ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

স্যালুট ছাত্রদের অভিবাধন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

স্যালুট ছাত্রদের অভিবাধন ড. মুহাম্মদ ইউনূস

দেশের তরুণ সমাজ ভিন্ন রকম বাংলাদেশের গল্প লিখল গত ৫ দিন ধরে। যা ইতিহাসের পাতায় অবিস্মরণীয় হয়ে থাকবে। ’৫২-এর ভাষা আন্দোলন, ’৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান, ’৭১-এর মহান মুক্তিযুদ্ধ কিংবা নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের কথা দেশের তরুণ প্রজন্ম ইতিহাসের পাতায় পড়েছে। কিন্তু সমগ্র বিশ্ব ২০২৪ সালের বাংলাদেশের গণঅভ্যুত্থান দেখল বিশ্ববাসী। আমাদের তরুণ সমাজকে নিয়ে লেখা হলো নতুন ইতিহাস। আলোকিত বাংলাদেশের ৮ আগস্টের প্রধান প্রতিবেদক ছিল ‘অন্যরকম বাংলাদেশ দেখল বিশ্ব’।

সত্যিই এক অভূতপূর্ব বাংলাদেশের চিত্র আমরা দেখছি। এই সম্পাদকীয়টি যখন প্রকাশিত হবে, তখন নতুন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার শপথ নিয়ে নেবেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হলেন শান্তিতে নোবেল পুরস্কার জয়ী একমাত্র বাংলাদেশি ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বদলে দেয়া বাংলাদেশের ছাত্রদের পক্ষে থেকে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই মানুষটির নাম প্রস্তাব এসেছে এবং ড. ইউনূস তা সাদরে গ্রহণ করেছেন।

বাংলাদেশের আস্থার প্রতীক সেনাবাহিনী সদস্যদেরও জানায় আন্তরিক অভিবাধন। সেনাপ্রধান ওয়াকার-উজ-জামানও আশা প্রকাশ করেছেন ড. ইউনূস বাংলাদেশের এই ক্রান্তিকালে সফল হবেন।

গত কয়েকদিন ধরে আমাদের গর্বিত ছাত্ররা রাস্তার মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের দায়িত্ব পালন করছেন। এই কদিন আমরা যে বাংলাদেশ দেখলাম, তাতে সড়কে কোনো বিশৃঙ্খলা ছিল না। কোনো সড়ক দুর্ঘটনার খবরও পত্রিকার পাতায় আসেনি। এই তরুণ সমাজকেই একসময় মনে করা হতো মাদকাসক্ত, ইন্টারনেট আসক্ত। কিন্তু কী দারুণভাবে দেশের ক্রান্তিকালে দেশের ছাত্র তরুণ সমাজ নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে হাল ধরেছেন। দেশের অন্যতম শিক্ষাবিদ ড. আসিফ নজরুল বঙ্গবভবন থেকে ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক নিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর গণমাধ্যমকে বলেছেন, আমরা ভবিষ্যৎ দেশ গঠনের নেতাও পেয়ে গেছি। আসিফ নজরুল এই মন্তব্যে দেশের মানুষ ছাত্র আর তরুণ সমাজকে নিয়ে নিঃসন্দেহে গর্ব করতে পারে। সেনাপ্রধানও ছাত্রদের এই কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করেছেন।

’৫২ থেকে ২০২৪ যখন শাসক স্বৈরশাসকের ভূমিকায় গেছে, যখনই মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার পাঁয়তারা করেছে, তখনই বাংলার ছাত্র-জনতা তরুণ সমাজ বলিষ্ঠ কণ্ঠে রুখে দাঁড়িয়েছে। ’৫২ রফিক সালাম থেকে ২০২৪ আবু সাঈদ কেউই শাসকের বুলেটকে ভয় পাননি। বরং বুক পেতে দিয়েছে দেশের জন্য। অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। আমরা এখন যে বাংলাদেশ দেখছি, এইরকম বাংলাদেশ সবসময় দেখতে চাই। ছাত্রদের নিয়েই বাংলাদেশ বিনির্মাণ হবে। যে বিনির্মাণের অন্যতম কান্ডারি হচ্ছেন, এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস। স্যালুট ছাত্রদের। অভিবাধন ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত