স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া জরুরি

নদীভাঙন রোধে

প্রকাশ : ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০০:০০ | প্রিন্ট সংস্করণ

শিল্পায়ন ও নতুন অবকাঠামো নির্মাণে বালু ও পাথর অপরিহার্য। কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিকল্পনাহীন বালু উত্তোলনের ফলে পরিবেশের ক্ষতি হচ্ছে। ফলে অনেক বড় বড় স্থাপনা, সড়ক-মহাসড়কও নদীভাঙনের হুমকিতে পড়ছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় আকস্মিক নদীভাঙনে এক রাতে অর্ধশত বসতবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙনের শিকার অসহায় পরিবারগুলো খোলা আকাশের নিচে মানবেতর জীবনযাপন করছে। এতে এলাকার অনেকেই নিঃস্ব ও সর্বস্বান্ত হয়ে যাচ্ছে। দেশের অনেক জায়গায় ধারাবাহিকভাবে অব্যাহত নদীর তীব্র ভাঙন হচ্ছে, কিন্তু ভাঙন রোধে তেমন কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া হয় না বলে অভিযোগ আছে এলাকাবাসীর। যুগ যুগ ধরে এ নদীভাঙনে স্থায়ী কোনো পদক্ষেপ নেয়নি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। দেশের বিভিন্ন জায়গায় প্রতিবছর নদীভাঙন হলেও ভাঙন প্রতিরোধের পরিকল্পনা ও প্রয়োগের অব্যবস্থাপনা বড্ড বেশি ফুটে ওঠে। সরকারি উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন স্থানে নদীভাঙন রোধে নেয়া হয় নানা প্রকল্প। এতে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হলেও এসব ব্যবস্থা স্থায়ী হয় না, যা সত্যি উদ্বেগজনক। শুধু দাকোপে নয়, দেশের আরো বহু স্থানের নদীভাঙন ও শহর রক্ষা বাঁধসহ বিভিন্ন বাঁধের এরকম করুণ দশা। একেকটি বাঁধ নির্মাণে সরকারের কোটি কোটি টাকা ব্যয় হয়। অথচ প্রায়ই দেখা যায়, নির্মাণের কিছু দিন না যেতেই বাঁধগুলোর বিভিন্ন অংশ ভেঙে পড়ছে, বন্যার সময় অনেক বাঁধ বিলীন হওয়ার খবর পাওয়া যায়। নদী রক্ষা বাঁধ, শহররক্ষা বাঁধসহ সব বাঁধ নির্মাণের দায়িত্ব পানি উন্নয়ন বোর্ডের। এসবের সংস্কার, মেরামত ইত্যাদিও পাউবোর দায়-দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, বাঁধের কাজ, নদী খননসহ সব ক্ষেত্রেই অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা, দলবাজি, কমিশনবাজি, ঘুষ, দুর্নীতি ও বেপরোয়া লুটপাটের কারণে বাঁধগুলো টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয় না। ফলে প্রকল্পগুলোর উপকার ও সুবিধা পায় না জনগণ। যে কোনো মূল্যে এই দুর্নীতি বন্ধ করতে হবে। নদীভাঙন রোধ করতে স্থায়ী উদ্যোগ নেয়া জরুরি। পাশাপাশি বসতভিটা বিলীন হয়ে যাওয়া ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের যথাযথ সহায়তা দিয়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।