ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার কারণে আজকের জটিল অবস্থা

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট, [email protected]
শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার কারণে আজকের জটিল অবস্থা

মন ও মনন প্রায় সভ্যতার আদিযুগ থেকেই মানুষের জীবনদর্শনের অন্যতম আলোচ্য বস্তু। শরীর-আত্মা, শরীর-মন এই দ্বিত্বের চশমায় শরীর হলো সেই বস্তুগত একক, মন যার অদৃশ্য চালিকাশক্তি। ভাবতে যতই বায়বীয় মনে হোক না কেন, প্রাকৃতিক বিজ্ঞানের মতো পরিসরে একে নিয়ে আসতে হলে মনকে পরীক্ষাগারে পরীক্ষা করার উপযুক্ত হয়ে উঠতে হয়। মনোবিদরা বহু যুগ ধরে তাই করে চলেছেন। বিশেষ করে সমাজে নৈতিকতার মতো বিষয়কে যখন বৈজ্ঞানিক পরিসরে দেখার প্রয়োজন পড়ে, তখন প্রশ্ন ওঠে, কোন মাপকাঠিতে বিচার করা হবে? পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে সমাজের গঠন ভিন্ন হওয়ায়, ভিন্ন পরিবেশের মানুষদের ধারণার পার্থক্যের ফলে সময়ে সময়ে মনের অস্তিত্ব বিচারের মাপকাঠি নির্ধারণ করা বেশ কঠিন হয়েছে। বস্তুর ভর পৃথিবীর সমস্ত জায়গায় এক হওয়াতে সমস্যা নেই, কিন্তু মনের ভর নির্ধারণ করাই ঝঞ্ঝাটের, তাই সর্বত্র তার ধ্রুবকত্ব প্রমাণ তো প্রায় অসম্ভব এক প্রচেষ্টা। এহেন একটি জিনিস যখন সামাজিক নিয়ামকের নিরিখে দেখার সুযোগ পাওয়া যায়, তখন তাও কিছুটা স্বস্তি মেলে বটে, কিন্তু প্রশ্ন পরিবর্তন হয়না। মাপার প্রশ্নটি বুনিয়াদী স্তরের প্রশ্ন। মাপতে গেলে প্রথমেই জানতে হচ্ছে কি মাপতে হবে, কোন পদ্ধতিতে মাপতে হবে, কোন একক, আর কোন যন্ত্রের মাধ্যমে মাপতে হবে। কিন্তু প্রথম প্রশ্নেই এসে ধাক্কা খেতে হচ্ছে। মনের এমন কোনো বস্তুত্ব আছে, যাকে যন্ত্রের মাধ্যমে মাপা সম্ভব? এই পর্যন্ত এসেই বিরতি দিয়ে জানিয়ে দেয়া প্রয়োজন, এই বুনিয়াদী স্তরের প্রশ্নগুলোর একপ্রকার উত্তর তৈরি করে তবেই মনোবিদ্যার যাত্রা শুরু হয়েছে। যেহেতু মন নামক বস্তুটি পঞ্চেন্দ্রিয়ের দ্বারা প্রামাণ্য একক বস্তু নয়, সেক্ষেত্রে নৈতিকতাও তেমন নয়, তাই আপাত দৃষ্টিতে এর বিভিন্ন প্রকাশকে ব্যবহার, আচরণ ও প্রভাবকে প্রামাণ্য ধরে তার পরিমাপের মাধ্যমেই মনের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করা হয় অন্ধের হস্তিদর্শন! নৈতিকতার প্রশ্ন আসলে হর্ষ ও বিষাদের প্রশ্ন।

এই কারণেই আমরা একটা পাথরের প্রতি নীতিসম্মত আচরণ করতে দায়বদ্ধ নই। যখন আমাদের আচরণ অপরদের ভালো বা খারাপভাবে প্রভাবিত করার ক্ষমতা রাখে, নৈতিকতার প্রশ্ন তখনই প্রযুক্ত হয়। সামাজিক মনোবিদ্যার বুনিয়াদী সমস্যা হল ব্যক্তি যে সমাজে জন্মেছে, সেই সমাজের তাকে নৈতিকতার পথে নিয়ে আসা, যেখানে ব্যক্তির নিজের স্বার্থকেন্দ্রিক ও নৈতিকতার সাথে সম্পর্কবিহীন প্রবণতা তার পরার্থকেন্দ্রিক প্রবণতাগুলোর তুলনায় অনেক বেশি শক্তিশালী। মানুষ প্রায়ই তার পরবর্তী প্রজন্মকে নিয়ে অস্বস্তিতে ভোগে। কারণ আগের প্রজন্মের কথার ধরন, পোশাক-আশাক ও বিনোদনের অভ্যাস-কোনো কিছুই তার পরের প্রজন্মের সঙ্গে পুরোপুরি মেলে না। ওই অমিলটার কারণেই দ্বন্দ্বের সূত্রপাত হয়। পরবর্তী প্রজন্মের গায়ে অভদ্রের তকমা লেগে যায়। একবিংশ শতাব্দীতে প্রযুক্তির সংস্পর্শে এসে এই সমস্যা আরো প্রকট হয়েছে। আমরা প্রায়ই বলি, একুশ শতকের এই তথাকথিত অভদ্র প্রজন্ম আত্মীয় স্বজনের চোখে অসামাজিক, পড়শির চোখে বেখাপ্পা, শিক্ষকের চোখে অমনোযোগী। আমরা সবাই এদের বিভিন্ন বিশেষণে বিশেষায়িত করছি কিন্তু কেউই সমস্যার গভীরে যেতে চাচ্ছি না। এদের মনোজগতের সঙ্গে পূর্ববর্তী প্রজন্মের যোজন যোজন ফারাকের কারণটা নির্ণয় করতে চাই না। জন্মের পরপরই চোখ মেলে প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসা এই প্রজন্মটাকে গবেষকরা ‘জেনারেশন জি’ নাম দিয়েছেন। প্রযুক্তি, একক পরিবার, নগরায়ণ ইত্যাদি বহু বিষয় এই জেনারেশন জিকে প্রভাবিত করছে। এসব পারিপার্শ্বিকতার সবচেয়ে বড় প্রভাব পড়ছে তাদের শিক্ষাজীবনে। তাদের শেখার পদ্ধতি বদলে যাচ্ছে। আমরা যারা শিক্ষক ও অভিভাবক, তারা খুব ভাবনায় পড়ে যাচ্ছি। এখন তা হলে আমাদের করণীয় কী? ওদের এই অনিবার্য বদলকে অস্বীকার করা? জোর করে ওদের আগের প্রজন্মের মতো করে ভাবতে বাধ্য করা, নাকি ওদের সঙ্গে তাল মেলানোর জন্য নিজেদের বদলে ফেলা?

সেই সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর আগে আমাদের এই জেনারেশন জির মনোজগৎটা বুঝতে হবে। এদের বেড়ে ওঠার পরিবেশ যেমন আগের প্রজন্মের চেয়ে ভিন্ন, ঠিক তেমনি চিন্তাপদ্ধতি, প্রতিক্রিয়া এবং আচরণও ভিন্ন। মনে রাখতে হবে, কোটা সংস্কারের প্রশ্নে ছাত্রদের আন্দোলন সাম্প্রতিক নয়; অনেক বছর আগে থেকে আরম্ভ হয়েছে। ২০১৮ সালে সরকার কোটা সংস্কার করার নীতি ঘোষণা করেছিল। সেটা নিয়েও সবাই সন্তুষ্ট ছিল না। পত্রপত্রিকা এ ব্যাপারে অনেক সমালোচনা ও প্রতিবাদ ছাপিয়েছিল। সেখানে অনেকেই সংস্কারের দুর্বলতাগুলো তুলে ধরেছিলেন। তখন একপক্ষ সংশোধনের জন্য সরকারের কাছে আবেদনও করেছিল। হাইকোর্টে মুক্তিযোদ্ধা কোটার পক্ষে একটি রিটও করা হয়। সেখানে তারা কোটার বিষয়টি পুনর্বিবেচনা করতে আবেদন জানায়। সে ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আন্দোলন চলাকালেই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক মন্তব্যে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রচণ্ড অসন্তোষ দেখা দেয়। এ নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ চালায়। ক্ষমতাসীন দলের ছাত্র সংগঠন মাঠে নেমে পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটায় এবং গোটা দেশে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। মধ্যখান থেকে দুই শতাধিক মূল্যবান প্রাণ ঝরে যায়। অবশেষে সরকার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলে কোটার ব্যাপারে একটা রায় এসেছে। এতে মেধাবীদের জন্য ৯৩ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৫ শতাংশ, ১ শতাংশ আদিবাসী, ১ শতাংশ প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য কোটা সংরক্ষণ করে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়। এরই মধ্য দিয়ে সরকার আন্দোলনকারীদের থামাল। কিন্তু জাতীয় স্বার্থের দিক থেকে ব্যবস্থাটি সুষ্ঠু বলা যায় না। আগে কোটা ব্যবস্থায় নারী ও জেলা কোটা ছিল। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের নতুন রায়ে ক্ষেত্র দুটিতে কোটা বাতিল করা হয়। আমরা বিভিন্ন অভিজ্ঞতায় দেখেছি, জেলা কোটা না থাকলে মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় ঢাকা শহর বা রাজধানী থেকে অনেক শিক্ষার্থী পাস করে।

অন্যদিকে, অন্যান্য জেলা পিছিয়ে থাকে, এমনকি কয়েকটি জেলা থেকে একজন প্রার্থীও পাস করে না। এ অবস্থায় জেলাভিত্তিক পরীক্ষার্থীর কোটা সংরক্ষণ দরকার। কাজেই জেলা কোটা পরিহার করলে সমস্যার সমাধান হবে না এবং পরে এ নিয়ে আবারও সমস্যা দেখা দিতে পারে। নারী কোটাও কোনো না কোনোভাবে রক্ষা করা উচিত। আর সব জেলা থেকেই নারীদের সম্পৃক্ততা জরুরি। তা না হলে নারীরা পিছিয়ে পড়বে। এসব প্রয়োজনীয়তা সরকার বিবেচনা না করে একপেশে নীতি গ্রহণের ফলে অসন্তোষ রয়ে গেছে। জেলাভিত্তিক কোটার ব্যবস্থা থাকার উদ্দেশ্য হলো, সব জেলা থেকে কিছু না কিছু প্রার্থী চাকরি লাভ করবে। বর্তমান সরকার এসব বিবেচনা না করে জেদাজেদির মন নিয়ে কাজ করছে। জেদাজেদির রাজনীতির ভবিষ্যৎ ভালো হয় না এটা সবারই জানা। কোটাসংক্রান্ত সমস্যা সমাধানের জন্য সুপ্রিমকোর্টের কোনো দায়িত্ব থাকার কথা নয়। এর সমাধান বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবদের মাধ্যমে করা উচিত ছিল। সুপ্রিমকোর্টের সম্মানিত বিচারপতিদের বিষয়টি সমাধানের দায়িত্ব নেওয়ার আগে গোটা ব্যাপারটির যথেষ্ট অনুসন্ধান চালানো উচিত ছিল। তাহলে বাস্তব অবস্থা বুঝে সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হতো। আন্দোলনের ডামাডোলে তাড়াহুড়ার কারণে সেটা সম্ভব হয়নি। জেলা কোটা, নারী কোটা বাদ দেয়ার ফলে গোটা বিষয়টি পুনর্মূল্যায়নের ভিত্তিতে পক্ষপাতমুক্ত অবস্থান থেকে সমীচীন সিদ্ধান্ত। সুপ্রিমকোর্ট প্রাসঙ্গিক বিষয়গুলো বিবেচনা করে মামলার রায় দিতে পারতেন। এরই মধ্যে যে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে, তা বাস্তব অবস্থার সমস্যার সমাধানে পর্যাপ্ত নয়। সমস্যাকে অনেক দিন ধরে উত্তেজনাপূর্ণ রেখে দিলে তা আন্দোলনে রূপ নিয়ে আসে। এটা গোটা জাতির জন্য ক্ষতিকর। এটা স্পষ্ট, কোটা বিষয়টিতে অনেক জটিলতা রয়েছে। সে জন্যই এত আন্দোলন ও পরিবর্তন আনা হয়েছে। ফলে সমস্যাটি এখন অনেক দুরূহ হয়ে উঠেছে।

মূল কথা হচ্ছে, সরকার এককভাবে যেমন বিক্ষোভ সামাল দিতে পারেনি, এককভাবে এই সংকটের সুচারু সমাধানও করতে পারবে না। সবাইকে নিয়ে কাজ করতে হবে, সবার কথা আমলে নিতে হবে। বস্তুত সেটাই গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মূল কথা। মনে রাখতে হবে, গণতন্ত্র মানে শুধু নির্বাচন নয়। জাতীয় ইস্যুতেও সকল পক্ষের মতামত গ্রহণ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মর্মার্থ। সমস্যার সমাধান দ্রুত শুরু করা উচিত হবে। ত না হলে দীর্ঘদিন অচল অবস্থার মধ্যে থাকলে সমস্যা জটিল থেকে জটিলতর হতে থাকবে। ২০১৮ সালে যে ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল এবং ক’দিন আগে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগ যে রায় দিয়েছেন, সেগুলো বিবেচনায় নিতে হবে। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, শিক্ষার্থীদের মনস্তত্ত্ব না বোঝার কারণে অবস্থা জটিল হয়ে উঠেছে। এতে আন্দোলন ও নানাবিধ দাবির মধ্যে সমস্যা সমাধানের সম্ভাবনা নষ্ট হয়ে গেছে। সব দিক বিবেচনা করে প্রধানমন্ত্রীর উচিত এমন অবস্থা গ্রহণ করা, যাতে সমস্যা যেন আর জটিল না হয়ে ওঠে। যে কোনো সমস্যা সমাধানে দু’পক্ষকে সব দিকে দৃষ্টি প্রসারিত করতে হবে। কিন্তু আমাদের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে আমরা কেবল জেদাজেদির মধ্যে আবদ্ধ থাকি। এই ধরনের চিন্তা উত্তর-আধুনিকতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গীর ফল। এই ধারার চিন্তা রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে শুভকর ফল আনতে পারে না। সরকারপক্ষ ছাড়াও জাতীয় অবস্থার আরো অনেক নিয়ামক রয়েছে। সরকারকে সব দিক থেকে ভাবতে হবে এবং একতরফা সিদ্ধান্ত নেয়া ঠিক নয়। এতে রেষারেষি বাধে, অনেক গোষ্ঠীর স্বার্থ ক্ষুণ্ণ হয়। জাতীয় জীবনে ফাটল ধরে। সরকারকে সমস্যার গভীরে যেতে হবে। অন্যথায়, আন্দোলনের মতো পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিস্থিতির জন্য যে কোনো সমস্যা যত দ্রুত সম্ভব যথাযথভাবে সম্পন্ন করতে হবে। যে ক্ষয়ক্ষতি মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে হয়েছে, এ রকম আগে কখনও হয়নি। ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বিস্তর ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। তাতে জনসাধারণ, সরকার সবার বিপুল ক্ষতি হয়েছে।

শেষ পর্যন্ত ক্ষতি আমাদের জাতির ও রাষ্ট্রের। যে বর্বর মানসিকতার প্রকাশ এরই মধ্যে ঘটেছে, তার জন্য আসলে কারা দায়ী সে প্রশ্নের উত্তর আমাদেরকেই খোঁজে বের করতে হবে। যে রাজনৈতিক ব্যবস্থা ইউরোপ, আমেরিকা থেকে বাংলাদেশ পর্যন্ত চলমান, তাতে সুষ্ঠু রাজনীতির সন্ধান পাওয়া যায় না। রাজনীতি এখন হয়ে গেছে ক্ষমতা দখল। রাষ্ট্রীয় অর্থ ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহৃত হচ্ছে। রাজনীতিবিদদের মানসিকতায় ওয়াশিংটনসহ সারা বিশ্বেই অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুষ্ঠু রাজনীতি নেই। মানব জাতি এখন ভুল ও ঝুঁকিপূর্ণ চিন্তাধারায় পরিচালিত হচ্ছে। এই অবস্থার মধ্যে সততার উপলব্ধি নিয়ে গোটা রাজনীতি পুনর্গঠিত করতে হবে। পশ্চিমের শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রনীতিতে এই উপলব্ধি দেখা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোকে ভারত, চীন, রাশিয়া প্রভৃতি রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক রেখে নিজেদের রাষ্ট্রীয় সত্তাকে বিকশিত করতে হবে। এর কোনো বিকল্প নেই। শৈশবেরও একটা নির্দিষ্ট চাহিদা রয়েছে। তাকে অস্বীকার করে বড়রা যদি নিজেদের মনগড়া কোনো সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে যান তা হলে সেই জগতের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া অবশ্যম্ভাবী। এই ভাবনাচিন্তার জগতের যে স্তরগুলো রয়েছে তার দিকে নজর দিতে হবে। এবং শিক্ষার্থীদের মনস্তাত্ত্বিক বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে শান্তি ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যেতে হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত