ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পাকিস্তানের নতুন নেতৃত্বের সামনে সমস্যার পাহাড়

রায়হান আহমেদ তপাদার
পাকিস্তানের নতুন নেতৃত্বের সামনে সমস্যার পাহাড়

পারমাণবিক শক্তিধর দেশটির ইতিহাসে বেশির ভাগ সময় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সেনা অথবা সেনাসমর্থিত সরকার দেশ শাসন করেছে। সেনাবাহিনী যখন যাকে কাঠের পুতুল মনে করেছে, তাকেই ক্ষমতার আসনে বসিয়েছে; ক্ষমতায় আসার পর পাশ কাটিয়ে চলার আলামত পরিলক্ষিত হলে ছুড়ে ফেলে দেয়া হয়েছে। যার সর্বশেষ উদাহরণ- সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাহার দল পিটিআই। সেনাবাহিনীর সঙ্গে সখ্য গড়িয়ে ক্রিকেট মাঠ থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নেতায় পরিণত হন তিনি। এর পর সেনাবাহিনীর সঙ্গে নানা ইস্যুতে জড়িয়ে পড়ার ফলে যা হওয়ার তাই হয়েছে! নজিরবিহীন সব মামলায় জড়িয়ে কারাগারে অন্তরীণ থেকে ভোট করতে হয়েছে বিকল্প পথে। রাজনৈতিক বিভাজন, অর্থনৈতিক সংকট, নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি এবং চরম হতাশা ও অনিশ্চয়তার মধ্যে দেশটিতে ১৬তম জাতীয় পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪। কিন্তু এই নির্বাচনে ব্যাপক অনিয়ম সত্ত্বেও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ তথা পিটিআই সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা সেখানে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছেন। তবে এটি আটকে দিতে ফল প্রকাশে বিলম্বসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ দেখা গেছে। পিটিআইকে তার কাঙ্ক্ষিত ক্রিকেট ব্যাট প্রতীকে নির্বাচন করতে দেওয়া হয়নি। নির্বাচনের দিন মোবাইল নেটওয়ার্ক বন্ধ করে দেওয়া হয়, যাতে দলটি তাদের সমর্থিত প্রার্থীদের কথা সংশ্লিষ্ট ভোটারদের না জানাতে পারে। বুথফেরত জরিপও নিষিদ্ধ করা হয়। পিটিআই অভিযোগ করেছে, তাদের এজেন্টদের ভোটকেন্দ্রে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে দেওয়া হয়নি। কল্পনাতীত কারচুপি হচ্ছে। এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের ১০ ঘণ্টা পর ফল ঘোষণার বিষয়টিকে পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এটা বেশ সন্দেহজনক।

ভোট গণনায় পাকিস্তানের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের দল পাকিস্তান মুসলিম লীগ-নওয়াজ তথা পিএমএল-এনের সঙ্গে পিটিআইয়ের হাড্ডাহাড্ডি লড়াই দেখা গেছে। তৃতীয় অবস্থানে আছেন আততায়ীর হাতে নিহত সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোর ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারির নেতৃত্বাধীন দল পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি)। পাকিস্তানের এবারে নির্বাচনে নওয়াজ শরিফ দেশটির প্রভাবশালী সামরিক বাহিনীর পছন্দের প্রার্থী। ক্ষমতাচ্যুত নওয়াজকে তারা তিনবার সমর্থন দিয়েছে। নির্বাসনে থাকা ৭৪ বছর বয়সী নওয়াজকে সম্প্রতি যুক্তরাজ্য থেকে আসার অনুমতি দিয়েছে, তার দুর্নীতির অভিযোগ বাতিল করা হয়েছে এবং রাজনৈতিক নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। এত দ্রুত নওয়াজকে সব কিছু থেকে মুক্তি দিয়ে জেনারেলরা ইমরান খান ও তার দলের বিপরীতে দাঁড় করিয়েছে। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির সরকার ও জননীতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মায়া টিউডর বলেছেন, পাকিস্তানে সামরিক বাহিনীর মৌন সম্মতি ছাড়া কেউই শাসন করতে পারে না। এবার ব্যতিক্রম যেটা দেখা গেছে, সামরিক বাহিনী প্রকাশ্যেই পিটিআইকে টার্গেট করেছে, কারণ দলটির তৃণমূল পর্যন্ত জনসমর্থন রয়েছে এবং তারা প্রযুক্তি ব্যবহারে এগিয়ে। পিটিআই সব প্রতিকূলতা মাড়িয়ে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করলেও সরকার গঠনে অনেক বাধা ডিঙাতে হবে। দলটির নির্বাচিত প্রতিনিধিরা আইন অনুযায়ী স্বতন্ত্র বলে তাদের কোনো দলের নির্দেশনা অনুসরণ করার বাধ্যবাধকতা নেই; এতে শঙ্কা তৈরি হয়েছে, তারা জোরপূর্বক দলত্যাগের শিকার হতে পারেন। তা ছাড়া নারী ও সংখ্যালঘুদের জন্য জাতীয় পরিষদে যে ৭০টি সংরক্ষিত আসন আছে, তা পিটিআই পাবে না। একই সঙ্গে ৭১ বছর বয়সি ইমরান খান এখন কারাগারেই আছেন এবং তাকে নির্বাচনে দাঁড়ানোর অযোগ্য ঘোষণা করা হয়েছে।

নির্বাচনের আগে পিএমএল-এন ও পিপিপির মধ্যে ক্ষমতার ভাগাভাগির ব্যাপক গুঞ্জন ওঠে, যেখানে নওয়াজ শরিফ প্রধানমন্ত্রী এবং বিলাওয়াল ভুট্টো প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। তাদের দুই দলের জোট সর্বাধিক আসন পাচ্ছে। তারপরও পাকিস্তানের নির্বাচনে পিটিআই যে শক্তি দেখিয়েছে, তা সামরিক বাহিনীর জন্য পরাজয়তুল্য। অবশ্য ২০১৮ সালের নির্বাচনে সামরিক বাহিনী ইমরান খানকে সমর্থন দিয়েছিল। পরে জাতীয় ক্রিকেটের সাবেক এই অধিনায়কের সঙ্গে তাদের বিরোধ দেখা দেয় এবং ২০২২ সালের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়। এরপর তাকে হত্যাচেষ্টা করা হয়। তিনি বেঁচে গেলেও মাত্র ৬ মাসে ১৮০টির বেশি মামলার শিকার হন। নির্বাচনের সপ্তাহখানেক আগে তাকে দুর্নীতি, রাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা ফাঁস এবং অনৈসলামিক বিয়ের জন্য মোট ৩১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপরও ভোটের আগে তার জনপ্রিয়তা ছিল তুঙ্গে। বিশেষ করে, ১৮-৩৫ বছর বয়সি তরুণদের মধ্যে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়। এই তরুণরা ১৩ কোটি ভোটারের মধ্যে ৪৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের উইলসন সেন্টারের দক্ষিণ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেছেন, সামরিক বাহিনী ইমরান খানকে নিয়ে এমনিতেই যে বেকায়দায় ছিল, তা স্পষ্ট এবং এরপর নির্বাচনে পিটিআইয়ের প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভোট পাওয়ার বিষয়টি তাদের জন্য আরও বড় ধাক্কা। পাকিস্তানের নতুন নেতৃত্বের সামনে সমস্যার পাহাড়। দেশটিতে এখন এশিয়ার সর্বোচ্চ মুদ্রাস্ফীতি। এক বছর আগের ডিসেম্বরের বছরের তুলনায় এখন তা বেড়ে ২৯.৭ শতাংশে পৌঁছেছে। দক্ষিণ এশীয় দেশটি গত গ্রীষ্মে আইএমএফের ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণের কারণে কোনোমতে দেউলিয়া হওয়া থেকে বেঁচে গেছে এবং অর্থনৈতিক দুর্যোগ এড়াতে আগামী মাসের মধ্যে এর জন্য নতুন একটি চুক্তি অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। পাকিস্তান একই সঙ্গে নিরাপত্তার সংকটে আছে, দেশটির সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে।

আফগান তালেবানের সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে দৃঢ় সম্পর্ক থাকার পরও সাম্প্রতিক আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসী হামলা এবং কয়েক হাজার আফগান শরণার্থীকে বহিষ্কারের কারণে ইসলামাবাদের সঙ্গে কাবুলের সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। গত মাসে ইরান পাকিস্তানের ভূখণ্ডে কথিত জঙ্গি ঘাঁটিতে বিমান হামলা চালায়, পাকিস্তানও এর জবাব দেয়। তা ছাড়া ভারতকে পাকিস্তানের ভূখণ্ডে গুপ্তহত্যা চালানোর জন্য সম্প্রতি অভিযুক্ত করে ইসলামাবাদ। এতে তার ঐতিহাসিক শত্রু-প্রতিবেশীর সঙ্গে সম্পর্কের আরো অবনতি ঘটে। যাহোক, পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পিটিআইকে ক্ষমতার বাইরে রাখতে সব ধরনের ব্যবস্থা অব্যাহত রাখছে। প্রশ্ন হলো, ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রতিক্রিয়া কীভাবে পিটিআই সমর্থকরা জানাবেন। এর আগে গত বছরের ৯ মে পিটিআই সমর্থকরা ইমরান খানকে গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়া হিসেবে সেনানিবাসে ভাঙচুর চালান। ইমরান খান কারান্তরীণ বটে, তবে এবারের নির্বাচনের ফল বলছে, রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে তার প্রভাব এখনো বিদ্যমান। মাইকেল কুগেলম্যান যেমনটা বলেছেন, সেনাবাহিনী চায় পরবর্তী সরকার অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের দিকে মনোনিবেশ করুক এবং তারা আশা করে, এর মাধ্যমে এবং ইমরান খানকে কয়েক বছরের জন্য জেলে রাখলে তার প্রভাব কমবে, কিন্তু দেশটির চ্যালেঞ্জ বাড়বেই, কারণ পিটিআই তাতে আরো সংক্ষুব্ধ হয়ে উঠবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন হলো, নির্বাচনের পর দেশের ক্ষমতার সমীকরণে কী ধরনের পরিবর্তন আসতে পারে? আরো জটিল প্রশ্ন, কীভাবে আসবে সেই পরিবর্তন? ইমরানের দল পিটিআই ভোটের বাইরে ছিটকে পড়ায় সমীকরণ মেলানো কতটা সহজ হবে, সেই প্রশ্নও ঘুরে ফিরে আসছে। নওয়াজ শরিফের ক্ষমতায় ফেরার মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে বলে শোনা যাচ্ছিল নির্বাচনের অনেক আগে থেকেই। অবশ্য তিন তিনবারের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজের পুনরুত্থানের গল্প পাকিস্তানের রাজনীতির আবহমান বাস্তবতা বই কিছুই নয়। যদিও নওয়াজের ক্ষমতায় আসা মানেই খেলা শেষ নয়!

ভোটের আগ পর্যন্ত বিশ্লেষকরা বলে যাচ্ছিলেন, চমক জাগানিয়া অনেক কিছুই ঘটতে পারে। বিপুলসংখ্যক ভোটার ভোটাভুটিতে অংশ নিলে পাকিস্তানের রাজনীতিতে চলমান অচলাবস্থা কিছুটা হলেও প্রভাবিত হতে পারে। ব্যাপক হারে স্বতন্ত্র প্রার্থী নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার মধ্য দিয়ে সমীকরণ পালটে দিতে পারেন তারা। এতে করে পালটে যেতে পারে সামগ্রিক রাজনৈতিক আবহ। ভোটের আগে অনেকে জোর দিয়ে এমনো বলার চেষ্টা করেছেন, স্বতন্ত্র প্রার্থীদের জয়লাভের মাধ্যমে একটি বিখণ্ডিত ম্যান্ডেট পাকিস্তানকে রাজনৈতিভাবে ঠেলে দিতে পারে এক অজানা গন্তব্যের দিকে। সেক্ষেত্রে চতুর্থবারের মতো নওয়াজের রাজমুকুট পরার স্বপ্ন অধরাই থেকে যেতে পারে। সব মিলিয়ে নির্বাচনের ক্ষণ, তথা ৮ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের জন্য হয়ে ওঠে গেম অব থ্রোনস। ভোটের চূড়ান্ত ফল প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত রাজনীতিতে এক নতুন অধ্যায় শুরুর অপেক্ষা চলে। পাকিস্তানে যে কোনো নির্বাচনেই প্রধান যুদ্ধক্ষেত্র হয়ে ওঠে পাঞ্জাব। জাতীয় নির্বাচনের সময় তো কথাই নেই। জাতীয় পরিষদের অর্ধেকেরও বেশি আসন রয়েছে এই প্রদেশে। তাছাড়া পাঞ্জাব হচ্ছে দেশের বৃহত্তম প্রদেশ। আর এ কারণে বাড়তি নজরের পাশাপাশি নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় প্রদেশজুড়ে। ব্যতিক্রম ছিল না এবারও। যদিও নিরাপত্তা সংস্থার বিরুদ্ধে ইমরান সমর্থকদের অভিযোগ, পিটিআইসহ অন্যান্য ভিন্নমতাবলম্বী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দমনমূলক কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এমনকি পিটিআইয়ের নির্বাচনি অফিস ও দল সমর্থিত প্রার্থীদের বাড়িতে চালানো হয় অভিযান। শুধু তাই নয়, পিটিআইয়ের সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচারণা থেকে দূরে রাখার জন্য তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

পাকিস্তানের নির্বাচন শুধু দলগুলো বা তাদের নেতাদের জনপ্রিয়তা মাপার জন্যই গুরুত্বপূর্ণ নয়। অর্থনৈতিক সংকট, উচ্চ মূল্যস্ফীতি, বেকারত্ব এবং প্রাকৃতিকদুর্যোগের মতো ইস্যুগুলোতেও এই নির্বাচনের প্রভাব থাকে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে সাধারণ মানুষের আগ্রহের ঘাটতিতে ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হচ্ছে। কে ক্ষমতায় আসবে, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। যেই ক্ষমতায় আসুন না কেন, রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফেরানো উচিত, আর তা মানুষের আস্থা অর্জন ছাড়া সম্ভব নয়। কাজেই নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ। যদিও তা খুব একটা পরিবর্তন আনবে এমন আশাবাদী হওয়া যাচ্ছে না। বর্তমান পরিস্থিতিতে ৮ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নওয়াজ শরীফের জয় তাই প্রমাণ করেছে। পিটিআই ক্ষমতায় ফিরলে পাকিস্তানের রাজনীতি ও অর্থনীতি সেই চাপ নিতে পারবে না বলে দাবি করছে পাকিস্তান মুসলিম লিগ। দলটির নেতা তারিক ফজল চৌধুরী বলেন, খান ও তার দল তাদের মনোভাব বুঝিয়ে দিয়েছে। তারা পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বাধীনভাবে চলতে দেবে না। গত বছর পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী পিটিআই-এর উপর থেকে থেকে তাদের সমর্থন সরিয়ে নিলেও ইমরান খানের জনপ্রিয়তা তারা থামাতে পারেনি। এটি নিশ্চিত যে নির্বাচনে জয়লাভ করে যেই ক্ষমতায় আসুক না কেন, তাকে দেশটির সামরিক বাহিনীর সাথেই হাত মিলিয়ে চলতে হবে। আর সেটি যদি পিটিআই হয় এবং সামরিক বাহিনীর সঙ্গে যদি তারা দ্বন্দ্ব মেটাতে সক্ষম না হয়, তাহলে পাকিস্তান আবারো রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যদিয়েই এগোবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত