ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্মার্ট ডিভাইস বনাম বর্তমান প্রজন্ম

রায়হান আহমেদ তপাদার
স্মার্ট ডিভাইস বনাম বর্তমান প্রজন্ম

মানুষের মধ্যে ত্বরিত যোগাযোগের প্রতিশ্রুতির নাম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। তবে অনেক তরুণ-তরুণীর কাছে এটি এখন ভিন্ন কিছু। এর কারণে তরুণদের মধ্যে বাড়ছে একাকিত্ব। আইফোনে আসক্ত তরুণ এ প্রজন্মকে বলা হচ্ছে আইজেন। দ্য আটলান্টিকের এক প্রতিবেদনে এ প্রজন্মের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর স্মার্টফোনের প্রভাবের বিষয়টি উঠে এসেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এখনকার কিশোরেরা বন্ধুর সান্নিধ্যে কম সময় কাটায়, তাদের মধ্যে ডেটিং কমছে, এমনকি পুরো প্রজন্মের ঘুম কম হচ্ছে। একাকিত্বের এই হার বাড়ায় সাইবার নিপীড়ন, হতাশা, উদ্বেগ এবং আত্মহত্যার ঘটনা বাড়ছে। ‘হ্যাভ স্মার্টফোনস ডেস্ট্রয়েড আ জেনারেশন’ শিরোনামের ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত ব্যবহার করে আইজেন প্রজন্মের খুঁটিনাটি তুলে ধরেছেন যুক্তরাষ্ট্রের সান ডিয়েগো বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিদ্যার অধ্যাপক জিন টুয়েঙ্গে।

প্রজন্মের সঙ্গে প্রজন্মের ফারাক সহজেই চোখে পড়ে। আশির দশকের এক তরুণের পক্ষে বাবা-মাকে বাদ দিয়ে শুধু বন্ধুদের সঙ্গে কয়েক ঘণ্টা শপিং মলে ঘুরতে পারা ছিল কল্পনার বিষয়। এখনকার পাশ্চাত্য কিশোর-কিশোরীরা বন্ধুর সঙ্গে শপিং মলে ঘুরে বেড়ায় স্বচ্ছন্দেই। বাবা-মায়ের সঙ্গেও যদি যায়, তবে ফোন-ট্যাব নিয়ে এতটাই দূরত্ব রাখে যেন ওই যন্ত্রের মধ্যেই আটকে আছে সে। প্রতি মুহূর্তেই চোখ রাখতে হয় পর্দায়। অ্যাথেনা বন্ধুদের সঙ্গে স্মার্টফোনেই সময় কাটায় বেশি। স্ন্যাপচ্যাটে বার্তা দেওয়া-নেওয়া চলতে থাকে। কিন্তু আশির দশকের এক তরুণের কথা চিন্তা করুন, বাসার একমাত্র ল্যান্ডফোনে বন্ধুর সঙ্গে একটু গল্প করার জন্য তাদের কত অপেক্ষায় থাকতে হতো! কমবেশি সবারই প্রযুক্তি পণ্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হলো এটা পুরনো অনেক কিছুকে শেষ করে দেয়। সাম্প্রতিক দশকগুলোয় স্মার্টফোন হলো তার জ্বলন্ত উদাহরণ। আক্ষরিক অর্থে নিলে এটা এরইমধ্যে শতাধিক পণ্যের বাজার ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।

এমনকি রেডিও, টেপরেকর্ডার, স্ক্যানার, ডায়েরি ও ক্যামেরার মতো অনেক পণ্য বিলুপ্তির মুখে ঠেলে দিয়েছে। এর পরোক্ষ প্রভাব আরো ব্যাপক। ইতিবাচক ও নেতিবাচক উভয় ক্ষেত্রেই সেটা হওয়ার সুযোগ রয়েছে। তবে অধিকাংশ কিশোর ও তরুণ স্বভাবতই খারাপ দিকে ঝুঁকছে। ফলে একসময় তা মানব অস্তিত্বের জন্য হুমকি হলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নানা গবেষণা বলছে, লাইফস্টাইলের ব্যাপক পরিবর্তনের মাধ্যমে আমরা সে পথে অনেকটাই এ গিয়েছি। মনে প্রশ্ন জাগতে পারে, এটা উপলব্ধি করার পরেও আমরা কেন মেনে নিচ্ছি বা এই প্রবণতায় রাশ টানছি না? নিঃসন্দেহে অসংখ্য কারণ রয়েছে। তবে অন্যতম কারণ হলো বড়োরাই নিত্যদিন এসব স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করতে গিয়ে আসক্ত হয়ে পড়ছেন। তাছাড়া নগরজীবনে পরিবার কাঠামোয় বদল, বাইরে সন্তানদের নিরাপত্তা ঝুঁকি, সুস্থ বিনোদনের অভাব, খেলাধুলার পর্যাপ্ত সুযোগ না থাকা, কর্মজীবী মা-বাবার ব্যস্ততা প্রভৃতি কারণে পরিবারের নবীন সদস্যদের এসব ডিভাইসের ব্যবহার মেনে নিতে হচ্ছে। তাদের বয়সের বৈশিষ্ট্যের কারণেই নিজের ভালোমন্দ বোঝা কিংবা নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়। ফলে অনেক পরিবারে শিশুরা ডিভাইসের ওপর ভীষণভাবে নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। গত একদশকে এর পরিধি অনেক বেড়েছে। করোনা মহামারি সেই পালে বিশেষভাবে প্রভাব ফেলেছে। যে মা-বাবা এর আগে সন্তানদের ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে অতি সতর্ক ছিলেন। সেগুলোর ব্যবহারে পরিবারে নানা বিধিনিষেধ আরোপ করতেন। তারাও অনলাইন ক্লাসের জন্য সন্তানদের সেগুলো দীর্ঘসময় ব্যবহার করতে দিতে বাধ্য হন। বহু পরিবারে তাদের আলাদা ডিভাইস কিনে দিতে হয়। তাতে অসংখ্য পরিবার নানামুখী ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। স্বাধীনভাবে নিজস্ব ওই ডিভাইসের ব্যবহার বহু কিশোর ও তরুণকে শুধু ইঁচড়ে পাকা বানায়নি বরং বিভিন্ন কিশোর গ্যাংয়ে যুক্ত হয়েছে। নিষিদ্ধ গ্রুপের সদস্য হয়ে নানা অপকর্মে শামিল হয়েছে। কেউবা মাদকের বিস্তারকারী গ্রুপের সান্নিধ্যে চলে গেছে।

এমনকি অনেকে অনলাইনে সক্রিয় জঙ্গিবাদের খপ্পরে পড়েছে। তেমন প্রেক্ষাপটে সশরীরে ক্লাশ শুরু হওয়ায় বহু অভিভাবক হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছিলেন। পরিবারের কনিষ্ঠ সদস্যরা প্রায় ২ বছর ডিভাইস ব্যবহারের অভ্যাস কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছিল। বন্ধু ও সহপাঠীদের সঙ্গে সশরীরে সাক্ষাৎ কিংবা আড্ডার প্রবণতা বাড়ছিল। এমন সময় নতুন পাঠ্যক্রম তাদের আবারো সেদিকে ঝুঁকতে বাধ্য করছে। বিশেষত শহরের স্কুলগুলোয় পড়া একেকটি শিশু দিনে কয়েক ঘণ্টা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। অভিভাবকরা চাইলেও তা হ্রাস করতে পারছেন না। রাত জেগে পরবর্তী দিনের প্রজেক্ট করতে হয় যার অধিকাংশই ইন্টারনেটভিত্তিক। এমনকি রাত ১০টার পরেও বহু স্কুল থেকে পরবর্তী দিনের কাজের নির্দেশনা আসে। তখন তারা সেটা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। বন্ধুদের সঙ্গে গ্রুপ চ্যাট করে। মা-বাবা সারাদিন পরিশ্রমের পর কিংবা পরের দিন সকালে বের হওয়ার তাগাদায় খুব বেশি সময় তাদের তদারক করতে পারেন না। ফলে কিশোররা নিজেদের মতো করে ডিভাইসগুলো ব্যবহার করছে। গভীর রাতে ঘুমাতে যাচ্ছে, স্কুলে পৌঁছাতে দেরি হয়ে যাচ্ছে। বহু মা-বাবা সন্তানদের এমন বিশৃঙ্খল রুটিনে বিপর্যস্ত বোধ করছেন। প্রথমদিকে এসব ডিভাইস দীর্ঘসময় ব্যবহারের শারীরিক প্রভাব নিয়ে কথা হতো। অর্থাৎ এমনটা চলতে থাকলে শিশু-কিশোরদের চোখের ভীষণ ক্ষতি হয়। অল্পতেই মাথা ধরে যায়। দীর্ঘসময় কোনো কাজে মনোনিবেশ করতে পারে না। ঘাড় ব্যথা হয়। এমনকি অনেকের মেরুদণ্ডে স্থায়ী সমস্যা হয়। দেশে-বিদেশে চিকিৎসা করেও প্রতিকার পাওয়া যায় না। তাছাড়া দীর্ঘক্ষণ বসে সেগুলো ব্যবহার করায় শিশুদের শারীরিক গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দৌড়ঝাপ বা শারীরিক শ্রমসাধ্য খেলাধুলায় অংশ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পায়। এসব স্মার্ট ডিভাইস দীর্ঘ সময় ব্যবহারের মানসিক প্রভাব অকল্পনীয় তারা বিনোদনের জন্য যেসব কনটেন্ট দেখে তা স্থান-কাল-পাত্রের বিবেচনায় প্রস্তুত নয়।

ফলে নিজেদের পারিবারিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক শিক্ষা থেকে ক্রমেই দূরে সরতে থাকে। উদ্ভট ও বিকৃত আচরণকারী ব্যক্তিরা তাদের মডেল বা আইকনে পরিণত হয়। এতে কর্মজীবনের জন্য প্রস্তুতি গ্রহণকালে তাদের অনেকেই বসবাস করতে শুরু করে কল্পনার জগতে। পরিবার ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান থেকে নৈতিকতা বা মূল্যবোধ শেখা থেকে হয় বঞ্চিত। তদুপরি তাদের শারীরিক ও মানসিক চাপ নেয়ার ক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে। অল্পতেই আবেগপ্রবণ হওয়ার প্রবণতা বাড়ে। সামান্য ঘটনায় রেগে যাওয়া বা কান্না করতে দেখা যায়। অনেকে অভিমানে আত্মহত্যার মতো বড় দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। অন্যদের ডিপ্রেশনে ভোগা নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপারে পরিণত হয়। কেউবা হয় মাদকে আসক্ত। অনেকেই হয়ে পড়ে বেপরোয়া জীবনযাপনে অভ্যস্ত। শিশুরা পরস্পর মিলেমিশে ও দলবদ্ধ হয়ে কাজ করতে শেখাটা খুবই দরকারি। কিন্তু তার জন্য স্কুলের অবকাঠামো উন্নয়ন, শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ ও অভিভাবকদের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০১২ সালের মধ্য যাদের জন্ম, তাদের ‘আইজেন’ বলা যায়। এ প্রজন্মকে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম সম্বল করে বেড়ে উঠেছে। তাদের আচরণ ও আবেগের ধরন আগের চেয়ে আলাদা। আইজেনের এ পরিবর্তনে মানসিকভাবে তারা বেশি ঝুঁকিতে। তরুণদের মধ্যে বিষণ্ণতা ও আত্মহত্যার প্রবণতা ২০১১ সাল থেকে বাড়তে দেখা গেছে। গত কয়েক দশকের মধ্যে আইজেন সবচেয়ে বেশি মানসিক সমস্যার মধ্যে পড়েছে। তারা শুধু তাদের দৃষ্টিভঙ্গির কারণেই আলাদা নয়, তাদের সময় কাটানোর ধরনও আগের চেয়ে আলাদা। প্রতিদিন তারা ভিন্ন রকম অভিজ্ঞতা ও চমক চায়। একই ছাদের নিচে মা-বাবার সঙ্গে থেকেও মা-বাবার কাছ থেকে আগের প্রজন্মের চেয়ে অনেকটাই দূরে আইজেনরা। মা-বাবার সঙ্গে এখনকার তরুণরা কথা বলে কম। তাদের বলতে শোনা যায়, ‘ওকে’, ‘ঠিক আছে’ জাতীয় সংক্ষিপ্ত উত্তর।

এমনকি বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময়ে তাদের ফোনে ব্যস্ত থাকতে দেখা যায়। পরিবারের সদস্যদের দিকে মন থাকে কম। তারা বিছানায় শুয়ে-বসে মোবাইল ফোনের স্ক্রিনে চোখ রাখে। আশপাশে তাকানোর সময় নেই। তাদের কাছে বিছানা যেন শরীরের একটি অংশ। বেশির ভাগ সময় কোথায় তারা থাকতে চায়? তাদের ঘরে, মোবাইল বা ট্যাবের স্ক্রিনের দিকে তাকানো এবং প্রায়শই বিষাদগ্রস্ত অবস্থায়। গত এক দশকে বাচ্চা বড় করার ধরন ক্রমাগত পরিবর্তন হয়েছে। একই সঙ্গে পাঠ্যসূচি ও সংস্কৃতির পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলোও প্রভাব ফেলেছে। তবে স্মার্টফোন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম যেন ভূমিকম্প তৈরি করেছে। তরুণদের হাতে স্মার্টফোন আসার ফলে এর প্রভাবে তাদের অসুখী করে তুলছে। এমনকি পশ্চিমের কিশোর-তরুণ-তরুণীদের মধ্যে ডেটিংয়ের প্রবণতা কমে গেছে। বেড়ে গেছে একাকিত্ব, হতাশা। সামাজিক মাধ্যম, মানে ফেসবুক, স্ন্যাপচ্যাট, টুইটার এসব তাৎক্ষণিক যোগাযোগের প্রতিশ্রুতি দেয়। কিন্তু একের পর এক প্রমাণ দেখাচ্ছে, অনেক কিশোর-কিশোরীর জন্য যত বেশি সামাজিকমাধ্যম, মানে তত বেশি বিচ্ছিন্নতার অনুভূতি। মানসিকভাবে তারা মিলেনিয়াল প্রজন্মের চেয়ে বেশি নাজুক মনোভাবের পরিচয় দেয়। ২০১১ থেকে আইজেনের মধ্যে আত্মহত্যা ও অবসাদের মাত্রা হো-হো করে বাড়ছে। স্মার্টফোনের এ আসক্তি কাটাতে লেখকের পরামর্শ হচ্ছে, তরুণদের যতটা সম্ভব স্মার্টফোন থেকে দূরে রাখতে হবে। তা না হলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়বে। প্রত্যেক কাজের জন্য উপযুক্ত বয়স থাকে। খুব ব্যতিক্রম, অনন্য মেধাবী কিংবা মিরাকল বেবি হলে সেটা ভিন্ন কথা। কিন্তু সাধারণ ক্ষেত্রে অন্যদের মনোযোগ আকর্ষণ, গ্রহণ যোগ্যতা পাওয়া এবং সেটা টেকসই করার জন্য শক্ত ভিত দরকার হয়। সৃজনশীল নানা ক্ষেত্রে যারা উল্লেখযোগ্য সফলতা পেয়েছেন তারা জীবনের প্রথম পর্যায়ে অমানুষিক পরিশ্রম করে, নানা ত্যাগ স্বীকার করে আজকের তারকা পর্যায়ে এসেছেন।

জীবনের একটা পর্যায় পর্যন্ত কেউ তাদের চিনত না। সেভাবে পাত্তা দিত না। তখন নীরবে-নিভৃতে তারা প্রত্যাশিত ক্ষেত্রে চর্চা ও সাধনা করে গেছেন। ফলে তারা যখন লাইমলাইটে এসেছেন তখন তা ক্যারি করতে সমস্যা হয়নি। তাদের সফলতা দীর্ঘমেয়াদি ও টেকসই হয়েছে। অনেকে জীবনভর নিরলস চেষ্টা ও সাধনায় সেই অর্জন অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। নানা প্রলোভন বা পরিবর্তিত পরিস্থিতি তাদের বিচ্যুত করতে পারেনি। অন্যদিকে কোনো কিছু বুঝে ওঠার আগেই বা সহজে যারা সফলতা পান তাদের আর নিজেদের দক্ষতা ও যোগ্যতা বৃদ্ধির সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। প্রথম দিকে কিছু কাজ দিয়ে গ্রহণযোগ্যতা পেলেও ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে পারেন না। আবার নতুন কিছু শেখা বা সমৃদ্ধ হওয়ার মানসিকতাও থাকে না। ফলে তাদের তথাকথিত সেলিব্রেটি ইমেজ দ্রুতই পড়তে থাকে। পড়ালেখা, জ্ঞানার্জন, অধ্যবসায় তো আগেই বিদায় নেয়। ফলে একসময় হতাশা তাদের নিত্যসঙ্গী হয়। নিজেকে স্টার ভেবে তেমন ব্যয়বহুল জীবনযাপনে সচেষ্ট থাকে। কিন্তু আয়-ইনকাম সেভাবে হয় না। তখন কেউ কেউ অন্ধকার গলিতে পা বাড়ায়। কেউ বা জড়িয়ে পড়ে নানা কেলেংকারিতে। এভাবে বহু জীবন অকালে নষ্ট হয় মা-বাবার অতিরিক্ত লোভ বা সংশ্লিষ্টদের দূরদৃষ্টির অভাবে। তাই শক্তিশালী ডিভাইস হাতের নাগালে থাকলেই তার যথেচ্ছ ব্যবহারে সতর্ক হওয়া দরকার। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে হুমকির মুখে ফেলার আগেই বিষয়গুলো নিয়ে ভাবা জরুরি।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত