ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

অন্ধের শহরে আয়না বিক্রি

অন্ধের শহরে আয়না বিক্রি

স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পার হলেও আমরা উন্নতির চরম শিখড়ে পৌঁছাতে পারিনি। একটা জাতির মেরুদণ্ড হচ্ছে শিক্ষা। জাতিকে এগিয়ে নিতে শিক্ষার যে বিকল্প নেই একথা হয়তো আমরা শুধু স্লোগান হিসেবেই মানি, বাস্তবে না। একুশ শতকে যখন সারা বিশ্ব জ্ঞান, প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার করে উন্নতির চরম শিখড়ে উঠেছে, বিশ্ব জয় করে মহাকাশ যাত্রায় এগিয়েছে, তখন আমাদের অবস্থান মাটিতেই থেকেছে এবং দিন দিন নিচের দিকেই যাচ্ছে। একটা দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় গবেষণার আতুড়ঘর হবে নাকি রাজনীতি চর্চার জায়গা হবে সেটা নিয়ে আটকে আছে আমাদের উচ্চ শিক্ষা। যার ফলে এখানে গবেষক থেকে ছাত্র নেতাই বেশি সম্মানিত হয়ে উঠেছে এবং অস্থিতিশীলতার দিকে যাচ্ছে শিক্ষার পরিবেশ এবং সমাজ। অথচ, আমাদের থেকে পিছিয়ে পড়া দেশগুলো করেছে অভাবনীয় অর্জন এবং তলানিতে যাচ্ছে আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের মান। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা নিজেদের ছাত্র নেতা হওয়াকে সৌভাগ্যের বিষয় বলে মনে করছে, যার জন্য শিক্ষা গবেষণা থেকে বিরত থেকে শিক্ষক শিক্ষার্থী উভয়ই লবিংয়ের পিছনে দৌড়াচ্ছে। আমরা যদি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসকে দলাদলি এবং দোষারোপের জায়গায় পরিণত করি। তবে ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশ বির্নিমাণের স্বপ্ন হবে অন্ধের শহরে আয়না বিক্রির মতো। স্বাধীনতার পর প্রতিষ্ঠিত দেশের প্রথম পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ইসলামী শিক্ষা ও আধুনিক শিক্ষার সমন্বয়ে উচ্চতর শিক্ষা দানের উদ্দেশ্য যাত্রা শুরু করে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়। কুষ্টিয়া ও ঝিনাইদহ শহর থেকে যথাক্রমে ২৪ ও ২২ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই বিশ্ববিদ্যালয় দীর্ঘ ৪৫ বছর অতিক্রম করেছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলেও নির্মম সত্য যে, ইবিতে শিক্ষার্থীরা এখন পর্যন্ত তাদের অধ্যয়ন ও গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত বইয়ের সরবরাহ থেকে বঞ্চিত। বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস ও এর সংলগ্ন এলাকায় বইয়ের দোকানগুলোতে শিক্ষার্থীরা অনেক ক্ষেত্রেই প্রয়োজনীয় বই খুঁজে পায় না।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত