ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

বৈশ্বিক অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পশ্চিমাদের অপতৎপরতা

রায়হান আহমেদ তপাদার
বৈশ্বিক অশান্তি জিইয়ে রাখতেই পশ্চিমাদের অপতৎপরতা

ইউরোপীয় পার্লামেন্ট নির্বাচনে চরম ডানপন্থি জনতুষ্টি- বাদী দলগুলো অসাধারণ সাফল্য পেয়েছে। ফ্রান্স, ইতালি ও ইউরোপের অন্য তিনটি দেশে প্রথম স্থান অধিকার করেছে তারা। এই দলগুলো ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসন দখলে নিয়েছে। অর্থাৎ মধ্য ডানপন্থি দলগুলোর পরই তাদের অবস্থান। ইউক্রেনে চলমান যুদ্ধ, যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট হওয়ার হুমকি, জীবনযাত্রার মানে নেমে আসা স্থবিরতা, জনকল্যাণমূলক পরিষেবা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়া এবং আবহাওয়ার চরম ভাবাপন্ন হয়ে ওঠার ঘটনায় এরমধ্যেই জর্জরিত ইউরোপের জন্য গুরুতর হুমকি হয়ে উঠেছে জাতীয়তাবাদীরা। এই দলগুলো প্রায়ই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের প্রতি সহানুভূতিশীল। একই সঙ্গে তারা পরিবেশবান্ধব নীতি, অভিবাসী ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি চরমণ্ডবিদ্বেষ ভাবাপন্ন। এই চরম ডানপন্থি দলগুলোর আকস্মিক উত্থানের প্রতিক্রিয়ায় মূলধারার ইউরোপীয় মূল্যবোধপন্থি দলগুলোর সামনে তিনটি বড় বিকল্প রয়েছে। সেগুলো হলো- ডানপন্থিদের উত্থানকে পাত্তা না দিয়ে আত্মতুষ্টিতে ভোগা, ডানপন্থিদের গ্রহণ করে নেওয়া এবং পাল্টা আক্রমণ করা। ইউরোপীয় অনেকের ভ্রান্ত ধারণা হলো, ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচন নিতান্ত অমূলক। তাদের বিশ্বাস, এই নির্বাচনের আদতে কার্যকারিতা নেই। অতি সম্প্রতি ইউরোপ মহাদেশের রাজনীতিতে যেন একটি নির্বাচনি ভূমিকম্প হয়ে গেছে এবং সেই ভূমিকম্পে সেখানকার রাজনীতি ডানপন্থার দিকে হেলে পড়েছে। ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের নির্বাচনে জার্মানি, গ্রিস, নেদারল্যান্ডস, পোল্যান্ড, স্পেন, হাঙ্গেরিসহ বিভিন্ন দেশে উগ্র ডানপন্থি জাতীয়তাবাদী দলগুলোকে এগিয়ে থাকতে দেখা গেছে।

৬ জুন থেকে ৯ জুন পর্যন্ত অনুষ্ঠিত ভোটের পর ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাখোঁর মধ্যপন্থি দল রেনেসাঁ পার্টি ও তাদের ইউরোপপন্থি জোট বেসোইন দো ইউরোপ কট্টর ডানপন্থি নেত্রী মারি লো পেনের দল ন্যাশনাল র‍্যালির কাছে বড় ব্যবধানে হেরে গেছে।

ফলে ম্যাখোঁ আগাম পার্লামেন্ট নির্বাচন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন এবং সেটিই এখন সবার মনোযোগের প্রধান বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ১৯৪০ সালে নাৎসিদের সঙ্গে মার্শাল ফিলিপ পেতেনের যূথবদ্ধতায় সহযোগিতাবাদী ভিচি শাসন প্রতিষ্ঠার পর এই প্রথমবারের মতো ফ্রান্স একটি চরম ডানপন্থি সরকারের মুঠোর মধ্যে যাওয়ার হুমকিতে পড়েছে। এটি হলে তা বৃহত্তর ইউরোপীয় প্রকল্পের জন্য বিপর্যয়কর পরিণতি বয়ে আনতে পারে। কারণ, ব্রেক্সিটের মধ্য দিয়ে ব্রিটেন যেভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে, ফ্রান্সে কট্টর ডানপন্থিরা ক্ষমতায় এলে একই কায়দায় ইউরোপ থেকে ফ্রান্সের বেরিয়ে যাওয়া প্রশ্নে ফ্রেক্সিট গণভোট আয়োজনের পথ প্রশস্ত হয়ে যাবে। ব্রেক্সিট যুক্তরাজ্যের জন্য কতটা খারাপ পরিণতি ডেকে এনেছে, তার সম্যক প্রমাণ থাকার পরও ডানপন্থিরা ফ্রেক্সিট বাস্তবায়নে ঝুঁকে পড়তে পারে। ইউরোপের অন্য দেশগুলোর কথা নাহয় মেনে নেওয়া যায়, কিন্তু ঐতিহাসিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখলে জার্মানিতে অতি ডানপন্থিদের বাড়বাড়ন্তকে সবচেয়ে অশুভ ও সবচেয়ে পরিহাসপূর্ণ অবস্থা বলা যায়। রক্ষণশীল দল ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যাল ইউনিয়নের জোট জার্মানিতে ইউরোপীয় নির্বাচনে প্রথম স্থান লাভ করতে পারে। কিন্তু আসল ধাক্কার বিষয় হলো, নবগঠিত জনতুষ্টিবাদী দল অলটারনেটিভ ফার ডয়েশল্যান্ড ১৬ শতাংশ ভোটপেয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।ঠিক ১০০ বছর আগে, অর্থাৎ ১০২৪ সালে ফিরে গেলে দেখা যাবে, সে বছর জার্মানির প্রথম জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়েছিল নবগঠিত জনতুষ্টিবাদী দল ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট ফ্রিডম পার্টি।

এনএসএফপি ছিল নিষিদ্ধ হওয়া ন্যাশনাল সোশ্যালিস্ট জার্মান ওয়ার্কার্স পার্টির একটি ফ্রন্ট। মিউনিখ ‘বিয়ার হল’ খ্যাত ব্যর্থ অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সময় নাৎসি পার্টির নেতা অ্যাডলফ হিটলার জেলে বন্দি ছিলেন। এনএসএফপি ১৯২৪ সালের নির্বাচনে খুব খারাপ ফল করেছিল। সে বছর তারা মাত্র ৩ শতাংশ ভোট পেয়েছিল। কিন্তু পরের ৯ বছরের মধ্যে হিটলার চ্যান্সেলর হিসেবে একটি জোট সরকারের প্রধান হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এর পরের বছর ১৯৩৪ সালের আগস্টে তিনি নিজেকে ফুয়েরার ঘোষণা করে জার্মানিকে একটি সর্বগ্রাসী একনায়কতন্ত্রে রূপান্তরিত করেছিলেন। পরের ইতিহাস এমন এক ইতিহাস, যা এক শতাব্দী পরও মনে পড়লে আমাদের শিউরে উঠতে হয়। তার পুনরাবৃত্তির লক্ষণ আমাদের জন্য নিদারুণ উদ্বেগের বিষয় হয়ে ওঠে। ইউরোপকে নাৎসিদের কবল থেকে মুক্ত করতে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছিল যে মিত্র বাহিনী, সেই মিত্র বাহিনীর ফ্রান্সে অবতরণের ৮০তম বার্ষিকী উদ্?যাপনের জন্য ৬ জুন নরম্যান্ডিতে ইউরোপের নেতারা, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো একত্র হয়েছিলেন। কিন্তু তার কয়েক দিনের মধ্যেই ইউরোপের ভোটাররা ইইউ পার্লামেন্ট নির্বাচনে তাদের সর্বকালের সবচেয়ে বড় সমর্থন অতি-ডানপন্থি দলগুলোর হাতে তুলে দিয়েছেন। অবশ্য ইউরোপীয় মিডিয়া বা রাজনীতিতে কোনো আধুনিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলের নীতিকে নাৎসিদের সঙ্গে তুলনা করা সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ। কিন্তু ভয়াবহ বাস্তবতা হলো, এক শতাব্দী আগে নাৎসিদের মাধ্যমে যে ভূত জার্মানির গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে ছিনিয়ে নিয়েছিল, সেই ভূত আবার ইউরোপে ফিরে এসেছে।

ইউরোপের এই সদ্য পুনরুত্থিত ডানপন্থি দলগুলোর প্রতিটিরই একটি বিষয়ে নাৎসিদের সঙ্গে মিল রয়েছে। আর সেটি হলো, তারা অর্থনৈতিক সমস্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়া নাগরিকদের কাছে তাদের দুর্দশার পেছনে সরকার গুলোর অভিবাসী নীতির হাত আছে বলে দাবি করছে। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়ানো ও আবাসনের অভাবের মতো বিষয় থেকে শুরু করে নানা ধরনের অপরাধ বেড়ে যাওয়া এবং স্কুল ও কারাগারে ভিড় বেড়ে যাওয়ার মতো বিষয়ে তারা অভিবাসীদের দায়ী করে যাচ্ছে। ইউরোপের প্রতিটি দেশ এখন এই অশুভ মতবাদের সঙ্গে তাল মেলাতে শুরু করেছে এবং কোনো কোনো স্তরে এই ভাষ্যকে মেনে নিচ্ছে। ২০১৬ সালের ২৩ জুন ব্রিটিশরা ইইউ থেকে বেরিয়ে আসার পক্ষে ভোট দিয়ে দেয়। এখন সেই ফারাজ ইউকেআইপির উত্তরসূরি দল রিফর্ম ইউকের প্রধান হিসেবে ফিরে এসেছেন। দলটি আগামী ৪ জুলাই অনুষ্ঠেয় সাধারণ নির্বাচনে অংশ নেবে এবং কনজারভেটিভ পার্টি এখন যে বেসামাল অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, এটির ফায়দা তারা নির্বাচনে তুলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী এজেন্ডার মাধ্যম খণ্ডিত হয়ে যাওয়া ইউরোপ গোটা বিশ্বকে আবারও মর্মান্তিক সংঘাতের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে যা ঘটেছিল, তা যাতে আর না ঘটে, সে চেষ্টার অংশ হিসেবে গঠিত ইইউ এখন সেই সব জাতীয়তাবাদী চরমপন্থিদের দখলে চলে যাচ্ছে, যারা নিজেদের একটি পতাকায় মুড়িয়ে ক্ষমতা নিতে চাচ্ছে এবং সবচেয়ে খারাপ লোকদের কাছে তারা সাহায্যের আবেদন করছে। ইউরোপীয় ইতিহাস আমাদের শেখায়, রাজনৈতিক ও নৈতিক সমঝোতার অংশ হিসেবে যেকোনো মূল্যে ক্ষমতায় থাকার প্রবণতার পরিণতি ভয়াবহ হতে পারে।

তবে খোদ ইউরোপীয়রা এই পাঠ আত্মস্থ করেছে কি না, তা জানতে একটি উদ্বিগ্ন বিশ্বকে এখন অপেক্ষা করতেই হবে। এ ছাড়া আর কোনো পথ নেই। পাশ্চাত্যের এ ধরনের রাজনৈতিক অবস্থান এর দ্বিমুখিতা ফের নগ্নভাবে বিশ্বের সামনে তুলে ধরেছে; বিশেষ করে ইউক্রেন-রাশিয়া এবং গাজায় ইসরাইলি আক্রমণ একই সময় সংঘটিত হচ্ছে। পশ্চিমা বিশ্ব যে মানবাধিকার এবং আন্তর্জাতিক আইনের যুক্তি তুলে ধরে রাশিয়ার বিপক্ষে ও ইউক্রেনের পক্ষ নিচ্ছে এবং রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সাহায্য দিয়ে যাচ্ছে, ঠিক একই যুক্তি গাজায় ইসরাইলের আক্রমণের ক্ষেত্রেও খাটে। কিন্তু ইসরাইল যেহেতু যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের মিত্র তাই সুস্পষ্ট যুদ্ধাপরাধের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ ইসরাইলকে আরো সতর্ক হওয়ার নরম ও লোক দেখানো বিবৃতি দেয়া ছাড়া কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা গত বছর ২৯ ডিসেম্বর ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ইজরাইলের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে গাজায় যুদ্ধাপরাধ চালানোর অভিযোগ আনে। ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস ২৬ জানুয়ারি দেয়া এক অন্তর্বর্তী রায়ে ইসরাইলকে সবধরনের এমন কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকতে বলে; যেগুলোকে গণহত্যার আওতাভুক্ত করা যায়। ইসরাইল এ রায় মানতে আইনিভাবে বাধ্য। কিন্তু এরপরও ইসরাইল গাজায় এখন পর্যন্ত বেসামরিক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। ইসরাইলকে এ অন্তর্বর্তী রায় মানতে বাধ্য করতে যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্র কিছু করছে না। সম্প্রতি আরেকটি ঘটনায় পাশ্চাত্যের দ্বিমুখিতা আবারো উঠে এসেছে। গাজা যুদ্ধ ঘিরে ইরান ও ইসরাইলের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় এবং আশপাশের দেশগুলোতে একে অন্যের লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালানো হয়।

এক এপ্রিল সিরিয়ায় ইরানি কনসুলেটে ইসরাইল হামলা চালায় যাতে ইরানি রিপাবলিকান গার্ড কর্পসের প্রভাব শালী কিছু উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হন। ইসরাইলের এ আক্রমণ ছিল আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সুস্পষ্টভাবে ইরানের সার্বভৌমত্বের ওপর হামলা। জবাবে ইরান ১৩ এপ্রিল যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ বেশ কিছু দেশকে আগে থেকে জানিয়ে ইসরাইলে সরাসরি ৩০০ ড্রোন ও মিসাইল দিয়ে হামলা চালায়, যেগুলোর বেশির ভাগ ইসরাইলের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের সহায়তায় ধ্বংস করা হয়। অল্প যা কিছু ইসরাইলের ভেতরে ঢুকতে সক্ষম হয় সেগুলো তেমন কোনো ক্ষয়ক্ষতি করেনি বললেই চলে। সহজে বোধগম্য ইসরাইলে চালানো এ হামলা ছিল ইরানের সম্মান রক্ষার প্রতীকী হামলা। কিন্তু এর পরও পশ্চিমা বিশ্ব ইসরাইলের হামলার ব্যাপারে নীরবতা পালন করলেও ইরানের হামলায় প্রতিবাদমুখর হয়ে ওঠে। এ অবস্থায় বিশ্বের বিবেকবান মানুষের কাছে এটা সুস্পষ্ট যে, পশ্চিমা বিশ্বের মানবাধিকারের বুলি শুধু নিজেদের জনগণ ও মিত্রদের জন্য। ইসরাইল রাষ্ট্র পরিচালনায় কদাচিৎ ইহুদি ধর্মের আইন ও মূল্যবোধ মানা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে পশ্চিমা সভ্যতার এ ছোট অংশ ইসরাইলকে বাঁচাতে তাই যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব খুব তৎপর আর এখানে পশ্চিমা বিশ্বের দৈতনীতি সবচেয়ে কদর্যভাবে বিশ্বের সামনে উঠে আসে। এ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পুলিৎজার পুরস্কারপ্রাপ্ত সাংবাদিক ক্রিস হেজেস গাজায় গণহত্যা শিরোনামে এক বক্তব্যে পশ্চিমা সভ্যতার এ দ্বিমুখিতা তুলে ধরে বলেন, যখন দখল দারিত্বের শিকার মানুষ আত্মসমর্পণ করতে অস্বীকার করে এবং প্রতিরোধ চালিয়ে যায় তখন পশ্চিমারা সভ্যকরণ মিশনের সব অভিনয় ছেড়ে হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞে ঝাঁপিয়ে পড়ে যেমনটি কি না এখন গাজায় চলছে।

গবেষক ও কলামিস্ট

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত