চি ঠি প ত্র

‘কোটা’ প্রথার অবসান হোক

ইয়াসির আরাফাত

প্রকাশ : ২৭ জুন ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

আঠারো সালের একেবারে প্রথম দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী বিদ্যমান কোটাব্যবস্থা সংস্কারের জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করে। ওই রিট খারিজ হলে শিক্ষার্থীরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে সুষ্ঠু ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন শুরু করেন- যা সমর্থন পায় অভিভাবক, শিক্ষক ও সিভিল সোসাইটির। আন্দোলন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ ও এডুকেশনাল ইনস্টিটিউটগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে। আন্দোলনকারীদের দাবির মধ্যে ছিল কোটার পরিমাণ ১০ শতাংশে নামিয়ে আনা (বাতিল নয় সংস্কার), কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে মেধাতালিকা থেকে শূন্য পদে নিয়োগ দেওয়া (অথচ যোগ্যপ্রার্থী না পাওয়া গেলে শূন্যপদ রাখা হতো), সরকারি চাকরিতে সবার জন্য অভিন্ন বয়সসীমা নির্ধারণ করা (মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যা ২ বছর অতিরিক্ত ছিল), চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় একাধিকবার কোটার সুবিধা ব্যবহার করা যাবে না (অথচ যেটা প্রাইমারি স্কুলে ভর্তি থেকে শুরু করে একাধিকবার চাকরিক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে) ইত্যাদি। দাবিগুলো যৌক্তিক ও দেশের লাখো শিক্ষিত বেকারদের বৃহৎ অংশের জন্য সময়োপযোগী। অথচ কোটা প্রথার কারণে মেধাবীদের বড় অংশকে যেমন বেকার থাকতে হচ্ছে, তেমনি প্রশাসনে দক্ষ ও যোগ্য লোকের অভাব দেখা দিচ্ছে। মেধাবী তরুণ ও যোগ্যতাসম্পন্ন চাকরিপ্রার্থী যদি শুধু এই অযৌক্তিক কোটা পদ্ধতির কারণে চাকরি পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়, তাহলে স্বভাবত সে হতাশ হয়ে পড়বে। তাই কোটা প্রথা বাতিল করে প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মাধ্যমে মেধাবী ও যোগ্যদের নিয়োগের ক্ষেত্র অবারিত করুন।

ব্যবস্থাপনা বিভাগ, দ্বিতীয় বর্ষ

বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, জামালপুর