ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বাঙালি জাতিসত্ত্বা-ভবিষ্যৎ

মুহাম্মদ মনজুর হোসেন খান
বাঙালি জাতিসত্ত্বা-ভবিষ্যৎ

যে কোনো জাতি তার ভাষার সঙ্গে আমৃত্যু এক গভীর বন্ধনে জড়িয়ে থাকে। তাই কোনো জাতির সংস্কৃতি, কৃষ্টি ও ঐতিহ্য অর্থাৎ তার সর্বাঙ্গীণ পরিচয় সেই জাতির ভাষা ও সাহিত্যের মধ্যেই পাওয়া যায়।

বাঙালির জাতিসত্ত্বার পরিচয় পেতে হলে আমাদের খানিকটা অর্থাৎ হাজার বছরের পুরোনো কাব্য চর্যাপদের যুগে পিছিয়ে যেতে হবে। মহামহোপাধ্যায় হরপ্রসাদ শাস্ত্রী মহাশয় নেপালের রাজদরবার থেকে এই গ্রন্থখানি আবিষ্কার করেন। বাঙালি ও বাংলা ভাষার ঐতিহাসিকরা এই গ্রন্থখানিকে বাংলা ভাষার প্রাচীনতম নিদর্শন হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তৎকালীন বাংলা অর্থনীতি ও সমাজব্যবস্থার পরিচয় পাওয়া যায় এই গ্রন্থে, যদিও নিম্নবিত্ত সাধারণ বাঙালি জীবনের কথাই সেখানে বর্ণিত হয়েছে। যেসব বৌদ্ধ সহজিয়া কবিরা এই গ্রন্থের রচয়িতা তাদের সম্পর্কে কিছু জানা যায়নি এবং এ নিয়ে অনেক মতভেদও আছে। আপাতত সেই প্রসঙ্গে না গিয়ে বাঙালির সাহিত্য চর্চার প্রারম্ভিক সূচনাপর্বকে মাথায় রেখে বাঙালির জাতিসত্ত্বা বিষয়ে একটা ধারণা করতে চাই। জাতিসত্ত্বা বলতে আমরা কী বুঝি; এটা একটা বিরাট প্রশ্ন, যার উত্তর খোঁজার প্রচেষ্টা অত্যন্ত জরুরি বলে আমার মনে হয়। আমাদের বিষয় বাংলা ও বাঙালি, তাই বাঙালির জাতিসত্ত্বার সংক্ষিপ্ত পরিচয় নিতে চেষ্টা করব। দশম থেকে একবিংশ শতাব্দী প্রায় ১১০০ বছরের উত্থান-পতন, উন্নতি অবনতির পথ ধরে বাঙালি এগিয়ে চলেছে তার বাঙালিত্বকে পাথেয় করে। বাঙালি অলস, ভীরু, পরশ্রীকাতর ও আত্মচেতনাহীন, তর্কপ্রিয় বহু অপবাদের বোঝা বাঙালির জাতিসত্ত্বাকে অবরুদ্ধ করতে পারেনি। ষোড়শ শতকে চৈতন্যের আবির্ভাব গোটা বঙ্গসমাজ ও জাতির নতুন ঊষার আলোকে অভিষিক্ত করে নতুন প্রাণোন্মাদনায় সঞ্জীবিত করে তুলল। সাহিত্য, শিল্প, দর্শন সর্বত্র এক নতুন যুগের জন্ম হলো। বাঙালির জাতিসত্ত্বার এই নবায়ণ বেশি দিন স্থায়ী হলো না। এক শতাব্দী পর বহির্শত্রুর আক্রমণ ও শাসনে বাঙালি পরাধীনতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ হলো আবার। একদিকে অন্তর্কলহ, কুসংস্কার, কুপ্রথা, কুশিক্ষা অন্যদিকে বহিরাগত রাজশক্তির দমন ও দলনে বাঙালি দিকভ্রষ্ট। আত্মরক্ষার তাগিদে এবং রাজশক্তির ভয়ে ধর্মান্তর গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে বহু মানুষ। প্রসঙ্গত উল্লেখ করতে হয়, চর্যাপদ গ্রন্থের পর শ্রীকৃষ্ণ কীর্তন বাংলা সাহিত্যের আর নিদর্শন যা ত্রয়োদশ-চতুর্দশ শতকের লেখা বলে সাহিত্যের ইতিহাসকারেরা মনে করেন। এরপর প্রায় দুই শতাব্দী বাংলা রচনার কোনো নিদর্শন পাওয়া যায়নি। পঞ্চাদশ শতকে দুয়েকজন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন মুসলিম শাসকের আনুকূল্যে বাংলায় অনুবাদ সাহিত্যের আবির্ভাব ঘটে। কৃত্তিবাস ওঝার রামায়ণ, মালাধর বসুর ভাগবত ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ যা বাঙালি সংস্কৃতিকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। চৈতন্যের আবির্ভাবের আগে মিথিলার কবি বিদ্যাপতির বৈষ্ণবপদ তৎকালীন বাঙালি কবিদের গভীরভাবে প্রভাবিত করেছিল। মৈথিলি ও বাংলার মিশ্রণে এক নতুন ভাষার জন্ম হলো, যার নাম পরবর্তী সাহিত্যিকরা দিলেন ‘ব্রজবুলি’।

এই ব্রজবুলি ভাষায়ই রবীন্দ্রনাথ রচনা করলেন ‘ভানুসিংহ ঠাকুরের পদাবলী’। এভাবে গ্রহণ বর্জনের মাধ্যমে বাঙালির জাতিসত্ত্বার ক্রমবিকাশ আরো ত্বরান্বিত হলো চৈতন্যদেবের আবির্ভাবে। এই সময়কে চৈতণ্য যুগ বলা হয় সাহিত্যের তথা বাংলার সংস্কৃতির ইতিহাসে। এই যুগকে বাঙালির জাতিসত্ত্বার নির্ণায়কও বলতে পারি। সাহিত্য, শিল্প, দর্শন, সমাজ সর্বত্রই নব চেতনার উন্মেষ বাঙালির জীবনে নতুন দীপশিখা প্রজ্বলিত করল। এরই মধ্যে সমগ্র ভারতে মুঘল শাসকের প্রতিষ্ঠা ঘটেছে। জীবিকার প্রয়োজন ও রাজশক্তির প্রাধান্য থাকার ফলে বাংলা ভাষার পরিবর্তন ঘটল, প্রচুর আরবি-ফার্সি শব্দ বাংলা ভাষার কলেবরকে বৃদ্ধি করল। এভাবে নানা উত্থান-পতনের মধ্যদিয়ে বাঙালি ও বাংলা ভাষা তাদের অস্তিত্বের লড়াই চালিয়ে যেতে লাগল। আর এই অস্তিত্বের লড়াইয়ে ক্ষতবিক্ষত বাঙালি জাতির দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির আগমন ও প্রতিষ্ঠা ‘বণিকের মানদ-’ ক্রমে শাসকের রাজদণ্ডে পরিণত হলো। ব্রিটিশ রাজশক্তি পরাধীনতার দৃঢ়তর বন্ধনে প্রায় গোটা ভারত তথা বাংলাকে অবরুদ্ধ করে ফেলল। তবে একথা স্বীকার করতেই হয় যে, ব্রিটিশের আগমণে যে শিক্ষা ও সভ্যতার আলো বাংলায় প্রবিষ্ট হলো, তাতে বাঙালির জাতীয় জীবনে ঘটল বিরাট পরিবর্তন। উনিশ শতকের বাঙালি জাতির এই সর্বাত্মক জাগরণ উনিশ শতকীয় রেনেসাঁ নামে অভিহিত। এই নবজাগরণের পুরোহিত রাজা রামমোহন। মধুসূদন, বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ, শরৎচন্দ্র, নজরুল প্রভৃতি যুগান্তকারী প্রতিভার আগমনে বাংলার আকাশে যেন শত সূর্যের আবির্ভাব ঘটল। এভাবে সাহিত্য, শিল্প, রাজনীতি, দর্শন, বিজ্ঞান-জীবন বিকাশের প্রতিটি ক্ষেত্রে পত্রে পুষ্পে পল্লবিত হয়ে উঠল, বাঙালির এ এক আশ্চর্য সময়। প্রতিভার নক্ষত্রপুঞ্জ বাঙালি চিত্তাকাশে নব নব চেতনায় উদ্ভাসিত হতে লাগল।

বাঙালি জাতিসত্ত্বার অপূর্ব বিকাশের এই মাহেন্দ্রক্ষণ প্রলম্বিত হলো না। পাশ্চাত্য শিক্ষা বাঙালির মনে স্বাধীনতা স্পৃহা কাল জাগরিত। তাই শুরু হলো নানা আন্দোলন, ফলশ্রুতি নানারূপ অত্যাচার, নির্যাতন, কারাবাস। সিপাহী বিদ্রোহে হিন্দু-মুসলমানের সংঘবদ্ধ আক্রমণে ভীত ব্রিটিশ রাজশক্তি Divide and rule polic অর্থাৎ বিভেদনীতির দ্বারা শাসন চালিয়ে যেতে লাগল। ব্রিটিশ শক্তির দ্বারা সৃষ্ট বিভেদ ও বিদ্বেষের বীজ মহীরুহে পরিণত হয়ে ভারতকে করল দ্বিখণ্ডিত। বিনিময়ের ফলে পাঞ্জাবের ভাইবোনরা কিছুটা রক্ষা পেলেন; কিন্তু বাঙালির বিশেষ করে হিন্দু বাঙালির জীবনে নেমে এলো দুর্যোগের করাল বিভীষিকা। ড. শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের বলিষ্ঠ পদক্ষেপে ও দুর্জয় মানসিক শক্তির বলে রক্ষা পেল কলকাতা ও পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু পূর্ব বাংলার লাখ লাখ বাঙালি প্রাণ হারিয়েছেন জাতিগত দাঙ্গায়। গৃহহারা অত্যাচারিত, নির্যাতিত হিন্দু বাঙালি শরণার্থী হয়ে এসেও বার বার লাঞ্ছিত হয়েছেন।

যারা ভাগ্যবান, তারা কোনোরকমে বহু সংগ্রাম করে নিজেদের স্থায়ী করেছেন। অনেকে পশুর অধম জীবনযাপন করতে বাধ্য হয়েছেন। সূত্রাকারে বাঙালি জীবনের সর্বাত্মক মর্মান্তিক রক্তাক্ত, ক্ষতবিক্ষত জীবনের এই অতি সংক্ষিপ্ত চিত্রটুকু তুলে না ধরলে, বর্তমান বাঙালির জাতিসত্ত্বার পরিচায়িক হিসাব-নিকাশ করা অসম্ভব। ‘মরীঝাঁপির’ বিষাক্ত অভিশাপ বুকে নিয়েও বাঙালি আবার উঠে দাঁড়িয়েছে। নবজাগরণের অভিঘাত ও স্বাধীনতা আন্দোলনের জাগ্রত চেতনাশক্তি বাঙালি জাতিকে ধ্বংসের চোরাবালি থেকে উদ্ধার করল বটে; কিন্তু আরো বিপর্যয় তখনো ওত পেতে ছিল। এ প্রসঙ্গেই আমাদের আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যাব। যে কোনো জাতির জাতিসত্ত্বা গঠনে ভাষা ও সংস্কৃতির অবদান সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ভাষার মধ্যে একটা জাতির জীবন, মরণ ও অবস্থান। ভাষাই সব সংস্কৃতির ভিত্তিভূমি বাঙালির জীবনে যেমন বার বার নেমে এসেছে রাজনৈতিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, তেমনি বাংলা ভাষাও আক্রান্ত হয়েছে বার বার। বিপদের কালো মেঘ ভাষাদেহকে কালিমালিপ্ত করেছে ক্ষতবিক্ষত হয়েছে বাঙালির মানসভুবন। বৃহত্তর বাঙালির ও বাংলা ভাষার কথা বলতে গেলে আমাদের প্রতিবেশী রাষ্ট্র বাংলাদেশের কথা সর্বাগ্রে আলোচনা করতে হয়। কারণ বাংলাদেশ এমন একটি স্বাধীন রাষ্ট্র যা গড়ে উঠেছে, বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে। বাংলা ভাষার প্রতি অকৃপণ আনুগত্য, অপরিসীম শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা সর্বোপরি মাতৃভাষা রক্ষার দায়িত্ব পালনে পূর্ব-পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) বাঙালিদের অপূর্ব আত্মত্যাগের দীক্ষা তারা লাভ করেছিল ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের সূত্রে।

এই ভাষা (বাংলা) আন্দোলনের কারণ সম্পূর্ণ রাজনৈতিক। একই রাষ্ট্রের দুটি ভাগ, দুটি ভিন্ন জায়গায় অর্থাৎ ১ হাজার মাইলের দূরত্ব মাঝখানে তার ওপর পূর্ব-পাকিস্তানের অধিবাসীদের ভাষা সংস্কৃতি সম্পূর্ণ আলাদা। পশ্চিম পাকিস্তানের লোকরা বলপূর্বক উর্দু ভাষাকে পূর্ব পাকিস্তানে চালিয়ে দিতে চাইল। ফলস্বরূপ ক্রমেই তা ভাষা আন্দোলনের রূপ নেয়। ‘তমুদ্দিন মজলিস’ নামে সংস্থা যার প্রথম সম্পাদক ছিলেন আবুল কাশেম। তিনি রাষ্ট্রভাষা কী হবে, তা আলোচনার জন্য একটি সভা করেন। নভেম্বর ১৯৪৭ পাকিস্তানের শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান (একজন বাঙালি) উর্দু ভাষাকে একমাত্র জাতীয় ভাষা করার বিপক্ষে বক্তব্য দেন। ১৯৪৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি বিরোধীপক্ষের নেতা ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত সংসদে একটি প্রস্তাব নেয়ার পক্ষে সওয়াল করেন যে, বাংলা ভাষাকে উর্দু ও ইংরেজির সঙ্গে জাতীয় ভাষার মর্যাদা দেয়া হোক। প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলী এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন। এর ফলে পূর্ব-পাকিস্তানে সর্বস্তরে এই আন্দোলন পুষ্ট হতে থাকে। ১৯৪৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে উক্ত আন্দোলন রাস্তায় নেমে আসে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে মুজিবুর রহমানের নেতৃত্ব পূর্ব পাকিস্তান স্টুডেন্ট লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ রাস্তায় নেমে আসা আন্দোলনকারীদের ওপর বেটন চার্য করা হয় ও প্রচুর ছাত্র কারাবরণ করে। ১৯৪৮-এর ২১ মার্চ জিন্না পূর্ব পাকিস্তানে এসে বলেন বাংলা প্রাদেশিক ভাষা হোক, কোনো অবস্থায় তাকে জাতীয় ভাষা করা হবে না। এর প্রবল প্রতিবাদ হয় এবং মুজিবুর রহমানকে ডিটেনশনে রাখা হয়। ১৯৫২-এক ২৬ জানুয়ারি উর্দু পাকিস্তানের একমাত্র জাতীয় ভাষা হবে স্থির হয়। ঢাকা পল্টন ময়দানে প্রধানমন্ত্রী নাজিম উদ্দীন তা জানান। এরপর ভাষা আন্দোলনের দ্বিতীয় পর্যায় শুরু হয়।

১৯৫২-এর ২৮ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্ররা প্রতিবাদে মুখর হয় এবং প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য মন্ত্রীদের পশ্চিম পাকিস্তানের পুতুল বলে সম্বোধন করে। ১৯৫২ সালের ৩০ জানুয়ারি এই আন্দোলনের রাশ মওলানা ভাসানীর হাতে ধরিয়ে দেয়া হয় এবং ভাসানীর নেতৃত্বে এই সর্বস্তরিক আন্দোলনের দায়িত্ব আওয়ামী লীগের ওপর দেয়া হয়। ভাসানীর সভাপতিত্বে. ১৯৫২-এর ৩ ফেব্রুয়ারি ঢাকা প্রতিবাদ সভায় ভাসানী বক্তব্য দেন। আবুল কাশিমের পরামর্শে ২১ ফেব্রুয়ারি সাধারণ ধর্মঘট করার সিদ্ধান্ত হয়। ১ ফেব্রুয়ারি ১৪৪ ধারা হওয়ায় যেন আগুনে ঘি ঢালা হলো। ২১ ফেব্রুয়ারি ১৯৫২ইং নুরুল আমিনের নেতৃত্বে ছাত্রদের ওপর পুলিশি হামলা হয়। পাঁচজন মারা যান। এই খবর দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়ে এবং হাজার হাজার লোকের সমাবেশ হতে থাকে। ২২ ফেব্রুয়ারি অগণিত মানুষ শহীদদের উদ্দেশ্যে প্রার্থনা করার জন্য সমবেত হন। তাদের মিছিলের ওপর পুলিশের তাণ্ডব শুরু হয়। গুলিতে আরো চারজন প্রাণ হারান। মুখ্যমন্ত্রী নরুল আমিন বাধ্য হয়ে রাজ্যসভায় বাংলাকে জাতীয় ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার জন্য প্রস্তাব রাখেন।

২৪ ফেব্রুয়ারি অবস্থা স্বাভাবিক করার জন্য সামরিক বাহিনী নামানো হয় ও আন্দোলনকারী ছাত্র ও নেতাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত