ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

ডেঙ্গুর প্রকোপ

সিটি কর্পোরেশনের তৎপরতা বাড়াতে হবে
ডেঙ্গুর প্রকোপ

দেশে নানা ডামাডোলের মধ্যে ডেঙ্গুর প্রকোপের বিষয়টি অনেকটা আড়ালে পড়ে গেছে। অথচ সারা দেশে ডেঙ্গু-আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ সময় ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগে ডেঙ্গু-আক্রান্তরা হাসপাতালে ভর্তি হন। এতে ধারণা করা যাচ্ছে, গত বছরের মতো এবারও সারা দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এডিস মশাবাহিত এ রোগ। আমাদের ভুলে যাওয়া উচিত নয়, আক্রান্তের হার ও মৃত্যুর সংখ্যার দিক থেকে ২০২৩ সালে দেশে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছিল ডেঙ্গু। উল্লেখ্য, আগের ২৩ বছরে দেশে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ৮৬৮ জন। কিন্তু শুধু গত বছরই মারা গেছেন প্রায় ১ হাজার ৭০০ জন। দেশের ৬৪ জেলায়ই ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছিল গত বছর। বস্তুত ২০২৩ সালে ডেঙ্গু আমাদের জন্য একটি বিশেষ সতর্কবার্তা রেখে গেছে; আর তা হলো, আমরা যদি সতর্ক না হই, তাহলে এ বছরও ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠতে পারে। উল্লেখ্য, চলতি বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়িয়ে গেছে, মৃতের সংখ্যা প্রায় অর্ধশত। কাজেই এখনই সবার সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি বিপজ্জনক হয়ে ওঠার কারণ মূলত অপরিকল্পিত নগরায়ণ, মশক নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতা এবং স্বাস্থ্য খাতের দুরবস্থা। ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মশার ওষুধ ছিটানো এবং সচেতনতা বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন পদক্ষেপ নেয়ার কথা থাকলেও এখনো সেভাবে তা চোখে পড়ছে না। বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, একদিনে বা এক বছরে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে আনা যায় না। অব্যাহত প্রচেষ্টায় ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে সুফল মিলতে পারে। কারণ জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এডিসের উৎপাত বেড়েছে। এ প্রজাতির মশা প্রতিকূল জলবায়ুর সঙ্গে টিকে থাকার সক্ষমতা অর্জন করতে শুরু করছে। তাই ধারণা করা যায়, এডিসের উৎপাত বছরজুড়েই থাকবে। কাজেই ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা পেতে বছরব্যাপী মশক নিধন ও অন্যান্য কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে। সেই সঙ্গে নাগরিকদেরও খেয়াল রাখতে হবে- তাদের বাসার আশপাশের খোলা স্থানে কোথাও যেন পানি জমে না থাকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত