ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো অনৈতিক-গর্হিত কাজ

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, লেখক : উপ-পরিচালক (অর্থ ও বাজেট) অবসর সুবিধা বোর্ড, শিক্ষা মন্ত্রণালয়
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুজব ছড়ানো অনৈতিক-গর্হিত কাজ

সাধারণ বিবেচনায় গুজব ছড়ানো অত্যন্ত অনৈতিক ও গর্হিত কাজ। এটি সততা, ন্যায়পরায়ণতা ও সহানুভূতির নীতিকে লঙ্ঘন করে। যে সমাজ নৈতিক ও দায়িত্বশীল কমিউনিকেশনকে মূল্য দেয়, সেখানে গুজব ছড়ানো একজন দায়িত্বশীল নাগরিকের নীতির বিরুদ্ধে যায়। অনেক সময় গুজব নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে এবং তা অনিচ্ছাকৃত পরিণতির দিকে নিয়ে গিয়ে শত্রুতা উসকে দিতে পারে, দ্বন্দ্ব বাড়িয়ে কিছু ক্ষেত্রে সহিংসতাকে উসকে দিতে পারে। সর্বোপরি মিথ্যা তথ্য ছড়ানোর ফলে আইনি পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। কেননা, সাইবার স্পেসে মিথ্যা তথ্য বা গুজব প্রতিরোধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তির বিধান রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে অনলাইনে গুজব ছড়ানোর প্রবণতা আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজনৈতিক সুবিধা ও সাম্প্রদায়িক বিদ্বেষ ছড়াতে ভুয়া খবর তৈরি করা হচ্ছে উদ্দেশ্যমূলকভাবে। সেই খবরের সত্যতা ও সূত্র যাচাই না করে তা প্রচার করছে ফেসবুক-টুইটার ব্যবহারকারীরা। এর মারাত্মক প্রভাব পড়ছে সমাজে। নানা রকম অপ্রীতিকর ঘটনা এমনকি ভয়াবহ রকমের দাঙ্গা-হাঙ্গামা ঘটে গেছে গুজব ছড়ানোর কারণে। প্রযুক্তির কল্যাণে আমাদের হাতে হাতে ফেসবুক-টুইটারের মতো শক্তিশালী যোগাযোগেরমাধ্যম রয়েছে। এর অপব্যবহার হলে তাই কঠিন শাস্তির বিধান রয়েছে আমাদের আইনে। প্রযুক্তির কল্যাণে ইন্টারনেট এখন সবার হাতের নাগালে। যার সুবাদে জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ফেসবুকের ব্যবহার বেড়েই চলছে। আবার এই ফেসবুকের অপব্যবহার করে অপরাধও সংঘটিত হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ে অপপ্রচার, গুজব রটানো, আপত্তিকর, মানহানিকর, আক্রমণের উদ্দেশ্যে ছবি ও ভিডিও পোস্ট শেয়ার করাসহ বিভিন্ন ইস্যুতে ব্যক্তিগত ও রাজনৈতিক স্বার্থে ফেসবুকের অপব্যবহার হচ্ছে। যা স্পষ্টত সাইবার অপরাধ। অনেকেই কিন্তু জানেন না ফেসবুকের সঠিক ব্যবহার। অজানাবশত কিংবা কী করা বৈধ আর কী কী করা অবৈধ সেসব না জানার কারণে সাইবার অপরাধে জড়িয়ে পড়ছে মনের অজান্তে। ফেসবুক ব্যবহারে সাবধানতা অবলম্বন ও সতর্ক থাকার কোনো বিকল্প নেই। একটু ভুলের কারণে আপনি আসামি হতে পারেন সাইবার অপরাধের অভিযোগে। সাইবার অপরাধীর বিচারে দেশে কঠিন আইন রয়েছে। জেনে বা না জেনে, যদি কেউ ফেসবুক ব্যবহার করতে গিয়ে কোনো অপরাধ করে তাহলে এর জন্য ভোগ করতে হবে কঠিন শাস্তি এবং মামলাও হচ্ছে। মূলত তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইন, ২০০৬ (সংশোধিত ২০১৩) অনুসরণ করা হয়, সাইবার ক্রাইমের সম্পর্কিত অপরাধের জন্য। তাই আসুন জেনে নিই, কখন কী করলে ফেসবুক বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা অনলাইনে সাইবার অপরাধ হয়। ফেসবুক বা যে কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বা কোনো গণমাধ্যমে এমন কিছু লেখা বা পোস্ট করা বা স্ট্যাটাস দেয়া বা মন্তব্য করা কিংবা ছবি বা ভিডিও আপলোড করা- যা মানহানিকর, বিভ্রান্তিমূলক, অশালীন, অরুচিকর, অশ্লীল, আক্রমণাত্মক উদ্দেশ্যে হয় তা ‘সাইবার অপরাধ’ বলে বিবেচিত হবে।

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত