ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় সংস্কার দরকার
সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনুন

আমাদের জীবনের প্রত্যেকটা প্রাণই অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অকালে অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে কোনো একটি প্রাণ ঝরে যাক এটা কখনোই কেউ চান না। কিন্তু তবুও আমাদের জীবনে ভয়ে আসে এমন অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। যার জন্য কেউই প্রস্তুত থাকেন না। হঠাৎ এসে সর্বস্ব কেড়ে নেয়। বলছি সড়ক দুর্ঘটনার কথা। সড়ক দুর্ঘটনা এমনি বেদনাদায়ক একটি ঘটনা যার দুঃখ বয়তে হয় সারাটি জীবন। কেউ দুর্ঘটনায় নিহত হন আবার অনেকে আহত হয়ে সারা জীবন পঙ্গুত্বকে আপন করে নেন। এতে যে ব্যক্তি সড়ক দুর্ঘটনার সম্মুখীন হন তার তো সব কিছু হারায় পাশাপাশি পরিবারের সুখটাও হারিয়ে যায় সড়কে। সম্প্রতি সড়ক দুর্ঘটনায় একই দিনে সারাদেশে ১১টি তাজা প্রাণ ঝরে যায় এবং আহত হয়েছেন ৩৮ জন। পত্রপত্রিকার তথ্য অনুযায়ী গত ২ আগস্ট শুক্রবারে সারাদেশে সাতটি সড়ক দুর্ঘটনা ঘটে আর দুর্ঘটনাগুলো থেকে নিহত এবং আহতের সংখ্যা নির্ধারণ করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে রাজবাড়ীতে যাত্রীবাহী বাস ও সিমেন্ট বোঝাই ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত এবং আরো তিনজন আহত হয়েছে। বরিশালের গৌরনদীতে কাভার্ড ভ্যানের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে পিকআপ ভ্যানের চালক ও এক যাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া এক নারী আহত হয়েছে। নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ট্রাক-মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও চারজন আহত হয়েছেন। নীলফামারীর সৈয়দপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী দুই সহোদর নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর দুমকীতে মোটরসাইকেল-ট্রাক মুখোমুখি সংঘর্ষে এক এনজিও কর্মী নিহত হয়েছেন।

গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় এক ব্যক্তি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়মনসিংহের ফুলপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ৩০ যাত্রী আহত হয়েছে। সড়কে এভাবে ঝরে যাওয়া মানে শুধু একটা দেহের মৃত্যু নয়! এতে হতে পারে একজন মেধাবীর মৃত্যু, একজন দায়িত্বশীলের মৃত্যু, একজন মায়ের মৃত্যু, একজন পিতার মৃত্যু, একজন দেশ সংগ্রামীর মৃত্যু। যদি এমন অপ্রত্যাশিতভাবে গুরুত্বপূর্ণ অংশের মৃত্যু হয়ে যায় তাহলে তো এর প্রভাব দেশের বুকেই পড়বে। এখন প্রশ্ন হলো, এই মর্মান্তিক ঘটনা প্রতিরোধের কোনো পদক্ষেপ কী নেই? যদিও থেকে থাকে তাহলে আইন ব্যবস্থায় দুর্বলতা থাকাতে আমাদের দেশে প্রতিনিয়ত সড়কে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেই চলেছে। এর দায়ভার সরকারকেই নিতে হবে। সড়কে সঠিক আইন প্রয়োগে সরকারকে কঠোর হতে হবে। যারা ট্র্যাফিক আইন মেনে চলবে না। তাদের আইনের আওতায় আনুন। তাহলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে এবং দুর্ঘটনা প্রতিরোধ হবে বলে আমরা মনে করছি।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত