চি ঠি প ত্র

ক্লাস-পরীক্ষার স্বাভাবিক গতি বজায় রাখা চাই

প্রকাশ : ১২ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

ময়মনসিংহ শহরের সূচনায় ব্রহ্মপুত্রের কোলঘেঁষে অবস্থিত দেশের সর্ববৃহৎ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। এটি দেশের সর্বোচ্চ বাজেটপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে একটি। ওয়েবম্যাট্রিক্স বিশ্ববিদ্যালয় র‌্যাঙ্কিং ২০১৭ অনুসারে বাকৃবির অবস্থান প্রথম এবং সর্বশেষ টাইম হায়ার এডুকেশন র‌্যাঙ্কিংয়ে দেশে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। সূচনালগ্ন থেকে এখন পর্যন্ত দেশকে প্রায় ৫৫ হাজার কৃষিবিদ উপহার দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দেশের কৃষির উৎকর্ষ সাধনে বাকৃবির কৃষিবিদরা গবেষণা, প্রায়োগিক জ্ঞান ও নানা ধরনের সৃজনশীল কর্মের মাধ্যমে অবদান রেখে চলেছেন। তবে বাকৃবিতে একাডেমিক কার্যক্রমের অস্বাভাবিক গতি শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা বিকাশের প্রধান বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। একসময় সেশনজটের সমস্যা থেকে বের হয়ে ঠিক উল্টোপথে চলছে একাডেকিম কর্মকাণ্ড। অল্প সময়ে সেমিস্টার শেষ করার উদ্দেশ্যে বাকৃবির কৃষি অনুষদে নির্ধারিত সময়সীমার আগেই শেষ করা হচ্ছে ক্লাস। প্রতিদিন সকাল-বিকাল নির্ধারিত সময়সূচির বাইরেও যুক্ত হচ্ছে অতিরিক্ত ক্লাস। এমনকি ছুটির দিনগুলোও বাদ পড়ছে না ক্লাসের সময়সূচি থেকে। উদ্দেশ্য একটিই, দ্রুততম সময়ে সিলেবাস শেষ করে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসানো। ক্লাস-পরীক্ষার দ্বিমুখী চাপে সিলেবাসের বাইরে চিন্তা করারও যেনো ফুরসত নেই শিক্ষার্থীদের। এটি একদিকে যেমন ‘বিশ্ববিদ্যালয়’ ধারণাটির পরিপন্থি, অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের মানসিক বিকাশের অন্তরায়। এমন অবস্থা চলতে থাকলে গবেষণা ক্ষেত্রে বাকৃবির যে অবদান, তাও দ্রুত ম্রিয়মান হতে থাকবে। তাই সেশনজট মোকাবিলার পাশাপাশি ক্লাস-পরীক্ষার অস্বাভাবিক গতি যেনো শিক্ষার্থীদের সৃজনশীলতা ও মানসিক বিকাশে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকটিও খেয়াল রাখতে হবে বাকৃবি প্রশাসনের।

ফারজানা ইসলাম বীথী

শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়।