ঢাকা ০১ অক্টোবর ২০২৪, ১৭ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মহানুভবতার পরিচয়

নিশ্চিত হোক আহতদের পূর্ণাঙ্গ সুচিকিৎসা
প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি মহানুভবতার পরিচয়

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং পঙ্গু হাসপাতালে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আহতদের দেখতে গিয়েছেন গত ২৬ জুলাই। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, দলমত নির্বিশেষে সবার চিকিৎসার ও আয়-রোজগারের ব্যবস্থা করবে সরকার। ২৭ জুলাই আলোকিত বাংলাদেশে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে সহিংসতায় আহতদের ২৬ জুলাই হাসপাতালে দেখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা এই প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রতিশ্রুতি তার মহানুভবতার পরিচয় এবং মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে দিয়েছেন। রাজধানীসহ সমগ্র দেশ প্রায় এক সপ্তাহ সহিংসতার যে চিত্র আমরা দেখেছি। তা সত্যিই হৃদয়বিদারক। যারা আহত হয়ে হাসপাতালে কাতরাচ্ছেন তাদের অনেকেই আন্দোলনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল না। অনেকেই কাছে কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সংঘর্ষে আহত হয়েছেন। গণমাধ্যমের অন্যান্য পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, তাদের বেশিরভাগ শ্রমিক। তাদের অনেকের পক্ষেই যথাযথ চিকিৎসা করার মতো টাকা নেই। এই প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি ভুক্তভোগী এবং তাদের পরিবারগুলোর মধ্যে অনেকটা স্বস্তি ফিরিয়ে দিয়েছে। রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু সাঈদের পরিবারের পাশেও দাঁড়িয়েছে সরকার।

যে প্রেক্ষাপটে আন্দোলন শুরু হয় তা অহিংস হলেও শেষ পর্যন্ত হীনস্বার্থবাদীদের কারণে সহিংসতায় রূপ নেয় এবং দেশব্যাপী ধ্বংসযজ্ঞ চলে। আমরা বিশ্বাস করি, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের মনোভাব এমন ছিল না এবং সংঘটিত হিংসাত্মক ঘটনাবলিতে তাদের সম্পৃক্ততা নেই। আন্দোলনের নেতৃত্ব দানকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরাও বারবারই বলেছেন, এমন ধ্বংসযজ্ঞ এবং সহিংসতায় তাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। সংবাদমাধ্যমের ছাপা এবং অনলাইন সংস্করণসহ ডিজিটাল ও ইলেকট্রনিক সংবাদমাধ্যমে যেসব সংবাদ প্রকাশিত-প্রচারিত হতে দেখা গেছে, তাতেও অনেক ক্ষেত্রে প্রতীয়মান হয়, তাদের বক্তব্যের সত্যতা। পথচারী এবং কোনো কোনো ক্ষেত্রে ঘটনাস্থল সংলগ্ন এমনকি বাসাবাড়িতেও অনেকেই নিরাপদ ছিলেন না। কয়েকজন শিশুর মর্মান্তিক প্রাণহানির মতো অঘটনের ফলে সামগ্রিকভাবে পরিস্থিতি আরো বেদনাকাতর হয়ে ওঠে।

আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বশীল প্রত্যেকেই যথাযথ দায়িত্বের পরিচয় দিয়ে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করবেন। আমাদের অভিজ্ঞতায় আছে, সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল অনেকেরই সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতিপালনে কখনও কখনও গাফিলতি দেখা যায়। আমরা আশা করব, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ যাতে যথাযথভাবে পালিত হয়, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সহ দায়িত্বশীল সবাই নিজ নিজ ক্ষেত্রে সতর্ক ও সজাগ থাকবেন। মনে রাখতে হবে, সব ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দেওয়া যায় না। কিন্তু ক্ষতিগ্রস্ত কিংবা তাদের পরিবারগুলোর পাশে সরকারসহ দায়িত্বশীল মহলগুলো দাঁড়ালে ক্ষতিগ্রস্তরা সান্ত¡না পান এবং তাদের ব্যাথার কিছুটা হলেও উপশম ঘটে। দলমত নির্বিশেষে সবার সুচিকিৎসা ও আয়-রোজগারের দায়িত্বভার কাঁধে তুলে নেয়ার মধ্য দিয়ে দুঃখজনক পরিস্থিতিতেও সুনজির স্থাপন করা হয়েছে তা বলা যায়।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত