ওষুধের দাম বৃদ্ধিতে ভোগান্তি বাড়ছে

প্রকাশ : ০৪ এপ্রিল ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

এমনিতেই দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশাহারা দেশের সাধারণ মানুষ। একই সঙ্গে অনিয়ন্ত্রিত হারে দাম বাড়ানো হচ্ছে ওষুধের। নিত্যপ্রয়োজনীয় কোনো দ্রব্য ক্রয় করার সময় মোটামোটি দাম কষাকষির একটা সুযোগ থাকে। কিন্তু জীবন রক্ষাকারী কোনো ওষুধ ক্রয়ের ক্ষেত্রে সেই সুযোগ থাকে না। অথচ, দোকানদার ওষুধের মূল্য ঠিকঠাক রাখছেন, নাকি বেশি রাখছেন, সেটা বোঝারও কোনো রাস্তা নেই। কয়েক বছর আগেও এক পাতা নাপা ওষুধ ক্রয় করতাম ১০ টাকায় বর্তমানে দাম ১৫ টাকা। ২০ টাকার নাপা সিরাপ এখন ৩৫ টাকা। প্রতিটি ওষুধেরই এভাবে দাম বাড়ানো হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ওষুধের দাম বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, আন্তর্জাতিক বাজারে কাঁচামালের মূল্যবৃদ্ধি, কাঁচামাল আমদানি খরচ বৃদ্ধি পাওয়া ইত্যাদি। বাস্তবতা হলো, কোম্পানিগুলো তাদের খরচ এক টাকা বাড়লে সেই তুলনায় ওষুধের দাম বাড়ায় কয়েক গুণ বেশি। অবস্থা দেখলে মনে হয়, দেশীয় কোম্পানিগুলো ওষুধের দাম বাড়ানোর ক্ষেত্রে যেন একটি অলিখিত প্রতিযোগিতায় লিপ্ত রয়েছে। অথচ, যদি ১৯৮২ সালের ওষুধ নীতির কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হয় তাহলে রোগী এবং উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান উভয়ের স্বার্থই রক্ষা হতো। একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, দেশের সব নিত্যপ্রয়োজনীয় ওষুধের দাম শতকরা ১০ শতাংশ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে, যা সাধারণ মানুষের জন্য খুবই হতাশার বিষয়।

মো. রাকিব