতির ওপর চীনের নিয়ন্ত্রণ বেশ প্রবল এবং তারা কোনোভাবে সেই নিয়ন্ত্রণ হারাতে চাইছে না। তবে ইএওগুলোর কয়েকটিতে অনেক আগে থেকে ইউরোপ-আমেরিকার কিছুটা প্রভাব কাজ করছে। বিশেষ করে চিন ও কারেন অঞ্চলে। চিন, কারেন ও কাচিন অঞ্চলে স্থানীয় বাসিন্দারা চার্চগুলোর মাধ্যমে ইউরোপ-আমেরিকার কিছু মানবিক সহায়তা পান বহুকাল ধরে। সেই সূত্রে ভবিষ্যতে এসব জনপদে সাংস্কৃতিক মাত্রায় হলেও চীন-যুক্তরাষ্ট্র কিছু টানাপোড়েন থাকবে। আর বাংলাদেশের জন্য এবং নিশ্চিতভাবে থাইল্যান্ড-ভারত-লাওসের জন্য এ সময়ের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, মিয়ানমার থেকে নতুন করে শরণার্থী এসব দেশে ঢুকবে কি না। সন্দেহ নেই যে সেটি ঘটবে। ভারত ও থাইল্যান্ডে ইতিমধ্যে অনেক শরণার্থী ঢুকেছে। ভারতের মণিপুর থেকে শরণার্থীদের তাড়িয়ে মিজোরামে আটকে রাখতে চাইছে। সীমান্তে বেড়া দেওয়ার কথাও ভাবছে, যা প্রায় অসম্ভব একটি প্রস্তাব। অন্তত নাগারা এটা হতে দেবে না। কারণ, নাগা জাতি ভারত ও মিয়ানমারে বিভক্ত হয়ে আছে। থাইল্যান্ডও আসিয়ান জোটের চাপে শরণার্থীদের সহজে সহায়তার জন্য মিয়ানমার-সংলগ্ন কিছু সীমান্ত এলাকা নিরাপদ অঞ্চল হিসেবে গণ্য করতে রাজি হয়েছে। বাংলাদেশ লাখ লাখ রোহিঙ্গার ভারে ক্লান্ত হলেও নতুন শরণার্থী আসা নিয়ে নিশ্চয়ই উদ্বিগ্ন। এই উদ্বেগ প্রকৃতই বাস্তব। সেখানকার সেনাবাহিনী কোণঠাসা হওয়ার মুখে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের টানাপোড়েনের ভেতরে মিয়ানমারের প্রদেশগুলো যত বেশি স্বশাসিত চরিত্র নেবে, তত বেশি সেখানে তাতমাদোর বিমান হামলা বাড়বে। ঐতিহাসিক অভিজ্ঞতাগুলো সাক্ষ্য দেয়, বিরুদ্ধবাদীদের এলাকায় জ্বালাও- পোড়াও নীতি’তে তাতমাদোর দক্ষতা আছে। ফলে চিন, আরাকান ও কারেন এলাকায় বম্বিং বাড়লে স্থানীয় মানুষেরা আশপাশের দেশগুলোতে ঢুকে জান বাঁচাতে চাইবেন। তবে শরণার্থী আসার আরো একটি কারণ আছে। সেনাবাহিনীর ভূমিকা দুর্বল হওয়ামাত্র প্রান্তিক জনপদগুলোতে ইতিমধ্যে গেরিলা সংগঠনগুলোর ভেতরে ক্ষমতা প্রদর্শনের প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ছে। চিন প্রদেশে চিন ন্যাশনাল আর্মির কর্তৃত্ব বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটি স্থানীয় সংগঠনের ত্রিমুখী সংঘাত বেঁধেছে। এসব কারণেও চিন ও আরাকান থেকে বাংলাদেশে; চিন ও সাগাইং থেকে ভারতে; কারেন অঞ্চল থেকে থাইল্যান্ডে; শান এলাকা থেকে লাওসে মানুষ ঢুকবে। এ ছাড়া অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার আরেকটি কারণ, সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন তৃতীয় বর্ষে বাড়তি গতি পেলেও তার কোনো একক নেতা নেই মাঠে। অং সান সু চি ২৭ বছরের দণ্ড ভোগ করছেন কারাগারে। এমনকি যুদ্ধমাঠের প্রতিরোধ কর্মীদের মধ্যে তাঁর ভাবাদর্শিক প্রভাবও অতি সামান্য এখন। ইএও সু চিকে দেশের নেতা হিসেবে আবার দেখতে চাইছে না; বরং তারা ভবিষ্যতের মিয়ানমারে বামার আধিপত্য কমাতে তৎপর এবং সে লক্ষ্যে নতুন সংবিধান তৈরির ওপর জোর দিচ্ছে বেশি। সম্ভাব্য সেই সংবিধান তৈরি এবং ফেডারেল-মিয়ানমার গড়ার কাজে ৭৮ বছর বয়সী অং সান সু চি গুরুত্বপূর্ণ কোনো ভূমিকা রাখতে পারবেন বলে মিয়ানমারে এখন আর কেউ মনে করছেন না। চীনের সাথে মিয়ানমারের ব্যাপক অর্থনৈতিক, বাণিজ্যিক এবং রাজনৈতিক সম্পর্ক আছে। আমেরিকার হার্ভার্ড ইন্টারন্যাশনাল রিভিউতে প্রকাশিত এক নিবন্ধে বলা হয়েছে মিয়ানমারের উপর চীনের অর্থনৈতিক এবং রাজনৈতিক প্রভাব অনেক বেশি। মিয়ানমারে অবকাঠামো এবং জ্বালানি খাতে চীনের ব্যাপক বিনিয়োগ আছে। এছাড়া চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হচ্ছে মিয়ানমার। দশকের পর দশক ধরে অর্থনৈতিক স্বার্থে চীন কখনো মিয়ানমারের সরকারের বিপক্ষে যেতে চায়নি। দেশটিতে যা কিছু ঘটুক না কেন বিনিয়োগ ও ব্যবসার স্বার্থে চীন সেগুলোর বিরুদ্ধে কোন কথা বলেনি। আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, মিয়ানমারে সামরিক জান্তা ক্ষমতা নেয়ার পরবর্তী এক বছরে দেশটি ৩৮০ কোটি ডলারের বিদেশি বিনিয়োগ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে ২৫০ কোটি ডলার ব্যয় করে একটি তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস প্লান্ট করবে চীন। চীনের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভের আওতায় রাখাইন রাজ্যের তেল ও গ্যাস ক্ষেত্র থেকে চীনের ইউনান প্রদেশে একটি জ্বালানি করিডোর স্থাপনের পরিকল্পনা আছে। বিশ্লেষকরা মনে করেন, মিয়ানমারের জ্বালানি সম্পদ এবং বিভিন্ন বিরল প্রাকৃতিক পদার্থ ভারতের তথ্য প্রযুক্তি খাতের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাছাড়া মিয়ানমারের ভৌগোলিক অবস্থান ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, মিয়ানমার হচ্ছে দক্ষিণ এশিয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মধ্যে সংযোগকারী একটি দেশ। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার কথা বিবেচনায় নিয়ে বলাই যায়, যত দিন যাচ্ছে সংকট আরো ঘনীভূত হচ্ছে। তবে তাদের এই সংঘাতে যা-ই ঘটুক, বাংলাদেশে রোহিঙ্গা সংকটের সমাধান অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে চলে যাচ্ছে, এটাই আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উদ্বেগের।