দেশের অন্যতম স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। কৃষি খাতের সম্প্রসারণ ও উয়ন্নের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত প্রথম এবং আয়তনে দেশের দ্বিতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বাকৃবি। এটি দেশের সর্বোচ্চ বরাদ্দপ্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে একটি। প্রতিবছর এই বাজেটের বিরাট অংশ উন্নয়ন কাজে ব্যয় হলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সমস্যা উপেক্ষিত থেকে যাচ্ছে। বাকৃবির প্রাকৃতিক পরিবেশের নিজস্বতা বজায় রাখতে গিয়ে মূল ভবনগুলোর সামনের আগাছা পরিষ্কার করা হয় না বহুদিন ধরেই। বর্ষা শুরু হওয়ায় এরইমধ্যে যত্রতত্র পানি জমতে শুরু করেছে। আগাছার সঠিক ব্যবস্থাপনা না হওয়ায় জমে থাকা এই পানিতে মশার বংশবিস্তার বেশি ঘটে। ফলে চিকনগুনিয়া, ডেঙ্গুসহ বিভিন্ন মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হবার ঝুঁকিতে রয়েছে বাকৃবি শিক্ষার্থীরা।
মশা নিধনে বাকৃবি কর্তৃপক্ষ কয়েক দফায় মশার ওষুধ দিলেও মশার বংশবিস্তারের অনুকূল পরিবেশ থাকায় তা ফলপ্রসূ হয় না। এছাড়াও মশা নিধনে প্রয়োগকৃত কীটনাশক মানবদেহ ও পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর। তাই মশক নিধনে শুধুমাত্র কীটনাশকের উপর নির্ভর না করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। ভবনগুলোর আঙিনা ও পতিত জায়গাগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে মশা জন্মানোর অনুকূল পরিবেশ ধ্বংস করতে হবে। এতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের সৌন্দর্য বৃদ্ধির সাথে সাথে মশাবাহিত রোগের ঝুঁকি কমবে। প্রতিকারের চাইতে প্রতিরোধে গুরুত্বারোপের মাধ্যমে মশার উৎপাত থেকে শিক্ষার্থীদের রক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
শিক্ষার্থী, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়