কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা : বদলে দিচ্ছে সবকিছু

প্রদীপ সাহা

প্রকাশ : ১৭ মার্চ ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের অনেক কাজ সহজ করে দিয়েছে এবং ধীরে ধীরে তা আমাদের জীবনযাত্রার অংশ হয়ে উঠেছে। অন্যদিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অপব্যবহারের দৃষ্টান্তেরও অভাব নেই। ২০২৩ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বড় আকারে আমাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রবেশ করেছে। চ্যাটজিপিটি থেকে শুরু করে মিডজার্নির মতো অনেক প্রয়োজনীয় অ্যাপ সৃষ্টি হয়েছে এরই মধ্যে। কিন্তু ভুয়া খবর ও নিয়ন্ত্রণের অভাব সম্পর্কে ভয়-ভীতিও বেড়ে চলেছে। ড্যাল-ই ও মিডজার্নির মতো ছবি সৃষ্টির পরিষেবার কল্যাণে ২০২২ সালের শেষের দিকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে ঘিরে উত্তেজনা শুরু হয়েছিল। সেসময় শুধু বর্ণনার মাধ্যমেই যেকোনো ছবি সৃষ্টির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছিল। ২০২৩ সালে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে সৃষ্টি করা ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র তৈরি করা হয়েছে। এক প্রতিযোগিতায় বিচারকম-লী না বুঝেই এমন একটি ছবিকে পুরস্কৃত করেছিলেন। সেলফি ছবিকে চাকরির আবেদনের সিভির উপযুক্ত করে তুলতে ‘রেমিনি’-এর মতো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পোর্ট্রেট অ্যাপ ভাইরাল হয়েছে। তবে লিঙ্গবৈষম্য ও ইউরোপকেন্দ্রিক ছবি সৃষ্টির কারণে এসব অ্যাপ বিতর্কেরও সৃষ্টি করেছে। যেমন ‘লেন্সা’ নামের অ্যাপ মহাকাশচারী, রক তারকা বা সুপারহিরো হিসেবে যেকোনো মানুষের পোর্ট্রেট ছবি সৃষ্টি করতে পারে।

অন্যদিকে, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘ডিপফেক ইমেজ’ বা ভুয়া ছবির কারণে দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে। আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা¤পকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে- এমন ডিপফেক ছবির কথা সবার নিশ্চয়ই মনে আছে। এমন ছবি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীদের আবেগ নিয়ে খেলে রাজনৈতিক শিবিরে সহজেই আলোড়ন তোলা যায়। তাছাড়া অনেক শিল্পীও এমন ইমেজ জেনারেটর নিয়ে খুশি নন। তারা নিজেদের সৃষ্টিকর্ম অনলাইনে দেওয়ার পর তাদের সম্মতি ছাড়াই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা মডেল ট্রেনিংয়ের কাজে সেগুলো ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ইমেজের কপিরাইট সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর পাওয়া যায়নি। ২০২২ সালের নভেম্বর মাসে চ্যাটজিপিটি প্রকাশ করা হয়। ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের মধ্যে এই পরিষেবা ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ১০ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কিছু সময়ের জন্য কনজিউমার অ্যাপ হিসেবে সেটি সবচেয়ে দ্রুত বৃদ্ধির রেকর্ড দখল করেছিল। মাইক্রোসফট চ্যাটজিপিটি সৃষ্টিকারী ওপেনএআই কো¤পানিতে বিশাল বিনিয়োগ করেছে। বিং নামের নিজস্ব সার্চ ইঞ্জিনের সঙ্গে সেই চ্যাটবটজুড়ে এই কো¤পানি ‘বিং চ্যাট’ সৃষ্টি করে।