প্রাক-প্রাথমিকেও প্রাইভেট

আরিফ আনজুম

প্রকাশ : ০৮ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

বাংলাদেশের এক বহুল আলোচিত সমস্যা শিক্ষা খাতে বলতে গেলে টিউশন। টিউশন ব্যবসায় শিক্ষা খাতকে যেমন কালিমাখা করছে, ঠিক তেমনি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের সঠিকভাবে পাঠদান বা বোঝাতে অপরাগ শিক্ষকরা। কারণ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মতোই আরেক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলে তা হলো টিউটর হোম। যা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আলাদা, তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতোই দলবদ্ধ শিক্ষার্থীর সমারোহে টিউশন করানোর প্রকপতা। শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের নির্দিষ্ট সময়সীমার বাইরে একই শিক্ষাক্রম অনুসরণ করে অর্থের বিনিময়ে একক বা দলবদ্ধভাবে পড়ালেখার প্রচলন আমাদের দেশে নতুন নয়। বিদ্যালয়কেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থা প্রচলনের আগে গুরুগৃহে পাঠ নেয়াই ছিল শিক্ষা গ্রহণের একমাত্র উপায়। এ দেশে যখন উচ্চ শিক্ষার প্রচলন শুরু হয়, তখন সম্পন্ন গৃহস্থ ঘরে জায়গির থাকার একটা প্রচলন ছিল। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী ছেলেরাই সাধারণত জায়গির থাকত। এ ব্যবস্থায় যে জায়গির থাকত এবং যে জায়গির রাখত, উভয়েই বিশেষ উপকৃত হতো। তারা সারা বছরই জায়গিরদারের বাড়িতে থেকে তার ছেলেমেয়ের পড়ালেখায় সাহায্য করত। প্রতিটি ক্ষেত্রেই কোনো না কোনো ধরনের বিনিময়ের একটা ব্যবস্থা ছিল। শিক্ষার বিনিময় হতো গুরুসেবা, গুরুদক্ষিণা, জায়গির দেয়া, জায়গিরদারের নির্দিষ্ট কিছু কাজ করে দেয়া ইত্যাদির সঙ্গে। সময়ের নিরিখে ব্যবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। শিক্ষা এখন বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই বিনিময় হয় অর্থের সঙ্গে। লক্ষ্য করার বিষয় হলো, বিদ্যালয়ের জন্য রচিত শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক নিয়ে পড়ালেখা হচ্ছে বিদ্যালয় সময়সীমার বাইরে। উদ্দেশ্য, পরীক্ষাকেন্দ্রিক শিক্ষাব্যবস্থায় সফলতা লাভ করা। মূল বিদ্যালয়ের শিক্ষা অবৈতনিক কিংবা বৈতনিক যাই হোক, বাইরেরটি হচ্ছে; কিন্তু অর্থের বিনিময়ে। শিক্ষা বিজ্ঞানে একেই বলা হচ্ছে সম্পূরক প্রাইভেট শিক্ষাব্যবস্থা, যা বাংলাদেশে প্রাইভেট টিউশন, প্রাইভেট পড়া, গৃহশিক্ষকতা বা কোচিং নামে প্রচলিত। শিক্ষার্থীদের বড় একটি অংশ বছর ব্যাপী প্রাইভেট পড়ে। প্রতিটি শ্রেণিতেই পড়ে। বিশেষ করে পাবলিক পরীক্ষা, ভর্তি বা প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার আগে এ ধরনের পড়ালেখার প্রচলন অনেক বেড়ে যায়। পাবলিক পরীক্ষা ক্রমান্বয়ে নিচের শ্রেণিগুলোতে বিস্তার লাভ করায় প্রাইভেট পড়ার প্রবণতাও সেখানে পর্যায়ক্রমে বেড়েছে। প্রাইভেট পড়ার প্রবণতা নিচের দিকে বিস্তৃত হতে হতে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদেরও স্পর্শ করেছে। এ রকমই দেখা গেছে গণসাক্ষরতা অভিযান পরিচালিত এডুকেশন ওয়াচের সর্বশেষ গবেষণায়। দেখা গেছে, ৫ বছর বয়সি শিশুদের অর্ধেকের কিছু বেশি প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিতে ভর্তি হয়। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের এক-চতুর্থাংশ বিদ্যালয়ের পাশাপাশি প্রাইভেট টিউটরেরও দ্বারস্থ হয়। গ্রাম ও শহরের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ ব্যাপারে ব্যাপক পার্থক্য পাওয়া গেছে। গ্রামের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের এক-পঞ্চমাংশ প্রাইভেট পড়লেও শহরের শিক্ষার্থীদের অর্ধেকই প্রাইভেট পড়ে। সার্বিকভাবে ছেলে ও মেয়েদের মধ্যে এক্ষেত্রে কোনো তফাৎ নেই। বিষয়টি আতঙ্কজনক। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষা হওয়ার কথা আনন্দময় পরিবেশে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে ও আঙিনায়। ব্যবস্থাটি এমন হওয়া দরকার-শিক্ষার্থীরা যেন এ ধরনের একটি পরিবেশের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে প্রতিদিনই স্কুলে যেতে চায়; যা আস্তে আস্তে তাদের শিক্ষার প্রতি আগ্রহী করে তুলবে। এমনটাই বলে থাকেন শিক্ষাবিদরা। গবেষণায় অভিভাবকরাও এমন ধারণাই পোষণ করেছেন। একে বাড়িতে টেনে আনার কোনো দরকারই নেই। বাড়িতে টেনে আনার দরকার হলে বুঝতে হবে শিক্ষার্থীর ওপর পড়ালেখার অতিরিক্ত চাপ দেয়া হচ্ছে, তা স্কুলের ইচ্ছায়ই হোক বা অভিভাবকদের ইচ্ছায়। অথবা স্কুল তার দায়িত্ব ঠিকমতো পালন করছে না বলে অভিভাবকদের প্রাইভেট টিউটরের কথা ভাবতে হচ্ছে। এ ধরনের প্রবণতা শিশুর কোমল মনে বাড়তি ও অপ্রয়োজনীয় চাপ তৈরি করে, যা তার জন্য বিপরীত ফল বয়ে আনতে পারে। এমনকি শিশুরা শিক্ষার প্রতি আগ্রহও হারিয়ে ফেলতে পারে। এ রকমটি হলে তা হবে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার উদ্দেশ্যের সম্পূর্ণ বিপরীতধর্মী। প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষা হচ্ছে খেলাধুলার মাধ্যমে পড়ালেখা। এই স্তরে পাঠ্যবইয়ের তুলনায় প্রাধান্য লাভ করার কথা নানা ধরনের খেলাধুলার সামগ্রী, শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষকের বুদ্ধিমত্তা ও প্রাণচাঞ্চল্য। নিশ্চিতভাবেই বলা যায়, প্রাইভেট টিউটররা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আর যাই করুন, খেলাধুলা নিশ্চয়ই করেন না, শিক্ষা উপকরণের তো কোনো বালাই নেই। তারা যা করেন তা হলো, স্কুলে ব্যবহৃত বইয়ের মাধ্যমে প্রাথমিক বা মাধ্যমিক শ্রেণির মতো করে পড়ালেখা করানো, যার মূল উদ্দেশ্য স্কুলে দেয়া বাড়ির কাজ করিয়ে দেয়া এবং পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়া। সুতরাং বলা যায়, প্রাইভেট পড়ার সঙ্গে স্কুল শিক্ষাব্যবস্থার একটা সুসম্পর্ক রয়েছে। ফলে অল্প বয়সেই শিক্ষার্থীর খেলাধুলার সুযোগ কমে যাচ্ছে। স্বাধীন শিক্ষার্থী না হয়ে তারা নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে প্রাইভেট টিউটরের ওপর। রুদ্ধ হচ্ছে তাদের কল্পনাশক্তি বিকাশের পথ। শিশুবয়স থেকেই চিন্তাভাবনা শুধু ঘুরপাক খাচ্ছে পাঠ্যবইকে কেন্দ্র করে। এর সবই প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার মূল ভাবনার সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ। প্রাইভেট পড়াতে গেলে আর্থিক দিকটি উপেক্ষা করা চলে না।

গবেষণায় দেখা গেছে, এক্ষেত্রে খরচের পরিধিও বেশ বড়। গ্রাম, শহর ও উপজেলা ভেদে প্রাইভেট টিউটরের খরচের তারতম্য হয়। মাসিক ভিত্তিতে কোথাও এটি ১০০ টাকারও কম আবার কোথাও বা কয়েক হাজার টাকা। সাধারণভাবে শহরাঞ্চলে শিক্ষার্থী প্রতি খরচ গ্রামাঞ্চলের তুলনায় অনেক বেশি। এডুকেশন ওয়াচের গবেষণাটিতে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার্থীদের জন্য বছরের প্রথম ছয় মাসে শিক্ষা সংক্রান্ত নানা খাতে খরচের যে হিসাব আনা হয়েছে, তাতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে প্রাইভেট টিউটরের জন্য। অভিভাবকরা এ খাতে মোট শিক্ষা-খরচের ২৩ দশমিক ২ শতাংশ ব্যয় করেছেন। এ খাতে অভিভাবকদের শিক্ষার্থী প্রতি মাসে গড়ে ১ হাজার ৬২২ টাকা গুনতে হয়েছে। আরেকটি কথা প্রাসঙ্গিক বলেই মনে করছি। আমাদের দেশে আইন-অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক ও বিনামূল্যের; কিন্তু প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা এর কোনোটিই নয়। যদিও সরকারি স্কুলগুলোতে কোনো বেতন নেয়া হয় না এবং বইও দেয়া হয় বিনামূল্যে; কিন্তু অন্যান্য স্কুলে বিশেষত কিন্ডারগার্টেনের অবস্থা এমন নয়। যেসব স্কুলে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার জন্য বেতন ইত্যাদি দিতে হয়, সেখানে টাকার অংক প্রাইভেট টিউটরকে দেয়া টাকার অংকের প্রায় সমান। অর্থাৎ একই শিক্ষার জন্য অভিভাবকদের দুই জায়গায় প্রায় সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় করতে হচ্ছে। তবুও দেখা যায় ওই সব প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন ইভেন্টে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে টিউটর শিক্ষক তার শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার কক্ষে প্রশ্নের উত্তর বলে দেন। গবেষক দলের পক্ষ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এসব বিষয়ে অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়। পড়ালেখা জানা-অজানা নির্বিশেষে বেশিরভাগ অভিভাবক মনে করেন, প্রাক-প্রাথমিক স্তরে শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় কাজ স্কুলের গন্ডির মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকা দরকার। বাড়ির পড়ালেখা অনেকেই এ বয়সের জন্য বাহুল্য মনে করেন। কিন্তু অনেক সময় তারা তা করাতে বাধ্য হন, কারণ স্কুল বাড়ির কাজ বা হোমওয়ার্ক দেয়। একদল অভিভাবক জানালেন, তারা শিশুদের বাড়িতে পড়ালেখা করানোর জন্য যথেষ্ট সময় পান না। যেসব মা-বাবা নিজেরাই কখনও স্কুলে যাননি, তাদের পক্ষে শিশুদের পড়ালেখা দেখিয়ে দেয়া সম্ভব নয়। যেহেতু প্রাক-প্রাথমিকেও বাড়ির কাজ দেয়া হয়, তাই স্কুলের চাহিদার সঙ্গে তাল রাখার জন্য প্রাইভেট টিউটরের শরণাপন্ন হওয়া ছাড়া গন্তব্য নেই। এ থেকে বোঝা যায়, স্কুলে দায়িত্ব পালন না করে এবং বাড়ির কাজ দিয়ে স্কুলের শিক্ষকরা প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণি থেকেই প্রাইভেট টিউশনির বাজার সৃষ্টিতে তৎপর রয়েছেন, যা ভবিষ্যতে বড় আকার ধারণ করার সমূহ আশংকা রয়েছে। আরেক দল অভিভাবক, যারা কিছুটা পড়ালেখা করেছেন, তারা মনে করেন, তারা যতটুকু পড়ালেখা জানেন তা দিয়ে প্রাক-প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের পড়া দেখিয়ে দেয়া যায়; কিন্তু সময়াভাবে তারা তা করতে পারেন না। কেউ কেউ এটাও বলেন, তাদের সন্তান এতই দুষ্টুমি করে যে নিজেরা তা আয়ত্বে আনতে পারেন না; কিন্তু বাইরের একজন তা সহজেই পারেন। অভাবনীয় যুক্তি! সন্তান জন্ম দেয়া গেল; কিন্তু তার পড়ালেখার খোঁজখবর নেয়ার বা তার দুষ্টুমি একটা সীমার মধ্যে রাখতে তাকে সাহায্য করার সময় পাওয়া গেল না। বোঝা যাচ্ছে, আমাদের পরিবারগুলো ক্রমান্বয়ে শিশু পরিচর্যার দায়িত্ব নেয়ার সক্ষমতা হারাচ্ছে। ক্রমপরিবর্তনশীল আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিও এর জন্য কম দায়ী নয়। আবার কোনো কোনো অভিভাবক শিশুর ভবিষ্যৎ জীবনের প্রতিযোগিতা নিয়ে এখন থেকেই চিন্তিত। ভবিষ্যৎ জীবনে শিক্ষা ও কর্মবাজারে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকার প্রস্তুতির অংশ হিসেবে তারা শুরু থেকেই চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা হয়তো লক্ষ্য করেছেন, প্রাইভেট টিউটর রাখলে শিক্ষার্থীরা স্কুলে ভালো করে। এর মাঝে তারা ভবিষ্যতে সর্বক্ষেত্রেই ভালো করার সম্ভাবনা দেখতে পান। কিন্তু তারা কি বুঝতে পারছেন, শিশুর কোমল মনে অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে তার কল্পনাশক্তি যদি অংকুরেই বিনাশ করে দেয়া হয়, তবে তার ভবিষ্যৎ কী? সার্বিকভাবে তাহলে হচ্ছেটা কী? বিশ্বব্যাপী প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা বিস্তারের মূল কথাটা হলো প্রাক-শৈশব থেকেই শিশুদের এমন একটা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাওয়া যেন তাদের বিকাশ পূর্ণতা লাভ করতে পারে। গবেষণায় দেখা গেছে, প্রাক-শৈশবে মস্তিষ্কের পরিপূর্ণ বিকাশ কিশোর বয়সে অপরাধপ্রবণতা অনেকাংশে কমিয়ে আনে, পড়ালেখায় তারা ভালো করে। ভবিষ্যতের জন্য দায়িত্বশীল নাগরিক সৃষ্টি করা প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার অন্যতম লক্ষ্য, যার সামাজিক মূল্য অনেক। আসলে এটা স্পষ্ট বোঝা যাচ্ছে, দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষার নামে যা হচ্ছে, তা এর মূল ভাবনা থেকে বহু দূরে। গরিব দেশ হিসেবে এখনই হয়তো উন্নত দেশগুলোর মতো বিদ্যালয়ে অনেক সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি করা যাবে না। কিন্তু সামর্থ্য আস্তে আস্তে বাড়ানো যাবে নিশ্চয়ই। যা এখনই করা যায় তা হলো বিদ্যালয় কর্তৃক শিশুদের দায়িত্ব নেয়া, স্কুলকে আরেকটু আনন্দময় করে গড়ে তোলা, সব কাজ স্কুলেই শেষ করা, বাড়ির কাজ না দেয়া আর শিশুর ভবিষ্যৎ নিয়ে অযথা মাথা না ঘামিয়ে প্রাইভেট টিউটর থেকে দূরে রাখা। মোট কথা, শিক্ষাব্যবস্থা যেন কোনোভাবেই শিশুর স্বাভাবিক বিকাশে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সে চেষ্টা করা। বিকশিত শিশু নিজেই এক মহাসম্পদ। আমরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের এই শিশু শ্রেণির টিউশনির প্রবণতায়। কেন না, শিশু জন্মের পর স্কুলে ভর্তি করে দিয়েই আমাদের ঝুঁকে পড়তে হচ্ছে টিউশনির দিকে এবং স্কুলের পারিপার্শি¦ক বিষয়গুলোর দিকবিবেচনা করে অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের ভবিষ্যতের সাফল্যের চিন্তা ধারা ভেবে তারা বাধ্য হচ্ছে সন্তানের স্কুল শিক্ষকের কাছে তার সন্তানকে টিউশনি দিতে। যা আমাদের শিক্ষা খাতে নিম্নবিত্ত বলেন বা মধ্যবিত্ত বলেন বা উচ্চবিত্ত বলেন সকলের একটা বড় অংকের ব্যয়ের পরিধি হিসেবে সমখ্য পরিচিতি পাচ্ছে। এতে আমাদের আগামীর প্রজন্ম আরো বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে যেমন, ঠিক তেমনি আরো বেশি আমরা শিক্ষার দিক দিয়ে পিছিয়ে পড়ার সম্ভাবনাময় পথে অগ্রসর হচ্ছি। এই ঘোর অনিয়মের বেড়াজাল থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে।