বর্তমান ইন্টারনেটের যুগে বিশ্ব সমাজে খুবই শক্তিশালী একটি মাধ্যম হচ্ছে- সোশ্যাল মিডিয়া। এই সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে যেমন ভালো ভালো কাজ করা যায়, ঠিক তার বিপরীতে খারাপ কাজও কিন্তু করা যায়। যোগাযোগ ও বন্ধন এক নয়। সামাজিকমাধ্যম যোগাযোগ ঘটিয়ে দিচ্ছে কোনো সন্দেহ নেই। তবে এ যোগাযোগে কোনো বন্ধন তৈরি হচ্ছে না। বরং পারিবারিক, আত্মীয়তা ও বন্ধুত্বের সম্পর্কে যে বন্ধন রয়েছে, সেই বন্ধনেও শৈথিল্য দেখা দিয়েছে। প্রযুক্তির প্রতি আসক্তি তৈরি হয়েছে, মানুষে মানুষে সম্পর্কের ভিত দুর্বল হয়ে পড়েছে। সভ্যতার আদি যুগ থেকেই মানুষ সামাজিক জীব। সামাজিকমাধ্যমের দৌরাত্ম্য মানুষের এ চিরন্তন পরিচিতির সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। সামাজিকতার অনুষঙ্গ হচ্ছে ভদ্রতা, সভ্যতা, আনন্দ, বেদনা ও সমবেদনায় পারস্পরিক বোঝাপড়া। ব্যক্তি নয়, সমষ্টিই এখানে বড় কথা। সামাজিকমাধ্যমগুলো এ সত্যকে অস্বীকার করে চলেছে। বিচ্ছিন্ন দ্বীপের অধিবাসী যেন প্রত্যেক ব্যক্তি। একঘরে থেকেও তারা বিচ্ছিন্ন, এক আড্ডায় থেকেও সবাই সবার কাছ থেকে দূরে। এভাবে সমাজে জন্ম নিচ্ছে বিচ্ছিন্নতা ও অসহিষ্ণুতা। সামাজিকমাধ্যমেও এরই প্রতিফলন দেখা যায়। ফেসবুকের কথাই ধরা যাক। সবচেয়ে জনপ্রিয় এ সামাজিকমাধ্যমের শক্তিমত্তা সম্পর্কে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। এ শক্তির অপব্যয়ই বেশি হচ্ছে। বিদ্বেষ, রুচিবিকৃতি ও উগ্রবাদ ছড়ানোর হাতিয়ার হয়ে উঠেছে ফেসবুক। ধর্ম ও জেন্ডারের মতো সংবেদনশীল বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়ে অনেকেই শালীনতার সীমা অতিক্রম করেন। তারকা বা বিশিষ্ট কোনো ব্যক্তির চরিত্র হননের পালা শুরু হলে বিপুল উৎসাহে সেখানে তারা ঝাঁপিয়ে পড়েন। ট্রলের মাধ্যমে বিপন্ন করে তোলেন সেই ব্যক্তির জীবন। সামাজিক গণমাধ্যম এক অর্থে সমাজের দর্পণ হিসাবে আবির্ভূত হয়েছে। বর্তমান সমাজে ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক চিন্তার মানুষ যে বেশি এটি ফেসবুকের বদৌলতে আরও স্পষ্ট হয়েছে। দ্য ল্যানসেট চাইল্ড অ্যান্ড অ্যাডলসেন্ট হেলথ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটিতে যুক্তরাজ্যের ১৩ থেকে ১৬ বছর বয়সি প্রায় ১০ হাজার কিশোর-কিশোরীর সাক্ষাৎকার নেয়া হয়। গবেষকরা দেখেছেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি করতে পারে, তাদের উত্ত্যক্ত করার ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে এবং তাদের ঘুম ও শারীরিক অনুশীলন হ্রাস করে। এর ফলে তাদের মধ্যে হীনম্মন্যতা, দুশ্চিন্তা, অশান্তি ও হতাশা তথা মানসিক সমস্যা সৃষ্টি করছে। গবেষণাটির সঙ্গে জড়িত ইউসিএল গ্রেট অরমন্ড স্ট্রিট ইনস্টিটিউট অব চাইল্ড হেলথের গবেষক রাসেল ভিনার এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের ফল দেখায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম নিজে ক্ষতির কারণ নয়, তবে নিয়মিত এগুলো ব্যবহার ঘুম ও ব্যায়ামের মতো মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর ইতিবাচক প্রভাব তৈরি করা কার্যকলাপগুলোতে বাধা সৃষ্টি করে এবং ক্ষতিকারক ক্রিয়াকলাপে কিশোর-কিশোরীদের সংস্পর্শ বাড়িয়ে তোলে, বিশেষ করে সাইবার-উত্ত্যক্তের মতো নেতিবাচক কার্যক্রমে।এর আগে ২০১৭ সালে রয়্যাল সোসাইটি অব পাবলিক হেলথ ১১ থেকে ১৫ বছর বয়সি দেড় হাজার কিশোর-কিশোরীর ওপর একটি জরিপ চালায়। এতে দেখা যায়, স্ন্যাপচ্যাট ও ইনস্টাগ্রাম তাদের মনে সবচেয়ে বেশি হীনম্মন্যতা এবং দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করে। ১০ জনের মধ্যে সাতজন বলেছে, ইনস্টাগ্রামের কারণে তাদের নিজেদের দেহ নিয়ে মন খারাপ হয়েছে। তরুণ-তরুণীদের অর্ধেকই বলেছে, ফেসবুকের কারণে তাদের মানসিক দুশ্চিন্তা ও অশান্তি বেড়ে গেছে। দুই-তৃতীয়াংশ উত্তরদাতা বলেছে, ফেসবুকের কারণে সাইবার বুলিং বা অনলাইনে অপমান-হয়রানি বা উত্ত্যক্ত করার প্রবণতা আরো গুরুতর আকার নিয়েছে। মোবাইল রিপাবলিক নামের একটি আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা ২০১৩ সালের জুনে ভারতের বিভিন্ন এলাকার ৮০০ মানুষের ওপর জরিপ চালিয়েছিল। জরিপের ফল বলছে, ভারতে মানুষের মধ্যে বই পড়ার হার ক্রমাগত কমছে। এমনকি সংবাদপত্র পড়ার হারও কমছে। পাঠ্যবইয়ের বাইরে দৈনিক পড়া বলতে তারা ওই টুকটাক সংবাদপত্রই পড়েন। সেটাও পড়েন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ওই জরিপে অংশগ্রহণকারী ৩৮ শতাংশ মানুষ বলেছেন, তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম থেকেই খবর পড়েন, যেহেতু বেশিরভাগ সময় এই মাধ্যমে থাকেন তারা। তো সেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো কী? ৭০ শতাংশ বলেছেন, তারা রেডিট থেকে খবর পড়েন। ৬৬ শতাংশের সরল স্বীকারোক্তি, ফেসবুক থেকে খবর পড়েন তারা। ৫০ শতাংশ বলেছেন টুইটারের কথা। ৩১ শতাংশের বক্তব্য, টাম্বলার ব্যবহার করেন তারা। ২৩ শতাংশ বলেছেন ইনস্টাগ্রামের কথা। ২১ শতাংশের ঝোঁক ইউটিউবের দিকে। আর ১৯ শতাংশ মানুষের মত, তারা খবর পড়া কিংবা অন্য যাবতীয় পড়ার বিষয় লিংকডইন থেকেই পড়েন। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, যাদের বয়স ২১ থেকে ২৫ বছরের মধ্যে। গত বছরের জানুয়ারিতে রিসার্চ গেট জার্নালে প্রকাশিত হয় তাদের সেই গবেষণা। ওই প্রবন্ধে দেখা যায়, ৬৩ শতাংশ শিক্ষার্থী দিনের বেশির ভাগ সময়ই ফেসবুক-টুইটারসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কাটান। ফলে বই পড়ার জন্য তেমন সময় পান না তারা। এতটা সময় তারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কী করেন? এ প্রশ্নের উত্তরও মিলেছে গবেষণায়। ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী বলেছেন, চারপাশে ঘটে যাওয়া খবর ও তথ্য জানতে তারা ফেসবুকে সময় কাটান। ৩৬ দশমিক ৭ শতাংশ বন্ধু ও শিক্ষকদের সঙ্গে একাডেমিক তথ্য বিনিময় করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরে বেড়ান। আর ৩৩ শতাংশের ভাষ্য, তারা ফেসবুকে থাকেন শুধু বন্ধুদের সঙ্গে গল্পগুজব করার জন্য। ১৬ দশমিক ৬ শতাংশ সারা দিন শুধু ছবি আপলোড করেন ফেসবুক-টুইটারে। ৯ দশমিক ৯ শতাংশের বক্তব্য, শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে থাকেন তারা। আর ৭ দশমিক ৭ শতাংশ শিক্ষার্থীর মন্তব্য, সমমনা ব্যক্তিদের নিয়ে ফেসবুকে গ্রুপ তৈরি করেন আর নানা বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
ইউএস ব্যুরো অব লেবার স্ট্যাটিসটিকস পরিচালিত জরিপ বলছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এত কাজকর্ম করার পর স্বাভাবিকভাবেই তাদের হাতে আর বই পড়ার মতো সময় থাকে না। থাকে না ধৈর্য কিংবা মানসিকতাও। যে অবসরে মানুষ বইয়ের পাতা খুলে বসবে, সেই অবসর এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দখলে। বাংলাদেশে ২০১৮ সালে শিক্ষার্থীদের ওপর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের প্রভাব নিয়ে এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৬২ দশমিক ৫ শতাংশ বলেছেন, অবসরে তারা ফেসবুকে চ্যাট করেন। আর ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশের ভাষ্য, অবসরে তারা উপন্যাস পড়েন। ৭৭ দশমিক ১ শতাংশ বই পড়ার চেয়ে ফেসবুকে সময় কাটাতে কিংবা ইউটিউবে মুভি দেখতে বেশি পছন্দ করেন। তবে মাত্র ৬ দশমিক ২ শতাংশ বলেছেন, তারা ফেসবুকে থাকার চেয়ে বই পড়তে পছন্দ করেন। ৩৩ দশমিক ৩ শতাংশ দিনে একটিও বই পড়েন না। আর ৩২ দশমিক ৩ শতাংশের কথা, দিনে ১ ঘণ্টা বই পড়েন। সামজিকমাধ্যমের আসক্তি মানুষকে অনেকাংশে অনুভূতিহীন বানিয়ে দিচ্ছে। মানুষ এখন মানুষের পাশে দাঁড়ানোর চেয়ে মানুষকে সামাজিকমাধ্যমে হেনস্তা করতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। এই সামাজিক মাধ্যমকে ব্যবহার করে অপরাধের এমন কোনো রূপ যা সংগঠিত হচ্ছে না। নারীর প্রতি নিপীড়ন থেকে শুরু করে জঙ্গিবাদ, অপরাধের এমন কোনো স্তর নেই, যেটা সামাজিক মাধ্যমের মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে না। সৃজনশীলতা ও মননশীলতা অন্য প্রাণী থেকে মানুষকে আলাদা করেছে। সামাজিকমাধ্যম এক্ষেত্রেও হানা দিয়ে মানুষকে অনুভূতিহীন করে তুলছে। আনন্দ, বেদনা, ভালোবাসা, অভিমানের মতো মানবীয় অনুভূতি গুরুত্ব হারাচ্ছে। জ্ঞানের পরিধিও সংকুচিত হচ্ছে। সৌন্দর্যের বদলে প্রচারসর্বস্বতা প্রাধান্য পাচ্ছে। খুব সুন্দর একটি স্থানে গিয়ে এর নয়নাভিরাম রূপ উপভোগ করার সময় কারও নেই। সবাই ব্যস্ত ছবি তোলা নিয়ে। কে কত দ্রুত ছবি বা সেলফি তুলে ফেসবুকে আপলোড করতে পারবে, এ নিয়ে প্রতিযোগিতায় মত্ত সবাই। এমন একটি ব্যবস্থা দাঁড়িয়ে গেছে, প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে ‘ভিউ’ বাড়ানো। গভীরভাবে চিন্তা করার, কোনো কিছু তলিয়ে দেখার অবকাশ নেই সামাজিকমাধ্যমে। তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়াই এর মূলধন। এভাবে একটি অস্থির জনগোষ্ঠী তৈরি হচ্ছে। তবে আমাদের মনে রাখতেই হবে, সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলো ব্যবহারের মাধ্যমে আমাদের সামাজিকতা যেন হারিয়ে না যায়। সামাজিকমাধ্যম যেন অপরাধের মাধ্যম না হয়ে ওঠে, সেই দিকেও খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিক মাধ্যমের দৌরাত্ম্য মানুষের এ চিরন্তন পরিচিতির সামনে প্রশ্নবোধক চিহ্ন এঁকে দিয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে দেশে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, সোশ্যাল সাইটগুলোতে প্রশ্নফাঁসের উৎসব চলছে! সব ধরনের পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস হয়ে যাচ্ছে এই মাধ্যমগুলোতে, ফলে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে শিক্ষাক্ষেত্রসহ সব রকমের প্রশাসনিক কার্যক্রম। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অতিরিক্ত ব্যবহারের ফলে ছাত্রছাত্রীদের পরীক্ষার ফলাফল ও পরবর্তীতেও নিজেদের ক্যারিয়ারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। অতিরিক্ত সোশ্যাল সাইটের প্রতি আসক্তি এবং এর অপব্যবহার শুধুমাত্র পরিবার ও ব্যক্তিগত পর্যায়ের জন্যই যে ক্ষতিকর তা না, এটা সমস্যা তৈরি করতে পারে আপনার কর্মক্ষেত্রেও! এসব নৈতিক অধঃপতনের কারণে দেখা যাচ্ছে-আস্থা, ভালোবাসা ও বিশ্বাস এখন আর আত্মকেন্দ্রিকতা ও স্বার্থপরতার সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারছে না। ফলে এমন সব ঘটনা ঘটছে, যা শুনে বা খবরের কাগজে পড়ে শিউরে উঠতে হচ্ছে। সন্তানের হাতে মা-বাবা খুন, মা-বাবার হাতে সন্তান খুন ইত্যাদি ঘটনা ঘটছে অহরহ। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, তথ্যপ্রযুক্তিকে অবলম্বন করে অনৈতিক ও অবৈধ প্রেমে আবদ্ধ হয়ে তরুণরা নিষ্ঠুর, নির্মম হয়ে উঠছে। এসব বিষয়গুলো কখনো কখনো তাদের আত্মধ্বংসী করে তুলছে। অবক্ষয়ের আরেকটি বড় কারণ হচ্ছে তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহার। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হচ্ছে সমাজ ও রাষ্ট্রকে। সর্বোপরি আমাদের যুবকদের মাঝে ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তোলা আবশ্যক। সেটা যে ধর্মেরই হোক না কেন। কারণ কোন ধর্মই আমাদের নৈতিক অবক্ষয় শিখায় না। আমাদের যুবকদের জন্য সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হতে হবে তাদের পরিবার। যাতে সে কোনো ভালোবাসার অভাবে নতুন ভালোবাসা না খুঁজে। বাবা-মাকে আমাদের ছেলেমেয়েদের জানাতে হবে তার দৌরাত্ম্য কত। মানে তার সামাজিক অবস্থান থেকে সে কী করতে পারে আর কী পারে না। শুধু ভালোবাসা নয়, প্রয়োজনে শাসন ও তাদের থেকে কাম্য। কারণ যিনি ভালোবাসেন শাসন সেই করতে পারেন। বাবা-মাকে খোঁজ রাখতে হবে, কে বা কারা আমার ছেলে বা মেয়ের বন্ধু হচ্ছে। ইন্টারনেট ব্যবহারে আমরা কী করতে পারি না, সে শিক্ষা আমাদের পরিবার থেকেই পাওয়া উচিত। ছেলেমেয়েদের মোবাইল ও কম্পিউটার ব্যবহারের ক্ষেত্রে বাবা-মায়েদের সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। ছেলে বা মেয়ে কোনো ভুল করে ফেললেও তাকে কাছে নিয়ে আপন করে আবার নিজেকে জাগিয়ে তুলতে সাহায্য করতে হবে। উপরোক্ত দিকগুলো থেকে আরো ভালো অনেক দিক আমাদের জানার বাইরে আছে যা আমাদের খুঁজে নিয়ে আমাদের সন্তানদের মানুষ করে সকল নৈতিক অবক্ষয় থেকে বাঁচাতে হবে। আমাদের খারাপ দিকগুলোকে আমরা চিহ্নিত করে যদি আমাদের তরুণদের সামনে তুলে ধরতে পারি, তাহলে এটা আমাদের জন্য অভিশাপ নয় আশীর্বাদও হবে।
লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক