ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

মার্চ, বাঙালি জাতিসত্তার টার্নিং পয়েন্ট

এএইচ খান রতন
মার্চ, বাঙালি জাতিসত্তার টার্নিং পয়েন্ট

জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় পৃথিবীর প্রতিটি দেশ ও জাতির ঐতিহাসিক পটভূমি আছে। সার্বভৌমত্ব অর্জনের প্রতিটি বাঁকে বাঁকে নেয়া সিদ্ধান্তগুলোই পরবর্তীতে ওই জাতির ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়। ইতিহাস তা নয়, যা কেউ মনের মাধুরী মিশিয়ে রচনা করে; তা-ই ইতিহাস, হাজার বছর পরেও যা নিজেই নিজেকে নির্ভুল বর্ণনা করে। ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত সকল মহৎকর্ম অন্ধকারেও আলো ছড়ায়। প্রগৈতিহাসিক কাল হতে মানবসভ্যতা প্রতিষ্ঠায়, প্রতিটি আত্মত্যাগ ও ঘটনা ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী। সুতরাং কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠী নয়, জাতীয় ঐতিহ্য গত কারনে, সার্বভৌম ভূখণ্ড অর্জনের সকল ঘটনাপ্রবাহ, প্রতিটি জাতির ঐতিহাসিক সম্পদ। তাই প্রকৃত ইতিহাস সংরক্ষণের দায়িত্ব কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর নয়; বরং তা সময় বা কালের উপর বর্তায়। এ কারণেই মানবসভ্যতার প্রারম্ভিক কাল হতে আজকের আধুনিক যুগ পর্যন্ত, সভ্যতার ধারাবাহিকতায় অসংখ্য যুদ্ধ বিগ্রহের পরও, মানবেতিহাসের প্রতিটি ধাপ স্বমহিমায় উদ্ভাসিত। বাঙালি জাতিরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় অসংখ্য ঘটনা প্রবাহের পর চূড়ান্ত বাক পরিবর্তনে ’৭১-এর মার্চ মাস, তেমনি ঐতিহাসিক মাইলফলকের মাস। যে মাসে মহাকালের গর্ভে প্রসব বেদনার শুরু হয়ে দীর্ঘ ৯ মাস পর ’৭১-এর ১৬ ডিসেম্বর পৃথিবীর কোলে ভূমিষ্ট হয় শিশু রাষ্ট্র- ‘বাংলাদেশ’। মার্চ, বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের মাস, নিজস্ব পতাকা ওড়ানোর ইতিহাস তৈরির মাস। ৫৩ বছর আগে রক্তের বিনিময়ে অর্জিত মানচিত্রে এ মাসের গুরুত্ব অপরিসীম। বাঙালির জাতীয় জীবনে লাখ শহীদের নানান ঘটনাপ্রবাহের গুরুত্বপূর্ন সাক্ষী এই মার্চ ১৯৭১। ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতিতত্ত্বের অপরিণামদর্শী ফর্মূলায়, ভারত-পাকিস্তান নামে দ্বিখণ্ডিত ভূখণ্ডে, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ২৩ বছরের আন্দোলনে নানা চড়াই-উৎরাই পেড়িয়ে, ’৭১-এর মার্চে তৃখণ্ড বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিশ্বমানচিত্রে বাঙালি জাতীয়তাবাদের উত্থান। ’৪৭-এর ১৫ আগস্ট মধ্য রজনীতে, ভাষা, সংস্কৃতি, পোশাক খাদ্যাভ্যাস ও সামাজিকতার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে উপেক্ষা করে, শুধুমাত্র ধর্মীয় মেলবন্ধনের ভিত্তিতে, হাজারো মাইলের অধিক ব্যবধানে অবস্থান করা দু’টি ভূখণ্ড এক সুতোয় না গেথে, দেশ ভাগের মহাযজ্ঞটি যদি বাস্তবতার নিরিখে করা হত, তাহলে হয়তবা বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাস অন্যরকম হতে পারত।

একশত নব্বই বছরের ব্রিটিশ দাসত্বের শৃঙ্খল মুক্ত জাতি, এক বছর যেতে না যেতেই পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বৈষম্যনীতি বুঝতে শুরু করে। ৪৭ এর দেশ ভাগের পর ৪৮ সালেই তারা ভাষার উপর হস্তক্ষেপ করে। কিংকর্তব্যবিমূঢ় সদ্য স্বাধীন দেশের জনগণ নিতান্ত বাধ্য হয়েই প্রতিবাদী মেজাজে গা ঝারা দিয়ে উঠে। তারা জানিয়ে দেয়, আমরা আছি, ইচ্ছে করলেই তোমরা যাচ্ছে তাই করতে পার না। সেদিনের ভাষা রক্ষার প্রতিবাদই যে, পরবর্তী তে স্বাধীনতা আন্দোলনে রূপ নেবে, সে ধারণাটি স্পষ্ট হতে খুব বেশি সময়ের প্রযোজন হয়নি। পূর্বপাকিস্তানের সর্বস্তরে পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের বিমাতৃসুলভ দ্বিমুখী নীতি খোলাসা হতে শুরু করে দ্রুতই। অর্থনৈতিক বৈষম্য, চাকরিতে নিয়োগ বৈষম্য, প্রশাসন, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, উন্নয়ন বাজেট, বিনিয়োগ বৈষম্য, সামরিক বাহিনীতে নিয়োগ, সিভিল এডমিনিস্ট্রেশনসহ সব ক্ষেত্রে পূর্বপাকিস্তানকে শোষণের উপনিবেশে পরিণত করে তারা। সকল ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার একক ক্ষমতা থাকায়, রাষ্ট্রীয় সব পরিকল্পনা প্রণীত হত কেন্দ্রীয় দপ্তরে। সেখানে পূর্ব পাকিস্তানের প্রতিনিধি না থাকায়, পশ্চিম পাকিস্তানের স্বার্থান্বেষী মহল, কৌশলে পূর্ব পাকিস্তানের জনগণকে তাদের ন্যায্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে থাকে। সম্পদ বিভাজন বৈষম্যের ক্ষেত্রে প্রতিবাদের সুযোগ না থাকায়, কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্ভাবিত ভূতুড়ে ফর্মূলা ছিল, পূর্ব ও পশ্চিম দুই পাকিস্তানের যে কোনো অংশের উন্নয়ন বা বিনিয়োগ, সামগ্রিকভাবে অবিচ্ছেদ্য পাকিস্তানের উন্নয়ন বলে বিবেচিত হবে। এ অবাস্তব কল্প তত্ত্বের ভিত্তিতে কেন্দ্রীয় সরকার প্রণীত প্রকল্পগুলোতে অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে সুস্পষ্ট বৈষম্য নীতি অনুসরণ করে তারা।

’৪৭-এর দেশ বিভাগের পর হতে, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়া পর্যন্ত মোট তিনটি পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনা গৃহীত হয়। প্রথম পঞ্চ-বার্ষিকী পরিকল্পনাটি ছিল ১৯৫৫/৫৬ সাল হতে ৫৯/৬০ সাল পর্যন্ত। এ পরিকল্পনায় পূর্ব পাকিস্তানের উন্নয়নে সোয়া তিনশত কোটির কিছু বেশি রুপির বরাদ্দ দেয়া হয়। যার মাত্র সোয়াশ কোটি রুপি ব্যায় করা হয়েছিল পূর্বপাকিস্তানে। অপরদিকে পশ্চিম পাকিস্তান উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ দেয়া হয় পাঁচশ কোটি রুপি। অথচ জনসংখ্যা অনুপাত ও আন্তর্জাতিক বাজারে প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎস পাট ছিল পূর্ব পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অর্জন। এভাবে নানান রকম অকৌশলে প্রতি বছর চার পাঁচশত গুণ বেশি অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হত পশ্চিম পাকিস্তানের উন্নয়ন প্রকল্পে। পরবর্তীতে দ্বিতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনায় একই কৌশলে বৈষম্য নীতি বাস্তবায়ন করা হয়। কিন্তু, পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকারের এহেন কর্মকাণ্ডে এরইমধ্যে সমালোচনার ঝড় উঠে। একই পদ্ধতিতে তৃতীয় পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার চূড়ান্ত নকশা বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেয়া হলে, পূর্ব পাকিস্তানের সচেতন মহলের তীব্র প্রতিবাদের মুখে, আইয়ুব খান উভয় অঞ্চলে সমতার ভিত্তিতে উন্নয়ন ও বৈষম্য নীতি অবসানের ঘোষণা দিয়ে, অর্থ কমিটি গঠন করেন। ওই কমিটির রিপোর্টে পাকিস্তানের উভয় অঞ্চলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে সম্পদ বিভাজনের কথা বলা হলেও, পরবর্তীতে তা আর বাস্তবায়ন করা হয়নি। এভাবেই পূর্ব পাকিস্তানের মানুষের অর্জিত অর্থ, কৌশলে ব্যায় হয়েছে পশ্চিম পাকিস্তান উন্নয়নে।

এত কিছুর পরও দুই পাকিস্তানকে একীভূত রাখার সর্বশেষ চেষ্টা হিসেবে ১৯৬৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে স্বায়ত্তশাসনের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যে পূর্বপাকিস্তানের পক্ষে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে ছয়দফা দাবি উত্থাপন করা হয়। বাংলাদেশের মানুষের রাজনৈতিক, সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য যা ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা। কিন্তু আইয়ুব খান তা মানতে রাজি না থকায়, এই ছয়দফাকে কেন্দ্র করে পাকিস্তান সরকার বঙ্গবন্ধুসহ ৩৫ জনকে আসামি করে আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলা করে। মূলত এই ছয়দফাই দুই পাকিস্তানের চূড়ান্ত পরিণতির কফিনে শেষ পেরেক ঠুকে দেয় এদেশের জনগণ। যা বাস্তবায়নে জাতির কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র উদ্ধারে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ, ২৫ মার্চের অপরিণামদর্শী গণহত্যার প্রতিরোধে ২৬ মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা ও ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জনের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।

শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে পূর্বপাকিস্তানের জনগণের লাগাতার ২৩ বছর ধরে স্বাধীকার আদায়ের আন্দোলন থেকে অবশেষে একদফা স্বাধীনতা আন্দোলনে রুপ নেয়। যার ধারাবাহিকতা ছিল, ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ’৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচন, সবশেষে ’৭১-এর ৭ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু, তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে, প্রায় ১০ লাখ মুক্তিকামী মানুষের উপস্থিতিতে তেজ দীপ্ত কণ্ঠে ‘এবারে সংগ্রাম মুক্তির সংগ্রাম, এবারে সংগ্রাম আমাদের স্বাধীনতার সংগাম’ এর ডাক দেন। তার কালজয়ী ভাষণের মাধ্যমে সুকৌশলে জাতিকে তিনি স্বাধীনতা সংগ্রামের চূড়ান্ত প্রস্তুতির আহ্বান জানান। জনসভায় উপস্থিত দেশি-বিদেশি মিডিয়া ও পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার যা বুঝে নেয়ার, তা বুঝে নেয়। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ভাষণের পর দেশের মুক্তি পাগল জনতা কালবিলম্ব না করে, ভেতরে-বাইরে যে যার মতো যুদ্ধের প্রস্তুতি নিতে শুরু করে।

পাকিস্তান কেন্দ্রীয় সরকার প্রশাসনিক ছদ্মাবরণে পূর্বপাকিস্তানের সামরিক আধাসামরিক অস্র প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত সকল ব্যক্তিবর্গকে নিরস্র করার কৌশল গ্রহণ করে। চট্টগ্রামবন্দরে সামরিক সরঞ্জামের চালান খালাস হতে শুরু হয় অস্বাভাবিক দ্রুততার সঙ্গে। একদিকে প্রশাসনিক নিয়মের বেড়াজালে পাকিস্তান সামরিক শক্তির বাঙালি দমন অভিযানের প্রস্তুতি, অন্যদিকে নিরস্র বাঙালির কোমড়ে গামছা আর হাতে বাঁশের লাঠির অভূতপূর্ব মহড়া। মাত্র ২০ দিনের ব্যবধানে, ২৫ মার্চ দিবাগত-রাত, অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালির ওপর শুরু হয়, ইতিহাসের সবচেয়ে নারকীয় গণহত্যা। রাজারবাগ পুলিশ লাইন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের উপর চালানো রক্তের হোলিখেলার ধারা গিয়ে মিশে বুড়িগঙ্গার জলস্রোতে। বিচক্ষণ ও রাজনৈতিক দূরদর্শী বঙ্গবন্ধু এরই মধ্যে ওয়ারলেসের মাধ্যমে জাতির উদ্দেশ্যে স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। চট্টগ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা এম এ হান্নান চট্টগ্রাম বেতারে তা প্রচার করেন। এ ঘোষণার মাধ্যমে বিশ্ববাসী বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা জানতে পারে। ২৬ মার্চ দুপুরের মধ্যে মুক্তি পাগল জনতা স্থানীয় নেতৃত্বের উদ্দোগে মাইকে তা প্রচার করেন। পাকিস্তান সেনাবাহিনীর উচ্চপদস্থ জনসংযোগ কর্মকর্ত (PRO) মেজর সিদ্দিক সালেকের ‘Witness to surrender’ বইয়ে বঙ্গবন্ধুর এ স্বাধীনতার ঘোষণার বর্ণনা রয়েছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। কালবিলম্ব না করে বাঙালি ঝাঁপিয়ে পরে কাঙ্ক্ষিত গণতন্ত্র ও মাতৃভূমি রক্ষার স্বাধীনতা যুদ্ধে। দীর্ঘ ৯ মাসের যুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ ও ২ লাখ মা-বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে ১৬ ডিসেম্বর পাকিস্তানের আত্মসমর্পণের মাধ্যমে, অর্জিত হয় স্বপ্নের স্বাধীন বাংলাদেশ।

অর্ধ শতাব্দী পেড়িয়ে আমাদের কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনের আজ ৫৩তম দিবসও পার হয়ে যায়। আত্নমর্যাদার প্রশ্নে সঙ্গত কারণেই ব্রিটিশ দাষত্ব ও পাকিস্তানি বৈষম্যের বিরুদ্ধে আমরা রক্ত দিয়েছি। দেশের জন্য মা তার সন্তান, স্ত্রী তার স্বামী হারিয়ে বিধবা হয়েছে, সন্তান পিতাকে হারিয়ে এতিম হয়েছে। অনেক পরিবার সর্বস্ব হারানোর পরও শোককে শক্তিতে পরিণত করেছে। কেউ পরিবারের শহীদের চূড়ান্ত গন্তব্যের ঠিকানাটি পর্যন্ত আজও জানে না। অজানা কোনো বৈধ্য ভূমিই হয়তো তাদের শেষ ঠিকানা। তা হোক! দেশের জন্য জীবন দানে দুঃখ নেই। পরবর্তী প্রজন্মের জন্য বৈষম্যহীন সমাজ বাস্তবায়নের এ ত্যাগ গৌরবের। কিন্তু প্রশ্ন আছে বৈকি! যার উত্তর দেয়ার কেউ নেই! এটা কি সেই দেশ? যার জন্য অকাতরে প্রাণ দিয়েছে এদেশের মানুষ? এটা কি সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা, যার জন্য সম্ভ্রম হারিয়েছে আমার মা-বোন? বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নে আকা ছবির দেশ কি এটাই? নাহঃ, মোটেই না! সর্বত্র কি দেখছি এসব? যে দাষত্ব ও বৈষম্য মুক্তির লোভ দেখিয়ে মা-বোনের সম্ভ্রম আর ৩০ লাখ প্রাণ বিসর্জিত হয়েছিল, কোথায় সেই দেশ? একটা ভূখণ্ড অর্জনই কি স্বাধীনতা? বলতে দ্বিধা নেই, ‘আমরা রক্তঋণ খেলাপি বাঙালি জাতি; যতক্ষণ না প্রতিষ্ঠিত হবে, দুর্নীতিমুক্ত শোষণ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত