ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে

ড. আতিউর রহমান
ডিজিটাল থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের পথে

নেতৃত্বের পরম্পরায় আশা করার ক্ষেত্রকে প্রসারিত করার এক অসামান্য ঐতিহ্য রয়েছে বাংলাদেশের। আমাদের জাতির পিতা সদ্য স্বাধীন দেশের উন্নয়ন নিয়ে খুবই আশান্বিত ছিলেন। তার চিন্তায় অর্থনীতি, সমাজ ও রাজনীতি সর্বদাই জড়াজড়ি করে অবস্থান করত। মূলত মানুষই ছিল এই চিন্তার মধ্যমণি। মানুষের অসীম প্রাণশক্তির ওপর তার আস্থা ছিল বলেই তিনি কোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পিছপা হতেন না। স্বপ্ন ছিল তার অবারিত। আবার সেই স্বপ্নপূরণে সর্বদাই বাস্তবানুগ নীতি গ্রহণে ছিলেন পারদর্শী। ধ্বংসস্তূপের উপর দাঁড়িয়েই তিনি সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছেন।

এই তিনিই জাতিসংঘে তার আশা জাগানিয়া ভাষণে বলেছিলেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অসামান্য উন্নতির এই যুগে মানবসভ্যতা বিপুল সাফল্যের সুফল পাবে। এমন স্পষ্ট করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির মানবকল্যাণধর্মী অগ্রগতির কথা কয়জন রাষ্ট্রনায়ক বলতে পারতেন। তার এই সাহসী উচ্চারণের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের আক্ষেপ খানিকটা দূর করা গেছে বলা চলে। ‘লক্ষ্য ও শিক্ষা’ প্রবন্ধে রবীন্দ্রনাথ লিখেছিলেন, ‘আমরা যে কী আশা করিতে পারি, তাহা বেশ মোটা লাইনে বড় রেখায় দেশের কোথাও আঁকা নেই। আশা করার অধিকারই মানুষের শক্তিকে প্রবল করিয়া তোলে।’ নিঃসন্দেহে আশার অভিমুখে যাত্রাই একটি জাতির বড় সম্পদ। সেটিই সত্যিকারের উন্নয়ন অভিযাত্রা। সেই সম্পদের উৎস আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং জাতির পিতা।

আজকের বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর সেই আশার অধিকারকে আরো বিস্তৃত করে চলেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। ‘ডিজিটাল বাংলাদেশের’ স্লোগান দিয়ে ২০০৯ সাল থেকে তিনি আধুনিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে চলেছেন। পুরো বাংলাদেশকে উন্নত অবকাঠামোর জালে বেঁধে ফেলার পাশাপাশি তার ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ তথ্যপ্রযুক্তির প্রসারে সত্যি সত্যি বিপ্লব ঘটিয়েছে। এই অভিযাত্রাকে আরো ফলপ্রসূ করার অভিপ্রায়েই তিনি এখন ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন। সমাজ, সরকার ও অর্থনীতিকে চনমনে করার লক্ষ্যেই তিনি ‘ডিজিটাল’ থেকে ‘স্মার্ট’ বাংলাদেশ নির্মাণে তার নীতিকৌশলকে রূপান্তর করে চলেছেন এই নবযাত্রায়। তাই তো তরুণ প্রজন্ম ডিজিটাল উদ্যোক্তা হওয়ার এক অভাবনীয় প্রতিযোগিতায় নেমে পড়েছে। ডিজিটাল অর্থনীতির প্রসারে চাই আর্থিক লেনদেন। চাই সার্ভিস ডেলিভারির জন্য উপযুক্ত তথ্যপ্রযুক্তি অবকাঠামো। হাইস্পিড ইন্টারনেট। চাই সাবমেরিন ক্যাবল, সাইবার হাইওয়ে। চাই ফাইবার অপটিক ক্যাবল এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক। চাই ঘূর্ণায়মান স্যাটেলাইট। এসবেরই প্রসার ঘটিয়েছে আমাদের সরকার বিগত দেড় দশক ধরে। তৃতীয় সাবমেরিন ক্যাবল এবং দ্বিতীয় বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট চালু হওয়ার পথে।

এ সময়ে আমরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে জাতীয় পেমেন্ট সুইচ ইলেক্ট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার, রিয়াল টাইম গ্রস সেটেলমেন্ট, ইন্টারঅপারেবল বিনিময় ব্যবস্থাসহ ক্যাশলেস লেনদেন পদ্ধতি গড়ে তোলার নানা উদ্যোগ নিয়েছি। মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সিস্টেম, এজেন্ট ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিংসহ ডিজিটাল অর্থব্যবস্থা গড়ার কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। বাংলা ‘কিউআর কোড’ দ্রুতই চালু হচ্ছে। দ্রুতই ‘ক্যাশলেস’ অর্থায়ন গড়ার কাজে বাংলাদেশ মনোনিবেশ করেছে বলেই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে ওঠার সম্ভাবনা দিন দিন জোরদার হচ্ছে। পুরো সমাজ ও অর্থনীতি এখন ডিজিটাল পথেই হাঁটছে। একেবারে তৃণমূলের মানুষ এখন এই আধুনিক আর্থিক সেবার সুফল পাচ্ছেন। করোনা সংকটকালে আমাদের ডিজিটাল অর্থায়ন ব্যবস্থা এতটা মজবুত না থাকলে ব্যাংকিং, ব্যবসা-বাণিজ্যের কী যে হতো তা ভেবেই অবাক হয়ে যাই। লকডাউনের সময়ও তাই এক মিনিটের জন্য থেমে থাকেনি ডিজিটাল অর্থনীতির হালচাল। মোবাইল ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা ছিল নিরন্তর সচল। ঘরে বসেই স্বাচ্ছন্দ্যে পরিচালনা করা গেছে আমাদের বিশাল আর্থিক খাত।

এমনই এক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশকে আরো স্মার্ট করার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০৪১ সালের মধ্যে স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের এই পরিকল্পনার পাঁচটি স্তম্ভ তিনি উল্লেখ করেছেন। এক. ডিজিটাল শাসনব্যবস্থা। দুই. জনসম্পদ উন্নয়ন। তিন. উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন। চার. সংযোগ ও অবকাঠামো উন্নয়ন এবং পাঁচ. টেকসই উন্নয়ন। এসব লক্ষ্য পূরণের জন্য সরকার এরইমধ্যে বেশ কিছু নীতি ও আইন প্রণয়ন করে ফেলেছে। বেশ কিছু প্রকল্পও হাতে নিয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ডিজিটাল স্থাপত্য’, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ ফেলোশিপ প্রকল্প’, ‘উদ্ভাবন তহবিল’, ‘ডিজিটাল সংযোগ প্রকল্প’ এবং ‘ডিজিটাল ডিভাইস ইনোভেশন ফান্ড’। এসবের উপর ভর করেই এগিয়ে যাবে স্মার্ট বাংলাদেশ। এই বাংলাদেশে সরকার যেমন উদ্যোক্তা হবে, একইভাবে বেসরকারি উদ্যোক্তারাও অংশীজন হবেন। একে অপরের হাত ধরেই এগিয়ে যাবে গতিময় স্মার্ট বাংলাদেশ। ঠিক ক্যারাভানের মতো, লক্ষ্য মানুষের দোরগোড়ায় সব সেবা স্বয়ংক্রিয়ভাবে পৌঁছে দেওয়া। অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ক্ষুদ্র তথা উপযুক্ত ঋণের ভূমিকা ছাড়াও গ্রামীণ অর্থনীতিতে শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং ভূমি ব্যবস্থাপনার আধুনিকায়ন একান্ত জরুরি। আর এসব ক্ষেত্রে ডিজিটাল প্রযুক্তির ইতিবাচক অবদান অপরিহার্য। বিশেষ করে ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থায় গ্রামীণ মামলা-মোকদ্দমা কমিয়ে আনা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডিজিটাল পরীক্ষা ও রিয়েলটাইম তথ্যের ব্যবহার, শ্রমশক্তির দক্ষতার উন্নয়ন এবং স্থানীয় প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থায় ডিজিটাল তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার করা গেলে সমাজ ও অর্থনীতিতে তার ব্যাপক প্রভাব পড়বে।

এসবে গতি ও জবাবদিহি বাড়বে। এরইমধ্যে গ্রামগঞ্জে ডিজিটাল আর্থিক সেবা পৌঁছে গেছে। মোবাইল ও এজেন্ট ব্যাংকিং সুবিধা দূরের চর ও হাওরেও পৌঁছে গেছে। এই সেবার বলেই গ্রামের মানুষ নিমিষেই বিদেশ থেকে পাঠানো রেমিট্যান্সের টাকা পেয়ে যাচ্ছেন। তবে আরো আধুনিক কি ডাটা সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনা করা গেলে, মানুষের ব্যবহার ও মনোভাবের তথ্য ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে ধরা গেলে উন্নয়নকে আরো চৌকস করা সম্ভব হবে। কৃষিতে জিআইএস ও সেন্সর প্রযুক্তি ব্যবহার করে উপযুক্ত পরিমাণে পানি ও সার ব্যবহার করা যাবে। সম্পদের অপচয় বন্ধ করা যাবে। ড্রোন ব্যবহার করেও কৃষির আধুনিকায়ন করা যাবে। সব দিক দিয়ে ‘ওয়েস্টেজ’ কমানো যাবে। ব্লকচেইন এবং গ্রিন হাউজ প্রযুক্তি ব্যবহার করে লাইভস্টক, ফুল, ফলসহ বহুমাত্রিক আধুনিক কৃষির ব্যাপক উন্নতি করা সম্ভব। জলবায়ু পরিবর্তনের খবর ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে রিয়েল টাইমে সংগ্রহ করা সম্ভব। মাছের চাষ, সংগ্রহ, বাজারজাতকরণেও এই প্রযুক্তিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা সম্ভব। সেজন্য তরুণদের ওপর বিনিয়োগ চাই। আমরা প্রযুক্তি ভুবনে ‘লেট কামার’। তাই অন্য দেশের সাফল্যকে আমাদের দেশে স্থানান্তর করা অনেকটাই সহজ হবে। অন্য দেশের ‘বেস্ট প্র্যাকটিস’গুলো সংগ্রহ ও নিরীক্ষা করা বেশ জরুরি হয়ে পড়েছে।

আইসিটিসহ উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহার করে কৃষির উৎপাদন ও উৎপাদনশীলতা, দুই-ই ব্যাপক হারে বাড়ানো সম্ভব। বাংলাদেশ এরইমধ্যে এর সুফল পেতে শুরু করেছে। আমাদের তরুণরা এখন তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারে খুবই পটু। তাদের ইচ্ছাশক্তিও প্রবল। তা না হলে গ্রামের নিরক্ষর কৃষক মালকোচা থেকে টাচ ফোন বের করে কী করে কারওয়ান বাজারে পণ্যবাজার সন্ধান করেন, তা এক অপার বিস্ময়। সেজন্যই এ দেশের শিক্ষিত তরুণদের গ্রামীণ প্রযুক্তি সার্ভিস ডেলিভারি এজেন্ট হওয়ার আগ্রহকে উৎসাহিত করতে হবে। এখন যেমন কম্বাইন্ড হারভেস্টার ভর্তুকি মূল্যে কিনে তরুণ উদ্যোক্তারা তাদের কৃষি সার্ভিস বিক্রি করছে, একদিন সময় আসবে, যখন তারা ‘ক্রপ রোবোটিক্স’ প্রযুক্তি ব্যবহার করে বাংলাদেশের কৃষিতে আরো বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। সেন্সরের কল্যাণে উপযুক্ত পরিমাণে সার, পানি, বীজ ও কীটনাশক ব্যবহার করে দক্ষ কৃষি কাঠামো গড়ে তুলবে আগামী দিনের শিক্ষিত তরুণরাই। কৃষিতে যান্ত্রিকীকরণ দ্রুতই হচ্ছে। সরকারও এজন্য যথেষ্ট নীতি ও অর্থসহায়তা দিচ্ছে। সবুজ কৃষির জন্য জলবায়ু-সহিষ্ণু বীজ উদ্ভাবনে বাংলাদেশের সাফল্যের কথা এখন সবারই জানা। আমাদের বিজ্ঞানীদের কল্যাণে রিলে পদ্ধতিতে উপকূলে আমন ধানের খেতেই বীজ ছড়িয়ে আগাম গম উৎপাদন করা যাচ্ছে। তাদের প্রচেষ্টায় লবণাক্ত সহনশীল বিস্ময়কর দেশি ধান ‘চারুলতা’ উপকূলে চাষ করা সম্ভব হচ্ছে।

স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণের জন্য সরকার, শিল্প ও শিক্ষালয়ের যৌথ অবদানের ওপর জোর দেওয়া জরুরি। সবাইকে নিয়ে বিস্তৃত পরিকল্পনা করে তা বাস্তবায়নে মনোযোগী হলে ২০৩১ সাল নাগাদ আইসিটি পণ্য ও সার্ভিস রপ্তানি করেই আমরা ২০ বিলিয়ন ডলার বিদেশি মুদ্রা আয় করতে পারব। এজন্য সবচেয়ে বেশি নীতি সমর্থন দিতে হবে, আমাদের স্মার্ট জনশক্তি গড়ে তোলার ওপর। যুক্তরাষ্ট্রের ৩০ লাখ, ইউরোপে ১৫ লাখ, যুক্তরাজ্যে ১০ লাখ এবং জাপানে সাড়ে ৮ লাখ তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন জনশক্তির অভাব রয়েছে। শুধু উপযুক্ত জনশক্তি রপ্তানি করেই আমরা বিপুল বিদেশি মুদ্রা অর্জন করতে পারব। একইসঙ্গে অসংখ্য খুদে ডিজিটাল উদ্যোক্তাও আমরা তৈরি করতে পারব। সেজন্য ‘স্টার্ট-আপ’ নিয়ে আগ্রহী তরুণদের প্রশিক্ষণ মেন্টরিং ও অর্থায়নের উপায় খুঁজে দেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। ‘মিডওয়াইফের’ এই কাজটি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের করার কথা।

আমার কেন্দ্রীয় ব্যাংক পরিচালনার স্বল্পকালীন পরিচালনার অভিজ্ঞতার আলোকে বলতে পারি যে আমাদের তরুণদের রয়েছে সৃজনশীল হওয়ার বিপুল সম্ভাবনা। আমার চোখের সামনে তরুণ কর্মকর্তারা কী করে মাত্র কয়েক বছরেই বাংলাদেশ ব্যাংক তথা পুরো ব্যাংকিং খাতকে এমন করে ডিজিটালাইজড খাতে পরিণত করল তা আসলেই বিস্ময়কর। করে করে শেখার এই অনুপ্রেরণা আমরা দিয়েছি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়া বলে। ভুল-ভ্রান্তি নিশ্চয়ই ছিল। এখনও আছে। ভবিষ্যতেও থাকবে।

তাই বলে ভয়ে কেউ প্রযুক্তিই ব্যবহার করবে না, তা তো হয় না। নিন্দুকের কথায় হতাশ না হয়ে বিপুল আশা-ভরসা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে সামনের দিকে। সেজন্য উপযুক্ত ডিজিটাল অবকাঠামো নির্মাণ করাটাও জরুরি ছিল। বেসিসসহ আমাদের ব্যবসায়ী আর উদ্যোক্তারাও নতুন নতুন ধারণা ও প্রস্তাবনা নিয়ে এসেছিলেন বলেই একটি মান্ধাতা আমলের প্রতিষ্ঠানকে আধুনিক ডিজিটাল জ্ঞানভিত্তিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করতে পেরেছি।

এই অভিজ্ঞতা নিশ্চয়ই আগামী দিনের স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণেও খুবই কাজে লাগবে। সেজন্যই চাই সরকার, শিল্প এবং অ্যাকাডেমিয়ার মাঝে গড়ে উঠুক নিবিড় সংযোগ। আশা করি, আগামী দিনে এই সংযোগ আরো বাড়বে। কেন না, আমাদের রয়েছে স্মার্ট নেতৃত্ব। আছে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা। আর আছে উন্নত দেশ হওয়ার বিরাট স্বপ্ন। আছে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া লড়াকু মন।

লেখক : ইমেরিটাস অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়; সাবেক গভর্নর, বাংলাদেশ ব্যাংক।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত