ইরানের প্রতি চীন-রাশিয়ার সমর্থন ও পশ্চিমাদের উদ্বেগ

রায়হান আহমেদ তপাদার

প্রকাশ : ১৩ মে ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ইরানের সঙ্গে কৌশলগত অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার মাধ্যমে চীন মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন আধিপত্যে পা রাখতে শুরু করেছে। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন ওয়াশিংটন। জিওপলিটিকার তথ্যমতে, রাশিয়ার সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রধান দুই প্রতিপক্ষ চীন এবং ইরান। এশিয়া ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশ দুটি অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার লক্ষ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে ৪০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার মূল্যের ২৫ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। চীন ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি পুনরুজ্জীবিত করার জন্য ইরানের প্রচেষ্টাকেও সমর্থন করেছে। ২০১৮ সালে চুক্তিটি থেকে বের হয়ে যায়, তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নেতৃত্বাধীন মার্কিন প্রশাসন। যা হোক, চীন এবং ইরান, দুই দেশই মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিষয়বস্তু। তারা ২০২১ সালের মার্চে ২৫ বছরের জন্য একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। তেহরানকে নিজেদের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে নিয়ে এসেছে বেইজিং। ইরান যখন গত এপ্রিলের মাঝামাঝিতে ইসরায়েল লক্ষ্য করে ৩০০-এর বেশি মিসাইল ও ড্রোন হামলা করে, তখন নতুন করে ইরানের তেল রপ্তানির উপর কঠোর নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি আলোচনায় আসে আবার, যে তেলের উপর নির্ভর করে আছে দেশটির অর্থনীতি। ইরানের বিপক্ষে নানা পদক্ষেপ নেবার পরও, ২০২৪ সালের প্রথম ৪ মাসে তাদের তেল রপ্তানি ৬ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ মাত্রায় পৌঁছায়, ইরানের কাস্টম প্রধানের হিসেবে যার পরিমাণ ৩৫.৮ বিলিয়ন ইউএস ডলার। কিন্তু ইরান কীভাবে তাদের তেল রপ্তানির উপর নিষেধাজ্ঞা এড়িয়ে যেতে পারছে? এর উত্তর লুকিয়ে আছে তাদের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীনের বাণিজ্য কৌশলের উপর, ইরানের মোট তেল রপ্তানির ৮০ ভাগই যায় চীনে, ইউএস হাউস ফিনান্সিয়াল সার্ভিস কমিটির এক প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রতিদিন ইরান প্রায় ১.৫ মিলিয়ন ব্যারেল তেল চীনে রপ্তানি করে থাকে।

যদিও ইরানের সঙ্গে বাণিজ্যের যথেষ্ট ঝুঁকি আছে, বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের নানা নিষেধাজ্ঞা যেখানে; কিন্তু তারপরও বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রেতা চীন কেন ইরান থেকে তেল কিনে? কারণটা খুবই সহজ, ইরানের তেল মানে ভালো আর দামে সস্তা। নানান আন্তর্জাতিক সংঘর্ষের কারণে বিশ্বে তেলের দাম বেড়েই চলেছে; কিন্তু নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরান যেহেতু তাদের তেল বিক্রিতে মরিয়া, তারা অন্যদের চেয়ে কম দাম অফার করে থাকে। ২০২৩ সালের অক্টোবরে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে রয়টার্স। যাতে বলা হয় ২০২৩ সালের প্রথম ৯ মাসে চীন অন্তত ১০ বিলিয়ন ইউএস ডলার বাঁচিয়েছে ইরান, রাশিয়া আর ভেনেজুয়েলা থেকে তেল কিনে, এসব তেলই কমদামে বিক্রি করা হয়। অপরিশোধিত তেলের যে বৈশ্বিক মানদ- তা পরিবর্তিত হয়, তবে সাধারণ প্রতি ব্যারেল ৯০ ডলারের নিচে থাকে। ডেটা ও অ্যানালেটিক্স ফার্ম কেপিএলআরের সিনিয়র অ্যানালিস্ট হুমায়ুন ফালাকশাহী ধারণা দেন, ইরান তাদের ক্রুড তেল ব্যারেলপ্রতি ৫ ডলার কমে বিক্রি করছে। গত বছর ব্যারেলপ্রতি যেটার দাম সর্বোচ্চ ১৩ ইউএস ডলার পর্যন্ত কমিয়ে দেয়া হয়েছিল। পুরো বিষয়টির ভূরাজনৈতিক দিক আছে বলে মনে করেন ফালাকশাহী। ইরানের অর্থনীতিকে সহায়তার মাধ্যমে, চীন মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সামনে একটা ভূরাজনৈতিক ও সামরিক চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিচ্ছে, বিশেষ করে যখন ইসরায়েলের সঙ্গে উত্তেজনা চলমান। বিশ্লেষকদের বিশ্বাস, ইরান ও চীন কয়েক বছর ধরে একটা সূক্ষ্মপদ্ধতি আবিষ্কার করেছে, তেহরানের নিষিদ্ধ তেল আমদানি-রপ্তানির জন্য। এই বাণিজ্য কৌশলের প্রধান উপকরণ হলো চাইনিজ চায়ের পাত্র, ‘ডার্ক ফ্লিট’ ট্যাংকার্স ও চীনের আঞ্চলিক ব্যাংক যাদের আন্তর্জাতিক পরিচিতি খুব কম। এসব টিপট যাতে ইরানের তেল পরিশোধন করা হয়, আকারে খুবই ছোট ও আংশিকভাবে স্বনিয়ন্ত্রিত, এগুলো রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত বিশাল সব পরিশোধনাগারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এটা আসলে এই ইন্ডাস্ট্রির দেয়া টার্ম। যেহেতু রিফাইনারিগুলো দেখতে চায়ের কাপের মতো, খুবই সাধারণ কিছু সুবিধা থাকে এতে, আর বেশিরভাগই মেলে দক্ষিণ-পূর্ব বেইজিংয়ের শানডং অঞ্চলে। এই ছোট রিফাইনারিগুলোতে চীনের জন্য কম ঝুঁকি থাকে, কারণ রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত কোম্পানিগুলো আন্তর্জাতিকভাবে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং এতে ইউএস ফিনান্সিয়াল সিস্টেমের প্রবেশাধিকার থাকে। তাছাড়া তেলের ট্যাংকারগুলো বিশ্বজুড়ে সমুদ্রে ট্র্যাক করা হয়, বিভিন্ন সফটওয়্যার তাদের অবস্থান, গতি ও রুট পর্যবেক্ষণ করে। এই ট্র্যাকিং এড়ানোর জন্য ইরান ও চীন একটা অস্পষ্ট মালিকানা ধরনের ট্যাংকার্স নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে, যেটা সঠিক অবস্থান দেখায় না। তারা খুব সহজেই পশ্চিমা ট্যাংকার্স, নানান শিপিং সার্ভিস সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে যেতে পারে। ফলে তাদের পশ্চিমা নীতি, নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে হয় না। এসব ‘ডার্ক ফ্লিট’ তেল বহনের সময় সাধারণত তাদের অটোমেটিক আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম (এআইএস) বন্ধ করে রাখে, যাতে তাদের শনাক্ত করা না যায়, অথবা এক জায়গায় থেকে অন্য জায়গার অবস্থান দেখিয়ে ধোঁকা দেয়। ধারণা করা হয় এসব জলযান আন্তর্জাতিক জলসীমায় গিয়ে, কোনো প্রতিষ্ঠিত ট্রান্সফার জোনের বাইরে গিয়ে চীনের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ থেকে জাহাজে পণ্য পার করে এবং কখনো কখনো এজন্য তারা বেছে নেয় খারাপ আবহাওয়ার সময়কে, ফলে এ তেলটি আসলে কোথা থেকে এসেছে, তা নির্দিষ্ট করে বলা কঠিন হয়ে যায়। এই তেলের হাতবদলটা বেশি হয় দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার জলসীমায়। আন্তর্জাতিক লেনদেনের পদ্ধতি যা পশ্চিমারা পর্যবেক্ষণ করে, সেটার বদলে চীন ও ইরানের লেনদেন হয় ক্ষুদ্র চাইনিজ ব্যাংকের মাধ্যমে। চীন নিষেধাজ্ঞায় থাকা ইরানের তেল কেনার ঝুঁকি সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবগত, যে কারণে তারা বড় গুরুত্বপূর্ণ ব্যাংককে এই লেনদেনে যুক্ত করতে চায় না। এর বদলে তারা সেসব ব্যাংক ব্যবহার করে যাদের কোনো আন্তর্জাতিক পরিচিতি নেই। ইরানকে এই তেলের জন্য চাইনিজ মুদ্রায় অর্থ পরিশোধ করা হয় বলেও মনে করা হয়, যাতে ডলার নিয়ন্ত্রিত আর্থিক ব্যবস্থাকে পাশ কাটানো যায়। এই অর্থটা চাইনিজ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে দেয়া হয়, যাদের সঙ্গে ইরান কর্তৃপক্ষের সম্পর্ক রয়েছে। এরপর সেই অর্থটা চাইনিজ পণ্য আমাদানিতে কাজে লাগানো হয় এবং অবশ্যই বাকি অর্থ ইরানে ফেরত যায়। কিন্তু এটা বোঝা খুবই কঠিন যে কীভাবে এটা হয়ে থাকে এবং ইরান কি আসলেই তাদের সকল অর্থ ফেরত নিতে পারে দেশে। কিছু রিপোর্টে বলা হয়, ইরান তাদের দেশের অভ্যন্তরে ‘মানি এক্সচেঞ্জ’ ব্যবহার করে এই অর্থটা কোথা থেকে আসছে, সেই নিশানা মুছে ফেলার জন্য। গত ২৪ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইউক্রেনের জন্য এক সহায়তা প্যাকেজে স্বাক্ষর করেন, যার মধ্যে ইরানের তেল ক্ষেত্রের উপর নতুন আরো নিষেধাজ্ঞাও ছিল। নতুন নীতি এমনসব বিদেশি বিভিন্ন বন্দর, যান ও রিফাইনারির উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়ে দিয়েছে যারা চলমান নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ইরানের ক্রুড অয়েল পরিবহন বা প্রক্রিয়াজাত করেছে। একইসঙ্গে তথাকথিত দ্বিতীয় আরেকটি নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে চীনের সব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নিষিদ্ধ ইরানিয়ান ব্যাংকগুলোর মধ্যে পেট্রোলিয়াম ও তেল সম্পর্কিত পণ্য কেনার ক্ষেত্রে সব লেনদেন নিষিদ্ধ করেছে। ওয়াশিংটন তাদের সবরকম পন্থা কাজে লাগানোর ব্যাপারে ঠিক পুরোপুরি আগ্রহী নয়। এর কারণ বাইডেন প্রশাসনের প্রধান লক্ষ্য যাতে কোনোভাবেই তাদের দেশে জ্বালানির মূল্য বেড়ে না যায়। তাদের ফরেন পলিসির চেয়েও এই বিষয়টি বেশি গুরুত্বপূর্ণ। পেট্রোলিয়াম রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন অপেকে ইরান হলো তৃতীয় বৃহত্তম জ্বালানি উৎপাদনকারী দেশ। যারা প্রতিদিন ৩ মিলিয়ন ব্যারেল তেল উৎপন্ন করে, যা সারা পৃথিবীর তেলের ৩ শতাংশ।

বিশেষজ্ঞদের মতে এই উৎপাদন ও পরিবহন ব্যাহত হলে আন্তর্জাতিকভাবে তেলের দাম বেড়ে যেতে পারে। বাইডেন জানেন যে, যদি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল রপ্তানি আরো কমিয়ে আনতে বাধ্য করে, তাহলে বাজারেও সরবরাহ কমে যাবে এবং বিশ্বজুড়ে তেলের দাম বেড়ে যাবে। আর যদি সেটা হয়, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রেও জ্বালানির দাম বাড়বে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের আসন্ন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে এমন পরিস্থিতি বাইডেন অবশ্যই এড়াতে চাইবেন। ইরানের কনস্যুলেটে ইসরায়েলের হামলা ও ইসরায়েলের ওপর ইরানের পাল্টা আক্রমণ, সর্বশেষ ইসরায়েলের বদলা নেওয়ার হুমকি- এ ঘটনাপ্রবাহে উত্তপ্ত হয়ে আছে মধ্যপ্রাচ্য। ওই অঞ্চলের দেশগুলো বেশিরভাগ ইরানের পক্ষ নিলেও পশ্চিমা দেশগুলো অনেকেই আবার ইসরায়েলের পক্ষে। এমন অবস্থায় পর্দার আড়ালে ইরানের শক্তি হিসেবে দাঁড়িয়েছে আরো দুই বৈশ্বিক পরাশক্তি-রাশিয়া এবং চীন। ইরানের পক্ষে এই দুই দেশের সমর্থনের বড় প্রমাণ হলো, ইসরায়েলের ওপর হামলায় মিসাইল গাইডেন্স সিস্টেম হিসেবে ইরান যেমন চীনের বেইদু স্যাটেলাইট নেভিগেশন সিস্টেম ব্যবহার করেছে, এর পাশাপাশি ব্যবহার করেছে রাশিয়ার গ্লনাস সিস্টেম। এছাড়া আগে জানা গিয়েছিল রাশিয়ার সঙ্গে ইউএভি (মনুষ্যবিহীন বিমান) তৈরির গবেষণা চালাচ্ছে ইরান। এ ধরনের কিছু ইউএভি ব্যবহার হয়েছে ইসরায়েলে হামলার সময়ে। গত বছর মার্চে মাসে রাশিয়ার এক অস্ত্র প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের আমন্ত্রণে সে দেশে যান ইরানের ১৭ সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। ফাঁস হওয়া এক গোপন নথি থেকে জানা গেছে, ওই সফরে ইরানের সামনে তুলে ধরা হয়, এমন সব অস্ত্রের প্রযুক্তি যা রাশিয়ার থেকে নিতে ইরানকে উদ্বুদ্ধ করা হয়। ২০২২ সালে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে রাশিয়াকে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করতে সম্মতি জানায় ইরান। এর বিনিময়ে রাশিয়ার থেকে তারা নেয় উন্নতমানের যুদ্ধবিমান এবং আকাশপথে নিরাপত্তার প্রযুক্তি।

যার সাহায্যে ইসরায়েল এবং পাশ্চাত্যের দেশগুলোর সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে অবতীর্ণ হতে পারবে মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। পেন্টাগনের সাবেক বিশ্লেষক মিশেল মালুফ এক্ষেত্রে পরিষ্কার একটা ধারণা তুলে ধরেছেন। ইরানের আশপাশে ৩৫টির মত মার্কিন ঘাঁটি আছে, এবং এই মুহূর্তে সবগুলোই হুমকির মুখে। এক সময় এগুলো ইরানের জন্য প্রচ্ছন্ন হুমকি হিসেবে কাজ করত; কিন্তু এখন তারা নিজেরাই অনিরাপদ। জাতিসংঘ বা যুক্তরাষ্ট্র, কেউই ইরানের কনস্যুলেটে এই হামলার নিন্দা জানায়নি। অথচ এখন ইসরায়েলের ওপর ইরানের হামলার নিন্দা জানাচ্ছে। এটা একেবারেই হতাশাজনক। এতে যুক্তরাষ্ট্রের একচোখামি প্রকাশ পায়। ইরানের কনস্যুলেটে হামলার পরেও মার্কিনিরা চুপ ছিল বলে ইসরায়েল সাহস পেয়ে গিয়েছিল। আর এখন ইরান তাদের সাহসে পানি ঢেলে দিয়েছে। ইসরায়েলে হামলার মাধ্যমে ইরান বুঝিয়ে দিয়েছে, তোমরা সীমালঙ্ঘন করেছ, এর মূল্য তোমাদের পেতেই হবে। ইসরায়েলের সঙ্গে ইরানের যুদ্ধ বেঁধে গেলে আদৌ যুক্তরাষ্ট্র হাত গুটিয়ে থাকবে না। আর যুক্তরাষ্ট্র এখানে হস্তক্ষেপ করলে ইরান নিঃসন্দেহে রাশিয়া আর চীনকে এখানে জড়িয়ে ফেলবে। ফলে বড় একটা যুদ্ধের সম্ভাবনা রয়ে যায়।

লেখক : গবেষক ও কলাম লেখক।