ঢাকা ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১ | বেটা ভার্সন

তরঙ্গীত হয় নদী তোমার সাহসে বলীয়ান

আসাদুল করিম
তরঙ্গীত হয় নদী তোমার সাহসে বলীয়ান

বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে, এদেশের স্বাধীনতা অর্জন এবং তার সংরক্ষণের ইতিহাসে, একটি জাতিকে আত্মমর্যদা দানের প্রয়াসে, দেশের সাধারণ মানুষের অন্ন-বস্ত্র শিক্ষা-স্বাস্থ্য নিশ্চিত করার প্রচেষ্টায় শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এক অবিস্মরণীয় নাম। বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের প্রথম দিনই এদেশের কোটি কোটি মানুষ আশা হিসাবে, ভরসা হিসাবে, প্রেরণা হিসাবে হৃদয়ে ধারণ করেছিলেন একটি নামণ্ডজিয়াউর রহমান। তার কর্ম, তার আদর্শ, তার সংগ্রাম এবং মানুষের প্রতি তার অকৃত্রিম ভালোবাসা তার শাহাদাতের যুগ যুগ পরও তাকে এদেশের মানুষের হৃদয়ে অম্রান করে রেখেছে, রাখছে আরো দীর্ঘকাল দরে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী যখন এদেশের নিরীহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছিল, যখন নির্বিচার হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছিল, তখন দেশের একজন রাজনৈতিক নেতাও যা করতে পারেননি, যে প্রতিরোধের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে পারেননি, যখন জাতিকে অস্ত্রের মুখে রেখে পালিয়ে গিয়েছিলেন তারা যার যার জীবন নিয়ে, তখন বিদ্রোহের পতকা নিয়ে রুখে দাঁড়িয়েছিলেন জিয়াউর রহমান- ঘোষণা দিয়েছিলেন স্বাধীন সার্বভৌমণ্ডবাংলাদেশের। শুরু করেছিলেন মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমানের সেই ঘোষণায় এদেশের মানুষের চরম হতাশার মধ্যে খুঁজে পেয়েছিলেন আশার আলো, পেয়েছিলেন সংগঠিত হবার শক্তি, পেয়েছিলেন আত্মবলে বলীয়ান হবার সাহস।

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েই জিয়াউর রহমান থেমে থাকেননি, তিনি তার অনুসারী সৈন্যদের নিয়ে গঠন করেন লড়াকু বাহিনী, গড়ে তোলেন প্রতিরোধ, সংগঠিত করেন মুক্তিযুদ্ধ। তারপর দীর্ঘ ৯ মাস, দেশের স্বাধীনতা অর্জনের শেষ দিন পর্যন্ত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে, সার্বভৌম বাংলাদেশ অর্জনের স্বপ্নে লড়াই করে গেছেন। সেই লড়াইয়ে যোগ দিয়েছেন আরো অনেকে। সৈন্য বাহিনীর সদস্য, বিডিআর, পুলিশ, আনসার এবং লাখ লাখ সাধারণ মানুষ। সেই লড়াইয়ে বিজয় অর্জিত হয়েছে। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। কিন্তু ১৯৭১ সালে স্বাধীনতাকমী মানুষের হৃদয়ে সেই যে স্থান করে নিয়েছেন জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষ কোনোদিন তা ভুলে যায়নি। নিজেদের সবচেয়ে কাছের, সবচেয়ে আপনজন হিসাবে হৃদয়ের মধ্যে তারা ধরে রেখেছেন জিয়ার নাম।

দেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর সেনাবাহিনীর দায়িত্বেই ফিরে গিয়েছিলেন জিয়াউর রহমান। ১৯৭৫ সালের আগস্টে রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ক্ষমতায় আসীন হয় আওয়মী লীগেরই একটি অংশ। ১৯৭৫ সালের আগস্টের পর ক্ষমতাসীনদের অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর প্রাসাদ ষড়যন্ত্রের পরিণতিতে ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বর জিয়াউর রহমানকে বন্দি করে স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী একটি মহল। দেশে চূড়ান্ত অরাজকতা আর বিশৃঙ্খলার পরিবেশ সৃষ্টি হয়। আইন-শৃঙ্খলা থেকে বাজার পর্যন্ত চলে যায় নিয়ন্ত্রেণের বাইরে। সারা দেশের মানুষ রুদ্ধশ্বাসে অপেক্ষা করে। কিন্তু মাত্র চার দিন। চারদিন পরেই ৭ নভেম্বর বাংলাদেশের জাতীয় জীবনে ঘটে এক ঐতিহাসিক ঘটনা-সিপাহী-জনতার একে অবিস্মরণীয় অন্যসাধারণ বিপ্লব। সেই বিপ্লবে পরাভূত হয় এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারীরা, সে বিপ্লব ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ে নিক্ষেপ করে সকল ষড়যন্ত্রকারীকে। বন্দিদশা থেকে সিপাহী-জনতা মুক্ত করে নিয়ে আসেন জিয়াউর রহমানকে।

১৯৭৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতির ঐতিহাসিক প্রয়োজনে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হিসাবেই দেশের প্রধান সামরিক আইন প্রশানসকের দায়িত্ব গ্রহণ করে জিয়াউর রহমান। এদেশের সর্বস্তরের মানুষ তাকে সেদিন স্বাগত জানিয়েছিলেন স্বাধীনতার সংরক্ষক হিসাবেই, তাদের সমর্থন আর ভালোবাসা দিয়ে। প্রধান সাময়িক আইন প্রশাসকের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই জিয়াউর রহমান এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও সাধারণ মানুষের মুক্তির লক্ষ্যে তার সব কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে শুরু করেন।

স্বাধীনতা যুদ্ধের পর এদেশে ক্ষমতাসীন হয়েছিল বাংলাদেশ আওয়মী লীগ। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে আওয়ামী লীগ এদেশে গণতন্ত্র হত্যা করেছিল, বিরোধী সকল রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করে কায়েম করেছিল একদলীয় স্বৈরশাসন। দেশের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করে নেয়া হয়েছিল, মাত্র ৪টি সংবাদপত্র সরকারের নিয়ন্ত্রণে রেখে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল অন্য সকল সংবাদপত্র। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে সেই অবস্থা থেকে জাতিকে মুক্তি দেয়ার জন্য দায়িত্ব নিতে হয়েছিল ১৯৭৫ সালে পট-পরিবর্তনের পর। সে দায়িত্ব হাতে নিয়ে তিনি যেমন একদলীয় স্বৈরশাসন রদ করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু করেন, তেমনিভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাও অবারিত করে তোলেন। নিজ দেশে আওয়ামী শাসনে অবরুদ্ধ নির্যাতিত মানুষ তাদের আপনজন জিয়ার হাতেই পান মুক্তির আস্বাদ।

এর পাশাপাশি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের মানুষকে দিলেন আত্মমর্যদা। তিনি সহস্র বছর ধরে লালিত বাংলাদেশের মানুষের স্বতন্ত্র জাতিসত্তার পরিচয় তুলে ধরলেন জনগণের সামনে, দিলেন বাংলাদেশি জাতিসত্তার বোধ-দেশের মানুষকে দিলেন আত্মমর্যাদা। প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ডাক দিয়ে স্বাধীনতা সংরক্ষণ করে, জাতিকে আত্মমর্যদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করে মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। তিনি হয়ে উঠেছিলেন এদেশের আত্মীয়, সে কারণেই তার আদর্শ হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করেছেন এদেশের সর্বস্তরের মানুষ।

একেই সঙ্গে প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশি জাতির সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষা করার জন্য, এই স্বাতন্ত্র্যকে দৃঢ়তর তরে তোলার জন্য নতুন উদ্দীপনার সৃষ্টি করেছিলেন। একটি জাতি পৃথিবীতে পরিচিত হয় তার সাংস্কৃতিক স্বাতন্ত্র্যের মাধ্যমেই। সেই পরিচয়কে সামগ্রিক রূপ দেয়ার প্রাস পেয়েছিলেন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। তিনি ঠিকই উপলব্ধি করেছিলেন, সাংস্কৃতিক আগ্রাসনের মাধ্যমে কুচক্রিরা একদিন আমাদের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের ওপর হামলার অপপ্রয়াস চালাতে পারে। আজ পৃথিবীতে সামরিক আগ্রসনের চেয়ে অর্থনৈতিক বেনিফিট আদায়ের লক্ষ্যে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন অনেক বড় হাতিয়ার। সেই উপলব্ধি থেকেই তিনি আমাদের হাজার বছর ধরে নির্মিত নিজস্ব সংস্কৃতি সুরক্ষার ওপর জোর দিয়েছিলেন। এক্ষেত্রেও তার সাফল্য সুবিদিত।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়া একটি জাতিকে নিজের পায়ে দাঁড় করিয়ে দেবার জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন। তিনি জানতেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের নিজস্ব অর্থনীতি গড়ে তুলতে হলে কৃষিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে হবে। সে জন্য তিনি কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির উপর সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করেন। কৃষিজমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণের জন্য তিনি স্বেচ্ছাশ্রমে খাল খনন কর্মসূচি চালু করেন। দেশের লাখ লাখ মানুষ দেশ গড়ার লক্ষ্যে তার ডাকে সাড়া দিয়েছিলেন সেদিন। সেই সুফল ভোগ করেছেন এদেশের সাধারণ মানুষ। সেবার বাম্পার ফলন হয়েছিল। কৃষি উৎপাদন বৃদ্ধির এই কর্মসূচি সফল করে তোলার জন্য তিনি নিজে দিনের পর দিন খাল খনন কাজে অংশ নিয়েছেন। নিজ হাতে কোদাল চালিয়েছেন, সাধারণ মানুষের মতোই সাধারণ মানুষের পাশে থেকে কাজ করেছেন। সেখানেই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান সাধারণ হয়েও অনন্য সাধারণ।

দেশের শিল্প খাতে স্থাবিরতা দূর করার জন্য তিনি নতুন শিল্পায়ন নীতি গ্রহণ করেন। তিনি বিরাষ্ট্রীয়করণ কর্মসূচি শুরু করেন, সম্ভাব্য বিনিয়োগকারীদের উৎসাহ দানের নীতি গ্রহণ করেন। ফলে শিল্পক্ষেত্রে স্থবিরতা অনেকখানি দূর হয়ে যায়। শুরু হয় নতুন কর্মোদ্দীপনা।

শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এ-ও জানতেন যে, শিক্ষার দ্রুত বিস্তার ছাড়া একটি জাতিকে কখনও স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তোলা যায় না। তাই শিক্ষাবিস্তারের জন্য তিনি বিভিন্নমুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। এই কর্মসূচির মধ্যে ছিল সর্বজনীন প্রাথমিক শিক্ষা, ছিল বয়স্ক শিক্ষার ব্যবস্থা, ছিল উচ্চ শিক্ষা সম্প্রাসারণের উদ্যোগ। আর এ উদ্যোগ বাস্তবায়নে তিনি বহুমুখী কর্মসূচিরও আয়োজন করেন। ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক-বুদ্ধিজীবী সবার সঙ্গে খোলা মন নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি নিয়ম করেছিলেন, প্রত্যেক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অন্তত দুইজন নিরক্ষর বালক-বালিকাকে স্বাক্ষর করে তুলতে হবে। সে নিয়ম অব্যাহত রাখতে পারলে দেশে এত দিনে আরো ৩০ লাখ অতিরিক্ত লোককে সাক্ষর করা যেত।

বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির ক্ষেত্রেও প্রেসিডেন্ট জিয়া যে সার্বভৌম সমতার নীতি গ্রহণ করেছিলেন, তার বাস্তবায়নে তিনি অবিচল দৃঢ়তার পরিচয় দেন। এতে আন্তর্জাতিক ফোরামে বাংলাদেশ যেমন মর্যাদার আসন লাভে সমর্থ হয়, তেমনি প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রেও সার্বভৌম সমতার বলিষ্ঠ সুফল তৈরি হয়।

একদিকে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জন, অপর দিকে আত্মমর্যাদাবান জাতি হিসাবে বাংলাদেশকে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষেত্রে তার অক্লান্ত শ্রম ও সাফল্যে এদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের শত্রুরা তার বিরুদ্ধে তথা বাংলাদেশি জাতির বিরুদ্ধে এক গভীর চক্রান্তে লিপ্ত হয়। এই চক্রান্তকারীরা বাংলাদেশি জাতির এই উন্নতি ও নিজের পায়ে দাঁড়াবার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্রে তাদের দেশীয়-সহযোগীরাও সক্রিয়ভাবে যোগ দেয়। তারই পরিণতিতে ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে জাতির মহান নেতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান শাহাদাৎ বরণ করেন।

চক্রান্তকারীরা আশা করেছিল, প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যা করে তারা ক্ষমতা দখল করে নেবেন। কিন্তু এদেশের লক্ষ কোটি মানুষের প্রতিরোধের মুখে সেদিন তারা পিছু হটে যেতে বাধ্য হয়। প্রেসিডেন্ট জিয়া প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের প্রার্থী বিচারপতি আবদুস সাত্তারকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করে জনসাধারণ দেখিয়ে দেন, জিয়ার আদর্শের শেকড় বাংলােেদশের মাটির কত গভীরে প্রেথিত ছিল। সাময়িকভাবে হেরে যায় দেশের স্বাধীনতাবিরোধী চক্রান্তকারীরা।

কিন্তু তাদের চক্রান্ত থেমে থাকেনি। ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ তারা পুনরায় আঘাত হানে এবং বিচারপতি আবদুস সাত্তারের নেতৃত্বাধীন সরকারের জবরদস্তিমূলকভাবে ক্ষমতাচ্যুত করে। এদেশের মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা পুনরায় পর্যুদস্ত হয়। ভিন্ন দেশের স্বার্থরক্ষাকারী স্বৈরাচারী সরকার আসন জাঁকিয়ে বসে বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায়।

কিন্তু সেই অবস্থা মেনে নেয়নি এদেশের মানুষ। দীর্ঘ ৯ বছর ধরে অবিরাম লড়াই করেছে, রক্ত দিয়েছেন বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক জনগণ। তারা কখনও আপস করেননি, রাষ্ট্রবিরোধী এই চক্রের সঙ্গে। পতন ঘটিয়েছেন স্বৈরাচারের। আবার ফিরে এসেছে আর একটি নতুন বিপ্লব। সবাই বলছে দ্বিতীয় স্বাধীনতা। জুলাই আগস্ট বিপ্লব। এদেশের ছাত্র-জনতা তথা রাজনৈতিক শক্তি নতুন প্রেরণায় উদ্দীপ্ত হয়ে দুনিয়া কাপানো বিপ্লব সাধিত করেছে। জনগণকে দিয়েছে মুক্তির অনাবিল আনন্দ। এই বিপ্লবেও আমাদের দূরলোক থেকে প্রেরণা দিয়েছেন শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান।

লেখক : সহ-প্রচার সম্পাদক, বিএনপি

আরও পড়ুন -
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত