জনগণের সরকারের পথে অন্তরায় নানামুখী ষড়যন্ত্র

মোহাম্মাদ সাইফুর রহমান, লেখক : বাংলাদেশ প্রতিনিধি, সিএসবি নিউজ, ইউএসএ

প্রকাশ : ২৮ আগস্ট ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

গত ৫ আগস্ট ২০২৪ স্বৈরাচারী হাসিনা সরকারের পতনের পর, বাংলাদেশে একটি নতুন ইতিহাস রচিত হয়েছে। এই নতুন সরকার, যা জনগণের সমর্থনে গঠিত হয়েছে, সম্পূর্ণভাবে অরাজনৈতিক প্লাটফর্ম থেকে আগত। শিক্ষার্থী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, অর্থনীতিবিদ, এবং সাবেক আমলাদের সমন্বয়ে গঠিত এই সরকারকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন নোবেল বিজয়ী ড. মোহাম্মদ ইউনূস। তার নেতৃত্বে এই নতুন সরকার গঠনের পরপরই দেশজুড়ে এক নতুন আশার সঞ্চার হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে এবং প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই সরকারের প্রতি অগাধ আস্থা প্রকাশ করেছে এবং নতুন একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে।

কিন্তু দুঃখজনকভাবে, সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই একের পর এক ষড়যন্ত্র এবং অন্তর্ঘাতমূলক কার্যকলাপ আমাদের নজরে আসছে। বিভিন্ন সরকারি এবং বেসরকারি সংস্থায় কর্মরত কিছু ব্যক্তিবর্গ নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্যে সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। বিশেষ করে, আনসার সদস্যদের সাম্প্রতিক আন্দোলন এবং সচিবালয়ে তাদের অপ্রত্যাশিত আচরণকে একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবেই দেখা যাচ্ছে। তাদের এ ধরনের কর্মকাণ্ড স্পষ্টতই নতুন সরকারের প্রতি অসন্তোষ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে পরিকল্পিত। নতুন সরকারকে কোনো ধরনের সময় বা সুযোগ না দিয়েই রাষ্ট্রের বিভিন্ন অংশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার প্রচেষ্টা করা হচ্ছে। অবৈধভাবে অর্থ ছড়িয়ে বিভিন্ন গোষ্ঠীকে উত্তেজিত করে রাজপথে নামানো হচ্ছে। এর প্রতিফলন আমরা দেখতে পাই যখন সচিবালয়ে আনসার সদস্যরা অযাচিতভাবে আচরণ করে এবং শাহবাগে পায়ে চালিত রিকশাওয়ালারা জমায়েত হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ড থেকে স্পষ্টতই বোঝা যায় যে, যেভাবে রক্তের সাগরে স্বৈরাচারের পতন ঘটেছিল, সেই স্বৈরাচারের অবৈধ অর্থ সম্পদ ব্যবহার করে আবারো দেশের স্থিতিশীলতা নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এখন সময় এসেছে এই ষড়যন্ত্র এবং অন্তর্ঘাতমূলক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে দৃঢ়ভাবে অবস্থান নেয়ার। সরকারকে অত্যন্ত সতর্কতার সাথে এবং দৃঢতার সাথে এসব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।