ঢাকা ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

দেশ শাসনে আয়নাঘর এক বিরল দৃষ্টান্ত

রায়হান আহমেদ তপাদার, গবেষক ও কলামিস্ট
দেশ শাসনে আয়নাঘর এক বিরল দৃষ্টান্ত

কোন দেশ শাসনে আয়নাঘর লাগে এটা অনেকের জানা থাকলেও আমার জানা ছিল না। বলতে পারেন- এটা আমার কাছে এক নতুন অভিজ্ঞতা। যা আমাকে কিছু লিখতে বাধ্য করেছে। আয়নাঘর নামটা খুবই সুন্দর। মনে হতে পারে আয়নায় মোড়া যেন রূপকথার কোনো জায়গা কিন্তু, এই রূপকথাসুলভ নামের আড়ালে লুকিয়ে আছে- গুম, অত্যাচার, বিনা বিচারের বছরের পর বছর আটকে রাখার ভয়ানক কাহিনি। হাসিনার আমলে, সাংবাদিক, রাজনৈতিকবিরোধী, সমাজকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সেনাকর্তা থেকে শুরু করে, বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে এখানে। আসলে, আয়নাঘর হলো বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তর বা ডিজিএফআই-এর আওতাধীন এক গুপ্ত গুম ঘর। গুপ্ত গুম ঘরটির কোডনেম ছিল আয়নাঘর। কীভাবে এই কোডনেম এলো তা স্পষ্ট নয়।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের জন্য শেখ হাসিনা অনেক প্রচেষ্টা করেছিলেন। গত ১৫ বছরের বেশি সময় দেশের মাথা পিছু আয়ের ব্যাপক বৃদ্ধিতে স্পষ্ট, তার সেই চেষ্টা কাজেও দিয়েছিল। সেই সঙ্গে হাসিনা জোর দিয়েছিলেন পরিকাঠামো উন্নয়নে কিন্তু, তার বিরুদ্ধে সবথেকে বড় অভিযোগ ছিল, তিনি স্বৈরাচারী। কোনো ধরনের বিরোধিতা তিনি সহ্য করতে পারতেন না। তার আমলে, সাংবাদিক, রাজনৈতিকবিরোধী, সমাজকর্মী, আইনজীবী, শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, সেনাকর্তা থেকে শুরু করে, বহু মানুষকে গুম করা হয়েছে। বিনা বিচারে আটকে রাখা হয়েছে বলে, অভিযোগ ছিল। ঢাকার মানবাধিকার সংগঠন, অধিকার-এর এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত, বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে, সেই দেশে প্রায় ৩৪৪ জন ব্যক্তিকে গুম করা হয়েছিল। পরে, তাদের মধ্যে ৪০ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। সরকারি হেফাজতে পাওয়া গিয়েছিল ৬৬ জনকে। আরো ২০৩ জন ছিলেন নিখোঁজ। তারা কোথায়, কেউ জানত না। এদের অনেকেই আয়নাঘরে বন্দি ছিল বলে মনে করা হয়। বিচারবহির্ভূতভাবে আটকে রাখা এবং হত্যার এই সকল ঘটনা নিয়ে, সময়ে সময়ে হাসিনা সরকারের নিন্দা করেছে রাষ্ট্রপুঞ্জ এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতো বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থা। ১০ বছর ধরে আটক থাকা ৮৬ জনের নামের একটি তালিকাও প্রকাশ করেছিল হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। দীর্ঘদিন পর্যন্ত এই আয়নাঘরের অস্তিত্বর কথাও কেউ জানত না। ২০২২ সালে, নেত্র নিউজ নামে সুইডেনের এক সংবাদ সংস্থা এবং জার্মান সংবাদ সংস্থা ডয়চেভেল, পৃথক পৃথকভাবে বাংলাদেশ প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা দপ্তরের এই গোপন বন্দিশালা নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। তাদেরকেই বলা যায় আয়নাঘরের ‘হুইশল ব্লোয়ার’। আজ পর্যন্ত খুব কম বন্দিই আয়নাঘর থেকে মুক্তি পেয়েছে। সামান্য কিছু বন্দিকে দীর্ঘবিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মুক্তি দেয়া হয়েছে। তবে, হাসিনা বাংলাদেশে থাকাকালীন, এই মুক্তিপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের কারও মুখ খোলার সাহস হয়নি। আরো কড়া শাস্তির ভয়ে তারা মুখ বন্ধ রেখেছিলেন। তবে, নেত্র নিউজের কাছে আয়নাঘরের রহস্য ফাঁস করেছিলেন শেখ মহম্মদ সেলিম এবং হাসিনুর রহমান। যে পরিবহন ব্যবসায়ী ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাক্তন লেফটেন্যান্ট কর্নেলের কাহিনি দিয়ে। তাদের লেখা থেকেই এই গুপ্ত জেলখানার খুঁটিনাটি জানা গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল এর অবস্থান। জানা গিয়েছিল, এই জেলখানায় কীভাবে রাখা হত বন্দিদের। কতটা অত্যাচার করা হত। অত্যাচার ঢাকতেই বা কী ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল। সেলিম বুঝতে পরেননি আয়নাঘরের অবস্থান। শুধু জানতেন, কাছাকাছি কোনো জায়গায় সারাদিন বিমান ওঠানামা করে। তবে, হাসিনুর রহমান নিজেই সেনায় ছিলেন।

২০১২ সালে, ২৮ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়ার পর, তাকেই সন্ত্রাসবাদে জড়িত থাকার দায়ে বরখাস্ত করা হয়েছিল। এরপর, ২০১৮ সালে তাকে ধরে নিয়ে যায় পুলিশের গোয়েন্দা শাখা। ডিজিএফআই-এর কাউকে আটক করার আইনি এক্তিয়ার নেই। তাই, ওই পরিচয়েই এ সংস্থার সদস্যরা তাকে এক প্রকার গুম করেছিল। ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে, তাকে ছেড়ে হয়েছিল। সামরিক বাহিনীর ঘরের লোক হওয়ায়, আয়নাঘরের অবস্থান তিনি ঠিকই আন্দাজ করতে পেরেছিলেন। ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেতে অবস্থিত ডিজিএফআই সদর দপ্তর। হাসিনুর ও আরো বিভিন্ন মানুষের বয়ান অনুযায়ী, তার মধ্যেই এক জায়গায় অবস্থিত আয়নাঘর। আমেরিকার ‘ম্যাক্সার স্যাটেলাইট’-এর মাধ্যমে, ঢাকার সেনানিবাসের মধ্যে আয়নাঘর জেলখানার ছবিও দেখা গিয়েছে। সেলিম বা লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসিনুর রহমান আয়না ঘর থেকে মুক্তি পেলেও, বহু মানুষেরই সেই সৌভাগ্য হয়নি। গুম হওয়ার অভিজ্ঞতা নিয়ে সেলিম জানিয়েছিলেন, তাকে যে ঘরে আটকে রাখা হয়েছিল, সেই ঘরের দেওয়ালে তার আগে ওই ঘরে থাকা বহু মানুষ তাদের নিজেদের কথা লিখে রেখেছিলেন। মাংসের হাড় বা অন্য কোনো ধারাল বস্তু দিয়ে কক্ষের দেয়ালে তারা অনেক কথাই লিখে ছিলেন। কেউ কেউ ফোন নম্বর লিখে বলেছিলেন, তাদের বাড়িতে পারলে একটা খবর দিতে। বলে দিতে, তাদের আয়নাঘরে আটকে রাখা হয়েছে। বলে দিতে, তাদের গুম করেছে প্রতিরক্ষা গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর, ২০০৯ সালেই প্রথম, সেই দেশে এই ধরনের বিচারবহির্ভূতভাবে আটকে রাখা বা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া আটকে রাখার অভিযোগ উঠেছিল সামরিক গোয়েন্দা বিভাগের বিরুদ্ধে। কিন্তু কেন সামরিক গোয়েন্দা সংস্থাকে এই অগণতান্ত্রিক কাজ করার অধিকার দেয়া হলো? শুধু রাজনৈতিকবিরোধীরাই নন, বাংলাদেশের সুশীল সমাজের বহু মানুষও দাবি করেছেন, আওয়ামী লীগ শাসিত দেশকে বিরোধী শূন্য করতে চেয়েছিলেন শেখ হাসিনা।

আর তাই কখনও সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে জড়িত থাকা, কখনও জাতীয় নিরাপত্তার দোহাই দিয়ে নির্বিচারে গুমকরে দেয়া হয়েছে অজস্র মানুষকে। আগে যাদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে, তারা ছাড়াও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন অধ্যাপক তথা শিক্ষাবিদ মোবাশার হাসান, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়, বিএনপি নেতা সাজেদুল ইসলাম সুমন, সাইফুল ইসলাম ও ইলিয়াস আলীসহ আরো অসংখ্য মানুষ। এদের অনেককেই মুক্তি দিয়েছিলেন শেখ হাসিনা। হাসিনা দেশ ত্যাগের পর, তারা এক এক করে মুখ খুলতে শুরু করছেন মারুফ জামান জানিয়েছেন, দীর্ঘ ১৬ মাস তিনি আয়নাঘরে বন্দি ছিলেন। তার দাবি, আয়নাঘর তৈরি ছিল শেখ হাসিনার নিরাপত্তাবিষয়ক উপদেষ্টা, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মস্তিষ্ক প্রসূত। অবসরপ্রাপ্ত লে. কর্নেল হাসিনুর রহমানও গুমের ঘটনার মূল হোতা হিসেবে সিদ্দিকের নামই করেছেন। হাসিনার দেশত্যাগের পর আজ আয়নাঘর থেকে একের পর এক বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। দীর্ঘদিন ধরে যারা নিখোঁজ ছিলেন, তারা ঘরে ফিরেছেন। তবে, তারপরও এখনও বহু মানুষেরই খোঁজ পাওয়া যায়নি। গুম হয়ে যাওয়া পরিবারের সদস্যরা মায়ের ডাক নামে একটি প্লাটফর্ম তৈরি করেছেন। দেশে ২০০৯ সাল থেকে আজ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনে, যাদেরকে গুম করা হয়েছে, সেই সকল ঘটনা গুলিকে জনসমক্ষে আনাই ছিল তাদের লক্ষ্য। হাসিনা বিদায়ের পর তারা দাবি করেছে, সকল বন্দিদের পাশাপাশি আয়নাঘরের বন্দিদেরও মুক্তি দিতে হবে। এরপরই, রহস্যজনক পরিস্থিতিতে পরপর মুক্তি পান আইনজীবী আহমদ বিন কাসেম আরমান, বরখাস্ত হওয়া বিগ্রেডিয়ার জেনারেল আবদুল্লাহিল আমান আজমি, মাইকেল চাকমারা। হাসিনা বিদায়ের পরই ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের কচুক্ষেতে, ডিজিএফআই সদর দপ্তরের সামনে মানববন্ধন করেছিল মায়ের ডাক। দেশের একাধিক সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী, আয়নাঘরের অনেকেই এনকাউন্টারের শিকার হয়েছেন। হাসিনার শাসনে এই জাতীয় ঘটনার কোনো তদন্ত হয়নি বললেই চলে। আয়নাঘরে বন্দি অনেকেরই আবার দিনের পর দিন অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে মৃত্যু হয়েছে বলেও শোনা যায়।

তারপর তাদের লাশ সেখান থেকে লোকচক্ষুর আড়ালে সরিয়ে দেয়া হত। কেউ জানতেও পারত না। কারণ যাদের আটক করা হত, খাতায় কলমে তাদের কোনো তথ্য রাখা হত না। হাসিনার আস্থাভাজন- রাই এই আয়নাঘরের দায়িত্বে থাকতেন। কাজেই কোনো কথা বেরও হত না। তাই, আয়নাঘর থেকে আর কাউকে নাও পাওয়া যেতে পারে। অবশ্য মনে করা হয়, প্রতিরক্ষা গোয়েন্দাদের এই একটিই নয়, দেশজুড়ে অন্তত ২৩টি এই ধরনের গোপন গুমখানা আছে। সেগুলোতেও থাকতে পারেন কেউ কেউ। হাসিনার পতনের পর আয়নাঘর আবার আলোচনায় উঠে এসেছে। সেখান থেকে এর আগে তিনজন বন্দি মুক্তি পেয়েছেন। সম্প্রতি রাজধানীর কচুক্ষেতে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে গুম হওয়া মানুষের খোঁজে ভিড় জমাচ্ছেন স্বজনরা। ভারতের জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘর শুনতে যতটা সাদামাটা ততটাই রহস্যময়। শেখ হাসিনার আমলে তৈরি এই আয়নাঘরেই রাখা হতো গুম করে রাখা মানুষদের। শেখ হাসিনার আমলে বিরোধীদলের বহু নেতাকর্মী নিখোঁজ হয়ে গেছে।

তারা কোথায় তাদের কোনো খোঁজ নেই। এমনকি সেনাবাহিনীর লোকজন রয়েছেন ওই তালিকায়। আয়নাঘর আসলে গোয়েন্দাদের একটি গোপন বন্দিশালা বা ডিটেনশন ক্যাম্প। আনন্দ বাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আয়নাঘর অর্থাৎ গুমখানা। হাসিনার শাসনকালে ২০০৯ সাল থেকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সেখানে মোট ৬০৫ জনকে গোপনে বন্দি করে রাখা হয়েছিল। ২০০৯ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদদে নিখোঁজ হন ৪০২ জন মানুষ। এ তথ্যটি প্রকাশ করে ঢাকাভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠন অধিকার ২০১৪ থেকে জুলাই ২০১৯ সাল পর্যন্ত দেশে ৩৪৪ জন ব্যক্তি গুমের শিকার হয়। তাদের মধ্যে ৪০ জন ব্যক্তিকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়, ৬৬ জনকে সরকারি হেফাজতে গ্রেপ্তার অবস্থায় পাওয়া গেছে এবং আইন ও সালিশ কেন্দ্রের তথ্যমতে ২০৩ জন এখনো গুম রয়েছেন। যারা দীর্ঘদিন গুম থাকার পর ফিরে আসেন, তারা গুমের ব্যাপারে মৌন অবলম্বন করেন। ধারণা করা হয় এসব মানুষদের গুম করে রাখা হয় আয়নাঘরে। আয়নাঘরে যারা বন্দি থেকেছেন, তাদের মধ্যে রয়েছে- নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ও শিক্ষাবিদ মোবাশার হাসান, সাবেক রাষ্ট্রদূত মারুফ জামান, ব্যবসায়ী অনিরুদ্ধ কুমার রায়।

এছাড়াও আয়নাঘর থেকে সম্প্রতি ছাড়া পেয়েছেন বাংলাদেশি ব্যারিস্টার এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা মীর কাসেম আলীর ছেলে মীর আহমদ বিন কাসেম, সাবেক সামরিক জেনারেল এবং জামায়াতে ইসলামী নেতা গোলাম আযমের ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমি, পার্বত্য চট্টগ্রামের রাজনৈতিক সংগঠন ইউপিডিএফের মুখপাত্র মাইকেল চাকমা। উল্লেখ্য যে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডসহ এসব ঘটনার জন্য জাতিসংঘ ও বিভিন্ন মানবাধিকার রক্ষাকারী সংস্থা, যেমন, হিউম্যান রাইটস ওয়াচ ও অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল তৎকালীন বাংলাদেশ সরকারকে নিন্দা প্রস্তাব জানানোর পরও শেখ হাসিনা এসব চালানোর সাহস দেখিয়েছেন। যা দেশ ও জাতির জন্য দুঃখের ও লজ্জার। আসলে হাসিনা বিরুদ্ধ মত সহ্য করতে পারছিলেন না বিধায়- রাজনৈতিক বন্দিদের জন্য তৈরি করেছিলেন আয়নাঘর। যা ছিল রাজনৈতিক বন্দিদের কাছে বিভীষিকাময়। যেখানে মানবিকের চেয়ে অমানবিক শক্তির প্রদর্শন বেশি ছিল। এভাবে একটি রাষ্ট্র চলতে পারে না বিধায় গণজাগরণ হয়েছে।

[email protected]

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত