বর্তমানে বিশ্বের কয়েকটি দেশের যুদ্ধ যুদ্ধ পরিস্থিতির পাশাপাশি দেশীয় কিছু অসাধু, অতি মুনাফালোভী ব্যবসায়ী আর শক্তিশালী সিন্ডিকেটের বেড়াজালে প্রাণিজ আমিষের সেক্টর প্রায় জিম্মি হয়ে পড়েছে। তাতে করে দেশে নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য আমিষ তথা প্রোটিন গ্রহণ রীতিমত কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। কিন্তু এর মধ্যেও আশার বাণী জেগে ওঠে এই কথা ভেবে যে, আমাদের দেশে বর্তমানে সব স্তরের মানুষ সহজলভ্য উপায়ে আমিষ গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে মৎস্য খাত থেকে। তাই বর্তমানে দৈনিক মাথাপিছু মাছ গ্রহণের পরিমাণ ৬০ গ্রামের বিপরীতে দাঁড়িয়েছে ৬৭.৮০ গ্রাম (জনপ্রতি বাৎসরিক ২৩.৭২ কেজি চাহিদার বিপরীতে ২৫.০০ কেজি) (তথ্য সূত্র : মৎস্য অধিদপ্তর)।
পূর্বে একটা ধারণা ছিল, জেলেরাই শুধু মাছ চাষ করবেন এবং তারাই মাছ বিক্রি করে জীবন ধারণ করবেন, সেই প্রচলিত ধ্যান-ধারণা এখন আর নেই। এখন অনেক শিক্ষিত বেকার যুবক-যুবতী ব্যাংক থেকে ঋণ এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর ও মৎস্য অধিদপ্তর থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে গ্রামীণ কিংবা শহরতলীর জলাশয় এবং পুকুর, নালা, ডোবায়, ধানের জমি এমনকি শহরের ছাদে (বায়োফ্লক, রাস) হরেক রকম পদ্ধতিতে বিভিন্ন রকম মাছ চাষ করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন। তারা এখন এই ক্ষেত্রে উদ্যোক্তার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। এর সঙ্গে পরিবারের নারী সদস্যরা সম্পৃক্ত হওয়ায় সমন্বিত প্রক্রিয়ায় মাছ চাষাবাদ করা হচ্ছে। এতে করে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ, পুষ্টি চাহিদাপূরণ, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য বিমোচন, বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং নারীর ক্ষমতায়ণের সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে।
সরকারের নানা যুগান্তকারী পদক্ষেপ গ্রহণের ফলে দেশ আজ মাছ উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণতাই অর্জন করেনি বরং দেশের চাহিদা মিটিয়ে মৎস্য ও মৎস্যজাত পণ্য পৃথিবীর ৫২টি’র অধিক দেশে রপ্তানিও করছে। এছাড়া মৎস্য খাত এখন আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও নানা রেকর্ড অর্জন করেছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার-২০২৪-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী মিঠা পানির মাছ আহরণে বাংলাদেশ চীনকে টপকে বিশ্বে ২য় অবস্থানে উঠে এসেছে। দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২২-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী চীনের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ছিল ১.৪৬ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ২য়। অপরদিকে বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১.২৫ মিলিয়ন টন এবং অবস্থান ছিল বিশ্বে ৩য়। বিগত দুই বছরে বাংলাদেশের মিঠা পানির মৎস্য উৎপাদন ১.২৫ মিলিয়ন টন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ১.৩২ মিলিয়ন টনে উন্নীত হয়েছে। পক্ষান্তরে চীনের উৎপাদন ১.৪৬ মিলিয়ন টন থেকে কমে ১.১৬ মিলিয়ন টন হয়েছে। ফলে দ্য স্টেট অব ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২৪-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী বাংলাদেশ চীনকে টপকে ২য় অবস্থানে উন্নীত হয়েছে, যা বর্তমান সরকারের একটি অভাবনীয় সাফল্য। এছাড়া বদ্ধ জলাশয়ে চাষকৃত মাছ উৎপাদনে ৫ম স্থানের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছে, ক্রাস্টাশিয়ান্স উৎপাদনে বিশ্বে ৮ম এবং সামুদ্রিক মাছ আহরণে ১৪তম এবং তেলাপিয়া উৎপাদনে বিশ্বে ৪র্থ ও এশিয়ায় ৩য় স্থান অধিকার করে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের দূরদর্শী দিকনির্দেশনা ও প্রাজ্ঞ নেতৃত্বে স্বাধীনতার ৪৬ বছর পর ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশে মাছ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৪০ লাখ ৫০ হাজার টনের বিপরীতে ৪১ লাখ ৩৪ হাজার টন উৎপাদিত হয়। ফলে তখন থেকেই বাংলাদেশ মাছ উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সক্ষম হয়।
মৎস্য খাতের এ উৎপাদন বৃদ্ধি ও প্রাণিজ পুষ্টির অন্যতম এই উৎস্য সম্পর্কে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারো ‘ভরবো মাছে মোদের দেশ, গড়বো স্মার্ট বাংলাদেশ’ প্রতিপাদ্য নিয়ে ৩০ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৪ পালিত হচ্ছে।
তাছাড়া, সরকারের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনায় মৎস্য খাতে সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা গ্রহণ ও উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর সফল বাস্তবায়ন এবং মৎস্য অধিদপ্তর ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানসহ সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর-সংস্থার অক্লান্ত প্রচেষ্টার ফলে ২০২২-২৩ অর্থবছরে মৎস্য উৎপাদন হয়েছে ৪৯.১৫ লাখ মে.টন। এর মধ্যে বিশেষকরে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইলিশের উৎপাদন হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ লাখ টন। যা একক প্রজাতি হিসেবে মোট মৎস্য উৎপাদনের প্রায় ১২ শতাংশ। এছাড়া বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনকারী ১১টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম ও রোল মডেল। ইলিশ জাতীয় জীবনের অর্থনীতিতেও বড় অবদান রাখছে। জিডিপিতে ইলিশের অবদান শতকরা ১ ভাগের বেশি। কর্মসংস্থানের হিসেবেও দেখা যায়, বর্তমানে প্রায় ৭ লাখ মানুষ প্রত্যক্ষভাবে এবং ২০-২৫ লাখ মানুষ পরোক্ষভাবে ইলিশসম্পদের সঙ্গে জড়িত। এছাড়া ১৭ আগস্ট ২০১৭ পেটেন্ট, ডিজাইন ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর, বাংলাদেশের জাতীয় মাছ ইলিশকে বাংলাদেশি পণ্য হিসাবে বিশ্ব স্বীকৃতি অর্জনের কথা ঘোষণা করে।
জাতীয় মাছ ইলিশের অভূতপূর্ব অর্জনে ও সামুদ্রিক মাছের নিরাপদ প্রজনন ও উৎপাদন বৃদ্ধিতে সরকারের যেসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন হচ্ছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু কার্যক্রম হচ্ছে; বঙ্গোপসাগরে ইলিশসহ অন্যান্য মাছের প্রজনন নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগর ও উপকূলীয় ১৪ জেলায় মাছ ধরা নিষিদ্ধ থাকে। এ সময় জেলেদের মাসিক ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা (চাল) প্রদান করা হয়। এছাড়া মা ইলিশ রক্ষার্থে প্রতিবছর অক্টোবর মাসে ২২ দিন সারা দেশে সব ধরনের মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় ২২ দিনের জন্য ২৫ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা (চাল) প্রদান করা হয়। তাছাড়া জাটকা নিধন প্রতিরোধ কার্যক্রম বাস্তবায়নে ইলিশের অভয়াশ্রমগুলোতে ৪ মাস মাছ ধরা বন্ধ থাকে। এ সময় মৎস্য আহরণে বিরত মৎস্যজীবী ও জেলেদের মাসিক ৪০ কেজি হারে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। পাশাপাশি মাছ ধরা বন্ধকালীন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১২,২৬,৮১৮টি জেলে পরিবারকে প্রায় ৯৮,৩৬২.৫৫ মে.টন খাদ্যশস্য ভিজিএফ হিসেবে দেওয়া হয়েছে এবং গত ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ডিসেম্বর-২০২৩ পর্যন্ত ১২,৫৩,৭৭১টি জেলে পরিবারকে ৫২,৬২৪.৭৪ মে.টন খাদ্যশস্য ভিজিএফ হিসেবে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মৎস্য সম্পদ রক্ষায় প্রতিবছর জানুয়ারি থেকে ফেব্রুয়ারি মাসে চার ধাপে মোট ৩০ দিন ক্ষতিকর কারেন্টজাল ধবংসে কম্বিং অপারেশন পরিচালনা করা হয়। এছাড়াও জেলে নিবন্ধন সংক্রান্ত তথ্য : প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প হিসেবে জেলে নিবন্ধন ও পরিচয়পত্র প্রদান প্রকল্পের আওতায় ১৬ লাখ জেলের নিবন্ধন করা হয় এবং ১৪ লাখ জেলের মধ্যে নিবন্ধন কার্ড বিতরণ করা হয়। তাছাড়া বর্তমানে রাজস্ব খাতের আওতায় জেলেদের নিবন্ধন হালনাগাদ করা হচ্ছে এবং ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত নিবন্ধিত মোট জেলের সংখ্যা ১৮,০১,৩৭৭ জন। খুব শিগগিরই প্রায় দেড় লক্ষাধিক জেলের মাঝে কার্ড বিতরণ করা হবে।
এছাড়া বিগত ২ বছরে মিঠাপানির মাছ উৎপাদনে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছে ইলিশ, দেশি প্রজাতির মাছ (পাঙ্গাশ, বোয়াল, আইড় ও অন্যান্য ছোট মাছ) এবং কার্পজাতীয় মাছ। এছাড়া বদ্ধ জলাশয়ে চাষের মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশের সাফল্য ঈর্ষণীয়। চাষের মাছ উৎপাদনেও বাংলাদেশ টানা ৫ বছর ধরে বিশ্বে ৫ম স্থান ধরে রেখেছে। মাছ চাষ নিবিড়করণে মাছের খামার যান্ত্রিকীকরণ; প্রজাতি বহুমুখীকরণ; জলবায়ু সহনশীল মাছ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; চাহিদার নিরিখে সময়োপযোগী মাছ চাষ প্রযুক্তি সম্প্রসারণ; হ্যাচারিতে গুণগত মানসম্পন্ন পোনা-রেণু উৎপাদন; চাষি ও উদ্যোক্তাদের নিয়মিত ট্রেডভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদানসহ মাছ চাষের উপকরণ বিতরণ; রোগ নিয়ন্ত্রণে ডিজিস সার্ভিল্যান্স কার্যক্রম জোরদারকরণসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে এ অর্জনের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা সম্ভব হয়েছে। তাছাড়া দেশে মাছ উৎপাদনের যে ধারা চলমান রয়েছে, তা আগামীতে থেমে যাওয়ারও কোনো আশঙ্কা নেই।
বিশেষকরে প্রাণিজ আমিষের চাহিদা মিটাতে সরকারের লক্ষ্য হলো, আগামী ২০৩০ সালে মাছ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৬৫ লাখ মেট্রিক টন এবং ২০৪১ সালে ৮৫ লাখ মেট্রিক টন-এ উন্নীত করা; যা বর্তমান উৎপাদনের চেয়ে প্রায় ১. ৮ গুণ বেশি। এই পরিমাণ মাছ উৎপাদন করতে হলে মৎস্য খামার যান্ত্রিকরণের পাশাপাশি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের অনুষঙ্গ অত্যাধুনিক স্মার্ট স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি মৎস্যচাষ ও ব্যবস্থাপনার প্রতিটি পর্যায়ে ব্যবহার করতে হবে। মৎস্যচাষে নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও ব্যবহার,্ ইন্টারেনেটভিত্তিক মৎস্য খামার যান্ত্রিকীকরণ, মৎস্যচাষ প্রদর্শনী ও চাষি পর্যায়ে লাগসই প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে মৎস্যচাষ বহুমুখীকরণ, মৎস্য অবতরণকেন্দ্র উন্নয়ন, অভ্যন্তরীণ উন্মুক্ত জলাশয়ে সহব্যবস্থাপনা প্রচলন, মৎস্য আইন প্রয়োগ অধিকতর জোরদারকরণ, মৎস্য প্রক্রিয়াকরণ ও মৎস্যজাত পণ্য বহুমুখীকরণসহ নানা কার্যক্রম বাস্তবায়নের মাধ্যমে মৎস্য খাতের উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ নিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। উল্লিখিত লক্ষ্যমাত্রা অর্জন ও টেকসই মাছ উৎপাদন নিশ্চিতকল্পে সেক্টরাল অ্যাকশন প্ল্যান প্রণয়নপূর্বক তা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
এর পাশাপাশি দেশের অর্জিত ১ লাখ ১৮ হাজার ৮১৩ বর্গকিলোমিটার সামুদ্রিক এরিয়াসহ সমুদ্র এলাকায় সুনীল অর্থনীতির বিকাশ সাধন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনার জন্য স্বল্প, মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। গভীর সমুদ্রে টুনা আহরণের জন্য ‘গভীর সমুদ্রে টুনা ও সমজাতীয় পেলাজিক মাছ আহরণে পাইলট প্রকল্প’ শীর্ষক একটি উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। এছাড়া সামুদ্রিক মৎস্যসম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে মৎস্য অধিদপ্তর কর্তৃক ‘সাসটেইনেবল কোস্টাল অ্যান্ড মেরিন ফিশারিজ’ শীর্ষক একটি মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে; যা সুনীল অর্থনীতিতে নতুন মাত্রা সংযোজনের পাশাপাশি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে।
শুধু মৎস্য সম্পদ উৎপাদনই নয়, এর পাশাপাশি দেশের কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতেও মৎস্য খাত অবদান রাখছে। বর্তমানে দেশের মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ১৪ লাখ নারীসহ ১ কোটি ৯৫ লাখ বা ১২ শতাংশ মানুষ মৎস্য খাতে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছে। শুধু তাই নয়, দেশের জিডিপিতেও মৎস্য খাত গুরুত্বকপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
উল্লেখ্য, ২০২২-২৩ অর্থবছরে জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ২.৫৩ শতাংশ, কৃষিজ জিডিপিতে মৎস্য খাতের অবদান ২২.২৬ শতাংশ এবং জিডিপির প্রবৃদ্ধির হার ২.৮১ শতাংশ। তাছাড়া ২০২২-২৩ অথবছরে চলতি বাজারমূল্যে মৎস্য খাতে জিডিপির আকার ১০,৭৬,৬৭২ কোটি টাকা ( তথ্য সূত্র : মৎস্য অধিদপ্তর)।
সর্বোপরি বলা যায়, এ খাতের সংশ্লিষ্ট অংশীজন ও সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় দেশ আজ মাছে স্বয়ংসম্পূর্ণ হওয়ায় সাধারণ মানুষ স্বল্পমূল্যে মাছ ও পুষ্টি গ্রহণ করতে পাচ্ছে। তাই মৎস্য খাত বর্তমানে দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। পাশাপাশি উন্নত মেধাবী জাতি গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। ফলে সরকারের পরবর্তী লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ, স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণিত হওয়ার পথ সুগম হচ্ছে।