ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

নোট-গাইড পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে কেন

নোট-গাইড পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে কেন

এখনো ষষ্ঠ থেকে নবম, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের পাঠ্য বইয়ের পরিবর্তে বিভিন্ন কোম্পানির নোট বই, গাইড বই পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে। দেশের অন্তত ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী গ্রামে লেখাপড়া করে এবং তাদের অধিকাংশের পিতা মাতাই খেটে খাওয়া গরিব মানুষ। বইয়ের গায়ে হাজার হাজার টাকা মূল্য লেখা থাকে। গ্রামের অধিকাংশ গার্জিয়ান বা পিতা-মাতা এই বই কিনতে পারে না টাকার অভাবে। সুতরাং গরিব গার্জিয়ানদের রক্ষা করতে হবে। এটা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার একটা হাতিয়ার। ছাত্রছাত্রীদের কেন বাধ্য করা হবে গাইড বই, নোট বই বা সহায়ক বই কিনতে? তাদের যদি এই সব বইয়ের দরকার হয়, তাহলে তারা নিজের ইচ্ছায় এগুলো লাইব্রেরি থেকে কিনবে। কিন্তু তাদের বাধ্য করা হবে কেন? সামষ্টিক মূল্যায়ন বা পরীক্ষার ভয় দেখিয়ে দুশ্চিন্তার মধ্যে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, বিষয়টি থেকে উত্তরণের পদক্ষেপ নিতে হবে অতিসত্বর। যেসব স্কুলে বিভিন্ন কোম্পানির প্রকাশিত সিলেবাস এবং বই চালু করা হচ্ছে বা হবেম, সেই স্কুলের প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের আওতায় আনা দরকার।

মো. আতিকুর রহমান

সাবেক সহ-প্রধান শিক্ষক ও প্র. শি (ভারপ্রাপ্ত)।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত