ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

চি ঠি প ত্র

একান্নবর্তী পরিবার ও আজকের বৃদ্ধাশ্রম

একান্নবর্তী পরিবার ও আজকের বৃদ্ধাশ্রম

পৃথিবী পরিবর্তনশীল। আর এ পরিবর্তনের ধারাবাহিকতায় পরিবর্তন এসেছে দেশ, সমাজ, পরিবার, সংস্কৃতি, সভ্যতা, ব্যক্তি, মানসিকতা, বিবেকবোধ ও রুচির। এগিয়ে যাচ্ছে আধুনিকতায়। উন্নয়ন হচ্ছে নতুন নতুন প্রযুক্তির। সব কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে আমরাও নিজেদের তৈরি করছি, প্রস্তুত হচ্ছি। সেই প্রস্তুতির অংশ উঠে এসেছে শিক্ষার প্রসার। আগের তুলনায় শিক্ষার হার এখন বেশি। আগে সারা গ্রাম বা মহল্লা ঘুরে এক বা দুজন শিক্ষিত লোক পাওয়া যেত। এখন অধিকাংশ পরিবারের প্রায় সবাই শিক্ষিত। ছেলেমেয়ে কেউ পিছিয়ে নেই। লেখাপড়া শিখে শিক্ষিত হয়ে নিজেকে যোগ্য প্রমাণ করছে তারা। পরিবর্তন করছে নিজের সামাজিক ও অর্থনৈতিক অবস্থার। প্রযুক্তির কারণে এখন জীবন সহজ হয়েছে ঠিকই; কিন্তু সেই সহজ জীবনকে আরো সহজ ও ঝামেলামুক্ত রাখার জন্য একান্নবর্তী পরিবার ভেঙে তৈরি হয়েছে একক পরিবার। যেখানে সবাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ পাচ্ছে। তবে এ শিক্ষার মাঝে কোথাও বড় ধরনের ঘাটতি থেকে যাচ্ছে। শিক্ষার হার বাড়ছে, মানুষ আধুনিক হচ্ছে, এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে, বিনিময়ে হারিয়ে ফেলছে মনুষ্যত্ব, মানবতা। একক পরিবার মানেই যেন স্বামী স্ত্রী ও সন্তান নিয়ে পরিবার। এর বাইরে কাউকে পরিবারের লোক হিসাবে মানা বা গ্রহণ করার মানসিকতা হারিয়ে যাচ্ছে। যার কারণে অধিক শিক্ষিত হয়েও, অনেক অর্থের মালিক হয়েও মা-বাবার স্থান হয় বৃদ্ধাশ্রমে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত