ঢাকা ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

অমৃত চিছাম
পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা

মানুষ তাদের বিভিন্ন প্রয়োজনে পরিবেশের ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু বিভিন্ন সময়, বিভিন্ন কারণে মানুষগুলোর নানা ধরনের কর্মকাণ্ডের ফলে পরিবেশ বিপর্যয় ঘটে থাকে। আর যা দিন দিন বৃদ্ধি পেয়ে প্রকট আকার ধারণ করছে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী আলোচনা শীর্ষে অবস্থান করা বিষয়গুলোর মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো পরিবেশ দূষণ। আমাদের প্রিয় দেশেও মারাত্মক পরিবেশ দূষণ ঘটে থাকে। দেশে প্রতিদিন সাধারণ লোকজন বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের ও অজ্ঞতার দরুণ প্রচুর পরিমাণ বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন করে থাকে। কিন্তু দেশে এসব বর্জ্য পদার্থের তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না। পর্যাপ্ত জ্ঞানের অভাবে সাধারণ মানুষ বর্জ্যগুলো যেখানে সেখানে নিজেদের ইচ্ছে স্বাধীন ফেলে দিচ্ছে। এর ফলে পরিবেশের মারাত্মক বিপর্যয় পরিলক্ষিত হচ্ছে প্রতিনিয়ত। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, দৈনন্দিন জীবনে প্রায় প্রতিটি সদস্য সেই সকাল বেলা ঘুম থেকে জেগে উঠার পর থেকে শুরু করে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত বিভিন্নভাবে বর্জ্য পদার্থ উৎপন্ন করে থাকে। আর এক্ষেত্রে আমাদের প্রিয় স্বদেশ বিশ্বের অনেক উন্নত দেশের চেয়েও এগিয়ে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশের জনসংখ্যা বর্তমানে ১৬ কোটি ৯৮ লাখ ২৮ হাজার ৯১১ জন। এ বিশাল জনগোষ্ঠীর প্রতিটি সদস্য কোনো না কোনোভাবে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য উৎপাদনের সঙ্গে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। প্রথমেই একটু ছোট করে জেনে নেয়া যাক, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়টি আসলে কী? অতি সাধারণভাবে বলতে গেলে, বর্জ্যরে উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ এবং অবশিষ্টাংশের বিলিব্যবস্থা করার প্রক্রিয়াকে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বলে। কিন্তু দেশে এখন পর্যন্ত বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় তেমন কোনো কার্যকর ব্যবস্থ্যা গ্রহণ করা হচ্ছে না। এর একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ হলো- মহাসড়কের পাশে বিভিন্ন স্থানে বর্জ্যরে বড় বড় স্তূপ। এখানে দেখা মেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা নানা ধরনের বর্জ্য বস্তুর। এগুলোর মধ্যে রয়েছে প্লাস্টিক, রান্না-বান্নার বর্জ্য, মেডিকেল বর্জ্য, কারখানার বর্জ্যসহ আরো অনেক জায়গায় থেকে আসা বর্জ্য এবং এসব বর্জ্য পদার্থের সর্বশেষ স্থান রাস্তার পাশে অথবা নির্দিষ্ট কোনো ময়লা ফেলার স্থানে। কিন্তু আমরা একবারের জন্যও চিন্তা করি না এর কুফল কি হতে পারে। অনেকেই মনে করেন যে, আমি একা বর্জ্য পদার্থ যেখানে, সেখানে ফেললে কি এমন আর হবে। জানা যায় প্রতিদিন যে পরিমাণ বর্জ্য উৎপন্ন হয়, তার মোট পরিমাণ প্রায় ১৭ হাজার টন। কিন্তু এরকমভাবে যদি দেশের প্রতিটি সদস্য মাত্র ১০ গ্রাম করেও বর্জ্য উৎপন্ন করে তবে ধারণা করা যায় কি পরিমাণ বর্জ্য তৈরি হতে পারে প্রতিদিন। শুধু এখানেই শেষ না, এসব বর্জ্য পদার্থের আবার বিভিন্ন রকমের প্রভাব বিদ্যমান বিশেষ করে পরিবেশের ওপর এর প্রভাব প্রকট আকার ধারণ করছে বর্তমানে।

আমরা জানি, পরিবেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি উপাদানের কথা চিন্তা করতে গেলেই যেগুলো সবার আগে আমাদের সামনে চলে আসে তা হলো মাটি, পানি ও বায়ু। কিন্তু পরিবেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এসব উপাদান বর্জ্য পদার্থের ফলে আজ মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। প্রথমেই আসা যাক মাটি দূষণ সম্পর্কে, দেশে প্রতিদিনই বিভিন্ন উৎস হতে বর্জ্য উৎপন্ন হয়। দূষণের কারণে বিস্তৃত প্রতিকূল প্রভাব মানুষ, প্রাণী, গাছপালা এবং সামগ্রিকভাবে পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করে। বিশেষ করে শিশুরা রোগের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ, তাই দূষিত মাটি তাদের জন্য বেশি বিপজ্জনক। অত্যন্ত বিষাক্ত শিল্প এবং রাসায়নিক বর্জ্য যা ভুলভাবে নিষ্পত্তি করা হয় তা পৃথিবীর মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, ল্যান্ডফিলগুলোয় অনিয়ন্ত্রিত বিপজ্জনক উপাদানের নিষ্পত্তি মাটি দূষণের কারণ হতে পারে। উচ্চমাত্রার সীসার এক্সপোজারের ফলে স্নায়ুতন্ত্রের স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। কিডনি এবং লিভারের মতো গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলোর মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে। ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বহুগুণ বেড়ে যায়। বর্জ্য পদার্থে বিদ্যমান রয়েছে নানা ধরনের রাসায়নিক উপাদান. যা বায়ুদূষণে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে অংশগ্রহণ করে থাকে। আর এসব বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদানগুলো আমাদের শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে আমাদের শরীরের ভেতরে প্রবেশ করে এবং নানা ধরনের দীর্ঘস্থায়ী শারীরিক সমস্যার সৃষ্টি করে। এক গবেষণায় দেখা যায়, শুধুমাত্র প্লাস্টিক বর্জ্য আগুনে পোড়ানোর ফলে ২০১৯ সালে বায়ুমন্ডলে প্রায় ৮.৫ কোটি টন কার্বণ ডাই-অক্সাইড যোগ হয়েছে। এছাড়া দীর্ঘদিন পরিবেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব বর্জ্য বৃষ্টির পানির সঙ্গে মিশে যাচ্ছে, যা পরবর্তীতে নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্র এমনকি ভূগর্ভস্থ পানিকেও দূষিত করে তুলছে। এমন আশঙ্কার কথা মাথায় নিয়ে ভূতাত্ত্বিক জরিপ অধিদপ্তর (জিএসবি) একটি গবেষণা করছে ও তারা আশঙ্কা করছেন, অপরিকল্পিতভাবে কোথাও ময়লা-আবর্জনা ফেললে বর্জ্য এবং স্তূপ করে রাখার ফলে ভয়ংকর দূষণের ঘটনা ঘটতে পারে। রাজধানীর বর্জ্যে প্রায় ৬২ রকম ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ পাওয়া গেছে বলেও জানিয়েছে জিএসবি সূত্র। অব্যবস্থাপনার ফলে যদি এ সমস্ত বর্জ্য পদার্থ ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে মিশে যায়, তাহলে তা পানযোগ্য পানির ক্ষেত্রে মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে আনবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বৃষ্টির পানি পরিবেশে ছড়িয়ে থাকা বা স্তূপ করে রাখা বর্জ্যরে সঙ্গে মিশে গিয়ে পানিকে দূষিত করে আর এ ধরনের অবস্থাকে ‘লিচেট’ বলে। সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, শুধু ঢাকার মাতুয়াইল নয়, বড় শহরগুলোতে যেখানে ময়লার ভাগার রয়েছে, তার আশপাশের কয়েক কিলোমিটারের মধ্যে মানুষের বসতি রয়েছে। এসব মানুষ তাদের নিত্যদিনের পানির প্রয়োজন ভূগর্ভস্থ উৎস থেকে মিটিয়ে থাকে। এক্ষেত্রে মানুষ যে পানি ব্যবহার করছে তাতে কোনো দূষণ আছে কি না তা নির্ণয় করা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকা শহরের মধ্যের ডাস্টবিনগুলোর নিচে কনক্রিটের স্তর রয়েছে। কিন্তু দেশে বিদ্যমান বেশিরভাগ বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশনে কোনো কনক্রিট নেই। দূষণ ও দখলের কারণে ঢাকার চারপাশের নদী ও জলাশয়ের পানি ব্যবহারের অনুপোযোগী হয়ে পড়ায়, নগরীর প্রায় ২ কোটি ৩০ লাখ বাসিন্দার ঘরে ও শিল্প-কারখানায় সরবরাহ করা প্রায় ৭০ শতাংশ পানি উত্তোলন করতে হচ্ছে মাটির নিচ থেকে। শুধু ঢাকা ওয়াসাই প্রতিদিন প্রায় ৩৩ লাখ ঘনমিটার ভূগর্ভস্থ পানি উত্তোলন করে। কিন্তু শঙ্কার বিষয় এই যে, যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা না থাকার কারণে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান সমৃদ্ধ বর্জ্য পদার্থগুলোই পরবর্তীতে লিচেট হয়ে ভূগর্ভস্থ পানির সঙ্গে মিশে গিয়ে মারাত্মক পানি দূষণ ঘটায়। যা পরবর্তীতে বিভিন্ন মাধ্যমের সাহায্যে নিজেদের দৈনন্দিন প্রয়োজনে উত্তোলন করে ব্যবহার করি। পানিতে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান মিশ্রিত হওয়ার ফলে নানা ধরনের দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্য ঝুঁকির সৃষ্টি হয়, বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা বেশি এই সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে। দেশে উৎপন্ন এসব বর্জ্য পদার্থের একটি কার্যকরী সমাধান হতে পারে স্যানিটারি ল্যান্ডফিলিং। এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন বর্জ্য, আবর্জনা মাটির নিচে গর্ত করে সঞ্চয় করা হয়; একে স্বাস্থ্যসম্মত ভূমি ভরাট প্রক্রিয়া বলে। এটি এমন একটি পদ্ধতি যা খুব সতর্কতার সঙ্গে স্থান নির্বাচন, নকশা, ল্যান্ডফিল তৈরি করা এবং সর্বোপরি পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য রক্ষায় পরিচালিত। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- ল্যান্ডফিল সাইটের ৩০ মিটার দূরত্বের মাঝে কোন জলাশয় থাকা যাবে না, ১৬০ মিটার দূরত্বের মাঝে কোনো খাবার পানির নলকূপ রাখা যাবে না, ৬৫ মিটার দূরত্বের মাঝে কোনো ঘরবাড়ি, স্কুল, পার্ক রাখা যাবে না। সমাহিত বর্জ্য যাতে চারপাশে ছড়িয়ে পড়তে না পারে, সেজন্যে ল্যান্ডফিলের চারদিকে প্রতিবন্ধক দেওয়া থাকে এবং পৃষ্ঠের প্রবাহকে দূরে রাখতে সেই ল্যান্ডফিলকে একটি অনাগত কভার দিয়ে আবদ্ধ করে রাখা হয়। স্যানিটারি ল্যান্ডফিল করার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ, ভারী ধাতু যা সরাসরি আমাদের মাটিতে, বায়ুতে, জলাশয়ে, নদীতে, গ্রাউন্ড ওয়াটার এ যেতে পারে না। এর ফলে আমাদের দেশের রোগজীবাণু একই সঙ্গে পরিবেশ দূষণের পরিমাণও অনেকাংশে কমে যাবে। স্যানিটারি ল্যান্ডফিলে বিভিন্ন ধরনের কঠিন বর্জ্য পদার্থ বিদ্যমান থাকে, যা থেকে জৈব ভঙ্গুর বর্জ্য পৃথক করে সেখানে জীবাণু ও ব্যাকটেরিয়া দ্বারা জারিত বা বিজারিত করে সেখান থেকে জৈব সার, গ্যাস উৎপাদন করতে পারি। এতে করে একদিকে বর্জ্যরে পরিমাণও কিছুটা কমবে অন্যদিকে আমরা আর্থিকভাবেও লাভবান হব, যা আমাদের দেশের আর্থিক খাতের উন্নয়ন সাধন করবে। এছাড়া অনান্য কঠিন বর্জ্য রিসাইকেল করার মাধ্যমে পুনরায় ব্যবহার উপযোগী করা যায়। এর ফলে আমাদের উৎপাদন খরচ কিছুটা কমবে। আর যেগুলো রিসাইকেল সম্ভব না, সেখান থেকে পরিবেশ সম্মত উপায়ে জ্বালানি উৎপাদন করতে পারি। বর্জ্য নিয়ে প্রচলিত সুন্দর দুটি কথা এই যে, ‘আজকের বর্জ্য আগামীকালের সম্পদ এবং আবর্জনাই নগদ অর্থ’। যথাযথ ল্যান্ডফিল করার মাধ্যমে আমরা অনেকাংশে পানি দূষণ, বায়ু দূষণ, মাটি দূষণ তথা পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, যা বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ। এছাড়াও সঠিকভাবে সমাপ্ত ল্যান্ডফিল থেকে পরবর্তীতে বিনোদনমূলক পার্ক, খেলার মাঠ বা গল্ফ কোর্সে রূপান্তরিত করা যায়। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে ১৮ (১) ধারায় সুস্পষ্টভাবে বলা আছে, ‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীব-বৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্য প্রাণির সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান করিবেন।

বাংলাদেশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বিধিমালা রয়েছে সেগুলো হলো- (১)পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭, (২) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (সংশোধিত ফেব্রুয়ারি), ১৯৯৭, (৩) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা (সংশোধিত আগস্ট), ১৯৯৭, (৪) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০০৫), (৫) পরিবেশ সংরক্ষণ বিধিমালা, ১৯৯৭ (সংশোধিত ২০১০)। মেডিকেল ছাড়াও, দেশে উৎপাদিত বিভিন্ন রকমের বর্জ্য পদার্থ যা আমাদের স্বাস্থের জন্য মারাত্নক ক্ষতিকর সেসব বর্জ্য স্যানিটারি ল্যান্ডফিল পদ্ধতি ব্যবহার করে অনেকাংশে স্বাস্থ্য ঝুঁকি কমিয়ে আনতে পারি। বিভিন্ন জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বাসাবাড়ি থেকে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্য পৃথকভাবে সংগ্রহ করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এ বর্জ্য নিয়ে নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও সার উৎপাদনের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ট্রিটমেন্ট প্লান্ট স্থাপন করা হয়েছে, যা দেশের এসজিডি ২০৩০ বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা যে শুধুমাত্র সরকার একাই নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে তা নয় যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সমাজের সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত বিভিন্ন সভা সেমিনার, পত্র-পত্রিকায় লেখা প্রকাশ করতে হবে, টেলিভিশন ও রেডিও’র মাধ্যম বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করতে হবে এবং পাঠ্য বইয়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-সংক্রান্ত অধ্যায় সংযুক্ত করা এখন সময়ের দাবি। আমরা জানি আজকের শিশুই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ, তাই তাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত সঠিক ধারণা দিতে হবে। সর্বোপরি আমাদের দেশের সব মানুষ যথাযথ বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় অংশগ্রহণ করে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কার্যক্রম সফল করতে পারি। পরিশেষে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় সবাইকে আরো সচেতন হতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত